দুর্গা পূজার শুরু অনেকে শুরু করেন প্রতিপদ থেকে করেন, তবে সাধারণত সর্বত্র এই পূজা শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যা(বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পুজো) থেকে, কেউ কেউ আবার ষষ্ঠীর পারন ধরে পূজা করেন । যখনই হোক ষষ্ঠীর পূজার মন্ত্র নিয়ম আমার মতে এ রকম। পূজার নিয়ম শুদ্ধ আসনে বসে সান্ধ্য ক্রীড়া সমাপন করে নিয়ে করতে হবে। পদ্ধতি :- ১) আচমন ২) বিষ্ণু স্মরণ ৩) স্বত্ত্বি বাচন ৪)স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ( পুরোহিত বরণ) ৭) সংকল্প ৮) সংকল্প সুক্ত ৯)পঞ্চ গব্য শোধন ১০) অধিবাস ১১) সামান্য অর্ঘ্য ১২) দ্বার পূজা - ১৩)বিঘ্ন অপসারণ ১৪) মাস ভক্ত বলি ১৫) আসন শুদ্ধি ১৬)কর শুদ্ধি ও পুষ্প শুদ্ধি ১৭) সংক্ষেপে ভূত শুদ্ধি ১৮) মাতৃকা ন্যাস ১৯)কর ন্যাস ২০) অঙ্গ ন্যাস ২১)অন্তর মাতৃকা ন্যাস ২২) বাহ্য মাতৃকা ন্যাস ২৩) সংহার মাতৃকা ন্যাস ২৪)প্রাণায়াম ২৫) পীঠ ন্যাস ২৬) কর ন্যাস ২৭) অঙ্গ ন্যাস ২৮)ব্যাপকন্যাস ২৯) ঋষ্যাদি ন্যাস ৩০) ধ্যান ৩১)মানস পূজা ৩২) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন ৩৩) পীঠ পূজা ৩৪) ঘট স্থাপন ৩৫) কাণ্ড রোপন ৩৬) সূত্র বেষ্টণ ৩৭) বেদি শোধন ৩৮) বিতান শোধন ৩৯) আহ্বান ৪০) পঞ্চ দেবতার পূজা ৪১)কয়েকটি দেবতার পূজা ৪২) প্রধান পূজা ৪৩) পূষ্পাঞ্জলী ৪৪) প্রণাম ।
মন্ত্র :- ১) আচমন :- ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ২) বিষ্ণু স্মরণ :- ওঁ তদ্বোবিষ্ণু পরমপদং সদা পশ্যন্তি সুরয় দ্বিবীব চক্ষুরতাতম।ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ।ওঁ অপবিত্র পবিত্র বা সর্বাবস্থাং গতহোপিবা যৎস্মরেৎ পূণডরীকাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যান্তর শুচি মাধব মাধব বাচি মাধব মাধব হৃদি সর্ব কার্যে সুমাধবম ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু । ৩) স্বত্ত্বি বাচন :- ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল ষষ্ঠান্তিতিথৌ বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পূজা কর্মানি, ওঁ পূণ্যাহম ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ পূণ্যাহম ভব্রন্তু ব্রুবন্তু ওঁ পূণ্যাহম ওঁ পূণ্যাহম ওঁ পূণ্যাহম ।ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল ষষ্ঠান্তিতিথৌ, বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পূজা কর্মানি, ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ।ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল ষষ্ঠান্তিতিথৌ, বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পুজা কর্ম্মানি, ওঁ ঋদ্ধিং ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ ঋদ্ধিং ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ ঋদ্ধতাম, ওঁ ঋদ্ধতাম, ওঁ ঋদ্ধতাম।
৪) স্বত্ত্বি সূক্ত :- ওঁ সূর্য সোম রাজনং বরুণাগ্নিম্বারভামহে, আদিত্যং বিষ্ণুং ব্রহ্মাঞ্চ বৃহস্পতিম ।ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি স্বত্ত্বি ন ইন্দ্র বৃদ্ধশ্রবা স্বত্ত্বি ন পুষ্যাবিশ্ববেদা স্বত্ত্বি নর্ত্রক্ষ্য অরিষ্ঠোনমি স্বত্ত্বি ন বৃহস্পতিবার দধাতু ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ।
৫) সাক্ষ্য মন্ত্র :- ওঁ সোমং যমং কালং সন্ধ্যা ভূতানহক্ষপা ।পবনদিকপতি ভূমিরাকশং খচরামরা ব্রাহ্মণ শাসনমাস্তায় কল্পধিহম।
৬)বরণ :- পুরোহিত বরণ ( যদি কোন গৃহস্থের বাড়িতে পূজা হয় তবে বরণ করতে হবে। )
৭) সংকল্প :- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল পক্ষে কন্যা রাশিস্থে ভাস্করে ষষ্ঠান্তিতিথি বারভ্য নবমী তিথি যাবৎ (পুজোকের গোত্র) গোত্রস্য (পুজোকের নাম) দেব শর্ম্মণ (তন্ত্র ধারকের ) গোত্র (তন্ত্র ধারকের নাম) দেব শর্ম্মণ মৎ সংকল্পকিত ( যজমানের) অমুক গোত্র (যজমানের ) অমুক নাম্নে চতুবর্গসিদ্ধি কামার্থ ষষ্ঠাং সায়াহ্ণে বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পুজা কর্ম্মানি করিষ্যামি ।
৮) সংকল্প সুক্ত :- ওঁ যজ্জাগ্রত দূরমুদৈতি দৈবং তথৈবৈতি দূরঙ্গম জ্যোতিষাং জ্যোতিরেকং তণ্মে নম শিব সংকল্প মস্তু ।ওঁ সংকল্পিতেহস্মিন সিদ্ধিরস্তু।ওঁ অয়মারম্ভ শুভায় ভবতু ।
৯) পঞ্চ গব্য শোধন :- ( পাঁচটি বস্তুতে পাঁচ রকম মন্ত্র আছে, কিন্তু অনেক পাঁচটি বস্তু মিশিয়ে গায়ত্রী পাঠ করে শুদ্ধ করে নেন।)
১০) অধিবাস :- মন্ত্রে :-(অধিবাস ষষ্ঠী পূজার পরে করতে হবে।)
