Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 20 August 2019

বেতন বৃদ্ধি জন্য অনশন কেন হচ্ছে, এর জন্য দায়ী কে?

বেতন বৃদ্ধির জন্য অনশন শুরু করেছেন, বিভিন্ন ভাবে কর্ম রত কর্মীরা। কেন এই রাজ্যে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, একবার ভেবে দেখুন, আমি যদি বলি এর জন্য আপনি ও আপনার প্রশাসনের কর্তারা দায়ি মেনে নেবেন। আমি জানি আপনি এই সব লেখা পড়েন না। আবার আপনার কোনো দলীয় কর্মী যদি দেখে সে যদি আপনা কে শোনায় তখন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন, এই ভয়ে অনেকে সত্য কথা বলতে ভয় পায়। কে আপনার ভাই আর ভাইপো দের হাতে মার খেতে চায় বলুন।  ভয়ে ভক্তি বেশি দিন থাকে না, যে টা ভারত সম্রাট অশোক বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি বৌদ্ধ ধর্মের মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে সারা বিশ্বে বন্দিত হয়ে আছেন। আপনি একটু তে রেগে গিয়ে মানুষ কে বা কর্মীদের যা খুশি তাই বলে দেন। কাকে বলছেন, চাবকাব, কাকে বলছেন থাপ্পড় মারতে হয়। আমি জানি না আপনি ভুলে গেছেন কিনা আপনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি। আমি একটু মনে করিয়ে দিলে আপত্তি করবেন না, নিশ্চয়ই। আপনি ২০১১ সালের আগে বলেছেন পার্শ্ব শিক্ষক মানে পি টি কে আপনি তিন বছরের মধ্যে এ টি করে দেবেন। ওরা অর্থাৎ পার্শ্ব শিক্ষকরা সেই সময় বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে স্থায়ী করণের দাবি তে আন্দোলন শুরু করে ছিল। আপনি তাদের সমর্থন করে বলেছিলেন, আপনি ক্ষমতায় এলে তিন বছরের মধ্যে সব স্থায়ী করে দেবন। আপনি ঐ কথা বলার পর বাম সরকার ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে পি টি নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটি জিও তৈরি করে এবং ওদের ষাট বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি ও অবসরের পর এক কালীন এক লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সকল পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ী যোগ দান পত্র দিতে পারে না। তার আগে প্রতি বছর ওদের রিউনুর ব্যবস্থা ছিল। আপনি সরকারি কর্মীদের সংগঠন যখন মহাকরণে ডিএ ও পে কমিশন নিয়ে ২০০৮ সালের  ডিসেম্বর মাসে, আন্দোলন করছিল, মহাকরণে ভাঙাচোরা চলছিলো, আপনি বলেছিলেন। আপনি ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রীয় সরকার যে দিন ডিএ ঘোষণা করবে সে দিন থেকেই আপনি ডিএ দেবেন। পে কমিশন দশ বছর পর কী তার আগেই ব্যবস্থা করে দেবেন, আপনার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন, পে কমিশন শুরু বা চালু হয়েছিল ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে আজ ২০১৯ সালের অগষ্ট মাস। কেন্দ্র পে কমিশন দিয়েছে সেই ২০১৬ সাল থেকে, আর কেন্দ্রীয় ডিএ পূরণ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের আগের বকেয়া ২৯ শতাংশ। বাম সরকারের চলে যাওয়ার সময় বকেয়া ছিল ১৬% তারা ১০% ঘোষণা করার জন্য তৈরি ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে দাবি এর মূলে শিক্ষা আইন ২০০৯ যেটা এই রাজ্যে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয় বা লাগু হয়। সেই কারণেই প্রতিটি শিক্ষক যারা ২০০১ এর পর নিয়োগ পেয়েছে তাদের প্রত্যেকে ঐ আইন অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে না হলে চাকরি করতে পারবে না। এবার সকল শিক্ষকের যোগ্যতা অর্জন করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেয় আপনার সরকার সে যা প্রশিক্ষণ ঘরে বসে দু বছরের প্রশিক্ষণ ছ'মাসে শেষ। প্রশিক্ষণ শেষ উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০% যাদের ছিল না। তারা নতুন করে ৫০% করার জন্য পরীক্ষা দেয়। সকলে ৫০% কেন একশ শতাংশ নম্বর পেয়ে যায় টাকা দিয়ে। এর পর তারা দেখে এই ২০০৯ সালের শিক্ষা আইন অনুযায়ী তাদের PRT স্কেলে বেতন হবার কথা, কিন্তু তারা পাচ্ছে না। শুরু হয়েছে নতুন আন্দোলন উস্থি নামে সংগঠন তৈরি করে। আমাদের রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি শিক্ষক বেশি। বাম সরকার কেন তার আগে থেকেই এই রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা অন্য রাজ্যের থেকে আলাদা। বাম সরকার মাদ্রাসা শিক্ষক দের pb3 বেতন দিয়ে ছিল, গত ২০০৯ সালের বেতন কমিশন থেকে তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের ঐ স্কেলে বেতন বৃদ্ধি করতে পারতেন। আর এই সর্ব শিক্ষা অন্য রাজ্যে কোনো না কোনো NGO মাধ্যমে চলে তাদের আলাদা বিভাগ আছে। কারণ সে সকল রাজ্যে বিদ্যালয় কম তারা SSK. MSK খুলে সেখানে বিদ্যালয় ছুট বাচ্ছা দের পড়ার ব্যবস্থা করে। সেখানে যে সব শিক্ষক আছেন তাদের বেতন অনেক পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা আর পার্শ্ব শিক্ষকের বেতন ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। আমাদের রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্রিটিশ আমল থেকেই সারা রাজ্যে বিস্তারিত, আর সেই জন্যই এখানে সর্ব শিক্ষা অভিযান কোথায় কাজ শুরু করবে না শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে শুরু হয় তাদের বিভিন্ন রকম নিয়োগ করা। বাম আমলে বলা হয়েছে একদিন এই সর্ব শিক্ষা স্কুলের উন্নতির থেকে ক্ষতি করবে, হয়েছে তাই, ৫০০ টাকার প্যারা টিচার বামফ্রন্ট সরকার ২০১০ সালে যখন এই নিয়োগ বন্ধ করে তখন ওদের বেতন বৃদ্ধি হয়। আর তিন বছর অন্তর অন্তর ৫% বেতন বৃদ্ধি হবে এটাও ঐ আদেশে ছিল। এই সর্ব শিক্ষা স্কুল গুলো কে দশ টাকা দেয় দিয়ে কুড়ি টাকার কাজ করিয়ে নেয়, বাকি টাকা দেনা পরে এলে দেওয়া হবে।দৈনিক আবার নানা ফিরিস্তি আছে, আমি যতদূর জানি এটা ইউনিসেফের টাকা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে খরচ করে। আপনার আরও কিছু প্রতিশ্রুতি ছিল মনে করছ না। আপনি ভীষণ রেগে যান। আপনি হাওড়া জেলার সভায় রেগে গিয়ে বললেন আমি ওসব বেতন বৃদ্ধি করতে পারব না। রাজ্যের দেনা শোধ করতে করতে টাকা শেষ তাছাড়া আপনার উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বললেন কন্যাশ্রী /রূপশ্রী /যুবশ্রী/সবুজ সাথী /দু টাকা কিলো চাল আরও
অনেক কিছু আছে সে সব চালাতে হবে। একদম ঠিক কথা কিন্তু দিদি আপনি যাদের সাইকেল দরকার নেই তাঁকেও দিচ্ছেন, কন্যাশ্রী একই ভাবে চলছে, যে সব পূজো কমিটি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পূজো করছে তাদের কার্নিভাল করার জন্য টাকা দিচ্ছেন। ক্লাব গুলো কে টাকা দিচ্ছেন।আর বাম আমলে ঋণের কথা বলছেন, ওতো আমরা কাগজে পড়েছি ১কোটি ৯০ লক্ষ কোটি টাকা যেটা স্বাধীনতার পর থেকে এই রাজ্যের দেনা। আপনি ক্ষমতায় এসে কত টাকা ঋণ করেছেন না একদম কোন টাকা ঋণ করেন নি। এই কথাটা মানুষ জানতে চাইছে, দিদি অনেক আশা করে আপনার ভাল ভাল প্রতিশ্রুতি শুনে মানুষ চৌঁত্রিশ বছরের বামেদের সরিয়ে আপনাকে ক্ষমতায় এনে ছিল। আপনি প্রথমেই মানুষ কে উপহার দিলেন সারদা সহ চিটফাণ্ডের কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। আর সব প্রতিশ্রুতি আপনার মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। শেষ লিখছি আপনি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন না এটা এখন থেকে ভেবে নেবেন, না হলে কষ্ট পাবেন। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...