Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 24 August 2019

মিথ্যা বাদী আর ভালো অভিনেতা ছাড়া নেতা মন্ত্রী হওয়া যায় না।

চরম মিথ্যাবাদী আর ভালো অভিনেতা ছাড়া নেতা মন্ত্রী হওয়া যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, মিথ্যে বাদি আর অভিনেতা হচ্ছেন আমাদের নেতা মন্ত্রী। বলবেন এ আবার নতুন কী আমরা সবাই জানি দক্ষিণ ভারতের অভিনেতা অভিনেত্রীরা রাজনীতির সাথে যুক্ত, আর নেতা মন্ত্রী রা মিথ্যে কথা বলে মানুষ কে ঠেকিয়ে ক্ষমতায় আসে এও আমরা জানি। আমি বলছি নেতা মন্ত্রী মানেই সে একাধারে অভিনেতা ও চরম মিথ্যাবাদী। আপনার আমার দারিদ্র্যের সুযোগে তিনি বিভিন্ন সময়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন, কখনও গরিবী হঠাও, কখনও সকল কে কাজের প্রতিশ্রুতি কখনো টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ঘটে। গরীব মানুষের কাছে অনেক কষ্টে স্থানীয় নেতার দয়ায় সামান্যই জোটে সরকারি সাহায্য বাকি নেতা মন্ত্রী পকেটে, দিনে দিনে নেতা মন্ত্রী দের সম্পদ বাড়তে থাকে আর গরীব আরও গরীব হন, কারণ টাকার মূল্য মান কমে। আচ্ছা কয়েক টা উদাহরণ দেওয়া যাক, ঘোটালা দূর্নীতি দেশের সম্পদ ঘুষ খেয়ে কম দামে বিক্রি করে দেওয়া, কল কারখানা বন্ধ করে দেওয়া। আবার সরাসরি জনগণের টাকা আত্মসাৎ করা যেটা এরাজ্যে ঘটেছে। এই এখন দু টাকা কিলো চাল, বর্তমান আইন অনুযায়ী প্রতিটি দুস্থ পরিবার ২৫ কেজি চাল পাবে মাসে, আপনি একটু তদন্ত করে দেখুন আপনার এলাকায় গিয়ে কত জন গরীব মানুষ এই সুবিধা পায়, দেখবেন খুব কম সংখ্যক মানুষ এই সুবিধা পায়। কারণ দারিদ্র সীমা নির্নয়ের যে মাপ কাঠি করা আছে, তাতে আপনি যদি নিয়মিত একশ দিনের কাজের টাকা পান আপনি ধনী ব্যক্তি। কারণ বলা আছে, গ্রামের যে মানুষ ৩৬ টাকা প্রতিদিন খরচ করতে পারে সে দারিদ্র্য সীমার উর্ধ্বে। আরো অনেক কিছু আছে আপনাকে বি পি এল না করার কিন্তু ভাবুন যে রেলে স্থায়ী ভাবে চাকরি করে, বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক সে কি করে বি পি এল তালিকা ভুক্ত হয়। আর যে পরের বাড়ি ঝি গিরি করে মাসে পাঁচ শ টাকা আয় করে মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু নেই, সে বাদ। বি পি এল কার্ড ধারী পরিবার দু টাকা কিলো দরে চাল ২৫ কেজি পাবে কিন্তু তাদের পঁচিশ কিলো দেওয়া হয় না। বড় জোর তারা মাসে পাঁচ থেকে দশ কিলো পায়, কিন্তু খাতায় কলমে তারা পঁচিশ কেজি চাল পাচ্ছে, তাহলে ঐ বাকি চাল যাচ্ছে কোথায়? কেন পাঁচ বা দশ কেজি চাল যত দিন চলল তার পর বেশি দামে খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। দু দিক থেকে লাভ ভর্তুকির টাকা পকেটে এলো আবার খোলা বাজারে বিক্রি করে লাভ হলো। বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষষমতায় আসা বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো, এবার আবেদন কারি প্রতিটি চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার ফিস বাবদ একশো থেকে পাঁচশো টাকা নেওয়া হলো কয়েকটি ক্ষেত্রে মনে হয় SC/ST দের ছাড় আছে, কয়েক হাজার পদের জন্য কয়েক লক্ষ আবেদন, যে টাকা আয় হলো তার সব টাকা পরীক্ষা নিতে খরচ হয় না। নিশ্চয়ই এটা আমি আপনি সকলে জানি।গত দু এক বছর আগে এই রাজ্যে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার আবেদন নেওয়া হল, কিন্তু পরীক্ষা হলো না প্রশ্ন বাসের পিছন জানালা দিয়ে বাইরে পড়ে গেল। আঠারো লক্ষ না আঠাশ লক্ষ আবেদন করী ছিল, এবং একশো টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। এবার ঐ লক্ষ আবেদন কারির শেষে দুটো শূন্য বসিয়ে টাকা টা হিসেবে করুন। আবার চাকরি টা কাকে দেওয়া হবে, তাদের থেকে আগেই, ৮/১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়ে গেছে, এবার সব সমেত আয় ভাবুন, কিন্তু ঘুষ নেওয়া কয়েক জন কে মানে যারা দলের নেতা কর্মীদের খুব কাছের তাদের কয়েক জন কে চাকরি দিয়ে বন্ধ হয়ে গেল নিয়োগ। দেখে নেওয়া হলো ঘুষ ও আবেদনের টাকা মিলিয়ে এদের চাকরি দিলে ঐ টাকায় কত দিন বেতন দেওয়া যাবে। আর কত টাকা আত্মসাৎ করা যাবে, আর এই সব কারণেই নেতা মন্ত্রীরা আপনার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছে। অর্থাৎ নাটক হচ্ছে, আরেকটা কথা বর্তমানে বিদ্যালয়ের মি ডে মিল নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন? এই সরকার বা তার নেতা মন্ত্রী কর্মীদের এই জন্যই প্রশাসন কে দিয়ে শিক্ষকের উপর রীতিমত ভিজিটের নাম করে জুলুম হচ্ছে,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দৈনিক ছাত্র পিছু বরাদ্দ ৪ টাকা ৪৮ পয়সা আর উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্যে যতটা সম্ভব ৫ টাকা ২৬ পয়সা বা কয়েক পয়সা বেশি। এবার আসল কথা টাকা দেওয়া হয় মোট ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে ৮৫% জনের, অর্থাৎ ১০০ জন ছাত্র ছাত্রী থাকলে ৮৫ জনের টাকা পায় বিদ্যালয় গুলো, চালও ঠিক একই ভাবে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন নির্দেশ আছে কিনা জানি না, ১৫% ছাত্র ছাত্রী টাকা বাদ দেওয়ার। কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু তার দেওয়া অংশ পুরোটা দেয়। এটা একরকম আরেক রকম আছে, যদি কোন কারণে এ্যাকাউন্টে টাকা থাকে তাহলে আর সেই বিদ্যালয় কে টাকা দেওয়া হবে না। ঐ বাড়তি কম খাওয়ানো বেশি দিন ছুটি ঘোষণা করা এরকম ভাবে কম দিন খাওয়ান হয় স্বভাবতই টাকা এ্যাকাউন্টে থাকে সেটা যে ছেলে মেয়ে দের পরে ভালো খাওয়াতে কাজে লাগবে ওসব হবে না। ঐ যে বাড়তি ছুটি ঘোষণা করে দিয়ে খাওয়ানোর দিন কমিয়ে টাকা রইল তার জন্যে টাকা দেওয়া হবে না। একই ভাবে চাল, তাহলে এই বাড়তি চাল আর টাকা কেন্দ্র কে ফেরত দেবে না না। এবার ভাবুন কেন মি ডে মিল নিয়ে নেতা মন্ত্রী রাজনৈতিক দলের কর্মী সাংসদের এতো উৎসাহ। আরও উদাহরন আছে, বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীদের পোশাক ও আর লিখছি না। এই জন্যই আমি লিখেছি, নেতা মন্ত্রী হতে হলে, চরম মিথ্যাবাদী ও অভিনেতা হতে হবে। যেটা বলব তার সামান্যই