১১)সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন :- আসনের দক্ষিণ দিকে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে পুষ্প দিয়ে পুজা করতে হবে। মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নম: । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নম : ।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নম :। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ পৃথিব্যৈ নম :। " ওঁ ফট" মন্ত্রে কোশা মণ্ডলের উপর রেখে " ওঁ হ্রীং" মন্ত্রে জল পূর্ণ করে কোশার উপর দিকে এই তিনটি মন্ত্রে ফুল দিয়ে পূজা করতে হবে। ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নম। ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নম ।ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নম। এবার জলে হাত দিয়ে অঙ্কুশ মুদ্রায় জল শুদ্ধি, ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতী নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্নিদ্ধিং কুরু ।
১২)দ্বার পূজা :- ওঁ ফট দ্বার দেশ জল ছিটিয়ে আহবান করতে হবে। ওঁ দ্বার দেবতা গন ইহগচ্ছ ইহগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব । এষো গন্ধ ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম।এতৎ পুষ্পম ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম ।এষো ধূপ ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম ।এষো দীপ ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম ।এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম ।( এতো গেল সংক্ষেপে দ্বার পুজো)
যদি সব টা করতে চান তবে প্রতিটি দ্বার দেবতা কে ঐ পাঁচ রকম উৎসর্গ করতে হবে। দ্বার দেবগন :- ওঁ গাং গনেশায় নম, ওঁ মহালক্ষ্মীয়ৈ নম, ওঁ মাতৃকা সরস্বতৈ নম, ওঁ ক্ষেত্রপালৈ নম, ওঁ অস্ত্রায় নম, এই পাঁচ জন কে ঐ পাঁচ রকম মন্ত্রে পঁচিশ বার)
১৩) বিঘ্ন অপসারণ :- ওঁ ফট মন্ত্রে তুড়ি ও বাম পায়ের গোরালি দিয়ে ভুমিতে আঘাত করতে হবে ।
১৪) মাস ভক্ত বলি :- (মাটির খুরি, বা কলা পাতা বা কাঁঠাল পাতা দধি, আতপ চাল, ফুল ফল ) বং এতেস্মৈ মাসভক্ত বলয়ে নম । ( তিন বার) জলের ছিটা দিতে হবে।) ভুত দ্বয়ের আহ্বান :- ওঁ ভুতাদ্বয় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ অত্র অধিষ্ঠান করত মম পূজা গৃহ্নিত। এবার একটা ফুল বেল পাতা দূর্বা নিয়ে এতে গন্ধ পুষ্প বিল্বপত্র এত অধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ ।এতৎ সম্প্রদানেভ্য ভুতা দ্বয় নমঃ । এবার হাত জোর করে বলতে হবে। ওঁ ভুত পেত পিশ্চাস যে বসন্ত্র ভুতলে তে গৃহন্ত ময়া দত্ত বলিরেষ প্রসাধিতা। পুজিতা গন্ধ পুষ্প দৈবির্লি তর্পিতুস্তা দেশস্মাৎ বিনিস্মৃৎ পুজাং পশ্যন্তু মৎকৃতাম । কুশি করে জল নিয়ে ওর উপর দিতে হবে ওঁ ভুত দ্বয় ক্ষমধমঃ । এবার আতপ চাল বা সাদা সরিষা নিয়ে ছড়াতে ছড়াতে ওঁ অপসর্পন্তু তে ভুতা প্রেতা ভুত নাম বিরোধন দুর্গাপুজা করমমহ। বেতালাশ্চ পিশ্চাস রাক্ষসাশ্চ সরীসৃপা অপসর্পন্তু তে সর্বে চণ্ডি কাস্ত্রেন তাড়িতা ।
১৫) আসন শুদ্ধি :- পুরোহিত যে আসনে বসে পুজো করবেন তার নীচে নিজের সামনে গঙ্গা জল দিয়ে একটি চৌ কোন এবং তার ভিতরে একটা ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে সেখানে ফুল দিয়ে পুজো করতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনয়ে নমঃ । ওঁ হ্রীং কুর্ম্মায় কমলাসনয়ে নমঃ । ওঁ হ্রীং অনন্তায় কমলাসনয়ে নমঃ ।ওঁ হ্রীং পৃথিবৈ কমলাসনয়ে নমঃ ।
এবার আসন পর্শ্ব করে :- ওঁ অস্য আসন উপবেসন মন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষি সুতলুং ছন্দ কুর্ম্ম দেবতা অসন উপবেসনে বিনিয়োগ। ওঁ ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবী ত্বং বিষ্ণু না ধৃতা ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরুচাসনম । এবার গুরু পঙতি পাঠ :- হাত জোর করে বাঁ দিকে :- গুরুভ্য নমঃ, পরম গুরুভ্য নমঃ। পরাপর গুরুভ্য নম, পরমেষ্ঠী গুরুভ্য নম। ডান দিকে :- ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । সণ্মুখে :- ওঁ শ্রী শ্রী ভগবতী বিল্ব শাখা বসিনী দুর্গায়ৈ নমঃ। উর্দ্ধে :- ব্রহ্মণে নমঃ । পশ্চাতে :- ওঁ ক্ষেত্র পালায় নমঃ।
১৬) পুষ্প শুদ্ধি :- নাচার মুদ্রায় (বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও মধ্যমা দিয়ে ) ফুল পর্শ্ব করে :- ওঁ পুষ্পকেতু রাজা হর্তে শতেয় সম্যক হুং। পুষ্পে পুষ্পে সুপুষ্পে মহাপুষ্পে পুষ্প চয়াবকীর্ণে চ হুং ফট স্বাহা ।
কর শুদ্ধি :একটি রক্ত পুষ্প বা লাল ফুল বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ এবং বাকি অঙ্গুলির অগ্র ভাগ দিয়ে "ওঁ হেঁসৌ" বলে ঈশান কোনে ছুঁড়ে দিতে হবে।
১৭) সংক্ষেপে ভুত শুদ্ধি : - কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জল ছিটে দিয়ে নিজের চারিদিকে বহ্নি মণ্ডল কল্পনা করে নিতে হবে। এবার এই চারটি মন্ত্র পড়লে সংক্ষেপে ভুত শুদ্ধি হবে। (১) ওঁ মুলা শৃঙ্গারঠ চ্ছির সুষমন্না পথেন জীবং শিবং পরম শিব পদে যোযয়ামি স্বাহা ।(২) ওঁ যং সংকোচং শরীরং দহ দহ স্বাহা ।(৩) ওঁ রং লিঙ্গং শরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা । (৪) ওঁ পরম শিব পদে সুষমন্না পথেন মূলশৃঙ্গাঠ মূল্য সোল্লস প্রজ্বল প্রজ্বল জ্বল জ্বল স্বাহা ।
আমার জ্ঞান সীমিত তবুও বলছি এই ন্যাস গুলো সব করতে হয় যেখানে ঘট বসানো হবে সেই মণ্ডলের উপর ঘটের এবং ডাবের উপর যে মানুষের মুর্তি আঁকতে হয় ঐ মূর্তি শুকনো সিন্দুর দিয়ে ঐ সর্বতো ভদ্র মণ্ডল বা অষ্ট দল পদ্ম অঙ্কিত মণ্ডলের উপর এঁকে সেখানে ন্যাসে উল্লেখিত (ঐ মূর্তির) বিভিন্ন জায়গা পর্শ্ব করে ন্যাস করতে হয়, এতে ঐ স্থান টি পবিত্র হয় বা পীঠ স্থানে পরিণত হয়। অনেকেই আছেন কাজের সুবিধার জন্য গিয়েই কাদার তাল নিয়ে ঘট বসিয়ে দিয়ে পুজো শুরু করেন। আমার জানা জ্ঞান সীমিত সেখান থেকে এটি বললাম কোন পণ্ডিত যদি পড়েন তাহলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন।
১৮) মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ অস্য মাতৃকা মন্ত্রস্য ব্রহ্ম ঋষি গায়ত্রী ছন্দ, মাতৃকা সরস্বতী হলো দেবতা বীজানি স্বর শক্তয়ে মাতৃকা ন্যাসে বিনিয়োগঃ ।
ওঁ ব্রহ্মণে ঋষয়ে নমঃ।(শির) ওঁ গায়ত্রী ছন্দসে নমঃ ( হৃদয়) ওঁ স্বরেভ্য শক্তেভ্য নমঃ ( মুখে) ওঁ হলেভ্য বীজেভ্য নমঃ ( মূলাধারে) ওঁ অবক্ত ক্লীকায় নমঃ( সর্বাঙ্গে)
দুর্গা পুজোয় এখানে একবার করন্যাস ও অঙ্গ ন্যাস করতে হবে। এই কর ন্যাস ও অঙ্গ ন্যাস সংক্ষেপে এভাবে বলা চলে। আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নম, ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা ইত্যাদি
১৯) কর ন্যাস :- ওঁ অং কং খং গং ঘং ঙং আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ । ওঁ ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা । ওঁ উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং মধ্যমাভ্যাং বষট ।ওঁ এং তং থং দং ধং নং ঐং অনামিকাভ্যাং হুং। ওং পং ফং বং ভং মং ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট । ওঁ অং যং রং লং বং শং সং হং ক্ষং অঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট ।
২০) অঙ্গ ন্যাস :- ওঁ অং কং খং গং ঘং ঙং আং হৃদয়ায় নমঃ । ওঁ ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং শিরসে স্বাহা ।ওঁ উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং শিখায় বষট ।ওঁ এং তং থং দং ধং নং ঐং কবচায় হুং। ওঁ ওং পং ফং বং ভং মং ঔং নেত্রায় বৌষট । ওঁ অং যং রং লং বং ষং শং সং হং ক্ষং অঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট ।
২১) অন্তর মাতৃকান্যাস :- ধ্যান :- ওঁ আঁধারে লিঙ্গ নাভৌ হৃদয়ে সরসিজে তালুমূলে ললাটে দৈপত্রে ষোঢ়শাঢ়ে দ্বিদশ দশদলে দ্বাদশার্থে চতুস্কে বালমধ্যে বাসান্তে ড-ফ ক-ঠ সহিতে কণ্ঠদেশে স্মরণাং হং - ক্ষং তথার্থ যুক্তং সকল দলগত বর্ণ রূপং নমামি। অং আং ইং ঈং উং ঊং এং ঐং ওং ঔং অং অঃ ইতি কণ্ঠে। কং খং গং ঘং চং ছং জং ঝং ঞং টং ঠং ইতি হৃদয়ে। ডং ঢং ণং তং থং দং ধং নং পং ফং ইতি নাভৌ বং ভং মং যং রং লং ইতি লিঙ্গমূলে বং ষং শং সং ইতি মূলাধারে হং ক্ষং ইতি ভ্রূ মধ্যে।
২২) বাহ্য মাতৃকান্যাস :- ধ্যান :- ওঁ পঞ্চাশলি পির্ভিবি ভক্ত মোক্ষদা পন্নমধ্য বক্ষ স্থলাং ভাস্ব মৌলি চন্দ্র শ কলা মাপীন তুঙ্গে স্তানীম। মুদ্রা মোক্ষ গুনং সুধাঢ্য কলসং বিদ্যাঞ্চ হস্তা অম্বুজ বিবর্ণ ভাং বিশদ প্রভাং ত্রিনয়নাং বাগ দেবতা মাশ্রয়ে। অং নমঃ ( ললাটে) আং নমঃ (মুখবৃত্তে) ইং ঈং নমঃ ( চক্ষু) উং ঊং নমঃ ( কর্ণ) ঋং ঋং নমঃ ( নাসা) ৯ং ৯ং নমঃ ( গণ্ড ) এং নমঃ ( ওষ্ঠ) ঐং নমঃ ( অধর) ওং নমঃ ( ঊর্ধ্ব দন্ত পঙতি) ঔং নমঃ ( অধঃ দন্ত পঙতি) অং নমঃ ( মস্তক) অঃ নমঃ ( মুখে ) কং নমঃ ( দক্ষিণ বাহু মূলে) খং নমঃ ( কর্পূরে অর্থাৎ কনুই ) গং নমঃ ( মনি বন্ধে) ঘং নমঃ (অঙ্গুলি মূলে) ঙং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) চং নমঃ ( বাম বাহু মূলে) ছং নমঃ ( কর্পূরে) জং নমঃ ( মনি বন্ধে) ঝং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) ঞং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) টং