Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 24 August 2019

শিক্ষক দের হেনস্থা করার এই নতুন কৌশল বন্ধ হোক, শিক্ষক দের পড়াতে দেওয়া হোক।

এর আগেও আমি লিখেছি, শিক্ষকরা কেবল পড়াবে যেটা তাদের কাজ। তারা বাজার সরকার নয়, তারা এ্যাকাউন্টে ডিগ্রি অর্জন করেনি। তারা ব্যবসা করতে যায় নি। তাই আমার এই লেখার মাধ্যমে দাবি শিক্ষকরা কেবল পড়াবে, তাদের সর্ব শিক্ষার টাকা খরচ করে তার হিসেব ক্যাশ বুকে লিখতে হবে, আবার যদি ভি ই সি এ্যাকাউন্টে সভাপতি হচ্ছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি তার পছন্দের শিক্ষক না হলে তিনি চেকে স্বাক্ষর করতে চাইবে না। আর ওদিকে প্রশাসন ইউ সি দিন দিন করে, শিক্ষকের দফারফা করে ছেড়ে দেবেন। বাম আমলে যখন এই সর্ব শিক্ষা আসে তখন বলেছিলাম একদিন এই সর্ব শিক্ষা সর্ব শিক্ষা থাকবে না। এর মাধ্যমে শিক্ষকের সম্মান হানী করা হবে, হচ্ছেও তাই। সম্পূর্ন রাজনীতি করে এই সর্ব শিক্ষা কে ভেস্তে দেওয়া, যে সব বিদ্যালয়ের ঘর দরকার সে খানে আবেদন করেও কোন টাকা নেই, অথচ আবেদন করতে যে টুকু টাকা খরচ হলো সেই টাকা প্রধান শিক্ষক তার বেতন থেকে দিলেন। আবার যদিও আবেদনের পর আবেদন করে টাকা জোটে, তাহলে এমন টাকা দেওয়া হবে, যাতে ঘরের চারটি দেওলা গাঁথা যাবে না। অথচ শাসক দলের হলে সেখানে টাকা ঠিক আছে, আবেদন করুন আর নাই করুন। এর উপর আছে জুতো দেওয়া, পোশাক সে তো অদ্ভুত সুন্দর একটা ব্যবস্থা, টাকা ভি ই সি এ্যাকাউন্টে, পোশাক কোন কোন পঞ্চায়েতে কোন কোন গোষ্ঠী দেবে তার তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এবার অভিভাবক ভি ই সি ও অন্যান্য শিক্ষকের পছন্দ না হলে ব্যস আর ছাত্র ছাত্রীদের আর পোশাক জুটল না। আর গোষ্ঠী বা দল চেষ্টা করছে, অর্ধেক দামে পোশাক দিয়ে লাভ করে নিতে। শিক্ষক দের সাথে একমত না হলেও দেওয়া হবে না। এবার ইউ সি নিয়ে  দিতে হবে, সময় মতো, আর ওদের থেকে পোশাক নিতে হবে বাধ্যতামূলক। আবার কোথাও কোথাও এটা বাধ্যতামূলক নয়, বরং ছাত্র ছাত্রীদের ইচ্ছে মতো পোশাক করে নিতে পারে এরকম আদেশও আছে। এর উপর আছে মি ডে মিল, ঐ যে চুঁচুড়া উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা, সাংসদ কে ডেকে এনে দেখানো হয়েছে, ব্যাস আর যায় কোথায়, এবার শিক্ষক দের জব্দ করার একটা রাস্তা পাওয়া গেছে। রাতারাতি মেনু চাট চলে এসেছে, বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে ভিজিট হচ্ছে, এদিকে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে বি ডি ও গিয়ে শুনছি ভাত রান্নার গ্যাস ভাতের হাঁড়ির ঢাকনা খুলে দেখছেন। অবস্থা ভাবুন এই যারা ডি এম আর বি ডি ও এরা নিজেদের কী ভাবে কি জানি, ক্যাশ বুক হয় নি কেন? যদিও থাকে ঠিক মতো হয় নি কেন? আবার ঐ আছে চাল রইল টাকা কেন খরচ হলো?  জিনিসপত্র দাম বেশি, কিম্বা এ্যাকাউন্টে টাকা আছে বলা যাবে না। শিক্ষক কে যত ভাবে পারা যায় হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এর দু টো উদ্দেশ্য, শিক্ষকরা যত বেশি হেনস্থা হবে তারা তত বেশি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবে। আরেকটা হতে পারে আমি অফিসার, অর্থাৎ অফিসারি দেখানো, ওই বি ডি ও জানে তার অফিসে এ্যাকাউন্ট সারার আলাদা লোক আছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব জুতো সেলাই থেকে চণ্ডি পাঠ সব করতে হয়। একটা মানুষের পক্ষে সব কিছু জানা সম্ভব নয়। আবার এটাও হতে পারে ওদের বলা হয়েছে, শিক্ষক দের হেনস্থা করতে। এই কারণেই, এবং বর্তমানে হুগলি জেলার প্রেরিত মেনু চার্ট অনুযায়ী, ৪.৪৮ টাকায় মাংস ভাত, যেখানে ২০০ জনের উপর খায় সেখানে মাংস লাগবে যদি ১০০ গ্রাম করে হয় লাগে ২০ কেজি ১৫০ টাকা কেজি দরে খরচ হবে ৩০০০ টাকা। বাকি জিনিস পত্রের দাম নিয়ে যা খরচ হবে, একদিনের পাওনা টাকার থেকে বেশি, মাসে চার দিন খাওয়ালেও মাংস কিনতে খরচ হবে, ১২০০০ টাকা অন্যান্য খরচ মিলে যে টাকা খরচ হবে। ঐ মাসে অত টাকা আসে নি। এই অতিরিক্ত খরচ কে বহন করবে? তাহলেই টাকা খরচ হবে চাল থেকে যাবে, সেখানেও মুশকিল। এই জন্যই আমার দাবি মি ডে মিল ও সর্ব শিক্ষা বা ভি ই সি, দল সঙ্ঘ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি যাদের হোক দায়িত্ব দেওয়া হোক টাকাও তাদের এ্যাকাউন্টে দেওয়া হোক। অনেক জায়গায় তো বালি খাদান নেই, ফাণ্ড আসবে কোথা থেকে? এই জন্যই বলছি শিক্ষক দের আসল কাজ পড়ানো সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ভিজিটের নামে শিক্ষক হেনস্থা বন্ধ হোক। বাম আমলে এই অবস্থা তৈরি করা হয়নি। ২০১১ সালের পর থেকে নানা ভাবে শিক্ষক দের উপর নেমে আসছে আক্রমণ, এসব বন্ধ হোক। আসুন সকলে মিলে এই অমানবিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি, "হোক প্রতিবাদ"। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...