Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 31 August 2019

খবরের শিরোনাম আপনাকে টানবে।


খবরের শিরোনামে যা বলা হয়েছে, দেখে সরকারি কর্মীদের জন্য এমন সুখবর সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সপ্তাহে আসছে কেউ ভাবতে পারবেন না। সবাই ঐ শিরোনাম দেখে মনে করবেন ও আবার বুঝি বেতন বাড়ানো হবে বা সাধারণের ভাষায় মাইনে বাড়ল। কারণ সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের চক্ষু শূল। মোটে দেখতে পারে না, একটাই কথা ওদের বেতন কেন এতো টাকা বাড়বে। বাড়ল কি না বাড়ল দেখার দরকার নেই, আগে থেকে প্রচার করা হলো। সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি কর্মী এখন শিক্ষকেরাও আর তাদের হাতের কাছে পায়। শিক্ষক দের এই যে কাগজে আট দশ বারো হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। শিক্ষক রা বাস্তবে জানে এক টাকাও বাড়ে নি, যদি বা গ্রেড পে বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে তাতে করে জুনিয়র দের বেতন সিনিয়র শিক্ষক দের থেকে বেশি হবে। তাদের অর্থাৎ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বেশি ঘুষ দিয়ে চাকরি করছে ওদের বেতন বৃদ্ধি দরকার না হলে ঘুষের টাকা ফেরত হবে কী করে? খবরের শিরোনামে কী আছে, পূজার আগেই সরকারি কর্মীদের জন্য বড়ো ঘোষণা করা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে করম পরবের ছুটি কারা পাবেন, যারা আদিবাসী কর্মী তারা। ভীষণ ভালো লাগলো খবর টি পড়ে সাংবাদিক ভাই চালিয়ে যান আপনার হবে। আবার হয় তো এমন খবর আছে যা এই অন লাইন নিউজে লিখতে পারে নি, কারণ বর্তমান সরকার মিথ্যে বাদি দের সরকার। মিথ্যে কথা বলে মানুষ কে মানুষের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেওয়া এদের কাজ, যা একটা সরকার বা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীদের থেকে কাম্য নয়। এই শাসক দলের নেত্রী মন্ত্রী সকলে ভাবছেন আমি তৃণমূলের মন্ত্রী বা সরকার টা তৃণমূলের তাই বিরোধী দলের কোন কর্মী কেবল কর্মী কেন যদি জানে যে কোন মানুষ বিরোধী দলের সমর্থক বেশ তার আর কোন কাজ হবে না। আসলে এই শাসক দল ভুলে গেছে যে সরকার টা পশ্চিমবঙ্গের দশ কোটি মানুষের, কেবল তৃণমূলের নয়। আর শেষে বলি খবরের শিরোনাম দেখে অনেকেই অনেক কিছু ভেবে ফেলেন। আগেই ভেবে না নিয়ে পড়ে দেখুন, শিরোনাম দেখে বিচার করা বা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। 

মদের ব্যবসা ভালোই জমেছে।

কৌশিক অমাবস্যায় তারা পীঠে চার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। খুব ভালো লাগলো খবর টি পড়ে, রাজ্যের মূল ব্যবসার যত বাড়বে ততঃ লাভ যুব সমাজ মদ খেয়ে মাতলাম করে আর অন্য দু ম-কারান্তে  নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। লেখা শিখে চাকরির দাবি করবে না। কেবল পূজো করার টাকা আর ক্লাব কে টাকা দিলেই মদ আর স্ফুর্তি করা যাবে। আবার শুনছি পোস্ত চাষ হবে এই রাজ্যে ভাই ড্রাগ তৈরির কারখানা করে ফেলেছে। একে তো চোরের রাজ্য মিথ্যে বলে বাতেলা দিয়ে ভড়ং দেখিয়ে মানুষ কে মেরে ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করে জেতা ভয় পেয়ে ভক্তি এ বেশি দিন থাকে বামফ্রন্ট শেষ দিকে বুঝতে পেরেছিল যে যুব সমাজ কাজ চায় শিক্ষা শেষে একটা সণ্মান জনক পেশা যেটা করে অন্তত তার জীবন টা চলে যাবে। আর সেই কারণেই বড়ো বড়ো শিল্প কারখানা করার চেষ্টা করে ছিল, কিন্তু কিছু ক্ষমতা আর অর্থ লোভী মানুষ সে সব করতে দেয় নি।তার পরিবর্তে ধরিয়েছে মদ হয়েছে মদের দোকান মদের কারখানা আর মেয়েদের করা হয়েছে ভোগের বস্তু। কথায় কথায় ধর্ষণ চুরি খুন এখন এই রাজ্যে কোনো ঘটনা না ওটা স্বাভাবিক ভাবেই হয়। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা বলা মুশকিল, তবে যুব সম্প্রদায়ের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে এতো আনন্দ স্ফুর্তি করার আয়োজন।

Friday, 30 August 2019

এই দেশে কেউ মায়া দেখাবে না, মনে মনে বলবে মরবি খুব ভালো এই নে দড়ি।

তুমি ভাই মর আর বাঁচ এদেশের মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। নেতা মন্ত্রী আমলা, এম পি, এম, এল, এ, এদের কাছে দেশের সম্পদের মূল্য আছে। ইংরেজ রা যেমন বিনা পয়সা বেগার খাটিয়ে আমাদের দেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত নিজের দেশে। একই ভাবে আমাদের দেশের এক দল মানুষ অন্য মানুষ কে শোষণ করতে ব্রিটিশদের পা চেটে নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে এই স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে। বাঙালি হিন্দু জাতি কে ধ্বংস করতে বাংলা ভাগ করেছে, পাঞ্জাবী শিখ সম্প্রদায় কে ধ্বংস করতে পাঞ্জাব ভাগ করে দিয়েছে। এই নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী ব্রিটিশের দালাল নিজের জাত ভাই যাতে ব্যবসা করে খেতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিতে এই ভাবে স্বাধীনতা নিয়ে ছে। এখনও আমাদের দেশ ব্রিটিশ কে কর দেয়, কমনওয়েলতের সদস্য হিসেবে। সুভাষ চন্দ্র বোস কে, দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, ব্রিটিশদের সাথে মিলে তাকে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে ছিল। আর এই ব্রিটিশদের পা চাটার দল এখন ক্ষমতায় তাদের কাছে দেশ ভক্তি মানে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করা, তাদের দেশ ভক্তি হচ্ছে, মন্দির তৈরি করা,গরু কে মাতা হিসেবে পূজো করা আর গোমাংস গোপনে বিদেশে রপ্তানি করা। এদের দেশ ভক্তি হচ্ছে, সরকারি সব কিছু বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া।এদের পূর্ব পুরুষ ব্রিটিশদের পা চেটে নকল জেল খেটে ( যাতে কেউ না গায়ে হাত দিতে পারে তার জন্য ব্রিটিশ কে বলে জেলে যেত।) স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে, গর্ব কত অনশন করে স্বাধীনতা এসেছে, লবন অভিযান করে স্বাধীনতা এসেছে লবন আইন অমান্য কেন করে ছিল যাতে তার জাত ভাই রা বিনা বাধায় লবণ ব্যবসা করতে পারে। অসহযোগ বিদেশি জিনিস বয়কট সব ঐ ব্যবসায়ী দের স্বার্থে। যদি অনশনে দেশ স্বাধীন হতো, তাহলে বর্তমানে বি এস এন এলের অস্থায়ী কর্মীদের সাত মাস বেতন হয় নি তারা অনশন করছে। তাদের দীর্ঘ দিন স্থায়ী করে নি উল্টো হয়েছে, তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার স্থায়ী কর্মীদের অবস্থাও তথৈবচ বি এস এন এল বেসরকারি হবে না। সমগ্র টেলিকম ক্ষেত্রে বেসরকারি করা হয়েছে, বি এস এন এল কে সুযোগ না দিয়ে তাদের জাত ভাই ব্যবসায়ী কে সুযোগ করে দেওয়া একবার ঢুকেছে, সম্পূর্ণ দখলে চলে এলে তার পর এমন দাম বাড়ানো হবে লোকে বুঝতে পারবে। এখনি জিনিসের দাম বিশেষ করে মশলা পাতির দাম এতো বেড়েছ, লোকে কিনতে পারছে না। ডাল তেল চাল প্রতিটি দ্রব্যের দাম বেশি, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে, আর এই রাজ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্মীদের বেতন কম, এখানের অর্থ মন্ত্রী ঐ সব ব্যবসায়ী দের এক সময়ে অর্থ নৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। কীভাবে শ্রমিক শোষণ করতে হবে, মানুষ কে কম বেতনে বেশি খাটিয়ে নিতে হবে, সেটা উনি ভালো জানেন।আসছে পুজো আপনি কলকাতা ছাড়া অন্য বাজার গুলোর দিকে নজর দিলে দেখবেন সত্তরের দশকে আমরা ফিরে গেছি কোনো বিক্রি নেই, খরিদ্দার নেই। গত ছয় সাত বছর আগেও কাপড়ের দোকানে এই সময় লাইন লাগতো। পশ্চিমবঙ্গের সরকারের লক্ষ হচ্ছে, এক বছরের মধ্যে একবার দান করে অর্থ নৈতিক অবস্থা চাঙ্গা করার, আরেক টা আছে বালি খাদান, কয়লা খাদান, আর রং এর ব্যবসা, ভালো ইনকাম আর এম এল এ দের বেতন বৃদ্ধি পঞ্চায়েত সদস্যের বেতন বৃদ্ধি, আমার মতে আরও করা দরকার, যেন পঞ্চায়েত কর্মীদের বেতন থেকে ওদের বেতন বেশি হয়, একদম গ্যরেন্টি দিচ্ছি তাতেও তোলা তোলা বন্ধ হবে না। যে সব শিক্ষা বন্ধু ভাই বন্ধু রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বলছ আমাদের বেতন বাড়ানো হোক না হলে আত্মহত্যা করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য ঠিক তাই কিছু কর্মী কমবে। আত্মহত্যা পথ নয় এসো আমরা অন্য পথের সন্ধান করি আগামী দিনে এই রাজ্যের কোনও কর্মী কে বা চাকরি প্রার্থী কে অনশন করতে না হয়। চাকরির জন্য ঘুষ দিতে না পেরে আত্মহত্যা করতে না
হয়।
এত সবের পরেও এই সরকারের মানবিকতা আছে এরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত আর তার জন্য ক্ষমতা চাই, বেকার ছেলে মেয়ে অনশন করে মরুক। দেশের মানুষ ভিক্ষারী হোক না খেতে পেয়ে মরুক এদের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা অর্থাৎ যে জমিতে জাত ভাই গন সহজে ব্যবসা করতে পারত না। সেটা দখল করার চেষ্টা, আদিবাসী দের উচ্ছেদ করতে বন ভূমি ধ্বংস করে দিতে হবে। কারণ একটাই জাত ভাই ব্যবসা করবে। 

আজব কল ( সৌজন্যে মজার কবি সুকুমার রায়ের 'খুড়োর কল' ।)

আজব কল করেছে অবিরাম খুড়ো
সবাই মিলে হাত তালি দেয়,নাড়ে মুড়ো।
খুড়োর যখন এক বছর, সবে সে হাঁটছে,
সেপাঁচ বছরের দেংগা বলেভীষনঅট্টরবে। আর তো সবাই অন্য কথা বলে, খুড়োর মুখে দেংগা শুনে চমকে গেলে লোকে।
বলে সবাই এ ছেলে টা বাঁচলেপরে তবে,
কাজের জোরে একটা কিছু করবে।
খুড়োআজ কল করেছে,বুদ্ধিনিয়ে পরের
ঘেউ ঘেউ রা গন্ধ পেলেই বলে হুররে।
গন্ধে গন্ধে বছরের পর বছর পার।
তবু তার দেখা মেলা ভার,
কেউ বলে যতই করিস ঘেউ ঘেউ
গন্ধ শুঁকে বছরের পর বছর যাবে।
কেউ পাবে কেউ পাবে না তবু ছুটতে হবে। সামনে ভালো খাদ্য তবু জুটবে না
না খেয়ে ছুটে ছুটে হাঁপাবে।
দেখতে কি ভালো যে লাগবে।
খেলেই মিটে যাবে,থাকবে না গন্ধ।
তখন সকলের সব কথা হবে বন্ধ।
এই বরং ভালো সামনে খাদ্য রেখে দৌড়ানো।


Thursday, 29 August 2019

সরকারি কর্মীদের পেনশন তোলার আগে এম পি, এম এলে দের পেনশন বন্ধ করা দরকার।

একদল রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রী এবং কিছু অশিক্ষিত অর্দ্ধ শিক্ষিত সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার জন্যে সরকারি কর্মীদের পেনশন প্রকল্প যে তাদের কাটা টাকা ফেরত দিচ্ছে। এই ধারণা তৈরি হয় নি, যেমন ভারত কে ধর্মের নামে ভাগ করে ক্ষমতা লোভী আর নিজের জাত ভাইয়ের ব্যবসা বাড়াতে ব্রিটিশ দের পা চেটে সুভাষ চন্দ্র বসু কে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দেশে ঢুকতে না দিয়ে, দেশ স্বাধীন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী হবার লোভে। এসব ইতিহাস যেমন সঠিক ভাবে লেখা হয়নি। সে রকম জন গনের সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। কারণ তারা সব কিছু ঠিকঠাক জেনে ফেলে তাহলে নেতা গিরি বা এম এল এ হওয়া যাবে না। আর একবার এম পি এম এল এ হলে মোটা টাকা কামান যাবে। মানুষ কে গোরু ছাগল ভাবা যাবে, আস পাশে পাহারাদার থাকবে, কারণ জনগণের উপকার করতে নেতা মন্ত্রী এম পি এম এল এ তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে জন গনের কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। সেটা জন গনের জানার অধিকার নেই, মাসিক বেতন বা সাণ্মানিক এর নাম করে বেতন আবার এই ভাতা ঐ ভাতার নাম করে টাকা সব মিলিয়ে লাখ লাখ টাকা মাসে খরচ এই সব জনগণের নেতা মন্ত্রী দের পেছনে। আর যদি জন গনের কোন কাজে লাগে, তাকে যদি পছন্দ না হয় কিম্বা সন্দেহ করে এ আমাকে ভোট দেয় নি ব্যাস তার দফারফা করে ছেড়ে দেবেন। একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ অর্দ্ধ শিক্ষিত অশিক্ষিত এমপি এম এল এ র কাছে যাচ্ছেন এ্যাস্টাটেড করাতে বা প্রত্যায়িত করতে।রাজনীতি এখন বড়ো ব্যবসা কোনো অর্থ বিনিয়োগ না করে মোটা টাকা আয় করা যায়। জনগণের সেবার নামে জনগণের পেছনে আছোলা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। জনগণ খেতে পেল কি না পেল দেখার দরকার নেই, আমার কোটি কোটি টাকা হলেই হবে। আর পাঁচ বছর কোনো ভাবে, এম পি এম এল এ থাকলে, পেনশন আছে আর সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে টাকা সেই কারণেই পেনশন। আর এই এম পি এম এল এ দের বেতন থেকে এক টাকাও কাটা হয় না। আবার এটাও ঠিক ওদের ঐ টাকা পাওয়া নাম পেনশন নয় বিশেষ ভাতা, ব্যবস্থা খুব ভালো আর ঐ অশিক্ষিত অর্দ্ধ শিক্ষিত এম পি এম এলের দল ঠিক করে দেবে উচ্চ শিক্ষিত সরকারি কর্মীদের বেতন পেনশন প্রকল্প থাকবে কি না। সত্যিই আমি এই সুন্দর গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা কে সণ্মান না করে পারছি না। একজন এমপি এম এলে ষাট বছর পরেও মন্ত্রী হতে পারে, তারা ঠিক করেছ সরকারি কর্মীদের কত বছর বয়সে অবসর নেবেন।আমাদের দেশে এই অবস্থার জন্য দায়ী অশিক্ষা একটা জন গোষ্ঠী ধর্মের নামে জিগির তুলে আধুনিক শিক্ষার থেকে দূরে সরে থাকে আর এই অশিক্ষিত মানুষ ধর্মের জিগির তুলে জন সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। এদের কে ভোটের সময় বিভিন্ন ভাবে প্রলুদ্ধ করে অনেক রাজনৈতিক দল এখন ভোটে নির্বাচিত হচ্ছে, আর নির্বাচিত হয়ে জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে কোটি কোটি টাকা চুরি করছে, আর বিদেশে ব্যাঙ্কে জমা দিচ্ছে। জনগণ উচ্ছন্নে যাক আমার টাকা চাই, জনগণ  কুত্তা ওদের এক টুকরো রুটি ছুঁড়ে দিলে ভোট দিয়ে দেবে। বছরে পাঁচ শ টাকা, বা হাজার টাকা, আর দু টাকা কিলো চাল। চাল দেওয়া, ঘর করে দেওয়া থেকেও আমরা ভাগ নেব, না হলে দোবই না। এই সব নেতা মন্ত্রী এম পি এম এল এ দল তো বলবে সরকারি কর্মীদের বেতন পেনশন বন্ধ করে দেব।একজন সরকারী কর্মী সবথেকে কম কুড়ি বছর চাকরি করলে পেনশন পান, আর ঐ মহাপুরুষের দল পাঁচ বছর থাকলেই যথেষ্ট। দারুণ ব্যবস্থা তাই না। 