নমঃ (বাম পদ মূলে) ঠং নমঃ ( জানুনি) ডং নমঃ ( গুল্ফে অর্থাৎ গোড়ালি ) ঢং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) ণং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে ) তং নমঃ ( ডান পদ মূলে) থং নমঃ ( জানুনি) দং নমঃ ( গুল্ফে) ধং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) নং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) পং নমঃ (দক্ষিণ পার্শ্বে) ফং নমঃ ( বাম পার্শ্বে) বং নমঃ (পৃষ্ঠ ) ভং নমঃ ( নাভৌ ) মং নমঃ ( উদর) যং নমঃ ( হৃদি) রং নমঃ ( দক্ষিণ স্কন্ধে) লং নমঃ ( কোকুদি অর্থাৎ বগল) বং নমঃ ( বাম স্কন্ধে) ষং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ বাহু) শং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম বাহু) সং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ পাদে ) হং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম পাদে) লং নমঃ ( হৃদয় দুযারে) ক্ষং নমঃ ( হৃদয় মুখে)
২৩) সংহার মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ অক্ষস্র জং হরিণপোত মৃদঙ্গ টঙ্ক বিদ্যাং করৈর বিরতং দধতীং অর্দ্ধেন্দু মৌলি মরুণা রবীন্দ্রবাসনাং বর্ণেশ্বরীং প্রণমত স্তনভার নম্রাং ।
ক্ষং নমঃ ( হৃদয় মুখে) লং নমঃ ( হৃদয় দুযারে) হং নমঃ (হৃদয়াদি বাম পাদ) সং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ পাদ) শং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম বাহু) ষং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ বাহু) বং নমঃ ( বাম স্কন্ধে) লং নমঃ ( কোকুদি) রং নমঃ ( দক্ষিণ স্কন্ধে) যং নমঃ ( হৃদি) মং নমঃ ( উদর) ভং নমঃ ( নাভৌ) বং নমঃ ( পৃষ্ঠ ) ফং নমঃ ( বাম পার্শ্বে ) পং নমঃ ( দক্ষিণ পার্শ্বে ) নং নমঃ ( বাম পদ অঙ্গুলি অগ্রে) ধং নমঃ ( বাম পদ অঙ্গুলি মূলে ) দং নমঃ (বাম পদ গুল্ফে ) থং নমঃ ( বাম পদ জানুনি) তং নমঃ ( বাম পদ মূলে) ণং নমঃ ( দক্ষিণ পদ অঙ্গুলি অগ্রে) ঢং নমঃ ( ছদক্ষিণ পদ অঙ্গুলি মূলে) ডং নমঃ ( দক্ষিণ পদ গুল্ফে অর্থাৎ গোড়ালি তে) ঠং নমঃ ( জানু) টং নমঃ ( দক্ষিণ পদ শুরু তে) ঞং নমঃ ( বাম হস্তের অঙ্গুলি অগ্রে) ঝং নমঃ ( বাম হস্তের অঙ্গুলি মূলে) জং নমঃ ( বাম হস্তের মনি বন্ধে) ছং নমঃ ( বাম হস্তের কনুই) চং নমঃ ( বামবাহু মূল ) ঙং নমঃ ( দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুলি অগ্রে) ঘং নমঃ ( দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুলি মূলে) গং নমঃ ( দক্ষিণ হস্তের মনি বন্ধ) খং নমঃ ( দক্ষিণ হস্তের কর্পূরে) কং নমঃ ( দক্ষিণ বাহু মূলে) অঃ নমঃ ( মুখে) অং নমঃ ( মস্তকে) ঔং নমঃ ( অধঃ দন্ত পঙতি) ওং নমঃ ( ঊর্ধ্ব দন্ত পঙতি) ঐং নমঃ ( অধর) এং নমঃ ( ওষ্ঠ) ৯ং ৯ং নমঃ (গণ্ড) ঋং ঋং নমঃ ( নাসা) উং ঊং নমঃ ( কর্ণ) ইং ঈং নমঃ ( চক্ষু) আং নমঃ ( মুখ বৃত্ত) অং নমঃ ( লালাটে)
২৪) প্রাণায়াম :- ওঁ হ্রীং এই বীজ মন্ত্র প্রাণায়াম করতে হবে। চৌঁষট্টি বার করতে হবে অশক্তের পক্ষে আট বার বার ষোল বার, করলেও চলে,।
২৫) পীঠ ন্যাস :- এতখন যেখানে এই ন্যাস সেই অঙ্কিত সর্বতোভদ্র মণ্ডল বা অষ্টদল পদ্ম আঁকা স্থান যেখানে ঘট বসাতে হবে ঐ স্থানে এই পিঠ ন্যাস, করতে হবে। একটি রক্ত পুষ্প বা শিউলি ফুল নিয়ে ঐ মণ্ডলের উপর অঙ্কিত মূর্তির বিভিন্ন অংশ পর্শ্ব করে মন্ত্র বলতে হবে।
ওঁ আধার শক্তেয় নমঃ ।ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ ।ওঁ অনন্তায় নমঃ ।ওঁ পৃথিবৈ নমঃ । ওঁ ক্ষীরসমুদ্রায় নমঃ ।ওঁ শ্বেতদ্বীপায় নমঃ। ওঁ কল্প বৃক্ষায় নমঃ ।ওঁ মনি মণ্ডপায় নমঃ । ওঁ মনিবেদিকায় নমঃ ।ওঁ রত্ন সিংহসনায় নমঃ। ( দক্ষিণ স্কন্ধে) ওঁ ধর্মায় নমঃ । (বাম স্কন্ধে) ওঁ জ্ঞানায় নমঃ ( দক্ষিণ পার্শ্বে) ওঁ বৈরাগ্যায় নমঃ ( বাম পার্শ্বে) ওঁ ঐশ্বর্যায় নমঃ (দক্ষিণ উরুমূলে) ওঁ অধর্মায় নমঃ ( বাম উরু মূলে) ওঁ অজ্ঞানায় নমঃ (দক্ষিণ বাহু মূলে) ।ওঁ অবৈরাগ্যায় নমঃ ( বাম বাহু মূলে) ওঁ অনা ঐশ্বর্যায় নমঃ ( নাভৌ) ওঁ অনন্তায় নমঃ, ওঁ পদ্মায় নমঃ, ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নমঃ, ওঁ ঊং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নমঃ । ওঁ মং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নমঃ। সং সত্ত্বায় নমঃ, রং রজসে নমঃ, তং তমসে নমঃ, আং আত্মেন নমঃ। অং অন্তর আত্মেন নমঃ। পং পরম আত্মনে নমঃ। হ্রীং জ্ঞান আত্মনে নমঃ। (হৃৎ পদ্মে ) আং প্রভায়ৈ নমঃ ।ঈং মায়ায়ৈ নমঃ। উং জয়ায়ৈ নমঃ । এং সুক্ষ্মায়ৈ নমঃ।ঐং বিশুদ্ধায়ৈ নমঃ । ওঁ নন্দিনৈ নমঃ ।ঔং সুপ্রভায়ৈ নমঃ ।অং বিজায়ৈ নমঃ । অঃ সর্ব সিদ্ধিদায়ৈ নমঃ । (মধ্যে) ওঁ বজ্র দ্রংষ্টাধুয়ায় মহা সিংহায় হুং ফট নমঃ । (তদুপরি)
২৬) কর ন্যাস :- ওঁ হ্রাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ । ওঁ হ্রীং তর্জনি ভ্যাং স্বাহা । ওঁ হ্রূং মধ্যমা ভ্যাং বষট । ওঁ হ্রৈং অনামিকা ভ্যাং হুং। ওঁ হ্রৌং কনিষ্ঠা ভ্যাং বৌষট । ওঁ হ্রঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট ।
২৭) অঙ্গ ন্যাস :- ওঁ হ্রাং হৃদয়ায় নমঃ । ওঁ হ্রীং শিরসে স্বাহা । ওঁ হ্রূং শিখায় বষট । ওঁ হ্রৈং কবচায় হুং । ওঁ হ্রৌং নেত্রায় বৌষট । ওঁ হ্রঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট ।
২৮) ব্যাপক ন্যাস :- আগে নিজ বক্ষের কাছে দুই হাত জোর করে এবার দুই বাহু প্রসারিত করতে করতে ওঁ হ্রীং মন্ত্র সব থেকে কম তিন বার করতে হবে।
২৯) ঋষ্যাদি ন্যাস :- ওঁ শ্রী শ্রী ভগবতী দুর্গা মন্ত্রস্য নারদঋষি গায়ত্রী ছন্দ, কালিকা পূরান অন্তর্ভুক্ত বার্ষিক শরৎ কালীন দুর্গা মহাপুজা পুজক কর্ম করিষ্যামি । ওঁ নারদা ঋষয়ে নমঃ । ওঁ গায়ত্রী ছন্দসে নমঃ ।ওঁ শ্রী শ্রী ভগবতী দুর্গা দেবৈ নমঃ ।
৩০) ধ্যান : - ওঁ জটাজুটো সমাযুক্ত মর্দেন্দুকৃত শেখরাম ।লোচন ত্রয় সংযুক্তাং পূর্ণেন্দু সদৃশ ননাম। অতসী পুষ্প বর্ণাভ্যাং সুপ্রতিষ্ঠাং সুলোচনাম । নব যৌবন সম্পান্নাং সর্ব আভরণ ভুষিতাম । সুচারু দশনাং তদ্বদ পৃন্নোত পয়ধরম। মৃনালত্রয় সংস্পর্শ দশ বাহু সমন্বিতাম। ত্রিশূল দক্ষিণে পানৌ খড়্গং চক্রং ক্রমাদ্বধ। খেটক, পূর্ণ চাপঞ্চ পাশাঙ্কুশ মেব চ । ঘন্টাং বা পরশু বাপি বামেত সন্নিবেশয়েত। অধঃস্তাম্মহিষং তদ্বোদ্বিব শিরস্কং প্রদর্শয়েৎ । শিরচ্ছেদভবং তদ্বদ্দানবং খড়্গ পানিনীম । হৃদি শূলেন নির্ভিন্নং নির্যদন্ত বিভুষিতম ।রক্তারক্তি কৃতজ্ঞশ্চ রক্ত বিস্ফোরিত ক্ষণম। বেষ্ঠিত নাগপাশনম ভ্রুকুটি ভীষাননম। স্ব পাশ বাম হস্তেন ধৃত কেশঞ্চ দুর্গায়া। ব্রম রুধির ব্রক্তং চ দেব্যা সিংহ প্রদর্শয়েৎ। দেবাস্তু দক্ষিণ পাদং সমং সিংহ উপরিস্থিতম। কিঞ্চি দুদ্দর্ধং বামাঙ্গুষ্ঠ মহিষপরি । শত্রু ক্ষয়করনীং দেবি দৈত্য দানব দর্পাহাম। প্রসন্ন বদং দেবী সর্বকাম ফল প্রদাম। স্তুয়মানঞ্চ তদরূপ মমরৈ সন্নিবেশয়েত । উগ্রচণ্ডা প্রচণ্ডা চ চণ্ডাগ্রা চণ্ডনায়িকা ।চণ্ডা চণ্ডারূপাতি চণ্ডিকা ।আভি শক্তি ভীরিষ্ঠা ভি সতত পরিবেষ্ঠয়েৎ ।চিন্তেয় জগতং ধাত্রীং ধর্ম কামার্থ মোক্ষদাম ।
৩১) মানস পুজা :- মনে মনে নিজেকে গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য রূপে মায়ের চরণে নিবেদন করা।
৩২) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন :- ( মাটিতে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে তার উপর ত্রিপাদিকা বসিয়ে পুজো করতে হবে।) মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথ্বীবৈ নমঃ । ( এবার জল শঙ্খ ঐ ত্রিপাদিকার উপর রেখে বিলোম মাতৃকান্যাস করতে হবে।) ক্ষং, হং, লং, সং, শং, ষং,বং লং, রং যং মং ভং বং ফং পং নং ধং দং থং তং ণং ঢং ডং ঠং টং ঞং ঝং জং ছং চং ঙং ঘং গং খং কং অং অঃ ঔং ওং ঐং এং ৯ং ৯ং ঋং ঋং ঊং উং ঈং ইং আং অং। ( জল পূর্ণ করে জলে অঙ্কুশ মুদ্রায় মন্ত্র পাঠ করে দেবেন।) মন্ত্র :- ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব্য গোদাবরি নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্নিন্ধিং কুরু । ( এবার জল শঙ্খের উপর অর্ঘ্য রেখে, ফুল দিয়ে পুজো করতে হবে এবং শেষ ঐ জলের একটু কোশা কুশি তে নিতে হবে।) মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মনে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মনে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মনে নমঃ।
৩৩) বেদী শোধন :- ওঁ বেদ্যা বেদী সমপ্যতে যুপেন যুপ আপ্যায়তং প্রনেতর্হগ্নিনা না।
৩৪) বিতান শোধন :- ঊর্ধ্ব ন উতয়ে দেবতা সবিতা, সঙ্গত বাজস্য।
৩৫) পীঠ পুজা :- ( ঘট বসানোর স্থান টিকে পুজো করতে হবে। অর্থাৎ দেবীর সামনে অষ্ট দল পদ্ম আঁকা স্থানে) মন্ত্র :- বং এতেস্মৈ মণ্ডলায় নমঃ । আহ্বান :- ওঁ পীঠ দেবতা গন ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথ্বীবৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ক্ষীরা সমুদ্রায় নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ শ্বেতদীপায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কল্প বৃক্ষায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মনিবেদিকায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মনি মণ্ডপায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ রত্ন সিংহাসনায় নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ধর্ম্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ জ্ঞানায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বৈরাগ্যায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঐশ্বর্যায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অধর্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অজ্ঞানায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অবৈরাগ্যায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনাশ্বৈর্যায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মনে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মনে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মনে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পদ্মায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ সং সত্ত্বায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ রং রজসে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ তং তমসে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আং আত্মনে নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অন্তর আত্মেন নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পং পরম আত্মেন নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং জ্ঞান আত্মেন নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঈং মায়ায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আং প্রভায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং জয়ায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ এং সুক্ষ্মায়ৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঐং বিশুদ্ধায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ওং নন্দিনৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঔং সুপ্রভায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং বিজয়ায়ৈ নমঃ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অঃ সর্ব্ব সিদ্ধিদায়ৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বজ্র নখাদ্রষ্টায়ুধায় মহাসিংহায় হুং ফট নমঃ ।
৩৬) ঘট স্থাপন :- কাদা মাটির তাল নিয়ে, মন্ত্র :- ওঁ মহীত্রান বরস্তু দুক্ষং মিত্র সার্যমন। দূরা ধর্ষ বরুণস্য। ধান বা পঞ্চ শষ্য ছড়িয়ে দিতে দিতে মন্ত্র :- ওঁ ধানবন্ত করমনিভ মপূ পবনত মূকথিনম ।ইন্দ্র প্রাতুতযস্য ন। কলস বা ঘট নিয়ে কাদার তালের মধ্যে বসাতে বসাতে, মন্ত্র :- ওঁ আবিসন কলসং সুত বিশ্ব অর্ষন ধীয়তে । ইন্দুরিন্দ্রিয়ায় ধীয়তে । জল দিতে দিতে মন্ত্র :- ওঁ আ ন মিত্র বরুণা ঘৃতৈগব্যুতি মুক্ষত, মধ্যবা রজংসি সক্রতু। পঞ্চ পল্লব দেওয়ার মন্ত্র :- ওঁ অয়া মুর্জাবত বৃক্ষং উর্জীব ফলানি ভব পণং বনস্পতে নূত্ত্বা নূত্ত্বা চ সুয়তাং রয়ি । ডাব বা ফল দিয়ে মন্ত্র :- ওঁ ইন্দ্র নরনেমেধিতা হব্যং যৎপর্যা যুনজতে ধীয়স্তে শূর নৃশংসতা শ্রবচা কাম আ গোমতি ব্রজে ভজা ত্বং । সিন্দুর স্পর্শ করে :- ওঁ পতন্মুক্ষং হিরণ্যপাব পশমপশু গৃভনতে । বস্ত্র বা গামছা দিয়ে বা স্পর্শ করে :- ওঁ যুবা সুবাসা পরিবিত আগতা স উ শেয়ান ভাবতি জায়মান তবয় কবয়া উন্নয়তি সাধ্যে মনসা দেবয়ন্ত । ফুল দিয়ে :- পবন মান বশ্নুরশ্মি ভির্ভজসাতম দধস্তোত্রে সুবীর্যম । স্থির করণ :- স্থাং স্থিং স্থির ভব, প্রণেতস্মসি স্থার্ত হরীনাম। স্থাং স্থিং স্থির ভব । সর্ব তীর্থোদ্ভবং বারি সর্ব দেব সমন্বিতে ইমং ঘট সম্যারূহ্য তিষ্ঠ দেবি গনৈ সহ।
কাণ্ড রোপন :- ওঁ কাণ্ডাৎ কাণ্ডাৎ প্রহরোন্তি পুরুষ পুরুষোপরি ।এবেন দূর্বেন প্রতেনু সহস্রেন শতেন চ ।
সূত্র বেষ্ঠন :- ওঁ সুত্রাং পৃথিবীং দ্যামনেহসং সুশর্মান সুপ্রনীতীং ।সরিত্রামনাগম মা রুহেমা সস্ত্রয়ে ।
বেদি শোধন :- ( পঞ্চ গব্য ছিটিয়ে) বেদ্যা বেদী সমপ্যতে যুপেন যুপ আপ্যায়তং প্রনেতর্হগ্নিনা ।
বিতান I'll :উপরে যে চাঁদোয়া থাকে সেটা কে শোধন করা। ঊর্দ্ধ ঊ ষু ণ উতয়ে তিষ্ঠা দেবো ন সবিতা। ঊর্দ্ধ বাজস্য সবিতা যথাঞ্জভির্বাঘদ্ভিহ্বমহে।
ধ্যান করে আহ্বান করতে হবে। এই ধ্যান হবে বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গার।
ধ্যান :- ওঁ চতুর্ভুজং বিল্ব বৃক্ষং রজতাভং বৃষস্থিতম । নানালঙ্কার সংযুক্তাং জটা মণ্ডল ধারিনীম। বরাভয় করং দেবং খড়্গ খটাঙ্গ ধারিনীম। ব্যাঘ্র চর্ম্বারধরং শশী মৌলি ত্রিলোচনাম। এর পর আহ্বান করতে হবে ।
