Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 17 August 2019

দেখুন রাজ্যের শ্রমিকদের অবস্থা।

ছবির খবরের শিরোনামে যা দেওয়া হয়েছে, ঐ শিরোনাম এখন অনেক ক্ষেত্রে সত্য কারণ ছোট ছোট অনেক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি দাবি করেছেন বলে বন্ধ তা নয়। বন্ধ করে দেওয়ার কারণ তোলা বাজি যেমন আছে, সেই সাথে আছে উৎপন্ন পন্য বিক্রি না হওয়া। ছোট ছোট কারখানা গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বড়ো শিল্পের অনুসারী বা যোগান দার। এই রাজ্যে বড়ো আধুনিক শিল্প কয়েক দশক একটাও তৈরি হয়নি। ২০০৬ সালে বামফ্রন্ট সরকার চেষ্টা করে ছিল, কিন্তু জঙ্গী আন্দোলন বা ক্ষমতা দখল করার জন্য ধ্বংসাত্মক আন্দোলন সে সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছে। রাজ্যের যে সব বড়ো বড়ো শিল্প ছিল, তারা আধুনিকি করণ না করে পুরনো দিনের মতো করে চালাতে গিয়ে বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছেন, অন্য রাজ্যে যেমন ডানলপ টাওয়ার কারখানা অন্য রাজ্যে চলে গেছে। আরও অনেক কিছুই, এই রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে, কাগজে কলমে বাড়ছে, মাথা পিছু আয়। কারণ জন প্রতিনিধি দের আয় বৃদ্ধি হয়েছে কয়েক গুণ। সর্ব স্তরের মানুষের বা কর্মীদের অবস্থা তথৈবচ। আর এই ক্রয় ক্ষমতা নেই, বেশিরভাগ মানুষের সেই কারণেও অনেক ছোট ছোট কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরকম একটা খবর সেদিন পড়লাম, দঃ২৪পরগনার একটি গ্যাস সিলিন্ডারের সকেট তৈরির কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়, ২৫০ জন শ্রমিক কাজ হারিয়ে ছিল, সেই ঘটনায়। আর জুট মিল গুলোর তো কথাই নেই, যে হারে সিন্থেটিক বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে করে পাট কাঠির জন্য পাট চাষ অল্প কিছু হলেও, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। যেমন তাঁত শিল্প এখন অতীত হয়েছে, এসেছে পাওয়ার লুম। সিন্থেটিক বস্তা পরিবেশ দূষণ করে, সহজে মাটির সাথে মিশে যায় না। অন্তত পরিবেশের কথা ভেবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার পাট শিল্প কে আধুনিকি করণ করতে পারে। কারও উদ্যোগ নেই, শ্রমিকদের কাজ যাবে তো সরকারের কী? সরকার ক্ষমতায় থাকলেই হলো, জানি না কবে সরকার জন দরদী হবে। ভিক্ষা না দিয়ে স্থায়ী কাজের ব্যবস্থা করবে, যাতে বেকার সমস্যা সমাধান হয়। সব বেকার কাজ পায়, দু বেলা দু মুঠো খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারে। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...