ভারতের গনতন্ত্র ব্যবস্থা পরিবর্তন দরকার।

ভারতীয় গনতন্ত্র আজ বিপন্ন, কারণ ভারতের গনতান্ত্রিক কাঠামো পরিবর্তন দরকার। ভারতের মতো বহু ভাষা বহু জাতির দেশে কতটা সম্ভব হবে জানি না, কিন্তু চালু করতে দোষ কি, হাজারো আঞ্চলিক ভাষার দল অনেক সময় নির্বাচন এলে কোন টি জাতীয় আর কোন টি আঞ্চলিক দল বোঝা যায় না। আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি দেওয়ার আগে সব কিছু ঠিক দেখে দিতে হবে। অর্থাৎ দলের সংখ্যা কমাতে হবে, জাতীয় দলের সংখ্যাও বেঁধে রাখা উচিত। আর সব থেকে বড় কথা ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা কে স্বচ্ছ করতে, যেমন ভি ভি প্যাট ব্যালট এসেছে, ই ভি এম মেশিন এসেছে, এখন অবশ্য অনেক নেতা নেত্রী অভিযোগ করেন ই ভি এম মেশিনে কার চুপি করে ভোটে জিতে যাচ্ছে, ক্ষমতা থাকা দল, আমার নির্বাচন কমিশনের কাছে একজন ভোটার হিসেবে দাবী আছে, নির্বাচন কে স্বচ্ছ ও অপরের ভোট যাতে আরেক জন না দিতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই ব্যবস্থা হিসেবে আধার কার্ড কে যুক্ত করে, নির্বাচন কে বায় মেট্রিক করতে হবে। অর্থাৎ আঙুলের ছাপ না দিলে ভোট দেওয়া যাবে না। যে বোতাম টিপে ভোট দিতে পারেন সেখানে ঐ বায় মেট্রিক ব্যবস্থা চাই। যদি এটা করা সম্ভব না হয় তবে ভারতের এত দিনের গনতন্ত্র রক্ষা পাবে।আর একটা বিষয় না লিখলে নয়। নেতা বা দলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি যদি পালন না করেন, এবং ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর দল বদল করেন তবে সেই দল এবং যে নেতা মন্ত্রী দল বদল করলেন তার পদ খারিজ হয়ে যাবে। তিনি বা সেই দল আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। 


Wednesday, 28 August 2019

দাও দাও। (সৌজন্যে আমার ছোট্ট বয়সের প্রিয় কবি সুকুমার রায়)

দাও দাও কর কেন এস বস আহারে-
খাওয়াব আজব খাওয়াভোজকয় যাহারে।
যত কিছু খাবার আছে বাঙালির ভাষাতে,
জড় করে আনি সব, থাক সেই আশাতে ।
ভাত ডাল তরকারি ফল মূল শস্য,
রুটি লুচি ভাজা ভুজি টক ঝাল মিষ্টি,
বিখ্যাত সব সেফ এর নব সৃষ্টি,
আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে বিদেশে-
এতো ভালো ভালো তোমারা খেতে পাও,
তবু কর কেন দাও দাও।
খুঁজে পেতে আনি  তোমাদের খাওয়াতে
 ভেবেছ এসবে লাগে না টাকা,
হয়ে যায় সব বিনা পয়সাতে।
তোমরা এত খাও, তবু কেন দাও দাও
বোঝ না খেতে হলে ভাগ করে নিতে হয়,
জান ফরাসিরা ব্যাঙ খায় ফর্সা রয়।
মান্দ্রাজী ঝাল খেলে জ্বলে যায় কণ্ঠ,
চাপানে খায় নাকি ফড়িং এর ঘণ্ট।
যত পাও তত খাও তবুও কেন দাও দাও
এতো খাও ভাগ আমাকে কি দাও?
খেয়ে খেয়ে হচ্ছে দেখ পেট মোটা,
আমি এখন পারব না আর খাওয়াতে,
দাও দাও করে বসছ কেন দাওয়াতে।
কি ভেবেছ, আমার অনেক আছে,
অনেক দিয়ে ছি আর দেব না,
 যেখানে সেখানে বসে পর পাত পেতে।
আমার টাকা নেই, আমি পারব না
আর তোমাদের খাওয়ার যোগাতে।
এই আমার শেষ কথা বলে দিলাম।
এর পরেও যদি কর দাও দাও
এমন দেব রুলের গুঁতো জলকামান ফ্রিতে




তাইরে না তাইরে না না সত্যি কথা বলতে মানা।

তাইরে নাইরে না  সত্যি কথা বলতে মানা।
           সত্যি কথা শুনে বলে,
          "সত্যি কথা বলব না না।"
সবাই পায় ভয়-  ঐ বুঝি কেউ
            সত্যি কথা কয়।
             চোখ পড়ে ঝিমিয়ে
এই বুঝি কেউ সত্য বলে কানে কানে।
সত্যি কথা বললে মরবে ধন প্রানে।
ঘুম নাহি তার চোখে আপনি ব'কে ব'কে
নিজেরে কয় "সত্য যদি বলিস
         মারব কিন্তু তোকে।"
যায় না সত্যবাদীর কাছে,সত্যি
      সত্যি কথার সুড়সুড়ি তে
সত্যি কথা বলে পাছে।
শান্তি নেই মনে- ঘরের কোণে কোণে
  সত্যি কথার বাষ্প উঠেছে ফেঁপে
     কান পেতে তাই শোনে।
পথের ধারে ধারে  আঁধার নামলে
    সকলে সত্য কথা বলে।
একটা মিথ্যে কথা বার বার বলে,
সেটাকেই সত্য বানিয়ে ফেলে,
যে সত্যি কথা বলে, যেতেই হবে জেলে
       সত্যি কথা বলছে যারা,
    পড়ছে যে আজ সকলে মারা।
        তাইরে নাইরে নাইরে না,
          সত্যি কথা বলতে মানা।


Tuesday, 27 August 2019

কিছু অন লাইন সংবাদদাতা আছেন সব বিষয়ে না জেনেই লিখে ফেলেন।

উপরের শিরোনামে যে খবরটি বেড়িয়েছে আমি পড়লাম, অন লাইন কিছু সংবাদদাতা না জেনেই লিখে ফেলেন সেটা পরিষ্কার বুঝতে পারছি। কারণ খবরটি তে লেখা হয়েছে, সনণ্মানীয়া মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমানে ( সাংবাদিক লিখেছেন বর্তমানে।) মি ডে মিল নিয়ে বে ফাঁস মন্তব্য করছেন। আমি যতদূর ঐ দিন সোসাল মিডিয়া ও অন্যান্য কাগজে লেখা পড়ে দেখেছি উনি কোন বেঁফাস মন্তব্য করেন নি। সঠিক এবং বাস্তব কথা বলেছেন, আর উনি কেবল ডাল ভাত খাওয়াবার কথা বলেন নি। উনি বলেছেন, একটা তরকারি ডাল ভাত এবং খাদ্য টি পুষ্টি গুন যেন থাকে তার জন্য সোয়বিন তরকারি করা। আমি শুনেছি, উনি বলেছিলেন প্রাথমিকের  ৪.৪৮ টাকায় একটা ডিম হয় না। আপনি সাংবাদিক আপনি ঐ টাকায় ডিম কিনে রান্না করে খাওয়াতে পারবেন? আমি জানি না আপনি এসব লিখে কি মজা পাচ্ছেন, সরকার এবং শিক্ষক দের পিছনে না লেগে নিজের কাজ করুন। সঠিক তথ্য দিয়ে খবর করুন, ভুল কথা লিখবেন না। আর আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ঐ টাকায় শিক্ষকরা সপ্তাহে একদিন ডিম দেন এবং আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সে টা দিতে বারণ করেন নি। কেন জানি না অনেক আছেন সত্য কথা সহ্য করতে পারেন না। সহ্য করতে শিখুন সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন। 

শিক্ষক কুল কি করিবে ভাবিয়া অস্থির।

শিক্ষক কুলের সমস্যা আর গেল না। এই মি ডে মিল নিয়ে, হুগলি জেলার মেনু দু রকম বুধবার দিন মাংস আছে একদিকে ও অন্য দিকে বৃহস্পতিবার মাংস খাওয়াবার এবার দিন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমান মানে বসে, বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন রকমের মেনু দেখে নির্দেশ দেন, যে মেনু থেকে মাছ ও ডিম বাদ দিয়ে দিতে হবে। সনণ্মানীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অনুযায়ী, রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে খানে বলা হয়েছে পুষ্টি কর খাদ্য দিতে হবে, মি ডে মিলের নজর দারি বাড়াতে হবে। এবার যে হেতু ওখানে মাংস বাদ দিতে বলেন নি, এবং হুগলি জেলা কোন নির্দেশ জারি করেনি,
এই নির্দেশ গুলো পড়ে দেখুন তাহলেই বোঝা যাবে, আছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার অধিকার রাজ্য দফতরের আদেশ নং সহ
আদেশ।
এবার শিক্ষকেরা ভাবিয়া পায় না কুল, সর্বোচ্চ আধিকারিকদের লিখিত আদেশ পালন করিবে, না স্থানীয় অফিসারের মৌখিক আদেশ।
কোন আদেশ পালন করিবে ভাবিয়া পায় না কুল। 