আহ্বান :- ওঁ ভূর্বস্ব ভগবতী বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা দেবৈ ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত । ওঁ দেবেশি ভক্তি সুলভে পরিবার সমন্বিতে যাবৎ পূজিয়াস্মি তাবৎ সুস্থিরাভব ।
( যেহেতু বিল্ব শাখায় পুজা সে কারণেই চক্ষুদান হবে না, তবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনেকে ঘটে করে দেন। এখানে প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হবে না।) এবার পঞ্চ দেবতার পূজা করতে হবে।
গনেশ পুজো :- ওঁ খর্ব্বং স্থুল তনুং গজেন্দ্র বদং লম্বোদরং ।প্রসন্দম মদ গন্ধ লুব্ধ মধূপ ব্যালল গণ্ডোস্থলম। দন্তা ঘাত বিদারি তারি রুধরৈ সিন্দুর শোভাকরম। বন্দে শৈল্য সূতা সুতং গনপতিং সিদ্ধি প্রদং কামদম ।
আহ্বান :- ওঁ ভুর্বস্ব স্বর্ণ গনপতে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
পুজো :- ( পঞ্চ উপাচার) গন্ধ :- ( চন্দন, অগরু, এর মধ্যে একটি) সংক্ষেপে এই মন্ত্রে :- এষো গন্ধ ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । পুষ্প :- এতৎ পুষ্পম ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । ধূপ :- এষো ধূপ ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । দীপ :- এষো দীপ ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । নৈবিদ্য :- এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ গাং গনেশায় নমঃ ।
প্রণাম :- ওঁ এক দন্তং লম্বোদরং গজাননম। বিঘ্ন নাশ করং দেবং হেরম্বং প্রণমমহম । অথবা :- ওঁ দেবেন্দ্র মৌলি মন্দার মকারন্দ কণারূণা। বিঘ্ন হরন্তু দেব হেরম্বং চরণাম্বুজ রেণব ।
সূর্য পুজা :- ধ্যান ( প্রতিটি ধ্যান কুর্ম্ম মুদ্রায় করতে হবে।) ওঁ রক্তাম্বুজা শনম শেষ গুনারকৈ সিন্ধু ভানুং। সমস্তা জগৎ মধিপ ভজামি পদ্ম দয় ভয় বরাণ দধাতং ।করাব্জৈ মাণিক্য মৌলি মরুরাঙ্গ রুচিম ত্রিনেত্রাম।
আহ্বান :- ওঁ শ্রী সূর্যায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এষো গন্ধ ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ । এতৎ পুষ্প ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ । এতৎ ধূপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম । এষো দীপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ শ্রী সূর্যায় নম ।
প্রণাম :- ওঁ জবা কুসুমং সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম, ধন্বতারিং সর্ব পাপঘ্নম। প্রণতস্মিস্থাতর দিবাকরম ।
বিষ্ণু পুজা :- ওঁ ধ্যায়ো সদা সবিত্র মণ্ডল মধ্যবর্তী নারায়ণ সরসিজাসন সন্নিবেসষ্ঠিত। কেয়ূরবান কণক কুণ্ডলবান কিরীটি হারি হিরণ্ময় বপু ধৃত শঙ্খ চক্র।
আহ্বান :- ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো ।
এষো গন্ধ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এতৎ পুষ্প ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এষো ধূপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এষো দীপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম ।
প্রণাম :- ওঁ নমহ ব্রহ্মণ দেবায় গো ব্রহ্মণ হিতায়চ জগতধৃতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দয় নম নমহ ।
শিব পুজা :- ওঁ ধ্যায়ে নিত্যং মহেশং রজতগিরি নিভং চারু চন্দ্র বতং সং রত্ন কল্পো উজ্জ্বলাঙ্গ পরুশু মৃগ বরা ভীতি হস্তম প্রসন্নম ।পদ্মাসীং সমস্তাৎ স্তুতম মরগৈনক ব্যাঘ্র কৃত্তি বসনাং বিশ্ব দ্যাং বিশ্ব বীজং নিখিল ভয় হরং পঞ্চ ব্রক্তং ত্রিনেত্রাম ।
আহ্বান :- ওঁ নম শিবায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এষো গন্ধ ওঁ নম শিবায় নম । এতৎ পুষ্প ওঁ নম শিবায় নম । এষো ধূপ ওঁ নম শিবায় নম । এষো দীপ ওঁ নম শিবায় নম ।এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ নম শিবায় নম ।
প্রণাম :- ওঁ নম শিবায় শান্তায় কারণ ত্রয় হেতবে। নিবেদয়ামি চাত্মামাং ত্বং গতি পরমেশ্বর ।
জয় দুর্গা পুজো :- ওঁ কালার্ভাভ্যাং কটারক্ষৈরি কুলোভয়দ্যাং মৌলি বধেন্দুরেখাং ।শঙ্খ চক্র কৃপাণ ত্রিশিখ মপি করৈরূধ্ব হন্তীং ত্রিনেত্রাম । সিংহ স্কন্ধাধিরূরাং ত্রিভুবন মখিলাং তেজস পূরোয়ন্তিং ।ধ্যয়ে দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশ পরিবৃতাং, সেবিতাং সিদ্ধি কামৈ।
আহ্বান :- ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এষো গন্ধ ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ নম । এতৎ পুষ্প ওঁ হ্রীং ওঁ জয় দুর্গায়ৈ নম । এষো ধূপ ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ নম ।এষো দীপ ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ নম ।
