ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া। আমাদের রাজ্যের অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, একবার এ দল তো আরেক বার অন্য দল, নিচু তলার কর্মীরা তো তাঁতের মাকু। তাঁত শিল্প আজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পাওয়ার লুম চালু হওয়ার পর থেকেই ধুঁকছিল, এখন প্রায় অস্তমিত। রাজ্যের শাসক আর কেন্দ্রীয় সরকারের বিজেপি দল বদলে ফেলছে। বড় বড় নেতারা আছে, সেই সঙ্গে ছোট ছোট নেতা কর্মীরাও আছে। এই নীচু তলার কর্মীদের নীতির ঠিক নেই, আজ শাসক দলের সঙ্গে তো কাল কেন্দ্রীয় সরকারের দলে। যা হোক এদের জন্য আবার তাঁত শিল্প ফিরে এসেছে। সততার প্রতীক আর সত্যি কথা বলা দলে থেকে আর সত্যি কথা বলতে পারছে না। সেই কারণেই এই দল বদল,কত সত্যি বলবে, সারদার রোজভ্যালীর এম পি এস গ্রীনারি ইত্যাদির চিটফাণ্ডের টাকা আমি জানি ওটা বামেদের কান্ড।তোয়ালের নীচে টাকা নেওয়া ওটা বামেদের দখলে। কাজ চলাকালীন উড়ালপুল ভেঙে পড়েছে, ওটাও বামেদের আমলে। একশ দিনের কাজের প্রকল্পে দশ জন কাজ করলে কুড়ি জন করা, দশ দিন কাজ করলে একশ দিন দেখানো একশো দিনের মজুরের বা শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকার ভাগ নেওয়া। কন্যাশ্রী তে বিশ্ব সেরা কারণ সেই টাকা কলেজে ভর্তির জন্য ভাইপো দের ঘুষ দিতে হয়। প্রতিটি নির্বাচনে ছাপ্পা, জোর করে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে না দেওয়া। নির্বাচনে নির্বাচন বা ভোট কর্মী খুন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো কথাই নেই, কত জায়গায় ভোট হয় নি। বিরোধী দলের প্রচার বা প্রার্থী দিতে না দেওয়া। এসব নতুন নতুন কায়দায় ভোট দিতে না দেওয়া। এসব বামেদের আমলে হয়েছে, আরে হয়েছে বলে তো মানুষ পরিবর্তন করে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কে মানুষ ক্ষমতায় এনেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ২০০৯ ও ২০১১ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছে বলে আজ এরা ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতায় এসে কি করছ সেই মানুষ কে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। তাহলে উন্নয়ন কি কাগজে কলমে। সেদিন একটা খবর পড়লাম পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি হয়েছে। কথাটা একদম ফেলে দেওয়ার নয়। কারণ জন প্রতিনিধি দের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে, কাট মানির বহর বেড়েছে, তোলাবাজ বেড়েছে, চুল্লুর কারবার থেকে আয় বৃদ্ধি হয়েছে। কারণ শাসক দলের লোক হলেই চুল্লু তৈরি করা যাবে। মদের দোকানের অনুমতি পাওয়া যাবে। চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে, না দিলে অনশন করতে হবে। সরকারি কর্মীদের ডিএ পে কমিশন না দিয়ে, খেলা, মেলা, উৎসব, ক্লাব, পূজা কমিটি কে দিয়ে আয় বৃদ্ধি করতে হবে। পার্শ্ব শিক্ষক, শিক্ষা বন্ধু, আরো যে সব শিক্ষক এবং কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করলেই জল কামান ও পুলিশের লাঠির ঘা না জেল, না হলে বাড়ি থেকে ছ'শো কিলোমিটার দূরে বদলি। কেউ বা কোন কর্মী যদি স্বেচ্ছায় বদলী চান তার হবে না। শিক্ষক নিয়োগ বদলি সে কবে হয়েছে কেউ জানে না। অথচ খাতায় কলমে বেকার কমেছে। সত্যিই আমরা বাঙালি জাতি আগে এই বাঙালি জাতি গোটা ভারত বর্ষের মানুষ কে পথ দেখিয়েছে। আমরা পেয়েছি বিবেকানন্দের মতো মানুষ কে, বিদ্যাসাগর, রামকৃষ্ণ, রাজা রামমোহন রায়, এদের আধুনিক ভারতের রূপকার বলা হয়। রবীন্দ্র