Saturday, 24 August 2019

মিথ্যা বাদী আর ভালো অভিনেতা ছাড়া নেতা মন্ত্রী হওয়া যায় না।

চরম মিথ্যাবাদী আর ভালো অভিনেতা ছাড়া নেতা মন্ত্রী হওয়া যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, মিথ্যে বাদি আর অভিনেতা হচ্ছেন আমাদের নেতা মন্ত্রী। বলবেন এ আবার নতুন কী আমরা সবাই জানি দক্ষিণ ভারতের অভিনেতা অভিনেত্রীরা রাজনীতির সাথে যুক্ত, আর নেতা মন্ত্রী রা মিথ্যে কথা বলে মানুষ কে ঠেকিয়ে ক্ষমতায় আসে এও আমরা জানি। আমি বলছি নেতা মন্ত্রী মানেই সে একাধারে অভিনেতা ও চরম মিথ্যাবাদী। আপনার আমার দারিদ্র্যের সুযোগে তিনি বিভিন্ন সময়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন, কখনও গরিবী হঠাও, কখনও সকল কে কাজের প্রতিশ্রুতি কখনো টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ঘটে। গরীব মানুষের কাছে অনেক কষ্টে স্থানীয় নেতার দয়ায় সামান্যই জোটে সরকারি সাহায্য বাকি নেতা মন্ত্রী পকেটে, দিনে দিনে নেতা মন্ত্রী দের সম্পদ বাড়তে থাকে আর গরীব আরও গরীব হন, কারণ টাকার মূল্য মান কমে। আচ্ছা কয়েক টা উদাহরণ দেওয়া যাক, ঘোটালা দূর্নীতি দেশের সম্পদ ঘুষ খেয়ে কম দামে বিক্রি করে দেওয়া, কল কারখানা বন্ধ করে দেওয়া। আবার সরাসরি জনগণের টাকা আত্মসাৎ করা যেটা এরাজ্যে ঘটেছে। এই এখন দু টাকা কিলো চাল, বর্তমান আইন অনুযায়ী প্রতিটি দুস্থ পরিবার ২৫ কেজি চাল পাবে মাসে, আপনি একটু তদন্ত করে দেখুন আপনার এলাকায় গিয়ে কত জন গরীব মানুষ এই সুবিধা পায়, দেখবেন খুব কম সংখ্যক মানুষ এই সুবিধা পায়। কারণ দারিদ্র সীমা নির্নয়ের যে মাপ কাঠি করা আছে, তাতে আপনি যদি নিয়মিত একশ দিনের কাজের টাকা পান আপনি ধনী ব্যক্তি। কারণ বলা আছে, গ্রামের যে মানুষ ৩৬ টাকা প্রতিদিন খরচ করতে পারে সে দারিদ্র্য সীমার উর্ধ্বে। আরো অনেক কিছু আছে আপনাকে বি পি এল না করার কিন্তু ভাবুন যে রেলে স্থায়ী ভাবে চাকরি করে, বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক সে কি করে বি পি এল তালিকা ভুক্ত হয়। আর যে পরের বাড়ি ঝি গিরি করে মাসে পাঁচ শ টাকা আয় করে মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু নেই, সে বাদ। বি পি এল কার্ড ধারী পরিবার দু টাকা কিলো দরে চাল ২৫ কেজি পাবে কিন্তু তাদের পঁচিশ কিলো দেওয়া হয় না। বড় জোর তারা মাসে পাঁচ থেকে দশ কিলো পায়, কিন্তু খাতায় কলমে তারা পঁচিশ কেজি চাল পাচ্ছে, তাহলে ঐ বাকি চাল যাচ্ছে কোথায়? কেন পাঁচ বা দশ কেজি চাল যত দিন চলল তার পর বেশি দামে খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। দু দিক থেকে লাভ ভর্তুকির টাকা পকেটে এলো আবার খোলা বাজারে বিক্রি করে লাভ হলো। বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষষমতায় আসা বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো, এবার আবেদন কারি প্রতিটি চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার ফিস বাবদ একশো থেকে পাঁচশো টাকা নেওয়া হলো কয়েকটি ক্ষেত্রে মনে হয় SC/ST দের ছাড় আছে, কয়েক হাজার পদের জন্য কয়েক লক্ষ আবেদন, যে টাকা আয় হলো তার সব টাকা পরীক্ষা নিতে খরচ হয় না। নিশ্চয়ই এটা আমি আপনি সকলে জানি।গত দু এক বছর আগে এই রাজ্যে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার আবেদন নেওয়া হল, কিন্তু পরীক্ষা হলো না প্রশ্ন বাসের পিছন জানালা দিয়ে বাইরে পড়ে গেল। আঠারো লক্ষ না আঠাশ লক্ষ আবেদন করী ছিল, এবং একশো টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। এবার ঐ লক্ষ আবেদন কারির শেষে দুটো শূন্য বসিয়ে টাকা টা হিসেবে করুন। আবার চাকরি টা কাকে দেওয়া হবে, তাদের থেকে আগেই, ৮/১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়ে গেছে, এবার সব সমেত আয় ভাবুন, কিন্তু ঘুষ নেওয়া কয়েক জন কে মানে যারা দলের নেতা কর্মীদের খুব কাছের তাদের কয়েক জন কে চাকরি দিয়ে বন্ধ হয়ে গেল নিয়োগ। দেখে নেওয়া হলো ঘুষ ও আবেদনের টাকা মিলিয়ে এদের চাকরি দিলে ঐ টাকায় কত দিন বেতন দেওয়া যাবে। আর কত টাকা আত্মসাৎ করা যাবে, আর এই সব কারণেই নেতা মন্ত্রীরা আপনার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছে। অর্থাৎ নাটক হচ্ছে, আরেকটা কথা বর্তমানে বিদ্যালয়ের মি ডে মিল নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন? এই সরকার বা তার নেতা মন্ত্রী কর্মীদের এই জন্যই প্রশাসন কে দিয়ে শিক্ষকের উপর রীতিমত ভিজিটের নাম করে জুলুম হচ্ছে,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দৈনিক ছাত্র পিছু বরাদ্দ ৪ টাকা ৪৮ পয়সা আর উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্যে যতটা সম্ভব ৫ টাকা ২৬ পয়সা বা কয়েক পয়সা বেশি। এবার আসল কথা টাকা দেওয়া হয় মোট ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে ৮৫% জনের, অর্থাৎ ১০০ জন ছাত্র ছাত্রী থাকলে ৮৫ জনের টাকা পায় বিদ্যালয় গুলো, চালও ঠিক একই ভাবে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন নির্দেশ আছে কিনা জানি না, ১৫% ছাত্র ছাত্রী টাকা বাদ দেওয়ার। কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু তার দেওয়া অংশ পুরোটা দেয়। এটা একরকম আরেক রকম আছে, যদি কোন কারণে এ্যাকাউন্টে টাকা থাকে তাহলে আর সেই বিদ্যালয় কে টাকা দেওয়া হবে না। ঐ বাড়তি কম খাওয়ানো বেশি দিন ছুটি ঘোষণা করা এরকম ভাবে কম দিন খাওয়ান হয় স্বভাবতই টাকা এ্যাকাউন্টে থাকে সেটা যে ছেলে মেয়ে দের পরে ভালো খাওয়াতে কাজে লাগবে ওসব হবে না। ঐ যে বাড়তি ছুটি ঘোষণা করে দিয়ে খাওয়ানোর দিন কমিয়ে টাকা রইল তার জন্যে টাকা দেওয়া হবে না। একই ভাবে চাল, তাহলে এই বাড়তি চাল আর টাকা কেন্দ্র কে ফেরত দেবে না না। এবার ভাবুন কেন মি ডে মিল নিয়ে নেতা মন্ত্রী রাজনৈতিক দলের কর্মী সাংসদের এতো উৎসাহ। আরও উদাহরন আছে, বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীদের পোশাক ও আর লিখছি না। এই জন্যই আমি লিখেছি, নেতা মন্ত্রী হতে হলে, চরম মিথ্যাবাদী ও অভিনেতা হতে হবে। যেটা বলব তার সামান্যই
 কিছু করব,নিজের আর নিজের বংশধর দের জন্য কোটি কোটি টাকা করে রেখে যাব। সেই জন্যই বলছি, এই সব নেতা অভিনেতা দের ভালো করে চিনে নিন। নিজের ভোট দেওয়ার সময় ভাবুন। সঠিক ভাবে নেতা মন্ত্রী, নির্বাচন করা আমাদের কর্তব্য। যারা আমাদের দেওয়া কথা বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে, কথায় কথায় টাকা নেই টাকা নেই করবে আর নিজের টাকার বিছানায় শুয়ে থাকবে। কোটি কোটি টাকা বিদেশের ব্যাঙ্কে জমা করবে। আর সাধারণ মানুষ আর সরকারি কর্মীরা কিছু দাবি করলেই, পুলিশ আর গুণ্ডা বাহিনী মিলে লাঠি পেটা করবে। ওর মধ্যে আপনার বাড়িতে বেকার ছেলের কথা ভাবুন, আর ভুলে যাবেন না, ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা। এই সব নেতারা নিজেকে খুব বুদ্ধিমান ভাবে, ভাবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি মানুষ সেগুলো ভুলে যাবে। মনে আছে, কেন্দ্র সরকারের কথা প্রথম ক্ষমতায় আসার জন্যে প্রতিশ্রুতি ছিল প্রত্যেকের এ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেব, এখন পর্যন্ত ১৫ টাকা আসেনি। উল্টে আপনার আমার যাতে পকেট ফাঁকা করা যায় তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কত গুলো ব্যবসায়ী ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে, আর ঐ টাকা আপনার আমার পকেট থেকে ব্যাঙ্ক গুলো বিভিন্ন অছিলায় কেটে নিচ্ছে। অনেকে বলবেন আমাদের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট নেই, তো টাকা ঠিক বলেছেন, কিন্তু আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে সামান্য টাকা খরচ করেন তার একটা অংশ সরকার ট্যাক্স নেয়, আপনার সেই করের টাকা ঘুরিয়ে ব্যাঙ্কে আসে। আমি আপনি যদি পাঁচ হাজার টাকা ঋণ নিতে যাই তাহলে জুতোর শুকতলা খয়ে যাবে, আর এরা নেতা মন্ত্রী দের ঘুষ উপঢৌকন দিয়ে তাদের সুপারিশে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে, বিদেশে পালিয়ে যায় পালাবার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। আরও আছে, আর লিখছি না। মানুষ কে অশিক্ষিত অর্দ্ধ শিক্ষিত করে রেখে এরা ধর্মের নামে রাজনীতি করে, মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দেয়। অল্প শিক্ষিত অর্দ্ধ শিক্ষিত মানুষ ধর্মের নামে মারা মারি করে মরে। আমার জিজ্ঞাসা বলুন, রাম মন্দির হলে বা জগন্নাথ মন্দির হলে কটা বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি পাবে, কিম্বা ৩৭০ বা ৩৫ এ তুলে নিল কি থাকল কোন গরীব মানুষের জীবনে কি উন্নতি হবে। গরীব মানুষ কাশ্মীরে জায়গা কিনে ব্যবসা করতে যাবে। এসব কেবল ধনীদের এবং বড়ো বড়ো শিল্প পতি দের কথা ভেবে করা হয়েছে এবং ধর্মের নামে মানুষের মনে বিভাজন তৈরি করতে। আমি তাই বলেছি নেতা মন্ত্রী হতে হলে চরম মিথ্যাবাদী ও অভিনেতা হতে হবে। ঠিক যেমন এই রাজ্যে ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত হয়েছিল। আবার যখন দেখছেন আমি হেরে যাচ্ছি মানুষ আর আমার সাথে নেই, ঠিক তখনই ঠিক সেই সেই জায়গায় গিয়ে অভিনয় শুরু হয়েছে। আবার যদি মানুষ অভিনয়ে ভোলে তাহলে এরপর আরও বড়ো সারদা, নারদা, রোজভ্যালীর, এম পি এস, আই কোর, ছবি বিক্রি, টাকা ফেরত দেওয়ার নাটক মঞ্চস্থ হবে। তবে আমার মনে হয় আমাদের রাজ্যে আরেকটা নাটক আমরা দেখতে পাব, যখন দেখব বি জে পি হয় তো ক্ষমতায় এলো মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি তার বড়ো বড়ো ভাই বোন দের ঐ দলে পাঠিয়ে দিয়েছেন, বা বি জে পি ভেঙ্গে নতুন তৃণমূল তৈরি করা হবে।






শিক্ষক দের হেনস্থা করার এই নতুন কৌশল বন্ধ হোক, শিক্ষক দের পড়াতে দেওয়া হোক।

এর আগেও আমি লিখেছি, শিক্ষকরা কেবল পড়াবে যেটা তাদের কাজ। তারা বাজার সরকার নয়, তারা এ্যাকাউন্টে ডিগ্রি অর্জন করেনি। তারা ব্যবসা করতে যায় নি। তাই আমার এই লেখার মাধ্যমে দাবি শিক্ষকরা কেবল পড়াবে, তাদের সর্ব শিক্ষার টাকা খরচ করে তার হিসেব ক্যাশ বুকে লিখতে হবে, আবার যদি ভি ই সি এ্যাকাউন্টে সভাপতি হচ্ছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি তার পছন্দের শিক্ষক না হলে তিনি চেকে স্বাক্ষর করতে চাইবে না। আর ওদিকে প্রশাসন ইউ সি দিন দিন করে, শিক্ষকের দফারফা করে ছেড়ে দেবেন। বাম আমলে যখন এই সর্ব শিক্ষা আসে তখন বলেছিলাম একদিন এই সর্ব শিক্ষা সর্ব শিক্ষা থাকবে না। এর মাধ্যমে শিক্ষকের সম্মান হানী করা হবে, হচ্ছেও তাই। সম্পূর্ন রাজনীতি করে এই সর্ব শিক্ষা কে ভেস্তে দেওয়া, যে সব বিদ্যালয়ের ঘর দরকার সে খানে আবেদন করেও কোন টাকা নেই, অথচ আবেদন করতে যে টুকু টাকা খরচ হলো সেই টাকা প্রধান শিক্ষক তার বেতন থেকে দিলেন। আবার যদিও আবেদনের পর আবেদন করে টাকা জোটে, তাহলে এমন টাকা দেওয়া হবে, যাতে ঘরের চারটি দেওলা গাঁথা যাবে না। অথচ শাসক দলের হলে সেখানে টাকা ঠিক আছে, আবেদন করুন আর নাই করুন। এর উপর আছে জুতো দেওয়া, পোশাক সে তো অদ্ভুত সুন্দর একটা ব্যবস্থা, টাকা ভি ই সি এ্যাকাউন্টে, পোশাক কোন কোন পঞ্চায়েতে কোন কোন গোষ্ঠী দেবে তার তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এবার অভিভাবক ভি ই সি ও অন্যান্য শিক্ষকের পছন্দ না হলে ব্যস আর ছাত্র ছাত্রীদের আর পোশাক জুটল না। আর গোষ্ঠী বা দল চেষ্টা করছে, অর্ধেক দামে পোশাক দিয়ে লাভ করে নিতে। শিক্ষক দের সাথে একমত না হলেও দেওয়া হবে না। এবার ইউ সি নিয়ে  দিতে হবে, সময় মতো, আর ওদের থেকে পোশাক নিতে হবে বাধ্যতামূলক। আবার কোথাও কোথাও এটা বাধ্যতামূলক নয়, বরং ছাত্র ছাত্রীদের ইচ্ছে মতো পোশাক করে নিতে পারে এরকম আদেশও আছে। এর উপর আছে মি ডে মিল, ঐ যে চুঁচুড়া উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা, সাংসদ কে ডেকে এনে দেখানো হয়েছে, ব্যাস আর যায় কোথায়, এবার শিক্ষক দের জব্দ করার একটা রাস্তা পাওয়া গেছে। রাতারাতি মেনু চাট চলে এসেছে, বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে ভিজিট হচ্ছে, এদিকে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে বি ডি ও গিয়ে শুনছি ভাত রান্নার গ্যাস ভাতের হাঁড়ির ঢাকনা খুলে দেখছেন। অবস্থা ভাবুন এই যারা ডি এম আর বি ডি ও এরা নিজেদের কী ভাবে কি জানি, ক্যাশ বুক হয় নি কেন? যদিও থাকে ঠিক মতো হয় নি কেন? আবার ঐ আছে চাল রইল টাকা কেন খরচ হলো?  জিনিসপত্র দাম বেশি, কিম্বা এ্যাকাউন্টে টাকা আছে বলা যাবে না। শিক্ষক কে যত ভাবে পারা যায় হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এর দু টো উদ্দেশ্য, শিক্ষকরা যত বেশি হেনস্থা হবে তারা তত বেশি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবে। আরেকটা হতে পারে আমি অফিসার, অর্থাৎ অফিসারি দেখানো, ওই বি ডি ও জানে তার অফিসে এ্যাকাউন্ট সারার আলাদা লোক আছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব জুতো সেলাই থেকে চণ্ডি পাঠ সব করতে হয়। একটা মানুষের পক্ষে সব কিছু জানা সম্ভব নয়। আবার এটাও হতে পারে ওদের বলা হয়েছে, শিক্ষক দের হেনস্থা করতে। এই কারণেই, এবং বর্তমানে হুগলি জেলার প্রেরিত মেনু চার্ট অনুযায়ী, ৪.৪৮ টাকায় মাংস ভাত, যেখানে ২০০ জনের উপর খায় সেখানে মাংস লাগবে যদি ১০০ গ্রাম করে হয় লাগে ২০ কেজি ১৫০ টাকা কেজি দরে খরচ হবে ৩০০০ টাকা। বাকি জিনিস পত্রের দাম নিয়ে যা খরচ হবে, একদিনের পাওনা টাকার থেকে বেশি, মাসে চার দিন খাওয়ালেও মাংস কিনতে খরচ হবে, ১২০০০ টাকা অন্যান্য খরচ মিলে যে টাকা খরচ হবে। ঐ মাসে অত টাকা আসে নি। এই অতিরিক্ত খরচ কে বহন করবে? তাহলেই টাকা খরচ হবে চাল থেকে যাবে, সেখানেও মুশকিল। এই জন্যই আমার দাবি মি ডে মিল ও সর্ব শিক্ষা বা ভি ই সি, দল সঙ্ঘ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি যাদের হোক দায়িত্ব দেওয়া হোক টাকাও তাদের এ্যাকাউন্টে দেওয়া হোক। অনেক জায়গায় তো বালি খাদান নেই, ফাণ্ড আসবে কোথা থেকে? এই জন্যই বলছি শিক্ষক দের আসল কাজ পড়ানো সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ভিজিটের নামে শিক্ষক হেনস্থা বন্ধ হোক। বাম আমলে এই অবস্থা তৈরি করা হয়নি। ২০১১ সালের পর থেকে নানা ভাবে শিক্ষক দের উপর নেমে আসছে আক্রমণ, এসব বন্ধ হোক। আসুন সকলে মিলে এই অমানবিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি, "হোক প্রতিবাদ"। 

