Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 22 August 2019

রাজ্যে শিক্ষক দের উপর নেমে আসছে আক্রমণ।

আজ এটা প্রমাণিত সত্য রাজ্য সরকার যে ভাবে হোক শিক্ষক দের আন্দোলন বন্ধ করতে চাইছেন। গত দু' চার দিন আগে হুগলি জেলার চুঁচুড়া শহরের একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মি ডে মিলে নুন ভাত খাওয়ান হচ্ছিল, কিছু মানুষ স্থানীয় সাংসদ কে ডেকে এনে বিষয় টি সবার সামনে আনেন, তথাকথিত মিডিয়া হাজির হয়। তারা দেখাতে থাকেন নুন ভাতের ছবি, আসল ঘটনা কি কেন সেটা উহ্য হয়ে যায়। একটু আধটু যা বলা হয়েছে, ঐ বিদ্যালয়ের টি আই সি নিয়োগ নিয়ে গণ্ডগোল বা দীর্ঘ দিন ওখানে টি আই সি নেই, মি ডে মিল এ্যাকাউন্টের টাকা তুলতে পারছে না। আর তাই মি ডে মিল বন্ধ না করে নুন ভাত খাওয়ানো হচ্ছিল। আর এই ঘটনা কে সামনে রেখে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পরেছে, স্কুলে স্কুলে ঘুরে ঘুরে শিক্ষক দের হেনস্থা করার জন্য।আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কথায় এই ভিজিট প্রকল্পে কে নেই, পারলে পঞ্চায়েতের ঝাড়ুদার চলে আসেন। দারুণ উদ্যোগ খুব ভালো ভিজিট হোক, কিন্তু প্রশ্ন ১০০ জনে ৮৫ জনের টাকা এবং চাল আসে যদি ৮৫ জন খায় তবে ৮কেজি ৫০০গ্রাম চাল রান্না করতে হবে, এবং ৮৫জনের টাকা খরচ করতে হবে। যদি কম বেশি হয়েছে, শিক্ষকের অপমান আর তাকে চোর প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লাগছে এই সব প্রশাসনের কর্তারা। জিনিসের দাম বেশি ওসব কথা বলে লাভ নেই, ডিম পাঁচ টাকা কিনে রান্না করে দিতে যে খরচ ওসব শুনবেন না। শুনবেন কেন চাল যদি স্টকে থাকে তবে সোনায় সোহাগা সেই শিক্ষকের অবস্থা শোচনীয়। চাল আছে তো খাওয়ালেন কি? অনেক সময় ৭ কেজি চালেও আশি জন খেতে পারে। ওসব হবে না, শুনবেন না কোন কথা টাকা কেন বেশি খরচ করে দিয়েছেন বলুন। এক ধরনের মানসিক অত্যাচার করছে এই প্রশাসন, ২০১১ সালের আগে এই অত্যাচার ছিল না। ২০১১তে ক্ষমতায় এসে এই সরকার সেই যে মানসিক ও শারীরিক এবং ভাতে মারার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এটা আর বন্ধ হচ্ছে না। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে সিঙ্গুর ব্লকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন মাসের মি ডে মিলের টাকা দেয়নি, এই সরকার সেই টাকা শিক্ষকরা তাদের বেতন থেকে শোধ করতে বাধ্য হন। যেমন আজ অন লাইন খবরে পড়লাম দিনাজপুর জেলার একটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ছাত্র ছাত্রীদের মি ডে মিলের ভালো খাওয়ার ব্যবস্থা করে শিক্ষক দের বেতন থেকে কারণ যে টাকা পায় তাতে সরকার নির্ধারিত মেনু চালানো যায় না। বর্তমানে শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধি জন্য আন্দোলন করছে, কিছু সংগঠন কেবল বেতন বৃদ্ধি নিয়ে নয় বর্তমানে এই ভাবে শিক্ষক নির্যাতন মি ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি সিলেবাস বদল সব ছাত্র ছাত্রীদের পোষাক আরও নানা দাবিতে আন্দোলন বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এই আন্দোলন বন্ধ করতে না পেরে এই ভাবে শিক্ষকের উপর প্রশাসন কে দিয়ে জব্দ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যে ভাবে এসব নিয়ে কথা বলছেন ঐ সব কর্তারা তাতে মনে হচ্ছে, পারলে ধরে বিদ্যালয়ের মধ্যে ফাঁসি দিতে পারলে বাঁচে। এর সাথে আছে তথাকথিত কিছু নতুন শিক্ষক যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে, না আসে সময়ে তাড়াতাড়ি যেতে পারলে বাঁচে না পড়াতে হলে বাঁচে। এদের দাবি ২০ থেকে ৩০ জনের বেশি পড়াব না। প্রধান শিক্ষক বেশি ছাত্র ভর্তি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি। কারণ এরা শাসক দলের সমর্থক এদের কিছু বলা যাবে না। প্রতিদিন শ্রেণী তে ছাত্র যাতে কম আসে, তার জন্য পড়া বা পাঠ্য বই তাড়াতাড়ি শেষ করে দেওয়া। আর তার উপর সরকার লক্ষ্য মি ডে মিল পড়াশোনা উচ্ছন্নে যাক। আগে খাওয়ানো হলো কিনা দেখতে হবে, আমার একটা প্রশ্ন পূজোর ছুটি ও গরমের ছুটি এবং অন্য ছুটিতে ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে খেতে পায় না! মানছি কিছু ক্ষেত্রে এটা হয় অনেক বাচ্ছা বাড়িতে ঠিক করে খেতে পায় না। আমার একটা প্রস্তাব আছে পোশাক দেওয়ার দায়িত্ব যেমন দল কে দিয়েছেন। সেই রকম মি ডে মিলের টাকা সহ দায়িত্ব ঐ দল কে দেওয়া হোক। টাকাও ওদের এ্যাকাউন্টে দেওয়া হোক, শিক্ষক দের পড়াতে দেওয়া হোক, পোশাকের টাকা ফেরত নিয়ে যত শীঘ্র সম্ভব ওদের এ্যাকাউন্টে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক, শিক্ষক দের রাজনীতির হাত থেকে রেহাই দেওয়া হোক। কোন রকম টাকা পয়সা শিক্ষকের খরচ করার দায়িত্ব বন্ধ করে দেওয়া হোক। আগে যেমন ছাত্র ছাত্রীদের চাঁদা নিয়ে পরীক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছু হতো কোনো ঝামেলা ছিল না। সেই ২০০০ সালের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক, কারণ যে দিন থেকে এই সর্ব শিক্ষা নামক বস্তু টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপর খবরদারি করতে শুরু করেছে, তখন থেকেই রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে গ্রাস করে বসেছে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ভি ই সি সভাপতি কথায় কথায় তিনি হুমকি দেন, চেকে স্বাক্ষর করব না। এসব বন্ধ হোক সর্ব শিক্ষার থেকে মুক্তি দেওয়া হোক শিক্ষা কে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...