নাথ, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জগদীশ চন্দ্র বসু, নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত সব মানুষ যাদের আরও অনেকেই আছেন এখানে অতো নাম লেখা যাচ্ছে না। এই সব বাঙালি মানুষ যাদের কাজ কর্ম সারা ভারত কেন বিশ্ব বন্দিত। এখন কি হচ্ছে, কি করে টাকা চুরি করতে হবে, মিথ্যা কথা বলতে হবে, ইতিহাস ভূগোল বিজ্ঞানের পরিবর্তে, কোনো টা শাক আর কোন টা নয়, ইঁট কী দিয়ে হয়। অর্থাৎ পাঠ্যসূচীর মধ্যে পড়াবার কিছু নেই, কেবল সর্ব শিক্ষার কাগজ পূরন করতে হবে, না করলে প্রথম শোকজ, পরিদর্শনের নামে চোখ রাঙানি, না হলে বদলি না হলে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। আর কি দেখছে কি ভাবে নির্বাচন এলে মানুষ খুন করতে হয়। বোমা পিস্তল নিয়ে লড়াই করতে হয়। কলেজে কলেজে ভর্তি করা নিয়ে অর্থাৎ টাকার ভাগ নিয়ে মারামারি করতে হবে। কিভাবে অধ্যাপক অধ্যক্ষ দের মারতে হবে, চল্লিশ বছর বা পঞ্চাশ বছর বয়সের মানুষ গিয়ে অধ্যাপকে মারছে সে হলো ছোট বাচ্চা ছেলে করে ফেলেছেন। পরাধীন ভারতে বিশ্বের মানুষের কাছে বাঙালি জাতির অনেক গর্ব করে বলতে পারত। আমি বাঙালি জাতি, গোটা ভারতের যে খানে যেত তারা সণ্মান পেত। আর এখন মাথা নিচু করে বসে থাকতে হয়, মিথ্যা কথা বলা জাতি, চোরের সমর্থন করা একটা জাতি। চুরি করে ক্ষমতার জোরে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা। বাঙালি জাতির গর্বের দিন শেষ, তাদের গায়ে লেগেছে চোরের তকমা, চিটিংবাজের তকমা, আজ না হলে ভোটে জেতার জন্য লোক ভাড়া করে আনতে হয়। যে বাঙালি একদিন গোটা দেশ কে শিখিয়েছে পথ দেখিয়েছে, তাকে আজ লোক ভাড়া করে এনে দল চালাতে হচ্ছে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, সরকারি ব্যবস্থাটাই লিজে দেওয়া হয়েছে। সত্যিই বাঙালির জাতির লজ্জার সময়। আমরা এসবের জন্য বামেদের তাড়িয়ে এদের ক্ষমতায় এনেছিলাম। আমি যতদূর জানি বর্তমান শাসক দলের আন্দোলন ও অভিযোগ এটাই ছিল, কিন্তু আজ আজ আট নয় বছর হয়ে গেল এগারো টা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। একটা কমিশন রিপোর্ট তৈরি করতে পারে নি। উল্টো কথা বলছেন, সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের বাবা, ছি ছি, অনেকে বলবেন তোর কী তোর ভালো না লাগলে ভোট দিবি না। একদম ঠিক কথা, কিন্তু ভোট দিতে দেওয়া হবে না। যদি দেওয়া যায়ও তাহলে বাক্স বদলে যাবে। এই সরকারি কর্মীদের একটা অংশ এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত, তারা ডিএ পে কমিশন চায় না, কাট মানি হলেই যথেষ্ট কারণ ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক পোষাক গোষ্ঠী বা সংঘ তৈরি করে না। তারা দোকান থেকে কিনে এনে দিচ্ছে, তবুও তারা পোষাক দেবে সেই পোষাক ছাত্র ছাত্রীদের গায়ে হোক আর ছাই নাই হোক। কাট মানি কম হচ্ছিল, তাই টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।বাঙালি এরপর যাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসছে, সে তো এখনই বাংলা ভাগ করতে তৈরি হচ্ছে, বাঙালি জাতি কে আবার ভিটে ছাড়া করার জন্য NRC নিয়ে আসামে শুরু হয়েছে, বাঙালি তাড়ানো, পশ্চিমবঙ্গে কেবল ক্ষমতায় আসার অপেক্ষা। সত্যিই আমরা আত্মঘাতী জাতি, যদি সত্যি নিজে কে আপনি বাঙালি জাতির অংশ হিসেবে মনে করেন, তাহলে আসুন আমরা সবাই মিলে আরেকবার এই দুষ্কৃতী মিথ্যা বাদী দের বাংলা ছাড়া করি। দ্বিতীয় বার বাংলা ভাগ করা চক্রান্ত কে রুখে দিতে গর্জে উঠি।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment