Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 26 March 2019

এক যে ছিল চোরের দেশ।

ছবি টি দুষ্প্রাপ্য, অনেকে দিনের, ছবি দেওয়া অভ্যাস হয়ে গেছে তাই এই ছবি টি দিলাম। অনেক দিন আগে আমার কাছে হোয়াটস এ্যাপে পাঠিয়ে ছিল আমার এক বন্ধু। এতো ছবির বিষয়ে গেল। এবার আসল কথায় আসি। চোরে দের রাজ্যে রাজা, উজির, মন্ত্রী সান্ত্রী, সিপাই, সকলে চোর ,কেউ যদি বলে আমি চোর হব না চুরি করব না। তাকে যে ভাবে হোক চোর বানান হবে। নিদেনপক্ষে ছিঁচকে চোর বা পকেটে মার, চোর হতেই হবে না হলে জুটবে মার আর কঠিন শাস্তি, তবে এই দেশে একটা নিয়ম আছে, চুরি করে একা ভোগ করতে পারবে না, ভাগ করে নিতে হবে। খুব ভাল না, চুরি শেখানোর জন্য এই দেশে অনেক বিদ্যালয় আছে, যেখানে কীভাবে চুরি করতে হবে শেখানো হয়। পকেট কাটা, সিঁধেল চোরের জন্য সিঁধ কাটার কৌশল, ছিঁচকে চুরির করার কায়দা কী করে পাঁচিল টপকে ঢুকে ঘরে তালা ভেঙে চুরি করতে হবে, সব হাতে কলমে শেখানোর ব্যবস্থা আছে। ডাকাতির জন্য আলাদা করে পড়াশোনা করতে হবে, গুলি বন্দুক চালনা, শিখতে হবে, আরো অনেক কায়দা । এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওস্তাদ বলে, সব যাতে ভালো ভাবে শিখতে পারে তার জন্য বাটপার দের দেশ থেকে বিদ্যালয় গুলো চালাতে পয়সা আসে, পোশাকের টাকা, খাওয়ানোর টাকা আসে। চোরের রাজা যেহেতু পরিচালক তাই চুরি এখানে হবেই। সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে চাষিদের ফসল, থেকে শুরু করে জুতো পর্যন্ত সব চুরি হয়। বেশিরভাগ বাবা মা চোরের বিদ্যালয়ে পাঠায় চুরি শেখাতে, রাজার কাছে নালিশ করতে গেলে রাজা এদের কিছু বলে না। সিপাই আসে কিন্তু ঐ নাম কাওস্তে । বাটপার এদের উপর বাটপারি করে বটে তবে অনেক টা ফেরত দেয়। বাটপার পোশাকের টাকা দিলো এমন প্রশিক্ষিত চোর কে পোশাক দেওয়ার দ্বায়িত্ব দেয় বলার কথা নয়। সেখানে চুরি সবাই কে পোশাক দেয় না, দেওয়ার দু মাস পরে ছিঁড়ে ফর্দাফাঁই । আর খাবার খেতে দেওয়া সে তো আর বলার নয়। খাওয়ানোর জন্য চাল দেয় বাটপার যদি তিন মাসের চাল দেয় চোরের সিপাই দেয় অর্ধেক, বাকি অর্ধেক খোলা বাজারে বিক্রি করে পয়সা আসে ওটা না করলে চলে, চোরের রাজ্যে ।খাওয়ার টাকা বাটপার দের রাজা যদি এক সাথে ছ মাসের টাকা দেয় একশো জনের দিলে, বিদ্যালয়ে পৌঁছয় আশি জনের, আবার দেখে কী করে না দিয়ে টাকা চুরি করা যায়। অনেক ফন্দি ফিকির করে বিদ্যালয় গুলোতে টাকা না দিয়ে, বছরে কয়েক লক্ষ টাকা গায়েব মানে চুরি, কারণ চোরের ছেলে মেয়েদের হাতে কলমে বিদ্যাটা শেখানো হয়। চুরি করতে পাঠিয়ে, তখন ছুটি থাকে, সেখানে টাকা বেঁচে গেল ব্যাস চোরে দের কী আনন্দ ঐ দিন বা মাসের টাকা বাদ আরাম করে চুরির টাকা ভাগ হয়ে গেল। কষ্ট করে চুরি বিদ্যা শিখছে তারা যদি একটু ভালো মন্দ না খেতে পায় কী করে চুরি করবে। আবার শেখানোর জন্য ওস্তাদ দের প্রশিক্ষণ শিবির হয় সেখানে যে ভাবে শেখানো হয় ওস্তাদরা এসে চেষ্টা করে শেখাতে, কিন্তু ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। ঐ সব ভুল ভাল পদ্ধতি বড়ো বড়ো চোরে রা বানায় যা গ্রামের দিকে চলে না। কে বোঝাতে যাবে কারণ ওর জন্য বাটপারের দেশ থেকে টাকা আসে সেটা তো কিছু হলেও খরচ করতে হবে তাই না। বাটপাররা দের মোটে বোঝান যাবে না, তবু চোরের দলের একটু হলেও দয়া মায়া আছে। অনেক সময় বললে লজ্জার খাতিরে কাজ করে দেয়, চুরি করা মাল কিছু টা হলেও ফেরত দেয়। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে।

  ব্রিটিশ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রথম পাশ্চাত্য শিক্ষার হাত ধরে আধুনিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা গড়ে উঠেছিল। এক সময় বাঙা...