Friday, 23 August 2019

চুপ বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও চলছে।

গোটা ভারত বর্ষের এই এক ছবি, কারণ একটাই বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি চলছে।এই প্রকল্পের আওতায় যত জন মেয়ে আসবে তার বেশিরভাগ এই পরিনতি হবে। আর এক্ষেত্রে অভিযুক্ত প্রভাব শালী শাসক দলের বিধায়ক, তবও কেস দিল্লি নিয়ে গিয়ে চালু করা হয়েছে। অন্য রাজ্যে অবস্থা আরও খারাপ কেস নিতেই চায় না। কোন কোন রাজ্যে আট থেকে আশি কোন মহিলা সুরক্ষিত নয়। হিন্দি বলয়ে প্রকৃত শিক্ষা নেই, বাহু বলি মাফিয়া বেশি, বিহার একটু কমেছে নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হবার পর। কারণ সেখানে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ভারতীয় আইন কেবল দূর্বল আর গরীব মানুষের উপর প্রয়োগ করা যায়। বাহুবলী বা ধনী ব্যক্তি আইনের উর্ধ্বে, ব্রিটিশ ভারতে ঠিক এই জিনিস ছিল, যত আইন জেল বিচার সব কালা আদমী দের জন্য। সাদা চামড়ার বা গোরা সাহেব সব কিছুতেই ছাড় পেতেন। সরকারি ট্যাক্স না দিয়ে কোটি কোটি টাকা অন্য দেশের এ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে, কোন শাস্তি নেই। অথচ সাধারণ চাকরি জীবি তার বেতন থেকে ট্যাক্স কেটে নেওয়া হচ্ছে। বড় ব্যবসায়ী ঋণ নিয়ে শোধ না করে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে গেছে, আর সাধারণ মানুষ বা গরীব কৃষক ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারলে আত্ম হত্যা করেছে। আর ধর্ষণ কেসে গরীব ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়। আর বাহু বলী মাফিয়া ধনী ব্যক্তি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভোটে নির্বাচিত হন। আমাদের এমপি এম এল এ হন। আইন তৈরিতে অংশ নেন। আর মানুষ ভয় পেয়ে এদের ভোট দিয়ে দেয়। 

খাদ্যের তালিকা দিয়েছি ঐ তালিকা মতো খাওয়াবি।

যেমন সরকার তেমন তার চিন্তা ভাবনা, শিক্ষকরা করবে না মানে মেরে করানো হবে ।প্রশাসন আছে না, ১০০০ টাকায় বেঞ্চ, তিন টাকায় ১০/১০ ফুট রং সব করিয়েছে এই প্রশাসন। আর ৪.৪৮ টাকায় মাছ ভাত /দু দিন ডিম ভাত /একদিন পোস্ত সব কিছু হবে। না হলেও হওয়া তে হবে, মাস্টার দের বেতন দিই না। আর সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়া হয় না। তারা বেসরকারি টাকা পায় সব থেকে বড় কথা কাগজে কলমে বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে। খাওয়াবি না মানে, খাওয়া তেই হবে না হলে শাস্তি পেতে হবে। ১০০ জনে ৮৫ জনের টাকা ৮৫x৪.৪৮ =৪১১ টাকা এবার পোস্ত হবে ৮৫ জন কে পাতে পোস্ত দিতে সব থেকে কম ২৫০ গ্রাম পোস্ত দাম ৩৯০ টাকা। ক'টাকা থাকে ৪১১-৩৯০=২১ টাকা যদি আলু পোস্ত করা হয়। আলু কম করে দশ কেজি দাম ১৮০ টাকা বাকি জ্বালানি, মশলা তেল নুন ডাল। আপনি আর আপনার সর্ব জ্ঞানী ঐ অফিসারের দল এসে চিৎকার করে বোঝাবে ধমকে বলবে চাল আছে টাকা খরচ হয় কি করে? আমি জানি ঐ শান্তি দের বোঝানো যাবে না। কারণ তারাই তো এই মেনু তৈরি করেছে। জি এম রা সর্ব জ্ঞানী ওটাই ওদের বক্তব্য চাল রয়েছে অথচ টাকা নেই। ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি বোম ভোলে গাঁজা দে দম আরও বেশি হোক শিক্ষকের উপর চাপ। বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে তাদের টাকা নিয়ে কোথায় রাখবে, আমি বড়ো অফিসের বড়ো বড়ো বাবু এবার শিক্ষকেরা না শুনলে কথা করব তাদের কাবু। এ আবার ৬ টাকা ৭১পয়সা পেয়েছে। ছবি টি দিলাম অন্য কারনেই,
সবাই পড়বেন। শিক্ষকরা পিঠে কুলো কানে তুল দিয়ে স্কুলে যাবেন। শিক্ষক দের মেরু দণ্ড নেই, এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। 

সত্যি আমরা সভ্য হয়েছি!

(ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া)
ছবি টি ওড়িশার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র দের। যেখানে জুনিয়র ছাত্র দের কে সিনিয়র ছাত্রের দল ragging করছে, থ্রি ইডিটিয়ে সিনেমায় দেখানো কায়দায় "দফা কবুল কর জাঁহাপনা"। এসব দেখে শুনে আমার মনে হয় আমরা এখনও অসভ্য রয়ে গিয়েছি। সভ্যতা কাকে বলে, ছাত্র ছাত্রীদের সে শিক্ষা হয় নি। কথায় আছে শিক্ষা শুরু হয় বাড়ি থেকে, বাড়ির লোকজন আত্মীয় স্বজনের কাছে শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সামাজিক শিক্ষা লাভ করে ছাত্র ছাত্রী, তাদের ভাষা বংশ পরিচয় ফুটে ওঠে ঐ পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে। ওড়িশার এই ছাত্রের দল যারা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে গেছে, তাদের পারিবারিক শিক্ষা কি বলে অপর কে শারীরিক মানসিক ভাবে চূড়ান্ত নির্যাতন করা। ছোট ছোট ragging সারা দেশে সমস্ত কলেজে ছাত্র ছাত্রীদের সিনিয়র ছাত্র ছাত্রীরা করে থাকে। অনেক সময় অনেক ছাত্র ছাত্রী সহ্য করতে না পেরে পড়াশোনা ছেড়ে চলে আসে, বা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। এসব উদাহরন অনেক আছে, যে সব ছেলে মেয়ে এসব করে আমার মনে হয় না তারা উচ্চ বংশের তাদের পরিবারের সেই শিক্ষা দেওয়া হয় নি যে অপর মানুষ কে সণ্মান করতে হয়। আমরা প্রত্যেকে মানুষ এসব এখন সোসাল মিডিয়ার দৌলতে গোটা দেশে গোটা বিশ্বের মানুষ দেখে, তাহলে দেশে ও বিশ্বে মানুষের কাছে, ভারতীয় হিসেবে কি পরিচয় দিচ্ছি আমরা বাঙালি জাতি তো গত ২০০৯ নয় সাল থেকে উচ্ছন্নে চলে গেছে, কারখানা তাড়িয়ে কাজ হারিয়ে অন্য রাজ্য থেকে ফিরে আসে, বিশেষ করে সিঙ্গুরের বাসিন্দা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্র ছাত্রীদের অন্য কোন রাজ্যে কাজ করতে দেওয়া হয় না। কারণ ব্রিটিশ আমলে যারা ঘুষ খেয়ে বিপ্লবী দের ধরিয়ে দিত তাদের বংশধর রা আজ ক্ষমতায়।সারদা নারদা রোজভ্যালীর টাকা এম পি এস গ্রীনারি ইত্যাদির চিটফাণ্ডের টাকা খেয়ে তোলা তুলে মন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় জেল যায়। মন্ত্রী সাংসদ সবাই জেলে যাচ্ছে, আর মিথ্যে কথার শেষ নেই, বাঙালি আজ ভিক্ষারী কখন দু টাকা কিলো চাল দেবে সরকার পাঁচ শো টাকা বছরের শেষে দেবে সেই আশায় বসে থাকে। আমি অন্তত ভাবতাম অন্য রাজ্যে কলেজে কলেজে ছাত্র ragging হয় না।আজ এসব দেখে মনে হচ্ছে ব্রিটিশ বা ইংরেজ জাতি আমাদের ব্লাডি ইন্ডিয়ান, সন অফ বীচ, অসভ্য কালা আদমী বলে গালাগাল করত। সত্যিই আমরা সভ্য হতে পারিনি। আমরা সারা বিশ্বে আজও অসভ্য জাতি হিসেবে রয়ে গেলাম। কারণ আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের কি শিক্ষা দিচ্ছি, অপর মানুষ কে ছোট করার জন্য অপমান করার জন্য শিক্ষা দিচ্ছি। 

মি ডে মিল উত্তর প্রদেশের অবস্থা কেমন দেখুন সেই সরকারের কোন ব্যবস্থা নেই।

উত্তর প্রদেশের সরকার জানে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তাতে ঐ নুন রুটি জোটে সেখানে কোন সাংসদ ভিজিট করতে যায় না। কেউ কিছু বলে না, ফ্যানে ভাত নুন তবু খাওয়া যায় কিন্তু নুন রুটি, ভাবছেন এটা এই রাজ্যে হলে শিক্ষকের ফাঁসি হয়ে যেত। সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রশাসন অফিসার, পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি সকলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। রাজনৈতিক দল লোক জন সকলে চলে আসত, ভাবত না ৪ টাকা ৩৫ পয়সা দিয়ে বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ভালো জিনিস খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের বা এই রাজ্যের ঐ প্রশাসনের কর্তারা এবং রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা মনে করেন ঐ টাকায় সব মাছ মাংস খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। আবার দৈনিক পাওয়া টাকার মধ্যে খরচ করতে হবে, আবার ভালো খাওয়াতে হবে। রাজ্যের আসানসোলের একটি স্কুলের খবর।

Thursday, 22 August 2019

আজ শুভ জণ্ম অষ্টমী।

আজ শুভ জণ্ম অষ্টমী, কথিত আছে আজকের দিনে কংসের কারাগারে দৈবকির গর্ভে বাসুদেব পুত্র শ্রী কৃষ্ণ জণ্ম গ্রহণ করে ছিলেন। জণ্মের পরেই নাকি দৈব বাণী শুনে বাসুদেব কৃষ্ণ কে নিয়ে নন্দ ঘোষের বাড়িতে রেখে আসেন এবং সেখান থেকে মেয়ে রূপী যোগমায়া কে নিয়ে আসেন।তিনি ফিরে এসে মেয়ে রূপী যোগমায়া কে দৈবকির কাছে দিলেন, তখন সকলের ঘুম ভাঙল ।দেবতাদের কারসাজি তে নাকি এসব ঘটনা ঘটে গেল, প্রহরী রা ঘুমিয়ে পড়ল, এবং বন্ধ কারাগারের দরজা বাসুদেবের হাতের পায়ের শিকল খুলে গেল। তিনি তুমুল বর্ষার রাতে ভরা যমুনা নদী পার হয়ে কৃষ্ণ কে নন্দ ঘোষের বাড়িতে রেখে এলেন ।তারপর কংসের ঘুম ভেঙ্গে গেল, প্রহরী রা খবর দিল দৈবকির সন্তান জন্ম দেবার কথা। কংস দৌড়ে এলেন কারণ তিনি বোনের বিবাহের পর তাকে ও বাসুদেব কে নিয়ে বাসুদেবের বাড়িতে যাচ্ছিলেন, এমন সময় দৈব বাণী হয়ে ছিল। দৈবকির গর্ভের অষ্টম সন্তান তাকে বধ করবে। তিনি রাস্তা থেকে দৈবকি ও বসুদেব কে ফিরিয়ে এনে কারাগারে বন্দি করে রাখেন। একে একে সপ্তম সন্তান কে তিনি কারাগারে পাথরে আছড়ে মেরে ফেলেন। আর এই সেই অষ্টম সন্তান যে তাকে বধ করবে। তিনি ছুটে আসেন কারাগারে দৈবকির কোল থেকে কেড়ে নেন তার সন্তান কে, দৈবকি বাধা দেন বলেন, দাদা এতো মেয়ে এ তোমার কি করবে? তুমি একে ছেড়ে দাও, কংস কোন কথা শোনেন না। কারণ ঐ ছিল অষ্টম সন্তান, তাকে মারতে পাথরের উপর নিক্ষেপ করেন, তখন মায়া নিজের রূপ ধারণ করেন এবং দৈব বাণী হয় "তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।" যোগমায়া সেখান থেকে চলে যান। ভাবা যায় পাঁচ হাজার বছর আগে বেতার বাণী বা আকাশ বাণী বা দৈব বাণী যাই হোক তখন শোনা যেত। এই জন্যই মহাভারত একটি মহাকাব্য এবং ভারতের একটি অমূল্য ধর্ম গ্রন্থ। আজ আরেক জন, মহাপুরুষ বলুন আর সাধক বলুন তার জণ্ম দিন। যিনি বলে ছিলেন" রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানে বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিবে আমি উদ্ধার করিব।" যতদূর জানি ইনি এই বাংলার চাকলা নামক স্থানে জণ্ম গ্রহণ করে ছিলেন। কেউ কেউ কচুয়া বলে মনে করেন। 


এই দুই মহান মানুষের জণ্ম দিনে আমার ব্লগের সকল পাঠক কে শুভেচ্ছা জানাই। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।আমি জানি যতদূর জানি ভারতের তথা বাংলার অধিকাংশ মানুষ দেব দেবীর পুজো করেন শ্রদ্ধা করেন। সেই কারণেই বাবার মাথায় জল ঢালতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজও জমায়েত হন তারকেশ্বরের মন্দিরে। আমার অনুরোধ আমার ব্লগ পড়ুন আর কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ভালো মন্দ যেমন পারবেন মন্তব্য করবেন। আমি তথা কথিত নাম করা লেখক নই, তবুও যারা আমার ব্লগ পড়েছেন তাদের সকলের কাছে আমার এই অনুরোধ রইলো। আজকের শুভ দিনে সকলের মঙ্গল হোক, ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন। 

