যদিও বাংলা দেশের ঘটনা কিন্তু মেয়েটির সাহস আছে, তবে কেবলমাত্র প্রিয়া সাহা কথা কেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, আরো অনেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আজ যারা বাংলাদেশের নাগরিক অর্থাৎ বিশ্ব বিখ্যাত শান্তি ধর্মের নামে মানুষ খুন করে বেড়ায়, আমি যতদূর জানি বাংলাদেশ বেশিরভাগ শান্তি ধর্মের মানুষ হিন্দু ধর্মের তাদেরকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ স্বেচ্ছায়, পঁচিশ টা বিয়ে করতে পারবে, ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করতে পারবে বলে ঐ ধর্ম গ্রহণ করেছে। অনেকে আবার বর্ণ হিন্দুদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে করে, হিন্দুদের উপর অত্যাচার করছে। অর্থাৎ দেখা যাবে দেশটির অধিকাংশ মুসলিম বা বিশ্ব সেরা শান্তি ধর্মের কোনো না কোনো পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিল। আমি একটা বুঝি না, ঐ দেশের অনেকের নামের শেষে সুমন, রানা, শ্যামল, আরো অনেক হিন্দু নাম থাকে কেন? এই শান্তি ধর্মের মানুষ গুলো ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় প্রতি নিয়ত ইংরেজ দের সাহায্য করে গেছে। মীরজাফরের বেইমানি তে দেশ পরাধীন হয়েছিল, এদের রক্তে বেইমানি আছে, এরা দীর্ঘ দিন ভারতে থেকে ভারতীয় হতে পারেনি। স্বাধীনতার সময় ইংরেজের সাথে ষঢ়যন্ত্র করে ভারত ভাগ করে নিয়েছে, সঙ্গে আমাদের কিছু হিন্দি ভাষী হিন্দু ধর্মের লোক জন ছিল, যারা বাঙালি আর পাঞ্জাবের শিখ দের দেখতে পারত না। এই দুই জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই থেকে বাঙালি হিন্দু জাতির মানুষ অত্যাচারের স্বীকার কেউ স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে অন্য জায়গায় আসে না। দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার পর পালিয়ে যায় দেশ ছেড়ে। কারণ দেশ ভাগের পর থেকে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দেবার জন্য আর কোনো নেতা বা নেত্রী উঠে আসে নি। যার সবল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বলবেন বাংলাদেশ পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তবে স্বাধীন বাংলাদেশ হয়েছে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাহায্য করে ছিলেন। আমার মনে হয়, ইন্দিরা গান্ধী সাহায্য করে ছিলেন, তিনি নিজে মুসলিম ছিলেন, কারণ ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ কে বিয়ে করে ছিলেন। ভারতীয় দের মধ্যে ব্রিটিশ দের সব থেকে বড়ো দালাল, গান্ধী তার পদবী দান করে ছিল ফিরোজ কে। সেই কারণেই ফিরোজ গান্ধী, হয়েছিল। যাহোক ভারত ভাগ হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের হিন্দুরা যে অত্যাচারের স্বীকার, এটা মিথ্যা নয়। আর এখন তো সোসাল মিডিয়ার যুগ, দেশ কেন পৃথিবীর যে প্রান্তে বসে থাকুন আপনি সোসাল মিডিয়ার দৌলতে যেখানে যা ঘটছে মূহুর্তে খবর পাবেন। সেই কারণেই, ফেসবুক ইউ টিউবে প্রতি নিয়ত বাংলা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার গুলো সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফেসবুক তো ভরে আছে ঐ দেশের সংখ্যা লঘু নির্যাতনের ছবি খবরে, ছবিতে, ভিডিওতে তথা কথিত শান্তির ধর্মের লোকজন জানে না অনেকে নিশ্চয়ই জানেন। তবে প্রিয়া সাহা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প কে বলল কথা গুলো সে গুলো সোসাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে, আবার সে ঐ সত্যিই কথা গুলো বলেছে বলে, তার উপর কীভাবে অত্যাচার করা হবে, অর্থাৎ হুমকি দেওয়া হয়েছে, বা হচ্ছে, তার ভিডিও ফুটেজ সব সোসাল মিডিয়াতে ভরে গেল। বিশ্বের সেরা শান্তির ধর্ম তাই নব্বই শতাংশ উগ্রপন্থী বা জঙ্গী শান্তি বজায় রাখতে তৈরি করা হয়েছে। আই এস আই, /মুজাহিদ /লস্কর /তালিবান আরও কত কি নামের শেষ নেই। এসব ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র হাতে তুলে নেয় নি, বরং তাদের সাহায্য করে গেছে। ভারতের দালাল দের মতো, আমরা মাড়য়ার আমরাও ব্যবসা করব। ইংরেজ তাড়িয়ে তাদের ব্যবসা দখল করে সারা দেশে আমরা থাকব ব্যবসার নামে শোষণ করব। এই তো ছিল গান্ধীর আন্দোলনের রূপ রেখা। যাহোক এই নিয়ে আবার লেখা যাবে। সব শেষে বাংলাদেশের ঐ সাহসী মেয়ে টি কে নমস্কার জানাই, আর বলি আপনি সুস্থ থাকুন, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন। শেষে ফেসবুক থেকে সংগৃহীত বাংলা দেশের সংখ্যা লঘু নির্যাতনের ছবি দিই, যদি মিথ্যা হয় ভালো।
Anulekhon.blogspot.com
Wednesday, 31 July 2019
প্রাথমিক শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি বড়ো তামাশা ।
আমি প্রথম ধন্যবাদ জানাই যারা এই আন্দোলন করে ছিলেন, নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও উস্থি শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষক দের। কারণ তাদের দাবি ভুল ছিল না, কিন্তু এই সরকার "নাকের বদলে নরুন" দিয়েছে, দীর্ঘ চোদ্দ দিন অনশন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক দের যে বেতন বৃদ্ধি করেছে, তাতে মুড়ি মুড়কি সব এক হয়ে গেছে। এখন সেই সব সংবাদদাতারা কোথায় গেলেন? যারা শিক্ষকদের বেতন ৮০০০/৯০০০ টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। এই সব খবর দেখে ফেসবুক ইউ টিউবে ভরে গেল ভিডিও, সঠিক তথ্য না জেনে এই সব সংবাদ দাতা সংবাদ লেখে, আর মানুষ কে বিভ্রান্ত করে। ফেসবুকে এমন সব পোষ্ট দেখ ছিলাম মনে হলো কেবল প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, এই বঙ্গে আর কারো বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে না। যে সব সংবাদ পত্র ও বিভিন্ন গণ মাধ্যম ও সোসাল মিডিয়া ফাটিয়ে ফেলে ছিলেন। কিছু তো আবার বলেই দিলেন আপনারা ঐ টাকায় চাকরি না করলে ছেড়ে দিন অনেকে অপেক্ষা করছে, ও থেকে কম বেতনে চাকরি করবে বলে। আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম যখন এম পি /এম এল এ দের বেতন দ্বি গুনের বেশি হলো তখন কেউ বললেন না। আপনাদের দেশ সেবা করতে হবে না। কিম্বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হলে, কোনো কাগজে বড়ো বড়ো করে শিরোনাম হয় না। আবার যখন অন্য কোন কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, যেমন সিভিক, থেকে অস্থায়ী কর্মীদের তখনও কোন কথা নেই, অথচ প্রাথমিক শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি হলে, যেন হুলড় পরে যায়। কেউ কেউ ফোটসফ করে শিক্ষকের ঘুমের ছবি পোষ্ট করেছেন। এই সব আঁতেল বাঙালি কে বলছি, শিক্ষক দের বেতন ৮০০০/৯০০০ টাকা বাড়ছে না। নতুন শিক্ষকের সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি ৩০০০/৪০০০ টাকা আর পুরনো শিক্ষকের বৃদ্ধি ৮০০/১০০০টাকা। আরেক টা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যাবে, ২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত যে সব শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে, তাদের সবার বেতন সমান হয়ে যাবে। যদি এই সরকার বেতন কমিশন কার্যকর করে তবে ২০১৬ সাল থেকে দিলে, পে ব্যাণ্ড টু তে দেবে, তার ফলে অনেক নতুন শিক্ষকের বেতন পুরনো শিক্ষকের থেকে বেশি হয়ে যাবে। কি দারুন ব্যবস্থা, শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধির নাম করে, পর্বতের মুষিক প্রসব। আমি যেটা দেখতে পাচ্ছি, এই সরকার বেতন কমিশন দেবেন না। আজ দশ বছরের উপর হয়ে গেল, সরকারি কর্মীদের পে কমিশন দিয়ে ছিল বামফ্রন্ট সরকার। দেশের সব রাজ্যের সরকার সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করে দিয়েছেন ।আর আমাদের রাজ্যের সবথেকে ভাল সরকার যে ক্ষমতা দখল করা ছাড়া আর কিছু বোঝে না, সেই সরকার ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর করতে পারেনি। সত্যিই কত ভালো রাজ্যে আছি বাঙালি জাতির গর্বের বিষয়, ক্লাবে টাকা, যার সাইকেল দরকার নেই, তাকেও সাইকেল, যার কন্যাশ্রী বছরে পাঁচশ বা সাত শ টাকা দরকার নেই, কোটি পতি বাবা তাকেও পঁচিশ হাজার কন্যাশ্রী, রূপ শ্রী যুবশ্রী আরও কত পথ মানুষ কে ভিক্ষা দেওয়ার। কেবল সরকারি কর্মীদের ডিএ ও পে কমিশন দেওয়ার জন্য টাকা নেই। এতো করেও মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারে না, মানুষ কে ভোট দিতে দেয় না, গননা কেন্দ্রের মধ্যে ছাপ্প দিয়ে ভোটে নির্বাচিত হন।
কোন পরিবর্তন ছাড়া আবার সেই একই আদেশ সেপ্টেম্বর থেকে বর্ধিত বেতন সাথে আছে, ব্যাখা ব্যস। এই আদেশে কোনো পরিবর্তন হয়নি, নূন্যতম বেতন ঠিক করার যে ফিডমেন্ট থাকে সেটা না হলে জুনিয়র শিক্ষকের বেতন সিনিয়র শিক্ষকদের থেকে বেশি হয়ে যাবে। এই সমস্যা সমাধানের কোনো আদেশ নেই।
কোন পরিবর্তন ছাড়া আবার সেই একই আদেশ সেপ্টেম্বর থেকে বর্ধিত বেতন সাথে আছে, ব্যাখা ব্যস। এই আদেশে কোনো পরিবর্তন হয়নি, নূন্যতম বেতন ঠিক করার যে ফিডমেন্ট থাকে সেটা না হলে জুনিয়র শিক্ষকের বেতন সিনিয়র শিক্ষকদের থেকে বেশি হয়ে যাবে। এই সমস্যা সমাধানের কোনো আদেশ নেই।
Monday, 29 July 2019
বিদ্যালয়ের পোষাক দেওয়া, দায় কার, প্রধান শিক্ষকের না পোষাক দেওয়া দলের!