 কিছু করব,নিজের আর নিজের বংশধর দের জন্য কোটি কোটি টাকা করে রেখে যাব। সেই জন্যই বলছি, এই সব নেতা অভিনেতা দের ভালো করে চিনে নিন। নিজের ভোট দেওয়ার সময় ভাবুন। সঠিক ভাবে নেতা মন্ত্রী, নির্বাচন করা আমাদের কর্তব্য। যারা আমাদের দেওয়া কথা বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে, কথায় কথায় টাকা নেই টাকা নেই করবে আর নিজের টাকার বিছানায় শুয়ে থাকবে। কোটি কোটি টাকা বিদেশের ব্যাঙ্কে জমা করবে। আর সাধারণ মানুষ আর সরকারি কর্মীরা কিছু দাবি করলেই, পুলিশ আর গুণ্ডা বাহিনী মিলে লাঠি পেটা করবে। ওর মধ্যে আপনার বাড়িতে বেকার ছেলের কথা ভাবুন, আর ভুলে যাবেন না, ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা। এই সব নেতারা নিজেকে খুব বুদ্ধিমান ভাবে, ভাবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি মানুষ সেগুলো ভুলে যাবে। মনে আছে, কেন্দ্র সরকারের কথা প্রথম ক্ষমতায় আসার জন্যে প্রতিশ্রুতি ছিল প্রত্যেকের এ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেব, এখন পর্যন্ত ১৫ টাকা আসেনি। উল্টে আপনার আমার যাতে পকেট ফাঁকা করা যায় তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কত গুলো ব্যবসায়ী ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে, আর ঐ টাকা আপনার আমার পকেট থেকে ব্যাঙ্ক গুলো বিভিন্ন অছিলায় কেটে নিচ্ছে। অনেকে বলবেন আমাদের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট নেই, তো টাকা ঠিক বলেছেন, কিন্তু আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে সামান্য টাকা খরচ করেন তার একটা অংশ সরকার ট্যাক্স নেয়, আপনার সেই করের টাকা ঘুরিয়ে ব্যাঙ্কে আসে। আমি আপনি যদি পাঁচ হাজার টাকা ঋণ নিতে যাই তাহলে জুতোর শুকতলা খয়ে যাবে, আর এরা নেতা মন্ত্রী দের ঘুষ উপঢৌকন দিয়ে তাদের সুপারিশে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে, বিদেশে পালিয়ে যায় পালাবার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। আরও আছে, আর লিখছি না। মানুষ কে অশিক্ষিত অর্দ্ধ শিক্ষিত করে রেখে এরা ধর্মের নামে রাজনীতি করে, মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দেয়। অল্প শিক্ষিত অর্দ্ধ শিক্ষিত মানুষ ধর্মের নামে মারা মারি করে মরে। আমার জিজ্ঞাসা বলুন, রাম মন্দির হলে বা জগন্নাথ মন্দির হলে কটা বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি পাবে, কিম্বা ৩৭০ বা ৩৫ এ তুলে নিল কি থাকল কোন গরীব মানুষের জীবনে কি উন্নতি হবে। গরীব মানুষ কাশ্মীরে জায়গা কিনে ব্যবসা করতে যাবে। এসব কেবল ধনীদের এবং বড়ো বড়ো শিল্প পতি দের কথা ভেবে করা হয়েছে এবং ধর্মের নামে মানুষের মনে বিভাজন তৈরি করতে। আমি তাই বলেছি নেতা মন্ত্রী হতে হলে চরম মিথ্যাবাদী ও অভিনেতা হতে হবে। ঠিক যেমন এই রাজ্যে ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত হয়েছিল। আবার যখন দেখছেন আমি হেরে যাচ্ছি মানুষ আর আমার সাথে নেই, ঠিক তখনই ঠিক সেই সেই জায়গায় গিয়ে অভিনয় শুরু হয়েছে। আবার যদি মানুষ অভিনয়ে ভোলে তাহলে এরপর আরও বড়ো সারদা, নারদা, রোজভ্যালীর, এম পি এস, আই কোর, ছবি বিক্রি, টাকা ফেরত দেওয়ার নাটক মঞ্চস্থ হবে। তবে আমার মনে হয় আমাদের রাজ্যে আরেকটা নাটক আমরা দেখতে পাব, যখন দেখব বি জে পি হয় তো ক্ষমতায় এলো মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি তার বড়ো বড়ো ভাই বোন দের ঐ দলে পাঠিয়ে দিয়েছেন, বা বি জে পি ভেঙ্গে নতুন তৃণমূল তৈরি করা হবে।






No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...