রাজ্যে শিক্ষক দের উপর নেমে আসছে আক্রমণ।

আজ এটা প্রমাণিত সত্য রাজ্য সরকার যে ভাবে হোক শিক্ষক দের আন্দোলন বন্ধ করতে চাইছেন। গত দু' চার দিন আগে হুগলি জেলার চুঁচুড়া শহরের একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মি ডে মিলে নুন ভাত খাওয়ান হচ্ছিল, কিছু মানুষ স্থানীয় সাংসদ কে ডেকে এনে বিষয় টি সবার সামনে আনেন, তথাকথিত মিডিয়া হাজির হয়। তারা দেখাতে থাকেন নুন ভাতের ছবি, আসল ঘটনা কি কেন সেটা উহ্য হয়ে যায়। একটু আধটু যা বলা হয়েছে, ঐ বিদ্যালয়ের টি আই সি নিয়োগ নিয়ে গণ্ডগোল বা দীর্ঘ দিন ওখানে টি আই সি নেই, মি ডে মিল এ্যাকাউন্টের টাকা তুলতে পারছে না। আর তাই মি ডে মিল বন্ধ না করে নুন ভাত খাওয়ানো হচ্ছিল। আর এই ঘটনা কে সামনে রেখে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পরেছে, স্কুলে স্কুলে ঘুরে ঘুরে শিক্ষক দের হেনস্থা করার জন্য।আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কথায় এই ভিজিট প্রকল্পে কে নেই, পারলে পঞ্চায়েতের ঝাড়ুদার চলে আসেন। দারুণ উদ্যোগ খুব ভালো ভিজিট হোক, কিন্তু প্রশ্ন ১০০ জনে ৮৫ জনের টাকা এবং চাল আসে যদি ৮৫ জন খায় তবে ৮কেজি ৫০০গ্রাম চাল রান্না করতে হবে, এবং ৮৫জনের টাকা খরচ করতে হবে। যদি কম বেশি হয়েছে, শিক্ষকের অপমান আর তাকে চোর প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লাগছে এই সব প্রশাসনের কর্তারা। জিনিসের দাম বেশি ওসব কথা বলে লাভ নেই, ডিম পাঁচ টাকা কিনে রান্না করে দিতে যে খরচ ওসব শুনবেন না। শুনবেন কেন চাল যদি স্টকে থাকে তবে সোনায় সোহাগা সেই শিক্ষকের অবস্থা শোচনীয়। চাল আছে তো খাওয়ালেন কি? অনেক সময় ৭ কেজি চালেও আশি জন খেতে পারে। ওসব হবে না, শুনবেন না কোন কথা টাকা কেন বেশি খরচ করে দিয়েছেন বলুন। এক ধরনের মানসিক অত্যাচার করছে এই প্রশাসন, ২০১১ সালের আগে এই অত্যাচার ছিল না। ২০১১তে ক্ষমতায় এসে এই সরকার সেই যে মানসিক ও শারীরিক এবং ভাতে মারার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এটা আর বন্ধ হচ্ছে না। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে সিঙ্গুর ব্লকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন মাসের মি ডে মিলের টাকা দেয়নি, এই সরকার সেই টাকা শিক্ষকরা তাদের বেতন থেকে শোধ করতে বাধ্য হন। যেমন আজ অন লাইন খবরে পড়লাম দিনাজপুর জেলার একটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ছাত্র ছাত্রীদের মি ডে মিলের ভালো খাওয়ার ব্যবস্থা করে শিক্ষক দের বেতন থেকে কারণ যে টাকা পায় তাতে সরকার নির্ধারিত মেনু চালানো যায় না। বর্তমানে শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধি জন্য আন্দোলন করছে, কিছু সংগঠন কেবল বেতন বৃদ্ধি নিয়ে নয় বর্তমানে এই ভাবে শিক্ষক নির্যাতন মি ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি সিলেবাস বদল সব ছাত্র ছাত্রীদের পোষাক আরও নানা দাবিতে আন্দোলন বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এই আন্দোলন বন্ধ করতে না পেরে এই ভাবে শিক্ষকের উপর প্রশাসন কে দিয়ে জব্দ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যে ভাবে এসব নিয়ে কথা বলছেন ঐ সব কর্তারা তাতে মনে হচ্ছে, পারলে ধরে বিদ্যালয়ের মধ্যে ফাঁসি দিতে পারলে বাঁচে। এর সাথে আছে তথাকথিত কিছু নতুন শিক্ষক যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে, না আসে সময়ে তাড়াতাড়ি যেতে পারলে বাঁচে না পড়াতে হলে বাঁচে। এদের দাবি ২০ থেকে ৩০ জনের বেশি পড়াব না। প্রধান শিক্ষক বেশি ছাত্র ভর্তি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি। কারণ এরা শাসক দলের সমর্থক এদের কিছু বলা যাবে না। প্রতিদিন শ্রেণী তে ছাত্র যাতে কম আসে, তার জন্য পড়া বা পাঠ্য বই তাড়াতাড়ি শেষ করে দেওয়া। আর তার উপর সরকার লক্ষ্য মি ডে মিল পড়াশোনা উচ্ছন্নে যাক। আগে খাওয়ানো হলো কিনা দেখতে হবে, আমার একটা প্রশ্ন পূজোর ছুটি ও গরমের ছুটি এবং অন্য ছুটিতে ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে খেতে পায় না! মানছি কিছু ক্ষেত্রে এটা হয় অনেক বাচ্ছা বাড়িতে ঠিক করে খেতে পায় না। আমার একটা প্রস্তাব আছে পোশাক দেওয়ার দায়িত্ব যেমন দল কে দিয়েছেন। সেই রকম মি ডে মিলের টাকা সহ দায়িত্ব ঐ দল কে দেওয়া হোক। টাকাও ওদের এ্যাকাউন্টে দেওয়া হোক, শিক্ষক দের পড়াতে দেওয়া হোক, পোশাকের টাকা ফেরত নিয়ে যত শীঘ্র সম্ভব ওদের এ্যাকাউন্টে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক, শিক্ষক দের রাজনীতির হাত থেকে রেহাই দেওয়া হোক। কোন রকম টাকা পয়সা শিক্ষকের খরচ করার দায়িত্ব বন্ধ করে দেওয়া হোক। আগে যেমন ছাত্র ছাত্রীদের চাঁদা নিয়ে পরীক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছু হতো কোনো ঝামেলা ছিল না। সেই ২০০০ সালের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক, কারণ যে দিন থেকে এই সর্ব শিক্ষা নামক বস্তু টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপর খবরদারি করতে শুরু করেছে, তখন থেকেই রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে গ্রাস করে বসেছে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ভি ই সি সভাপতি কথায় কথায় তিনি হুমকি দেন, চেকে স্বাক্ষর করব না। এসব বন্ধ হোক সর্ব শিক্ষার থেকে মুক্তি দেওয়া হোক শিক্ষা কে। 

Tuesday, 20 August 2019

বেতন বৃদ্ধি জন্য অনশন কেন হচ্ছে, এর জন্য দায়ী কে?

বেতন বৃদ্ধির জন্য অনশন শুরু করেছেন, বিভিন্ন ভাবে কর্ম রত কর্মীরা। কেন এই রাজ্যে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, একবার ভেবে দেখুন, আমি যদি বলি এর জন্য আপনি ও আপনার প্রশাসনের কর্তারা দায়ি মেনে নেবেন। আমি জানি আপনি এই সব লেখা পড়েন না। আবার আপনার কোনো দলীয় কর্মী যদি দেখে সে যদি আপনা কে শোনায় তখন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন, এই ভয়ে অনেকে সত্য কথা বলতে ভয় পায়। কে আপনার ভাই আর ভাইপো দের হাতে মার খেতে চায় বলুন।  ভয়ে ভক্তি বেশি দিন থাকে না, যে টা ভারত সম্রাট অশোক বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি বৌদ্ধ ধর্মের মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে সারা বিশ্বে বন্দিত হয়ে আছেন। আপনি একটু তে রেগে গিয়ে মানুষ কে বা কর্মীদের যা খুশি তাই বলে দেন। কাকে বলছেন, চাবকাব, কাকে বলছেন থাপ্পড় মারতে হয়। আমি জানি না আপনি ভুলে গেছেন কিনা আপনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি। আমি একটু মনে করিয়ে দিলে আপত্তি করবেন না, নিশ্চয়ই। আপনি ২০১১ সালের আগে বলেছেন পার্শ্ব শিক্ষক মানে পি টি কে আপনি তিন বছরের মধ্যে এ টি করে দেবেন। ওরা অর্থাৎ পার্শ্ব শিক্ষকরা সেই সময় বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে স্থায়ী করণের দাবি তে আন্দোলন শুরু করে ছিল। আপনি তাদের সমর্থন করে বলেছিলেন, আপনি ক্ষমতায় এলে তিন বছরের মধ্যে সব স্থায়ী করে দেবন। আপনি ঐ কথা বলার পর বাম সরকার ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে পি টি নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটি জিও তৈরি করে এবং ওদের ষাট বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি ও অবসরের পর এক কালীন এক লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সকল পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ী যোগ দান পত্র দিতে পারে না। তার আগে প্রতি বছর ওদের রিউনুর ব্যবস্থা ছিল। আপনি সরকারি কর্মীদের সংগঠন যখন মহাকরণে ডিএ ও পে কমিশন নিয়ে ২০০৮ সালের  ডিসেম্বর মাসে, আন্দোলন করছিল, মহাকরণে ভাঙাচোরা চলছিলো, আপনি বলেছিলেন। আপনি ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রীয় সরকার যে দিন ডিএ ঘোষণা করবে সে দিন থেকেই আপনি ডিএ দেবেন। পে কমিশন দশ বছর পর কী তার আগেই ব্যবস্থা করে দেবেন, আপনার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন, পে কমিশন শুরু বা চালু হয়েছিল ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে আজ ২০১৯ সালের অগষ্ট মাস। কেন্দ্র পে কমিশন দিয়েছে সেই ২০১৬ সাল থেকে, আর কেন্দ্রীয় ডিএ পূরণ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের আগের বকেয়া ২৯ শতাংশ। বাম সরকারের চলে যাওয়ার সময় বকেয়া ছিল ১৬% তারা ১০% ঘোষণা করার জন্য তৈরি ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে দাবি এর মূলে শিক্ষা আইন ২০০৯ যেটা এই রাজ্যে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয় বা লাগু হয়। সেই কারণেই প্রতিটি শিক্ষক যারা ২০০১ এর পর নিয়োগ পেয়েছে তাদের প্রত্যেকে ঐ আইন অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে না হলে চাকরি করতে পারবে না। এবার সকল শিক্ষকের যোগ্যতা অর্জন করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেয় আপনার সরকার সে যা প্রশিক্ষণ ঘরে বসে দু বছরের প্রশিক্ষণ ছ'মাসে শেষ। প্রশিক্ষণ শেষ উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০% যাদের ছিল না। তারা নতুন করে ৫০% করার জন্য পরীক্ষা দেয়। সকলে ৫০% কেন একশ শতাংশ নম্বর পেয়ে যায় টাকা দিয়ে। এর পর তারা দেখে এই ২০০৯ সালের শিক্ষা আইন অনুযায়ী তাদের PRT স্কেলে বেতন হবার কথা, কিন্তু তারা পাচ্ছে না। শুরু হয়েছে নতুন আন্দোলন উস্থি নামে সংগঠন তৈরি করে। আমাদের রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি শিক্ষক বেশি। বাম সরকার কেন তার আগে থেকেই এই রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা অন্য রাজ্যের থেকে আলাদা। বাম সরকার মাদ্রাসা শিক্ষক দের pb3 বেতন দিয়ে ছিল, গত ২০০৯ সালের বেতন কমিশন থেকে তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের ঐ স্কেলে বেতন বৃদ্ধি করতে পারতেন। আর এই সর্ব শিক্ষা অন্য রাজ্যে কোনো না কোনো NGO মাধ্যমে চলে তাদের আলাদা বিভাগ আছে। কারণ সে সকল রাজ্যে বিদ্যালয় কম তারা SSK. MSK খুলে সেখানে বিদ্যালয় ছুট বাচ্ছা দের পড়ার ব্যবস্থা করে। সেখানে যে সব শিক্ষক আছেন তাদের বেতন অনেক পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা আর পার্শ্ব শিক্ষকের বেতন ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। আমাদের রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্রিটিশ আমল থেকেই সারা রাজ্যে বিস্তারিত, আর সেই জন্যই এখানে সর্ব শিক্ষা অভিযান কোথায় কাজ শুরু করবে না শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে শুরু হয় তাদের বিভিন্ন রকম নিয়োগ করা। বাম আমলে বলা হয়েছে একদিন এই সর্ব শিক্ষা স্কুলের উন্নতির থেকে ক্ষতি করবে, হয়েছে তাই, ৫০০ টাকার প্যারা টিচার বামফ্রন্ট সরকার ২০১০ সালে যখন এই নিয়োগ বন্ধ করে তখন ওদের বেতন বৃদ্ধি হয়। আর তিন বছর অন্তর অন্তর ৫% বেতন বৃদ্ধি হবে এটাও ঐ আদেশে ছিল। এই সর্ব শিক্ষা স্কুল গুলো কে দশ টাকা দেয় দিয়ে কুড়ি টাকার কাজ করিয়ে নেয়, বাকি টাকা দেনা পরে এলে দেওয়া হবে।দৈনিক আবার নানা ফিরিস্তি আছে, আমি যতদূর জানি এটা ইউনিসেফের টাকা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে খরচ করে। আপনার আরও কিছু প্রতিশ্রুতি ছিল মনে করছ না। আপনি ভীষণ রেগে যান। আপনি হাওড়া জেলার সভায় রেগে গিয়ে বললেন আমি ওসব বেতন বৃদ্ধি করতে পারব না। রাজ্যের দেনা শোধ করতে করতে টাকা শেষ তাছাড়া আপনার উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বললেন কন্যাশ্রী /রূপশ্রী /যুবশ্রী/সবুজ সাথী /দু টাকা কিলো চাল আরও
অনেক কিছু আছে সে সব চালাতে হবে। একদম ঠিক কথা কিন্তু দিদি আপনি যাদের সাইকেল দরকার নেই তাঁকেও দিচ্ছেন, কন্যাশ্রী একই ভাবে চলছে, যে সব পূজো কমিটি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পূজো করছে তাদের কার্নিভাল করার জন্য টাকা দিচ্ছেন। ক্লাব গুলো কে টাকা দিচ্ছেন।আর বাম আমলে ঋণের কথা বলছেন, ওতো আমরা কাগজে পড়েছি ১কোটি ৯০ লক্ষ কোটি টাকা যেটা স্বাধীনতার পর থেকে এই রাজ্যের দেনা। আপনি ক্ষমতায় এসে কত টাকা ঋণ করেছেন না একদম কোন টাকা ঋণ করেন নি। এই কথাটা মানুষ জানতে চাইছে, দিদি অনেক আশা করে আপনার ভাল ভাল প্রতিশ্রুতি শুনে মানুষ চৌঁত্রিশ বছরের বামেদের সরিয়ে আপনাকে ক্ষমতায় এনে ছিল। আপনি প্রথমেই মানুষ কে উপহার দিলেন সারদা সহ চিটফাণ্ডের কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। আর সব প্রতিশ্রুতি আপনার মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। শেষ লিখছি আপনি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন না এটা এখন থেকে ভেবে নেবেন, না হলে কষ্ট পাবেন। 

Monday, 19 August 2019

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে কম বেতনের কর্মী।

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে কম বেতনের কর্মী, এরা কেউ কোনো বড়ো লোক বাড়ির ঝি নয়। এরা মি ডে মিলের রান্না কাজ করে, মিড ডে মিলের রাঁধুনি, এমন বেতন অনেক সময় বড়ো লোকের কাজের লোকের থেকেও কম বেতনে কাজ করে চলেছে। অনেকেই আছেন যারা মনে করেন বেতন না দিয়ে বাড়িতে ঝি রাখবেন। নিজের আয় মাসে এক লক্ষ টাকা ঝি কে এক মাসের বা ৩০ দিনের বেতন দেন পাঁচশ টাকা। সেই রকম একটা সরকারের কাজ করা অর্থাৎ মিড ডে মিলের রাঁধুনি বেতন ১৫০০ টাকা বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে দুজন রাঁধুনির বেতন আসে। অর্থাৎ ১৫০০x২=৩০০০টাকা।এবার মাসে ২০ দিন কাজ করে তবে একদিনের একজনের রোজ দাঁড়ায় ১৫০০ কে ২০ দিয়ে ভাগ করলে দাঁড়ায় ৭৫ টাকা এক জন একদিনের কাজের জন্য পায় ৭৫টাকা। এবার যে shg দলের দশ জন কাজ করে, সেখানে ঐ ৩০০০ টাকা দশ জনে ভাগ করে নেয়, অর্থাৎ কুড়ি দিন কাজ করে একজন একদিনের মজুরি পায় ১৫ টাকা। কারণ সরকারি আদেশ দল কাজ করবে, অনেকেই বলবেন এরা খাবার পায়, বাড়ির জন্য নিয়ে যায়। এই নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক অভিভাবক এমনকি কিছু শিক্ষক আছেন যারা এদের এই খাবার নিয়ে যাওয়া পছন্দ করে না। অনেকেই আছেন বলবেন অত কম বেতনে কাজ করে কেন? তার একটাই কারণ বাড়ির বাচ্ছাটার মুখে অন্ন তুলে দেওয়া। যা কুড়ি দিন তারা একটু খেতে পায়। এই মি ডে মিল সর্ব শিক্ষার অধীনে চলে না। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা হোক আর রাজ্য সরকার কি করে ৭৫ টাকা বা ১৫ টাকা রোজে কাজ করায় পৃথিবীর কোনো দেশে আছে! বাম আমলে নিয়োগ ২০০ টাকা বেতন, তার পর ধীরে ধীরে ২০১০ এসে ১৫০০ টাকা হয়। আবার ২০১২ সালের পর থেকে ১২ মাসের বেতনের বদলে ১০ মাসের বেতন পায়। কারণ দু মাস বিদ্যালয় ছুটি থাকে রান্না করতে হয় না। সত্যিই আমরা স্বাধীনতা ভোগ করছি, ব্রিটিশ বেনিয়া যেমন ভারতীয় দের বেগার খাটিয়ে নিত, বেতন দিত না। বেতন চাইলে জুটত বেত বা চাবুকের ঘা। বর্তমান স্বাধীন দেশের সরকার তার নাগরিকদের প্রায় বিনা বেতনে খাটিয়ে নিচ্ছে। আবার পান থেকে চুন খসলে হয়। তার যে কী হাল করবে, কেন অনেক চ্যালা চামুণ্ড আছে। 

Sunday, 18 August 2019

ছিঃ ছিঃ এই আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি।

আমরা স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশে বাস করি। এর নাম গনতন্ত্র যে খানে রাতের অন্ধকারে স্বাধীন দেশের পুলিশ বাহিনী মেয়ে দের শাড়ি ব্লাউজ ছেঁড়ে, আর কেবল এই পার্শ্ব শিক্ষকের আন্দোলন নয় ।কয়েক দিন আগে অন্য কর্মী দের আন্দোলন কেও এই ভাবে দমন করা হয়েছে। এর নাম গনতন্ত্র যে খানে দাবি জানানোর অধিকার নেই। আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, কাল রাতে ওই ঘটনার পর পুলিশ মন্ত্রীর কোন কথা নেই। অর্থাৎ পিটিয়ে আন্দোলন করতে দেয়নি ঠিক করেছে। আবার যে সব লেখা ফেসবুক সহ অন্যত্র দেখছি। কাল পুলিশ যে ভাষায় কথা বলতে বলতে পার্শ্ব শিক্ষক দের পিটিয়ে তুলে দিয়েছে, সে সব ভাষা কোন সভ্য দেশের পুলিশ বলে। ঐ শিক্ষকের দল কী করে ছিল, শান্তি পূর্ণ ভাবে বসে ছিল। চুরি ও করে নি ডাকাতি ও করে নি।এতো কর্মীদের আন্দোলন করতে হচ্ছে কেন? আই সি ডি এস থেকে পার্শ্ব শিক্ষক ও শিক্ষা বন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক অতিথি অধ্যাপক, আর মাধ্যমিক স্তরের চাকরির পরে বি এড করা শিক্ষক দের আরও আছে কেন আন্দোলন কেন বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। এই ধরনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেতন দশ হাজার টাকার নীচে। আই সি ডি এস, শিক্ষা বন্ধু, পার্শ্ব শিক্ষক, পঞ্চায়েতের ডাটা এন্ট্রি করে যারা, এরকম আরও অনেক কর্মী আছেন যাদের বেতন দশ হাজার টাকার নীচে। আর এই সরকার আসার পর থেকে কাগজ কলমে নিয়োগ বিজ্ঞাপন থাকে বাস্তবে হয় না। আর বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, সংবাদ পত্রের পাতায় বা টিভি তে, বাস্তবে হয় না। এসব দেখে সাধারণ মানুষের সরকারি কর্মীদের সঙ্গে দূর ব্যবহার করে। আমার মনে হয় না সকলের সঠিক শিক্ষা আছে। সেই কারণেই আজ সরকার থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকে তুষ্ট করতে, প্রশাসন উঠে পরে লাগে। রাতের অন্ধকারে বর্বরের মতো অত্যাচার করে আন্দোলন বন্ধ করতে চায়। আমি একটি বিষয় লক্ষ্য করছি, প্রত্যেকে বলছেন, আমাদের আন্দোলন অরাজনৈতিক, যে সরকার চালাচ্ছে সেই সরকার টা অরাজনৈতিক দল। এই জন্যই সকলের সঠিক শিক্ষার দরকার যে কোন কিছুই এই দেশে অরাজনৈতিক হয় না। যেটা হয়েছে বা হচ্ছে সেটা একটা স্বাধীন দেশে কাম্য কি? এতো সেই ইংরেজ আমলে হতো কিম্বা বাংলা ভাগ করে ভারতের স্বাধীনতার সময়ে এই মেয়ে দের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। আজকের সভ্য সমাজে বাস করে কীভাবে এই পুলিশের এই অত্যাচার নিরস্ত্র মানুষের উপর মেনে নিচ্ছেন। মানুষ এটাই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, যারা অত্যাচারিত তারা কারো না কারো ঘরের মা বোন যে সব ভাষায় পুলিশ গালাগালি করতে করতে মেয়ে দের লাঠি পেটা করেছে। আমি পুলিশের শিক্ষা গত যোগ্যতা যাচাই করার পাশাপাশি বংশ পরিচয় জেনে পুলিশের চাকরিতে নিয়োগ করা উচিত। আমরা বর্তমান শাসক দলের কাছে এর থেকে বেশি কিছু আশা করি না। শাসকের রূপ একই হয় কম আর বেশি। 

৩৭০ ও ৩৫এ ধারা তুলে দেওয়া নিয়ে যা হচ্ছে, দেখে মনে হচ্ছে এটা চীন ও পাকিস্তানের সংবিধানে ছিল।

আমি গত বেশ কিছু দিন যাবৎ বিভিন্ন সংবাদ পত্রের পাতায় বা অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়ছি ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা ও ৩৫ এ ধারা তুলে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি ধারা কাশ্মীরে লাগু ছিল, ভারত সরকার রাখতে পারে নাও পারে সেটা আমার দেশের সরকার ঠিক করবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এমন সব খবর পডছি, মনে হচ্ছে এটা পাকিস্তান বা চীনের সংবিধানের বিষয় ভারত জোর করে বাধ দিয়েছে। পাকিস্তান যখন রাষ্ট্র সংঘে পাত্তা পেল না, তখন চীন সেই বিষয়ে রাষ্ট্র সংঘে আলোচনার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। মনে ভারত চীনের অংশে পরিণত হয়েছে, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করতে পারে না। চীন প্রতিবেশী প্রতিটি দেশের সঙ্গে বিবাদ লাগিয়ে রেখেছে। ছোট খাটো দূর্বল প্রশাসন হলে সে দেশের সরকার ও জনগণকে প্রভাব খাটিয়ে নিজের দেশের জন বসতি স্থাপন করে পরে দেশটা কে কব্জা করে নেয়। তিব্বত, তাই ওয়ান, হংকং এভাবে দখল করে রেখেছে চীন। চীন আবার কম্যুনিস্ট শাসিত এক নায়ক তন্ত্রের দেশ। সেই জন্যই এদের কম্যুনিস্ট আগ্রাসী বা সাম্রাজ্য বিস্তার কারি দেশ বলা ভালো। এই দেশের থেকে স্বাধীনতা পেতে তিব্বত লড়াই করে যাচ্ছে, তাইওয়ান, সেও বিদ্রোহ করছে, নতুন করে হংকং এ শুরু হয়েছে আন্দোলন চীন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। সেই দেশ স্বাধীন ভারতের বেশ কিছু টা দাবি করে আসছে বেশ কিছু বছর যাবৎ। আমি কেন অনেক ভারবাসীর প্রশ্ন ভারতের সংবিধান থেকে ঐ ধারা দুটো বাদ দেওয়া নিয়ে ঐ দু দেশ এতো উদ্বিগ্ন কেন, এমন ভাব প্রকাশ করছে, মনে হচ্ছে ওদের সংবিধানের ধারা ভারত ওদের সংবিধান সংশোধন করে দিয়েছে। আমাদের দেশের মধ্যেও এরকম কিছু মানুষ আছে, যারা গেল গেল রব তুলে দিয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না, কী গেলো কী এল এটা পরিষ্কার করে বলা উচিত জনগণ কে। 

Saturday, 17 August 2019

সকল কে বিষ্টি ভেজা সকালের মিষ্টি শুভেচ্ছা।

আমি আমার ব্লগের মাধ্যমে প্রতিটি বন্ধু কে বিষ্টি ভেজা সকালের মিষ্টি শুভেচ্ছা জানালাম। রবিবারের সকাল অনেকের ছুটির দিন।পরম করুণাময়ের আর্শীবাদে সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

আবার ডিএ নিয়ে আন্দোলন।


রাজ্যের কর্মীদের সাহস দেখুন, আন্দোলন করলেই ৬০০ কিলোমিটার দূরে বদলি। আমি এতো করে বললাম আন্দোলন করবেন না। ডিএ জন্য ঘেউ ঘেউ করব না সেই ঘেউ ঘেউ আরম্ভ করেছে।
কুকুরের স্বভাব যায় না মলে, বলেছি ডিএর টাকা বামফ্রন্ট দেনা করে রেখে গেছে। ওসব বামফ্রন্ট সরকার যদি আসে চাইবি। আমি কোন ডিএ পে কমিশন দিতে পারব না। আমার সরকারের টাকা নেই, এই আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন তোলার জন্য কাগজে কলমে এমন বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছি। চায়ের দোকান বাজার যে খানে তারা যাচ্ছে, শুনছে মাস্টার আট দশ হাজার টাকা মাইনে বেড়ে গেল। আর ভাবনা কি আগষ্ট থেকে হয়ে গেল, এবার নিশ্চয়ই একটু জয় গান গাইবেন। মাস্টারা কি করে বোঝাবে ওরে ওটা খবরে কাগজে আর টিভি তে বেড়েছে। বাস্তবে ভূমির গান " তোমার দেখা নাইরে/ তোমার দেখা নাই।" আবার ঐ দেখে যত রকম কর্মী দশ হাজার টাকার কম বেতনে কাজ করে শিক্ষা বন্ধু, পার্শ্ব শিক্ষকের দল, PGT শিক্ষকের দল অতিথি অধ্যাপক, বৃত্তি শিক্ষক কম্পিউটার শিক্ষার চুক্তি শিক্ষকের দল পঞ্চায়েতের কম্পিউটারে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, সকলে মিলে আন্দোলনে নেমেছে। পুলিশ ডিএ পে কমিশন না পেলে কি হবে, ওরা খুব ভালো কাজ করেছেন। উপর ওলার নির্দেশে মেরে তুলে দিয়েছে। এক্ষেত্রে সুকুমার রায়, যথেষ্ট "তেড়ে মেরে ডাণ্ডা /করে দিই ঠাণ্ডা।" আমি আমার বেতন এক লক্ষ কেন দু লক্ষ দশ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে নিই, তাতে তোদের কি, আমি আমার পে কমিশন, আমার টাকা তোদের দোব কেন? বার বার বলছি ঘেউ ঘেউ করবি না, কোথায় বদলি করব জানিস না। যারা আমার হয়ে তোদের নির্দেশ দেবে তারা সব কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করে। তারা সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন পায়। দেখছিস না, আই পি এস গুলোর নির্দেশে পুলিশ কেমন শিক্ষক পেটাচ্ছে। আমি বেছে বেছে এদের এনেছি, এরা অনেকেই বাঙালি জাতি বিদ্বেষী, ব্যাপম এদের চাকরি দিয়েছে। পুলিশ বিদ্রোহ করতে পারবে না। বার বার বলছি ঘেউ ঘেউ করবি না। আমার সময়ে আমি দোব। 

দেখুন রাজ্যের শ্রমিকদের অবস্থা।

ছবির খবরের শিরোনামে যা দেওয়া হয়েছে, ঐ শিরোনাম এখন অনেক ক্ষেত্রে সত্য কারণ ছোট ছোট অনেক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি দাবি করেছেন বলে বন্ধ তা নয়। বন্ধ করে দেওয়ার কারণ তোলা বাজি যেমন আছে, সেই সাথে আছে উৎপন্ন পন্য বিক্রি না হওয়া। ছোট ছোট কারখানা গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বড়ো শিল্পের অনুসারী বা যোগান দার। এই রাজ্যে বড়ো আধুনিক শিল্প কয়েক দশক একটাও তৈরি হয়নি। ২০০৬ সালে বামফ্রন্ট সরকার চেষ্টা করে ছিল, কিন্তু জঙ্গী আন্দোলন বা ক্ষমতা দখল করার জন্য ধ্বংসাত্মক আন্দোলন সে সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছে। রাজ্যের যে সব বড়ো বড়ো শিল্প ছিল, তারা আধুনিকি করণ না করে পুরনো দিনের মতো করে চালাতে গিয়ে বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছেন, অন্য রাজ্যে যেমন ডানলপ টাওয়ার কারখানা অন্য রাজ্যে চলে গেছে। আরও অনেক কিছুই, এই রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে, কাগজে কলমে বাড়ছে, মাথা পিছু আয়। কারণ জন প্রতিনিধি দের আয় বৃদ্ধি হয়েছে কয়েক গুণ। সর্ব স্তরের মানুষের বা কর্মীদের অবস্থা তথৈবচ। আর এই ক্রয় ক্ষমতা নেই, বেশিরভাগ মানুষের সেই কারণেও অনেক ছোট ছোট কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরকম একটা খবর সেদিন পড়লাম, দঃ২৪পরগনার একটি গ্যাস সিলিন্ডারের সকেট তৈরির কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়, ২৫০ জন শ্রমিক কাজ হারিয়ে ছিল, সেই ঘটনায়। আর জুট মিল গুলোর তো কথাই নেই, যে হারে সিন্থেটিক বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে করে পাট কাঠির জন্য পাট চাষ অল্প কিছু হলেও, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। যেমন তাঁত শিল্প এখন অতীত হয়েছে, এসেছে পাওয়ার লুম। সিন্থেটিক বস্তা পরিবেশ দূষণ করে, সহজে মাটির সাথে মিশে যায় না। অন্তত পরিবেশের কথা ভেবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার পাট শিল্প কে আধুনিকি করণ করতে পারে। কারও উদ্যোগ নেই, শ্রমিকদের কাজ যাবে তো সরকারের কী? সরকার ক্ষমতায় থাকলেই হলো, জানি না কবে সরকার জন দরদী হবে। ভিক্ষা না দিয়ে স্থায়ী কাজের ব্যবস্থা করবে, যাতে বেকার সমস্যা সমাধান হয়। সব বেকার কাজ পায়, দু বেলা দু মুঠো খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারে। 

Friday, 16 August 2019

বিজেপি নেতা বলছেন কাট মানি নেওয়া নেতা কে দলে নেওয়া হবে না।

কিছু দিন আগে বি জে পি নেতা কৈলাস বিজয় বর্গীয় বললেন। তার দল পশ্চিমবঙ্গের কাট মানি নেওয়া কোন নেতা কে দলে নেবেন না। উপরের ছবি টি দেখে বলবেন, কে কে তৃণমূল নেতা মন্ত্রী ছিল, সারদা, নারদা টাকা নেয়নি। উনি হয়তো বলবেন, আমি কাট মানির কথা বলেছি, বাটপারি বা ঘুষের কথা বলিনি। একদম ঠিক কথা, তাহলে কাটমানি হলো মানুষের টাকা, আর চিটফাণ্ডের টাকা ও নারদার ঘুষের টাকা সেটা তো সরাসরি মানুষের থেকে নেয়নি। আমি যতদূর জানি নেতা মন্ত্রী দের কথা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন, তারা প্রতি মুহূর্তে মিথ্যে বলে বলে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। সাধারণ মানুষ আর এদের বিশ্বাস করতে পারে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী একই দোষে দুষ্ট। ভারত কেন এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থক পর্যন্ত মিথ্যে বাদি। নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য এবং কোটি কোটি টাকা ইনকাম করতে, তারা নেতা সেজে বসে আছে। আর এদের জন্য দেশের সাধারণ মানুষের নাভি শ্বাস উঠেছে, নিজেরা যাতে কম খরচে খেতে পায় চিকিৎসা পায় সব রকম সুবিধা পায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার মোটা অঙ্কের টাকা সাম্মাণিক নেয়। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ মুরগি চুরি করলে বা অন্য কোন কারণে সন্দেহ হলে, ফাটকে ঢুকতে হবে, না হলে গন পিটুনি জুটবে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নেতারা যত মিথ্যা কথা বলতে পারবে, কাট মানি নিতে পারবে, ঘুষ নিতে পারবে, সে যদি ভোটে দাঁড়ায় তবে তাকে ভোট দিয়ে আগে নির্বাচিত করে দিই। আবার সে যদি বাহু বলি হয়, তাহলে আপনার আমার ভোট সবার আগে পয়সা দিয়ে কিনে নেয়। সত্যিই আমরা গনতান্ত্রিক দেশের সচেতন নাগরিক!

Thursday, 15 August 2019

প্রাক্তন তৃণমূল নেতা, বর্তমানে বি জে পি সাংসদ কী বলছেন?

প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বি জে পি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলছেন। অভিষেকের নির্দেশ ছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা তুলতে হবে, বালি খাদান আর শি চাকরি প্রার্থী দের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিতে হবে। আমি ধরে নিচ্ছি উনি এখন বিরোধী দলে গেছেন, তাই এসব বলছেন। প্রথম থেকেই এমন একটা কথা শোনা যাচ্ছিল, বালি খাদান থেকে তোলা তোলা হয়। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া, আর পাঁচ হাজার কোটি যদি তুলতে বলেন সেটা কত বছরে এবং তিনি তুলে ছিলেন কি না? যদি তুলে থাকেন, তাহলে তিনি ২৫%ভাগ পেয়েছেন। যদি ধরা যায় উনি বাড়িয়ে বলছেন, ওটা পাঁচ হাজার কোটি না হলেও পাঁচ কোটি টাকা হবে। তাও যদি কিছু টাকাও তোলেন তাহলে টাকার ভাগ ওনার কাছে আছে। যদিও বি জে পি হচ্ছে, লাইফবয় সাবান সব জিনিস পরিষ্কার করতে পারে। এ দলের ঘুষখোর ঐ দলে যেই গেল সে সাধু হয়ে গেল। মানুষের টাকা যে কে আত্মসাৎ করল, তার আর হদিশ নেই। কেউ প্রশ্ন করে না, আন্দোলন নেই, এটা যদি বামেদের হতো আমাদের মতো ভদ্রলোক গালাগালি দিয়ে ফেসবুক ভরিয়ে তুলত। আজ কত রকম অর্থ নৈতিক দূর্নীতি ত্রিফলা আলো, চিটফাণ্ডের টাকা আত্মসাৎ, নারদার টাকা উড়ালপুল ভেঙে পড়া। সব কেলেঙ্কারি মূলে শাসক দল। এটা আগের সরকারের আমলে হলে, রাজ্যে যুদ্ধ হয়ে যেত। সারা দেশের থেকে এরাজ্যে বিদ্যুতের মাসুল বেশি, কোনো আন্দোলন প্রতিবাদ নেই। প্রতিবাদ উল্টে কেউ যদি, কিছু করে, তাকে ফেসবুকে গালাগালি দিয়ে ফাটিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আবার এটাই ভালো বলে মেনে নিচ্ছেন। 

ছবি কথা বলে, দেখুন ভাবুন আমরা কেমন স্বাধীনতা পেয়েছি।

স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও ভিক্ষারী আর অভুক্ত মানুষ শতকরা ৭০ ভাগ।
স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করে।
দেশের ৮০%থেকে ৯০% সম্পদ ১% মানুষের দখলে। সেই কারণেই এতো ভিক্ষারী আর কৃষকদের আত্মহত্যা।
কেবল মাত্র বাংলা নয় গোটা ভারতে এরকম নেতা মন্ত্রী দুর্নীতি গ্রস্ত। এদের বিচার নেই, এদের শাস্তি হয় না, ভোটে দাঁড়ায় অশিক্ষিত জনগণ সামান্যই টাকার জন্য নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এদেরকে জিতিয়ে আনে। পায় ভিক্ষা দেওয়া দু টাকা কিলো চাল, আর হয়তো তোলা তোলার অনুমতি।
এটা গত লোকসভা নির্বাচনের সময় ভাটপাড়ার বড়ো তোলা বাজ বা ঐ রকম কোন নেতা কে জেতানোর জন্য বোমাবাজি।
এই নেতা মন্ত্রী কেমন গরমে আইসক্রিম খাচ্ছে, আর এদের জেতার জন্য, বোমা হামলা চালাচ্ছে, সাধারণ মানুষ। এই থেকে কি মনে হয়, সত্যিই কি আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।আর শিক্ষিত হয়েছি। আরেকটা ছবি দিয়ে শেষ করছি।

স্বাধীনতার জন্যে অনেক রক্ত ঝরেছ, কত প্রাণ অকালে চলে গেছে তার ঠিক নেই, ইতিহাস ঠিক ভাবে উল্লেখ নেই। কেবল আমাদের জানানো হয়েছে, অনশন করে, ব্রিটিশ কে তার শাসনে সাহায্য করে স্বাধীনতা এসেছে। কারণ একটাই এখনও পর্যন্ত আমরা বা আমার দেশ ভারত বর্ষ, ব্রিটিশ সরকার কে কর বা ট্যাক্স দিয়ে যায়। কারণ ভারত, ব্রিটিশ কমনওয়েলতের অন্তর্ভুক্ত, ব্রিটিশ, ভারত কে ডোমেইন স্ট্যাটাস দিয়ে গেছে। স্বাধীনতা দেয় নি, উপরের ছবির ঐ নেতাদের জন্য হাজার হাজার মানুষের আত্ম ত্যাগ, নেতাজির সমস্ত চেষ্টা জল ঢেলে দিয়েছে। কেবল বাঙালি আর পাঞ্জাব কে ধ্বংস করতে ঐ নেতারা এই ডোমেইন স্ট্যাটাস কে স্বাধীনতা বলে চালিয়ে দিয়েছেন। উপরের ছবির নেতারা ব্রিটিশদের দালাল, ব্রিটিশদের পা চেটে ক্ষমতা দখল করে ছিল।

সততার প্রতীক, সত্য বাদীর দের দল বদল ।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। আমাদের রাজ্যের অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, একবার এ দল তো আরেক বার অন্য দল, নিচু তলার কর্মীরা তো তাঁতের মাকু। তাঁত শিল্প আজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পাওয়ার লুম চালু হওয়ার পর থেকেই ধুঁকছিল, এখন প্রায় অস্তমিত। রাজ্যের শাসক আর কেন্দ্রীয় সরকারের  বিজেপি দল বদলে ফেলছে। বড় বড় নেতারা আছে, সেই সঙ্গে ছোট ছোট নেতা কর্মীরাও আছে। এই নীচু তলার কর্মীদের নীতির ঠিক নেই, আজ শাসক দলের সঙ্গে তো কাল কেন্দ্রীয় সরকারের দলে। যা হোক এদের জন্য আবার তাঁত শিল্প ফিরে এসেছে। সততার প্রতীক আর সত্যি কথা বলা দলে থেকে আর সত্যি কথা বলতে পারছে না। সেই কারণেই এই দল বদল,কত সত্যি বলবে, সারদার রোজভ্যালীর এম পি এস গ্রীনারি ইত্যাদির চিটফাণ্ডের টাকা আমি জানি ওটা বামেদের কান্ড।তোয়ালের নীচে টাকা নেওয়া ওটা বামেদের দখলে। কাজ চলাকালীন উড়ালপুল ভেঙে পড়েছে, ওটাও বামেদের আমলে। একশ দিনের কাজের প্রকল্পে দশ জন কাজ করলে কুড়ি জন করা, দশ দিন কাজ করলে একশ দিন দেখানো একশো দিনের মজুরের বা শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকার ভাগ নেওয়া। কন্যাশ্রী তে বিশ্ব সেরা কারণ সেই টাকা কলেজে ভর্তির জন্য ভাইপো দের ঘুষ দিতে হয়। প্রতিটি নির্বাচনে ছাপ্পা, জোর করে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে না দেওয়া। নির্বাচনে নির্বাচন বা ভোট কর্মী খুন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো কথাই নেই, কত জায়গায় ভোট হয় নি। বিরোধী দলের প্রচার বা প্রার্থী দিতে  না দেওয়া। এসব নতুন নতুন কায়দায় ভোট দিতে না দেওয়া। এসব বামেদের আমলে হয়েছে, আরে হয়েছে বলে তো মানুষ পরিবর্তন করে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কে মানুষ ক্ষমতায় এনেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ২০০৯ ও ২০১১ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছে বলে আজ এরা ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতায় এসে কি করছ সেই মানুষ কে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। তাহলে উন্নয়ন কি কাগজে কলমে। সেদিন একটা খবর পড়লাম পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি হয়েছে। কথাটা একদম ফেলে দেওয়ার নয়। কারণ জন প্রতিনিধি দের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে, কাট মানির বহর বেড়েছে, তোলাবাজ বেড়েছে, চুল্লুর কারবার থেকে আয় বৃদ্ধি হয়েছে। কারণ শাসক দলের লোক হলেই চুল্লু তৈরি করা যাবে। মদের দোকানের অনুমতি পাওয়া যাবে। চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে, না দিলে অনশন করতে হবে। সরকারি কর্মীদের ডিএ পে কমিশন না দিয়ে, খেলা, মেলা, উৎসব, ক্লাব, পূজা কমিটি কে দিয়ে আয় বৃদ্ধি করতে হবে। পার্শ্ব শিক্ষক, শিক্ষা বন্ধু, আরো যে সব শিক্ষক এবং কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করলেই জল কামান ও পুলিশের লাঠির ঘা না জেল, না হলে বাড়ি থেকে ছ'শো কিলোমিটার দূরে বদলি। কেউ বা কোন কর্মী যদি স্বেচ্ছায় বদলী চান তার হবে না। শিক্ষক নিয়োগ বদলি সে কবে হয়েছে কেউ জানে না। অথচ খাতায় কলমে বেকার কমেছে। সত্যিই আমরা বাঙালি জাতি আগে এই বাঙালি জাতি গোটা ভারত বর্ষের মানুষ কে পথ দেখিয়েছে। আমরা পেয়েছি বিবেকানন্দের মতো মানুষ কে, বিদ্যাসাগর, রামকৃষ্ণ, রাজা রামমোহন রায়, এদের আধুনিক ভারতের রূপকার বলা হয়। রবীন্দ্র নাথ, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জগদীশ চন্দ্র বসু, নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত সব মানুষ যাদের আরও অনেকেই আছেন এখানে অতো নাম লেখা যাচ্ছে না। এই সব বাঙালি মানুষ যাদের কাজ কর্ম সারা ভারত কেন বিশ্ব বন্দিত। এখন কি হচ্ছে, কি করে টাকা চুরি করতে হবে, মিথ্যা কথা বলতে হবে, ইতিহাস ভূগোল বিজ্ঞানের পরিবর্তে, কোনো টা শাক আর কোন টা নয়, ইঁট কী দিয়ে হয়। অর্থাৎ পাঠ্যসূচীর মধ্যে পড়াবার কিছু নেই, কেবল সর্ব শিক্ষার কাগজ পূরন করতে হবে, না করলে প্রথম শোকজ, পরিদর্শনের নামে চোখ রাঙানি, না হলে বদলি না হলে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। আর কি দেখছে কি ভাবে নির্বাচন এলে মানুষ খুন করতে হয়। বোমা পিস্তল নিয়ে লড়াই করতে হয়। কলেজে কলেজে ভর্তি করা নিয়ে অর্থাৎ টাকার ভাগ নিয়ে মারামারি করতে হবে। কিভাবে অধ্যাপক অধ্যক্ষ দের মারতে হবে, চল্লিশ বছর বা পঞ্চাশ বছর বয়সের মানুষ গিয়ে অধ্যাপকে মারছে সে হলো ছোট বাচ্চা ছেলে করে ফেলেছেন। পরাধীন ভারতে বিশ্বের মানুষের কাছে বাঙালি জাতির অনেক গর্ব করে বলতে পারত। আমি বাঙালি জাতি, গোটা ভারতের যে খানে যেত তারা সণ্মান পেত। আর এখন মাথা নিচু করে বসে থাকতে হয়, মিথ্যা কথা বলা জাতি, চোরের সমর্থন করা একটা জাতি। চুরি করে ক্ষমতার জোরে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা। বাঙালি জাতির গর্বের দিন শেষ, তাদের গায়ে লেগেছে চোরের তকমা, চিটিংবাজের তকমা, আজ না হলে ভোটে জেতার জন্য লোক ভাড়া করে আনতে হয়। যে বাঙালি একদিন গোটা দেশ কে শিখিয়েছে পথ দেখিয়েছে, তাকে আজ লোক ভাড়া করে এনে দল চালাতে হচ্ছে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, সরকারি ব্যবস্থাটাই লিজে দেওয়া হয়েছে। সত্যিই বাঙালির জাতির লজ্জার সময়। আমরা এসবের জন্য বামেদের তাড়িয়ে এদের ক্ষমতায় এনেছিলাম। আমি যতদূর জানি বর্তমান শাসক দলের আন্দোলন ও অভিযোগ এটাই ছিল, কিন্তু আজ আজ আট নয় বছর হয়ে গেল এগারো টা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। একটা কমিশন রিপোর্ট তৈরি করতে পারে নি। উল্টো কথা বলছেন, সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের বাবা, ছি ছি, অনেকে বলবেন তোর কী তোর ভালো না লাগলে ভোট দিবি না। একদম ঠিক কথা, কিন্তু ভোট দিতে দেওয়া হবে না। যদি দেওয়া যায়ও তাহলে বাক্স বদলে যাবে। এই সরকারি কর্মীদের একটা অংশ এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত, তারা ডিএ পে কমিশন চায় না, কাট মানি হলেই যথেষ্ট কারণ ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক পোষাক গোষ্ঠী বা সংঘ তৈরি করে না। তারা দোকান থেকে কিনে এনে দিচ্ছে, তবুও তারা পোষাক দেবে সেই পোষাক ছাত্র ছাত্রীদের গায়ে হোক আর ছাই নাই হোক। কাট মানি কম হচ্ছিল, তাই টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।বাঙালি এরপর যাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসছে, সে তো এখনই বাংলা ভাগ করতে তৈরি হচ্ছে, বাঙালি জাতি কে আবার ভিটে ছাড়া করার জন্য NRC নিয়ে আসামে শুরু হয়েছে, বাঙালি তাড়ানো, পশ্চিমবঙ্গে কেবল ক্ষমতায় আসার অপেক্ষা। সত্যিই আমরা আত্মঘাতী জাতি, যদি সত্যি নিজে কে আপনি বাঙালি জাতির অংশ হিসেবে মনে করেন, তাহলে আসুন আমরা সবাই মিলে আরেকবার এই দুষ্কৃতী মিথ্যা বাদী দের বাংলা ছাড়া করি। দ্বিতীয় বার বাংলা ভাগ করা চক্রান্ত কে রুখে দিতে গর্জে উঠি।



Monday, 12 August 2019

যে দেশে ধর্ম নিয়ে এতো মাতা মাতি, সে দেশে উন্নয়ন করা সম্ভব!

ধর্মের নামে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজও জমায়েত হয়, বিভিন্ন দেবতার স্থানে হত্যে দিয়ে পরে থাকে, কোন বাবা কখন তাকে আশীর্বাদ করে ফুল বেল পাতা মাদুলি দেবে। তিনি সেটা নিয়ে গিয়ে বাড়িতে রাখলে উন্নতি হবে। এরকম অলৌকিক কিছু পাওয়ার জন্য এখনও লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিটি দেবতার স্থানে বা শ্রাবণ মাসে প্রতিটি শিব স্থানে জল ঢালতে যাচ্ছে। এসব দেখে আমার মনে হয় না যে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর বাম শাসন ছিল। কারণ আমি জানি, বামেদের একটি বিষয়ে প্রথম খুব প্রচার করে ছিল। ঠাকুর দেবতা বলে কিছু নেই, কিছু মানুষ, গরীব মানুষ কে প্রতি নিয়ত ঠেকানোর জন্য এই সব দেবতার নামে ব্যবসা করে। তারা এতটাই মানত যে কোন মানুষ বা সমর্থক দেবতার মন্দিরে প্রণাম করলে তাকে আর কোন দিন দলের কোন বিষয়ে অংশ নিতে বলত না। আস্তে আস্তে এই সব একটু শিথিল করা হয়, যখন দেখে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ধর্ম পালন করার জন্য, কোনো জমায়েতে বেশি করে মানুষ আসে, যেমন তারকেশ্বরের জল ঢালতে যাওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষ শ্রাবণ মাসের সোমবার জমায়েত হয়ে যায়, রাস্তায় চলা দায় ট্রেনে ওঠার উপায় থাকে না। তবে এটাও ঠিক তারা যে বলতেন, ধর্মের নামে ব্যবসা, কথা টি একেবারে অমূলক না। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি বাদ দিন, শুনেছি সেখানে ভিন্ন ভিন্ন লাইন দেওয়া হয়, প্রণামী অনুযায়ী, এখন তারকেশ্বরের মন্দিরে জল ঢালতেও টাকা লাগে, তিন চার ধরনের ভাগ করা হয়েছে। যদিও বলা হচ্ছে, মন্দিরের উন্নয়ন আর পরিষ্কার করতে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। সব ঠিক পরিষ্কার করতে কত টাকা লাগে, শুনলাম একটা সোমবার ১৫ থেকে কুড়ি লক্ষ লোক হয়ে ছিল। যদি প্রণামী বা উন্নয়ন বা পরিষ্কার করতে টাকা বেশি দিলে ভালো করে এবং তাড়াতাড়ি দেবতার দর্শন মেলে বা বাবার মাথায় সরাসরি জল ঢালতে পারা যায়। বেশি করে টাকা দিলে দেবতা, বা শিব বাড়িতে চলে আসেন,তাহলে এতো ঝামেলা করে জল তুলে ২৮ থেকে ৩০ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে জল ঢালতে যাওয়ার কি দরকার। যার টাকা বেশি তিনি বাড়িতে বসে জল ঢালতে পারবেন। এই জন্যই আমি বলছি, গরীবের দারিদ্র নিয়ে যত দিন না এই উপহাস করা বন্ধ হবে। সরকারের উপঢৌকন পাবে বলে বসে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এই ধরনের মানুষ আরেকটা মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে ঠাকুরের নামে অর্থ উপার্জন করে যাবে। দেবতা মানুষের মনের জোর বাড়ায়। কখনও কিছু অলৌকিক কিছু করার ক্ষমতা নেই। দূর্বল মানুষ মনের জোর বাড়াতে দেবতার স্মরণ করে বা ডাকে। যে দিন সমাজে সবল দ্বারা দূর্বলের উপর অত্যাচার বন্ধ হবে। মানুষ বুঝতে শিখবে তাকে শোষণ করছে, আরেক টা মানুষ, মানুষ মানুষকে ভিক্ষারী বানিয়ে রেখেছে, কোন দেবতা নয়। গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে ঠকানো এখন খুব বেড়ে গিয়েছে। গরীব  খেটে খাওয়া মানুষ কে বোঝানো হচ্ছে, বা প্রচার করা হচ্ছে বা অতীতে হয়েছে। তোমাকে ঠাকুর গরীব করে রেখেছে, আর শোষণ করতে তাদের উপর নিপীড়ন করে যাচ্ছে, তখনও বলা হয়েছে, ঠাকুর করছে, তুমি ঠাকুর কে ডেকে যাও সব সমস্যার সমাধান হবে। সেই কথাটি আবারও লিখছি, মানুষ মানুষকে শোষণ করে। দেবতা বা ঠাকুর পুজো মনের সাময়িক শান্তি আনে, বা মনের জোর বাড়ে।   গরীব খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আবেদন আসুন আপনাকে যারা বঞ্চিত করে, টাকার পাহাড় করছে, তিনশো টাকার মজুর আজ তিনশো কোটি টাকার মালিক, এক রংয়ের দোকান দার রাজ প্রাসাদ তৈরি করেছে। আর আপনার সরকারি আবাসনের প্রকল্পের টাকা পাওয়ার কথা কিন্তু আপনাকে বঞ্চিত করে রেখেছে। বিভিন্ন অজুহাতে তাদের বিরুদ্ধে সমবেত হই। নিজের অধিকার ছিনিয়ে আনি, অর্থাৎ ঠাকুর দেবতাও থাক আর যারা ঠাকুর দেবতার দোহাই দিয়ে আপনার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাক। 

"দিদি কে বলো " কর্মসূচি একটা সুন্দর ভুঁড়ি ভোজের ব্যবস্থা।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।রেজ্জাক মোল্লা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কারও বাড়িতে ভুঁড়ি ভোজে ব্যস্ত।
এটি আরেক জনের বিধায়ক না সাংসদ কী সাম জাটুয়া। যা হোক দিদি এতো দিনে একটি সুন্দর কর্মসূচি নিয়েছেন। যাতে করে তাঁর দলের প্রতিটি জন প্রতিনিধি জন সংযোগ বাড়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকেই ঘুরতে ঘুরতে সাধারণ মানুষের বাড়ি দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে নিচ্ছেন। প্রদীপের নীচে অন্ধকার থাকে, তাই এই দলের এক চলচিত্র অভিনেতা সংযোগে মানুষের কথা শুনেল না। তিনি নাকি ভোটের সময় শুনবেন, তবে তিনিও দিদির কথা মতো জন সংযোগে বেড়িয়ে ছিলেন। চলচ্চিত্র অভিনেতা তাই একটু দেমাক, এই সব অভিনেতা অভিনেত্রীরা বেশির ভাগই এরকম, সেই জন্য মানুষ আজ কাল আর এদের সিনেমা দেখে না। আমি তো এরকম যে কজন অভিনেতা অভিনেত্রী ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এদের সিনেমা টিভিতে দেখা ছেড়ে দিয়েছি। এদের কেন এতো দেমাক কোন কাজ নেই, নির্বাচনে জয়ী হলে সব মিলিয়ে এক লক্ষ টাকা মতো পান। আবার ভোটে পরের নির্বাচন হেরে যান বা প্রার্থী না হলেও পেনশন বাঁধা। এরা ভাববে সাধারণ মানুষের দুঃখের কথা শুনবেন তাদের সময় কোথায়? 


সুপ্রীম কোর্টের বিচারক বলে ছিলেন রামের বংশধর আছে, মিলে গেলে বংশধর।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।ইনি দিয়া দেবী রাজস্থানের কোন এক সংসদ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সাংসদ, সুপ্রীম কোর্টে রাম জণ্ম ভূমি মামলায় সুপ্রীম কোর্ট জানতে চায় রামের কোন বংশধর আছে কিনা? ইনি দাবি করেছেন। তিনি রামের পুত্র কুশের বংশধর তার প্রমাণ নাকি ওনার কাছে আছে। আরেকটা ছবি এই খবরে অন্য অন লাইন নিউজে দিয়ে ছিল। সেই ছবি টিও এখানে দিচ্ছি,
ওনার কথার সপক্ষে তিনি এই নথি দেখিয়ে ছেন। সংবাদদাতা দ্বারা প্রকাশ পেয়েছে। আরো কিছু নথি আছে, যা তিনি প্রমাণ স্বরূপ পেশ করতে পারেন। তিনি একটা কথা বলেছেন, রাম জণ্ম ভূমির উপর তার কোন দাবী নেই, তবে তিনি রামের পুত্র কুশের বংশধর।আমি জানি না আমি ছাড়া আর কত জন এই খবর পড়েছেন।আমার মনে হয়, ভারত বর্ষে এটা সম্ভব হয়। ৮০০ থেকে ৯০০হাজার বছর আগে রামায়ণ লেখা হয়েছিল। রামায়ণ রচনা করেন বল্মিকী মুনি, কথিত আছে রাম জণ্ম নেবার আগেই নাকি রামায়ণ রচনা করেন। এটাও ঠিক এটি একটি অমূল্য মহাকাব্য কারণ সেই সময় কার ভারতীয় ইতিহাস ও আর্য্য অনার্য্য যুদ্ধ এবং সভ্য আর্য্যরা অনার্য্য দের কি কি নামে ডাকত, যেমন বানর, কাঁচা মাংস খাওয়ার জন্য রাক্ষস, বানর কুল কাঁচা ফল খেত। এই কথা বা রামায়ণের ঘটনা আলোচনা করার জন্য লিখিছি না। আমি যতদূর জানি বা রামায়ণে পড়েছি, রাম যখন সীতা কে বন বাসে পাঠান তখন, বল্মিকী  মুনির আশ্রমে লবের জণ্ম হয়। একদিন খেলতে খেলতে লব হারিয়ে গেল, সীতার সন্তানের জন্য কান্না থামাতে বল্মিকী মুনি কুশ দিয়ে পুতুল বানিয়ে তাতে প্রাণ দেন। তাকে পেয়ে সীতা ভুলে থাকে এমন সময় লব ফিরে আসে, তখন বল্মিকী মুনি কুশকে পুনঃরায় পুতুলে পরিবর্তন করতে গেলে সীতা বাধা দেন। সেই থেকে লব কুশ রামের পুত্র হিসেবে মুনি আশ্রমে বড়ো হতে থাকে। এই কাহিনী থাক, এখানে প্রশ্ন আসে, সুপ্রীম কোর্ট জানতে চায় রামের কোন বংশধর আছে কিনা? আর সঙ্গে সঙ্গে রামের পুত্র কুশের বংশধর এসে হাজির। তিনি আবার বি জে পি সাংসদ, আমার মনে হয় রামের সব বংশধর বি জে পির সাংসদ। এই মাত্র আমরা কুশের বংশধর আছে জানতে পারলাম। এবার লবের বংশধর, ভরত, লক্ষ্মণ, শত্রুঘ্ন সকলের বংশধর সামনে আসবে। আবার আমরা আট হাজার বছর আগের রামায়ণ দেখতে পাব। বানর সেনা নিয়ে হনুমান শ্রীলঙ্কা জয় করতে যাবে। আমি অনেক দিন আগে সোসাল মিডিয়াতে খবর দেখে ছিলাম। হনুমান নাকি এখনো জীবিত আছেন, ছবি সহ খবর বেড়িয়ে ছিল। রাবনের বংশধর শ্রীলঙ্কায় নেই! যদি থাকে তাহলে এই রামের বংশধর বা রঘু বংশের বংশধর দের বিপদ হবে না তো? যদি তারা বদলা নিতে আসে, ঐ রকম সোসাল মিডিয়াতে পড়েছি। রাবনের চিতা এখনও জ্বলে, নিশ্চয়ই রাবনের বংশধর আছে, নাকি খনার বচন সত্যি হয়েছে, বাড়ির দক্ষিণে পুঁতিয়া কলা /স্ব বংশে মরে রাবন---। এটা ভারতেই সম্ভ।  আলেকজান্ডারে একটা উক্তি, "সত্যি সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ।" জানি না এটা আলেকজান্ডারে উক্তি কিনা সবাই বলে তাই আমিও লিখে দিলাম। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...