প্রণাম :- ওঁ সর্ব মঙ্গল মঙ্গলে শিবে সর্বাত সাধিকে। স্মরণে ত্রম্ব্যকে গৌরি নারায়ণী নমহস্তুতে ।
এবার ধ্যান করে প্রধান পুজা :- কুর্ম্ম মুদ্রায় ফুল নিয়ে বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গার ধ্যান :- ওঁ চতুর্ভুজং বিল্ব বৃক্ষং রজতাভং বৃষস্থিতম । নানালঙ্কারসংযুক্তাং জটা মণ্ডল ধারিনীম। বরাভয় করং দেবং খড়্গ খটাঙ্গ ধারীণিম । ব্যাঘ্র চর্মাম্বরধরং শশী মৌলি ত্রিলোচনম।
এবার পঞ্চ বা দশম উপাচারে বা ষোঢ়শ উপাচারে পুজা করতে হবে ।
পঞ্চ উপাচারে ১) গন্ধ ২) পুষ্প ৩) ধূপ ৪) দীপ ৫) নৈবেদ্য, দশম উপাচার ১) রজতাসন ২) পাদ্য ৩) অর্ঘ্য ৪) স্নানীয় ৫) বস্ত্র ৬) গন্ধ ৭) পুষ্প ৮) ধূপ ৯) দীপ ১০) নৈবেদ্য ।
ষোল উপাচার ১) রজতাসন ২) স্বাগত ৩) পাদ্য ৪) অর্ঘ্য ৫) মধুপর্ক ৬) আচমনীয় ৭) পুন আচমনীয় ৮) স্নানীয় ৯) বস্ত্র ১০) অলঙ্কার ( শাঁখা, নোয়া, কড়) ১১) গন্ধ ১২) পুষ্প ১৩) ধূপ ১৪) দীপ ১৫) নৈবেদ্য ১৬) পুষ্প মাল্য বা তাম্বুল ( পান সুপারি) এখানে এগুলো আগে সম্প্রদান করে নিতে হবে। মন্ত্র :- বং এতেস্মৈ রজতাসনায় নম। ( তিন বার কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জলের ছিটা) একটি ফুল আসনের উপর দিয়ে, এত অধিপতয়ে দেবায় শ্রী বিষ্ণবে নম ।এতৎ সম্প্রদানায় ওঁ বিল্ব শাখা বাসিনি দুর্গায়ৈ নম। এতৎ রজতাসনায় ওঁ বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গায়ৈ নম। এই ভাবে প্রতিটি জিনিস বা দ্রব্য নিবেদন করতে হবে।
এখানে একটি কথা বলি এর পর অধিবাস করতে হবে। যদি কেউ পঞ্চমিতে কল্পরাম্ভ করেন তিনি ষষ্ঠীর সকালে দুর্গা ষষ্ঠীর পুজো করে সন্ধ্যায় অধিবাস করবেন। সব এক কেবল স্বত্তি বাচনে বলতে হবে অধিবাস কর্মানি, আর সংকল্প তে বলতে হবে অধিবাস কর্মানি করিষ্যামি ।
আর যিনি ষষ্ঠীর দিন অধিবাস করবেন তিনি সংক্ষেপে করতে পারেন। অনেন প্রসস্তি পাত্রেন অস্য হ্রীং দুর্গায়ৈ নম ।কারণ ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় পুজার শেষে দুর্গা প্রতিমা সহ বাকি দেব দেবীর হাতে মঙ্গল সূত্র বেঁধে আসবেন। অনেন মঙ্গল সূত্রং এই মন্ত্রে সংক্ষেপে করবেন। বরণডালার প্রতিটি দ্রব্যের আলাদা মন্ত্র আছে সে গুলো বলে অধিবাস করতে অনেক সময় লাগবে। ঐ দিন সন্ধ্যায় নব পত্রিকা বেঁধে রেখে আসুন কেবল জোরা বেল টি বাঁধবেন না ওটা পরের দিন সকালে বেঁধে দিন। পারলে দুর্গা প্রতিমা এবং গনেশের সামনে ঘটে বসানোর জায়গায় পঞ্চ গুঁড়ি দিয়ে অষ্টদল পদ্মাসন এঁকে রেখে আসুন।পরিষ্কার কিছু চাপা দিয়ে রেখে আসবেন। আরতি করে ষষ্ঠির পুজো বা বিল্ব বৃক্ষের পুজো শেষ করুন। আরতি যেভাবে করতে হয়। প্রথম পঞ্চ প্রদীপ, ঘটের চার পাশে অর্থাৎ দেবির পা কল্পনা করে ওখানে চার বার মুখ মণ্ডলে চার বার আর সমগ্র অর্থাৎ মুখ মণ্ডল থেকে পা পর্যন্ত তিন বার মোট এগারো বার ঘোরাতে হবে। এর পর কর্পূর দানি একই ভাবে এগারো বার। এবার বিশেষ অর্ঘ্যের শঙ্খ জল একই ভাবে ঘোরাতে হবে। কারণ দুই অগ্নি দিয়ে আরতি করেছেন জায়গাটি উত্তপ্ত হয়ে গেছে সে কারণেই শঙ্খ জল দিতে হবে। এবং এর পর নতুন গামছা দিয়ে মোছাতে হবে একই ভাবে। এর পর ধূপ নিয়ে একই ভাবে এগারো বার ঘোরাতে হবে। এবার দর্পণ একই ভাবে এগারো বার ঘোরাতে হবে। এর পর চামর একই ভাবে এগারো বার ঘোরাতে হবে। যদি চামর না পান তাহলে ফুল নিয়ে করবেন। দেখুন মোট সাত টি জিনিস দিয়ে আরতি করতে হবে কেউ কেউ নয় টি বা এগারো টি নিয়ে আরতি করে থাকেন। আরতি দ্রব্য পর পর নাম গুলো সাতটি ১) পঞ্চ প্রদীপ ২) কর্পূর দানি । ৩) বিশেষ অর্ঘ্যের শঙ্খ জল ৪) গামছা ৫) ধূপ ৬) দর্পণ ৭) চামর বা ফুল। কেউ কেউ উল্টো করে থাকেন, নয় টি হল ১) পঞ্চ প্রদীপ ২) কর্পূর দানি ৩) শঙ্খ জল ৪) গামছা ৫) ধূপ ৬) ফুল ৭) শ্রী ৮) দর্পণ ৯) চামর ।
এগারো টি দর্পণের আগে, বরণ ডালা, আর পাখা তার পর চামর নিয়ে করবেন। তবে একটা বিষয় প্রতি টি দ্রব্য এগারো বার নিয়ম অনুযায়ী ঘোরাতে যদি ৫ মিনিট করে সময় লাগে তাহলে কতক্ষণ হয় তাহলে ভেবে দেখুন কতক্ষণ সময় লাগবে। ষষ্ঠীর পুজো শেষ এই ব্লগে সপ্তমী পুজার নিয়ম ও মন্ত্র দেওয়া হয়েছে।
সপ্তমীর পুজোর নিয়ম ও মন্ত্র লেখা আছে। সপ্তমীর পুজো বলে সার্চ করতে হবে।
সশ্রদ্ধ নমস্কার জানবেন। আশাকরি সপরিবার কুশলে আছেন। আপনার লেখনী আমাকে বিমোহিত করেছে। আমি অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পূজার ক্রম জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
ReplyDeleteOnek sundor
ReplyDelete