আমি জানি এ লেখা কেউ পড়বেন কিনা পড়লে সবটুকু পড়বেন। বিদ্যালয়ের পোষাক দেওয়া নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার কথা লিখব। পোষাক দেওয়ার জন্য ভি ই সি এ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, গত জুন না জুলাই মাসে, দীর্ঘ গরমের ছুটির পর বিদ্যালয় পরিদর্শক জুনের শেষ দিকে সভা ডাকেন প্রধান শিক্ষক ও যে দল বা সংঘ পোষাক দেবে তাদের। গত ২০১৬ সাল থেকে এই পোষাক দেওয়ার জন্য দল গোষ্ঠী বা সংঘ কে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, কোন দল বা সংঘ কোন পঞ্চায়েত পোষাক দেবে সেই সংঘের নাম ও তাদের ফোন নম্বর সহ ডিএমের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, গত ২৫/৭/১৯ বা ২৬/৭/১৯ এস আই অফিসে সভা ডেকে। সেই সভায় এ আই সিঙ্গুর ব্লক বলেন, পোষাক যেন সূতির হয়, কোন মতে টেরিকটন বা গা চুলকায় এরকম পোষাক নেবেন না। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা ও পোশাকের কাপড়ের নমুনা গেঁথে কাগজ পত্র দেবেন,এবং বিদ্যালয়ে এক কপি রেখে দেবেন পোষাক দেওয়ার সময় মিলিয়ে দেখে নেবেন। পরে যতটা সম্ভব ২৯/৭/১৯ তারিখে তিনি হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে লেখেন যে, ৬/৭/১৯ এর মধ্যে, কারণ ১/৮/১৯ সিঙ্গুর ব্লকের পোষাক দিবস পালিত হবে। এবার আমার বিদ্যালয়ের ঘটনা বলি প্রথমত আমার বিদ্যালয়ে পোষাক দেওয়ার জন্য আদেশ পেয়েছে, সিঙ্গুর ১ নং পঞ্চায়েতের নবান্ন সংঘ। তারা কী করল ৬/৭/১৯ এর পর এলেন এবং প্রথম মাপ নেওয়ার দিন যতটা সম্ভব ৯/৭/১৯ তারিখে। নমুনা দেখালেন কী পুরণো গত বছরের দেওয়া জামা প্যান্ট, যে জামাটি মোটেও সূতির নয় একদম খাঁটি টেরিকটন, গায়ে দিয়ে অনেক ছাত্র ছাত্রী অভিযোগ করে স্যার গা চুলকাছে। আমি ঐ কাপড় পছন্দ করি না, ওদের বক্তব্য আমার বিদ্যালয়ের জামার কাপড় নাকি সুতির পাওয়া যাচ্ছে না। বাকি পাঁচটি বিদ্যালয়ের সকলের সুতির কাপড় হচ্ছে। কেবল নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেওয়ার সময় ঐ কাপড়, আমি ডি এমের কথা মতো ওদের ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা ও তালিকা তুলে দিই, কিন্তু কাপড়ের নমুনা না দিয়ে কারণ ঐ কাপড় গত বছর দিয়েছে, আবার এ বছর টাকা বেড়েছে, তাতেও একই কাপড়, আবার ওরা তৈরি জামা প্যান্ট এনে ছিল, সেইটা কেটে নিতে পারিনা। এর পর আবার দ্বিতীয় দিন মাপ নিতে এসে, সেই একই কথা, আপনার বিদ্যালয়ের কাপড় সুতির হচ্ছে না। আমি জানি ওরা বা ঐ নবান্ন সংঘ ছাড়া আর কেউ পোষাক দিতে পারবে না। তাই বলে দিই আপনারা যা পারেন করুন, আমার কাপড় পছন্দ নয়। এই বিষয়ে এবং ভি ই সি এ্যাকাউন্টে অন্য টাকা নিয়ে আমি দুবার সভা ডাকি, দু বারের সভায় এক বারও সভাপতি হাজির ছিলেন না। সভা করা যায়নি, এর পর ২৫/৭/১৯ এর অভিভাবক সভায় উপস্থিত হন, পোষাকের কথা উঠলে দু এক জন অভিভাবক বলেন গত বছরের মতো পোষাক দিলে আমরা নেব না। কারণ গত বছর টেরিকটন পোষাক গায়ে দিতে পারে নি। অনেকের গায়ে হয় নি, এই শুনে সভাপতি বলেন আপনি সনির্ভর দল কে ফোন করুন বলুন, গত বছরের মতো পোষাক হলে আমি চেকে সাক্ষর করব না। এখানে বলে রাখি সভাপতি নব নির্বাচিত, সিঙ্গুর ১নং প্রাক্তন প্রধান। আমি ওনার কথায় ফোন করে জানতে পারি যে, জামার কাপড় একটু পাল্টেছে, ওরা আমাকে দেখাতে ২৬/৭ /১৯ তারিখে আসবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম ঐ কাপড় টি, সুতির কিনা? ওরা উত্তর করল না সবটা নয় পাইল আছে, কিছুটা সুতির, আমি সভাপতির কথা মতো বললাম আপনারা না পারলে ছেড়ে দিন, অন্য দল পোশাক দেবে।পরের দিন ২৬/৭/১৯ যথারীতি SHG এলো ঐ নতুন জামার ছিটের টুকরো নিয়ে। আমি সকল শিক্ষকদের দেখলাম, আমি জানি ওরা সবাই সভাপতির কাছের লোক, সবাই মিলে ওদের কথা শুনে বললাম, আচ্ছা এবারের মত দিন, তবে সভাপতি চেকে সাক্ষর করবে সে ওনাকে, একবার ছিট টি দেখিয়ে নেবেন। ওরা সভাপতির কাছে, না গিয়ে২৯/৭/১৯ তারিখে, এ আই সিঙ্গুর ব্লকের কাছে গেলেন, তিনি আমাকে ফোন করে বেশ খানিকটা কথা শুনিয়ে দিলেন। কারণ বর্তমান রাজত্বে ওটা শিক্ষকের নিয়মিত প্রাপ্য, যাহোক আমি বললাম আমার কোন আপত্তি নেই, সভাপতি না চেক সাক্ষর করলে আমার কিছু করার নেই। তিনি থামলেন, ঐ দিন সন্ধ্যায় সভাপতি আমাকে ফোন করে নানা ধরনের কথা শোনালেন। আমি ওনাকে পরের দিন স্কুলে আসতে বললাম, পরের দিন ৩০/৭/১৯ SHG মেয়েরা এলো আমি ফোনে সভাপতি কে আসতে বললাম, তিনি এলেন। আমার কাছ থেকে এবং আমার সহকর্মীদের থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে উনি কাপড় দেখে কিছুতেই রাজি নন। আমি শেষে বললাম আগামী ১/৮/১৯ পোষাক দিবস পোষাক দিয়ে ছবি পাঠাতে হবে। আমি পোষাক নেব টাকার চেক সাক্ষর করব, সভাপতি বলেন আমি করব না। কারণ সভাপতি ও সম্পাদক তথা প্রধান শিক্ষকের সাক্ষরে টাকা উঠে। কেন এ ঘটনা ঘটেছে, আমার সহকর্মীদের মধ্যে এমন কিছু সহকারী আছেন যারা বর্তমান শাসক দলের বাড়ির এবং ঐ পঞ্চায়েত সদস্যা তাই, এবার ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা বা পোষাক পাবে ২৫২ জন, টাকাটা ২৫২x600। এর আগে উনি প্রধান থাকার সময় সব মানুষ ওনার সাথে সাথে থাকতেন। দিদি কে বলো ও ফোন নম্বর দিচ্ছেন যে অভিযোগ করবে তার নাম নেতাদের কাছে চলে আসবে, তার কপালে দুঃখ আছে, এত সি পি আই এম এর শেষ আমলের মতো হচ্ছে।সবশেষে আমার একটা দাবী আছে, টাকাটা ওদের মানে SHG দলের বা পঞ্চায়েতের এ্যাকাউন্টে দিয়ে দিলে শিক্ষকের উপর থেকে এই ঝামেলা যায়।
Sunday, 28 July 2019
নাসির উদ্দিন শাহের কথা টা আজ কতটা প্রাসঙ্গিক?
ভারত একটা বিশাল দেশ, বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। বিভিন্ন ভাষাভাষী জাতি গোষ্ঠীর বাস তাদের বাম পন্থায় আনা কি সম্ভব? আমি যতদূর জানি বাম পন্থী দল গুলো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না, কেবল এই বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী ও ভাষার জন্য। আমি যতদূর জানি ভারতে বাম পন্থা চর্চা শুরু হয়েছে, পরাধীন থাকার সময় থেকে, কিন্তু আজ পর্যন্ত ভারতে সেই অর্থে বামপন্থীরা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে নি রাশিয়া বা চীনের মতো। গনন্তান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকে যে টুকু হয় কিছু বামপন্থী দল তার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছু উগ্র বামপন্থী আবার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন করে যাচ্ছে। আগেই বলেছি ভারত বর্ষ বিভিন্ন ভাষাভাষী ও জাতি গোষ্ঠীর বাস এই চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। গনন্তান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যতটা সম্ভব করা যায় সেটাই ভালো। একবার সুযোগ এসে ছিল জ্যোতি বসু কে প্রধানমন্ত্রী হবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার দল সেটা মেনে নেয়নি। এই নিয়ে তিনি বলেছিলেন এটা ঐতিহাসিক ভুল। এই গনন্তান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তিন টি রাজ্যের ক্ষমতায় আসা ছাড়া আর সে ভাবে কিছু হয়নি। কোন কোন রাজ্যে হয়তো দু একজন এম পি /এম এল এ আছে। এখন আবার কেরল ছাড়া অসত্বিত নেই, কারণ আছে বামেদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা একরকম আবার ত্রিপুরার এক রকম, আমি মনে করি পশ্চিম বঙ্গ থেকে বামেদের চলে যাওয়ার মূল কারণ ছিল, উগ্র ডান পন্থার ধ্বংসাত্বক আন্দোলন যেটা প্রতিহত করতে পারে নি, তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার বা তার দল। বেশিরভাগ কর্মী সমর্থক প্রতিষ্ঠান মুখী বা সরকার মুখী হয়ে পড়েছিল । আমাদের সরকার সব ঠিক করে দেবে, আস্তে আস্তে সমস্ত গন সংগঠনের ক্ষয় ধরে ছিল। নীচু স্তরের কর্মী সমর্থকদের ধমকে বসিয়ে দেওয়া, তাদের গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো কাজ করে যাওয়ার ফলে, আর নেতৃত্বের জনগণের সাথে না মেশা গনসংগঠন গুলো কে গুরুত্ব না দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে পড়েছিল । এখন যা পরিস্থিতি তাতে করে এই উগ ডান পন্থী দল একটা বিশেষ ধর্মের মানুষ কে বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে ক্ষমতায় এসে ছিল। আর ক্ষমতায় থাকতেও চাইছে, এবার সাধারণ মানুষ নিজেদের রক্ষা করতে এবং নিজের বেঁচে থাকার অধিকার রক্ষা করতে আরও একটি উগ্র ডান পন্থী দল কে ভোট দিয়েছে। আরেক টি কারণ দিনের পর দিন বামপন্থীরা পিছিয়ে পরছে, সমাজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে, অনেকে উগ্র নাস্তিক হতে গিয়ে আরো ক্ষতি করে দিয়েছেন। কারণ সমাজ ব্যবস্থায় সেই পরিবর্তন বামেরা আনতে পারে নি। মানুষের সব সমস্যার সমাধান করতে পারে নি,সব মানুষের তিন টি মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারেনি। তার জন্যে মানুষ ধর্ম বা দেবতার পূজা পাটের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সে ভাবে নাস্তিকতা প্রচার করা হয়নি। আর দলের নেতা কর্মীরা উগ্র নাস্তিক হওয়ার কারণে এদের সাথে মিশতে পারেনি। শেষের দিকে এটা বেশি হয়েছিল। সাধারণ মানুষ কে তুচ্ছ জ্ঞান করা, আত্ম অহংকার মুখের ভাষা মানুষের কাজ করে না দেওয়া সরকারি অফিসে গেলে দিনের পর দিন ঘোরান। নতুন করে আধুনিক কল কারখানা না হওয়ায় বেকার সমস্যা বেড়ে যাওয়া। ভারতে বাম আসা কোন দিন সম্ভব হবে না, বামপন্থীরা লড়াই আন্দোলন করে কোন কোন রাজ্যে ভালো মিটিং মিছিল করে, কিন্তু ভোটে বা নির্বাচনে প্রার্থী দেয় না। নির্বাচনে প্রার্থী দিতে হলে খরচ করতে হবে, হয়তো টাকার অভাব কারণ এই বামপন্থী দল গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্পোরেট সংস্থা গুলো কে এড়িয়ে যায়। আমি মনে করি বামপন্থীরা সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বা কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতায় এলে দেশের এই উগ্র ডান পন্থা অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে। এ বিষয়ে অনেকে মনে করেন কংগ্রেস কম সাম্প্রদায়িক দল, আমার মতে কংগ্রেস একটি ভীষণ সাম্প্রদায়িক দল, ধর্মের নামে দেশ ভাগ করার মূল করিগর। এতটা ক্ষমতা লোভী যে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু এদের কাছে কিছু না। ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে ক্ষমতা দখল ও চল্লিশ পঞ্চাশ বছর ভারত শাসন ক্ষমতা একটি পরিবারের সদস্যদের হাতে, এরা ক্ষমতা ছাড়া আর কিছু জানে না। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক তাই, আমি আর আমার পরিবারের লোকজন দিনের পর দিন কোটি কোটি টাকার মালিক হব । কোন স্থায়ী কিছু না করে আর সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি কর্মী সবাই কে আমি ভিক্ষা দেব, আমার ক্ষমতা চাই। দাম্ভিক অত্যচারি শাসক আজ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। মানুষ খুন, দাঙ্গা লাগিয়ে, যেমন করে হোক ক্ষমতা চাই, জোর করে ভোট না দিলে মার। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেও তিনি সাধারণ মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না। এই দম্ভ অহংকারি শাসক, যে নিজের ছাড়া আর কিছু বোঝে না। এরা মিথ্যে কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করে, মানুষের সর্বনাশ করে ভারত বর্ষের আজ সেই অবস্থা। যুব সমাজ কে বাম পন্থায় আনতে হলে, আরও নিবিড় প্রচার এবং তাদের নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে বা নিতে হবে। তবে বামপন্থী দল গুলো এগিয়ে যাবে, যেমন কানহাইয়া কুমার উঠে এসেছে, এভাবে নব যুবক দের দায়িত্ব নিতে হবে। বয়স হলে পাশে সরে গিয়ে যুবক দের পদ ছেড়ে দিতে হবে। তবেই ঐ কথা গুলো প্রাসঙ্গিক, না হলে চিরকাল স্বপ্ন থেকে যাবে ভারতে বাম পন্থা আসবে।
সহিষ্ণুতা দেখানো কি কেবল হিন্দুদের দায়িত্ব?
ধর্ম নিয়ে গোঁড়ামি আমার নেই, আমি যা সত্য বলে মনে হচ্ছে সেটা নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি। দেশের স্বাধীনতার সময় আমরা দেখেছি ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতার জন্য যারা বেশি লড়াই করল, সেই দুটি জাতির বেশি ক্ষতি করে এই স্বাধীনতা, এক বাঙালি হিন্দু জাতি, দুই পাঞ্জাবি বা শিখ ধর্মের লোক। এখনও পর্যন্ত বাঙালি হিন্দু জাতির লোক মার খেয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশে কারণ সে দেশের এক নাগরিক প্রিয়া সাহা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে বলেছেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যা লঘু নির্যাতনের কথা। তিনি এও বলেছেন কত হিন্দু ধর্মের লোক বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে চলে গেছে। অথচ ভাবুন ঐ দেশটা তো তাদেরও, আসলে তা নয় আমরা বাঙালি হিন্দুরা এমন একটা সহনশীল জাতি, অপর জাতির দোষ দেখতে পাই না। সহনশীলতা দেখাতে দেখাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তবুও প্রতিবাদ করিনা। আমাদের এই দূর্বলতা আমাদের নিশ্চিহ্ন করে দেবে একদিন। আমরা ভীষণ আত্মঘাতী জাতি, নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করি কোনো লোক কারো ক্ষতি করছে দেখে চুপ করে থাকি। আজ বাংলাদেশ থেকে চলে আসা অত্যাচারিত বাঙালি হিন্দু জাতির লোক যারা অসমে বসবাস করছেন তারা NRC নামে আজ অত্যাচারিত হচ্ছে। এবার তারা যাবে কোথায়? বাংলাদেশের শান্তি ধর্মের লোকজনের প্রতি নিয়ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অনেক পরিবার স্বাধীনতার পর এদেশে চলে এসেছে, এবং দীর্ঘ দিন বসবাস করছে তারা আবার ভিটে ছাড়া। আসাম থেকে আবার তাদের বাংলাদশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বা হচ্ছে। ভাবলে অবাক লাগে এই বাঙালি হিন্দুরা স্বাধীনতা আন্দোলনের নিজের প্রাণের মায়া না করে স্বাধীনতা আন্দোলন করেছে।হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে উঠে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। আজ স্বাধীন দেশে তারা কি পেয়েছে, একবার শান্তির ধর্মের লোক জন বাংলাদেশ বা নিজের দেশ থেকে ভিটে মাটি দখল করে তাড়ায় আরেক একবার তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে এলে তারা তাড়ায়। ধর্ম নিরপেক্ষ কেমন, যেখানে অমর নাথ যাত্রায় সেনা পাহারা লাগে। বাঙালি হিন্দু জাতির জন্য দুটি দেশের কোনো দেশে জায়গা নেই। অথচ এই দুই দেশ যখন এক ছিল স্বাধীনতা পায়নি, তখন সমস্যা ছিল কি না জানি না। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পর যেন অত্যধিক হারে বাঙালি হিন্দু নিধন যজ্ঞে মেতে উঠেছে তথা কথিত শান্তির ধর্মের মানুষ। এই শান্তির ধর্মের মানুষ কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ইংরেজ কে সাহায্য করে গেছে। এরা ইংরেজ কে দেশটা বেচে দিয়েছিল। আর ইংরেজরা যখন চলে গেলেন তখন ভারতকে তিন টুকরো করে। বাঙালি হিন্দু জাতির উপর তাদের বহু দিনের রাগ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বাংলা ভাগ করে দেওয়া হলো। এটাতে ইংরেজ দের ইচ্ছা পূরণ করতে সহায়তা করল তথা কথিত শান্তির ধর্ম বলে যারা নিজেদের জাহির করে তারা। এই শান্তি ধর্মের লোকজন তরবারি ও অন্য অস্ত্র নিয়ে হিন্দু নিধন যজ্ঞে মেতে উঠল। লাখো লাখো হিন্দু ধর্মের লোক পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে হিন্দুস্থানে চলে এলো। একটু শান্তি আর আশ্রয়ের আশায়, এ ঘটনার পর আবার ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আবার শুরু হলো হিন্দু নিধন যজ্ঞ, তবে এই সময় অনেক মুসলিম ধর্মের বাঙালিও ভারতে চলে এসেছিল। শান্তির জন্য, আর এই নিয়ে বর্তমান শাসক বি জে পি সরব NRC মাধ্যমে এদের তাড়ানো হবে। কখনও বলছেন হিন্দু ধর্মের লোক এখানে থাকবে শরণার্থী হয়ে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উল্টো ছবি, বাংলাদেশ লাগোয়া আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ আজ বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করেছেন বি জে পি সরকার। তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে, আমার জিজ্ঞাসা যুগের পর যুগ ধরে হিন্দু ধর্মের মানুষের উপর এই অত্যাচার করে যাবে তথা কথিত শান্তির ধর্মের লোকজন আর আমরা যখন দেখব হিন্দু বাঙালি জাতি বা অন্য হিন্দু ধর্মের লোক নিজেদের বাঁচাতে গিয়ে যদি অস্ত্র হাতে তুলে নেয়, তখন তার সহিষ্ণুতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ।
Saturday, 27 July 2019
কর্নাটকের তিন বিধায়ক কে রাজ্য পাল তাদের সদস্য পদ বাতিল করে দিয়েছেন।
কর্নাটকের বিধান সভা নির্বাচনে কয়েক মাস আগে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচন জিতে এলেন। কয়েক মাস পরে মনে হলো কংগ্রেস ভালো নয় বিজেপি তে যাই, কিন্তু তিনি বা তারা ভাবলেন না, মানুষ কংগ্রেসের সিম্বল দেখে ভোটে নির্বাচিত করেছেন। এর পর দেখা গেল তিনি অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। এতে সেই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো। যে দলে তিনি যোগ দিলেন, সেখানে সেই দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও মানুষ ভোট দেননি। কর্নাটকের রাজ্যের রাজ্যপাল, এরকম তিন বিধায়কের বিধায়ক পদ বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি সঠিক কাজ করেছেন, এরকম সারা দেশে সব রাজ্যে সব রকম নির্বাচনে হওয়া উচিত। সাধারণ মানুষ যে দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও ভোট দেন নি। অথচ তিন ক্ষমতার লোভে সেই দলে যোগ দিয়ে চলে গেলেন। আমার মতে দল বদল আইন আরও কঠিন হওয়া উচিত।
Friday, 26 July 2019
শিক্ষক দের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ কে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
বেতন বৃদ্ধি ও আরও কয়েকটি দাবিতে শিক্ষকদের একাংশ আজ চোদ্দ দিন কলকাতার রাজপথে ধর্ণা ও অনশন করছিলেন। বর্তমান সরকার কিছুটা হলেও বেতন বৃদ্ধির জিও করেছেন, চোদ্দ জন শিক্ষক কে তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই ব্লগের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রী কে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। এবার যে সব মিডিয়া শিক্ষক শিক্ষিকা দের এই আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম লেখা লিখে, সাধারণ মানুষ কে শিক্ষক শিক্ষিকা দের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিচ্ছিলেন। তাদের বলছি, দয়া করে না জেনে কিছু লিখবেন না। কারণ আমি দেখেছি বিভিন্ন মিডিয়া, সে সোসাল মিডিয়া বা দূরদর্শনে বা প্রিণ্ট মিডিয়া সকলে মিলে বিভিন্ন রকম বেতন বৃদ্ধি ঘটিয়ে দিচ্ছিলেন। এই ভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সাধারণ মানুষ কে বিভ্রান্ত করে কি লাভ হলো। আপনারা যে চেষ্টা টা করে যাচ্ছেন, তাতে আপনাদের রুচি ও শিক্ষা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণ আমি জানি শিক্ষক শিক্ষিকা হতে গেলে বেসিক বা বর্তমানে DELd ট্রেনিং নিতে হয়। তার জন্যে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে শতকরা ভালো নম্বর পেতে হবে। না হলে সুযোগ পাওয়া মুশকিল। আমি জানি না যারা এই সব সমালোচনা করছেন, তারা কত ভালো নম্বর পেয়েছেন। আর আমার যতদূর জানা আছে, সরকার বেতন বৃদ্ধি বা ডিএ দেন, জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধি হলে। কারণ প্রতিনিয়ত টাকার মূল্য মান কমে, ও জিনিস পত্রের দাম বাড়ে, আর সাধারণ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে সরকারের কর্মীদের বেতন ও ডিএ দিতে হয়। কারণ সাধারণ মানুষ নিজের ইচ্ছে মতো টাকা ছাপতে পারে না। সাধারণ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের আরও নানা ব্যবস্থা আছে। আমি যতদূর যতদূর জানি সরকারি কর্মীরা এই টাকা ঘরে বা ব্যাঙ্কে রেখে দেবেন না। আবার সরকার সরাসরি সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাসের খরচ পৌঁছে দেবে না। আমার যতদূর জানা আছে, টাকার যোগান কম পড়লে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে। রাজ্যের বা দেশের আর্থিক মন্দা দেখা যায়, যা এই রাজ্যে ক্রম বর্দ্ধমান। এসব যারা ভালো অর্থনীতি বিদ তারা আরও ভালো করেই জানেন। আর এসব একটু আধটু জানতে ভালো পড়াশোনা করতে হয়। টুকে নকল করে, নকল শংসাপত্র যোগার করে আমি বিএ /এম এ পাশ বলে চিৎকার লাভ নেই। একটু ভালো করে মন দিয়ে লেখা পড়া করলে সঠিক জায়গায় পৌঁছন যায়। অপরের উন্নতি তে হিংসা না করে। নিজের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে মন দিয়ে কাজ করে গেলে সুফল মিলতে পারে। তা না করে ওর কেন বেতন বৃদ্ধি হলো ও কি করে এতো টাকা করল এসব পর শ্রী কাতরতা ছেড়ে, নিজের উন্নতির দিকে মনোযোগ দিন। সমালোচনা করার আগে ভাবুন আমার বা আপনার যোগ্যতা কী? আমি জানি বাঙালি জাতি কাঁকড়ার জাত কিছুতেই ঝুড়ি টপকাতে দেবে না। প্রতিবেশী বা অপরের উন্নতি কিছুতেই সহ্য করতে পারে না।
Thursday, 25 July 2019
কিছুটা বেতন বৃদ্ধির কথা বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রী, কিন্তু এই নতুন pay band 3 উপর ষষ্ঠ বেতন কমিশন হবে তো!
শিক্ষা মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কিছুটা হলেও কিছুটা হলেও দাবি পুরণ হলো। অবশ্য যদি কার্যকর করা হয়, তবে এর সাথে একটা শঙ্খা থেকে যাচ্ছে, এই নতুন স্কেলের উপর বর্তমান বেতন কমিশন কার্যকর করা হবে তো। না বলা হবে এই তো বেতন বৃদ্ধি হবে, আবার বেতন কমিশন কিসের, এটা শিক্ষকের ভাবা উচিত যদি এর পর এই নতুন স্কেল বা পে ব্যাণ্ড ৩ ও গ্রেড পে উপর নতুন পে কমিশন না দেওয়া হয়। তাহলে শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধির এই ঘোষণা কার্যকর করা হলে নতুন পে কমিশন হলে তার বেশি বৃদ্ধি হতো না, এই গ্রেড পে বা স্কেলে কতটা বাড়বে। আমি জানি না সরকার বাহাদুর কি করবে? এই বেতন বৃদ্ধি করে দিয়ে বলা হতে পারে এর উপর নতুন বেতন কমিশন দেওয়া হবে না। মনে রাখতে হবে যদি এই নব ঘোষিত বেতন কাঠামো তৈরি করে তার উপর ষষ্ঠ বেতন কমিশন দেওয়া হয় তবে শিক্ষকের দাবি অনেক টা পুরণ হবে। আর যদি না দেওয়া হয় তবে শিক্ষকের বেতন হবে, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আর অন্য দিকে সরকারি কর্মীদের ও অন্যান্য কর্মীদের বেতন হবে, ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী। যা গত পাঁচ টি বেতন কমিশন কার্যকর করার সময়ে হয়নি। আশা করি সরকার বাহাদুর বিষয় টি ভেবে দেখবেন। যাতে শিক্ষকরা আপনার ঘোষণা অনুযায়ী নতুন গ্রেড পে ও স্কেলের উপর ষষ্ঠ বেতন কমিশন পায়। তাহলে ওদের দাবীর কাছে বেতন চলে যাবে। আশা করি আর আন্দোলন হবে না। জানি না এই যারা PRT নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের দিয়ে এটি করানো হলো, তোমরা আন্দোলন কর আমরা পে ব্যাণ্ড ৩ দিয়ে দেব, কিন্তু ষষ্ঠ বেতন কমিশন দেব না। কারণ একটাই এই তো বেতন বাড়ানো হয়েছে আবার বেতন কমিশন কীসের? পে ব্যাণ্ড ৩ দেওয়া হয়েছে যাতে ব্যাণ্ড নেই, গ্রেড পে আছে। ব্যাখ্যা দিতে গিয়েও সেই একই আদেশ, আবার দেওয়া হয়েছে, সিনিয়র শিক্ষক দের জুনিয়র দের বেতন সমান কোনো জায়গায় নতুন শিক্ষক দের বেতন বেশি হয়ে যাবে।দারুণ আদেশ, দ্বিতীয় আদেশের কপি,
ভারতীয় গনতন্ত্রে সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্য হতে হলে কী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
শিক্ষা গত যোগ্যতা না থাকলেও চলে, যদিও থাকে তাহলে তাহলে সেটা ভুয়ো বা জাল সার্টিফিকেট হলেও চলবে। আবার যদি কোনো কারণে মানুষ খুন ধর্ষণের কেস তোলা বাজি থাকে তাহলে তো কথাই নেই, এসব কারণে জেল হাজতে থাকলেও চলবে। এই রকম প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়ে, সদস্য হবে। একবার সদস্য হলে এবার কোটি কোটি টাকা চুরি বা কাট মানি নেওয়া সহজ এই সব প্রার্থী অনেক দল বেশি পছন্দ করেন। এদের বাহুবলি বলে, মিথ্যে কথা বলতে পটু হতে হবে, মানুষ কে ঠেকাতে জানতে হবে। গরীবের উপকার করতে হবে তো, তাই কোটিপতি হতে হবে। ভোটের দিন মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে জানতে হবে। সাধারণ মানুষ কে নাজেহাল করতে জানতে হবে। মানুষ কে বোকা বানাতে জানতে হবে। সরকারি টাকা আত্মসাৎ করতে জানতে হবে। সরকারি কর্মীদের কাজে, বাধা দিতে জানতে হবে। যে ব্যবসায়ীদের টাকা খরচ করে ক্ষমতায় এসেছে, সে এবং নিজে যাতে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা বিদেশের ব্যাঙ্কে জমাতে পারে তার উপায় জানতে হবে। সরকারি ব্যবস্থা তুলে দিয়ে বেসরকারি কি করে করা যায় জানতে হবে। নিজের চোদ্দ পুরুষ যাতে বসে খেতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিতে জানতে হবে। যে কোন ভাবে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব লাগাতে জানতে হবে। মানুষ বিপদে পড়লে সামনে সহানুভূতি আর পিছনে বাঁশ দেওয়া যায় কি করে ভালো করে জানতে হবে। এ বিষয়ে পি এইচ ডি করেছেন এরকম সদস্য বা নেতা মন্ত্রী দলে রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে আমি যেটা নিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। মুখে ভালো বাসার অন্ত নেই, কাজের সময় নাজেহাল করে ছেড়ে দিচ্ছে। নেতা মন্ত্রী না হলেও ছোট খাটো হলেও, চলবে নিয়ম শৃঙ্খলা আইন ওসব অপরের জন্য বা সাধারন মানুষের জন্য, আমি ভালো আছি বা থাকব হলেই তাড়াতাড়ি নেতা হওয়া যাবে। মানুষ কোনো কাজে সাহায্য চাইতে এলে তাকে নাকের জলে চোখের জলে করতে জানতে হবে। আবার ভোটের আগে সুন্দর সুন্দর মিথ্যে কথা বলতে জানা বাধ্যতামূলক। ভোটের পর যদি জিতে গেলেন ব্যাস পায় কে, তখন মাটিতে পা পড়বে না। জনগণের নেতা জনগণ কে কাছে যেতে দেওয়া যাবে না। A to Z ক্যাটাগরি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে।
শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের নাম আজব বাংলা দেওয়া উচিত ।
আজ ১৩ দিন হলো প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অনশন ও ধর্ণায় বসেছে। এই দাবী নিয়ে যে তাদের
PRT স্কেলে বেতন চাই।PRT স্কেলের দাবিতে এরা যেমন অনড় সে রকম সরকার পক্ষ তেমন অনড়। শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। কখনও বলছেন, ৩২০০ হবে কখনো বলছেন, ৩৬০০ করা বা ২৬০০ টাকা কে এক হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩৬০০ টাকা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এসব বিভিন্ন অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়েছে। আরো বেড়িয়েছে, স্কেল ৭১০০ থেকে ৩৭৬০০ করা হবে। অতএব Pay band- 3 করা হবে। এবার প্রশ্ন হলো পে ব্যাণ্ড ২ যখন ছিল, তখন শিক্ষকের গ্রেড পে যারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয় তাদের ছিল ২৩০০ এবং ট্রেনিং প্রাপ্ত দের ২৬০০ টাকা এবং আঠারো বছর চাকরি করলে তার গ্রেড পে হতো ২৯০০ টাকা, অর্থাৎ ৫, ৬,৭ নম্বর স্কেল, আরেকটা বিষয় ছিল। প্রধান শিক্ষক হলে আরও ২০০ টাকা গ্রেড পে বেশি পেতেন। যিনি আঠারো বছর চাকরির আগে প্রধান শিক্ষক তার গ্রেড পে হতো ২৬০০+২০০ এবং আঠারো বছরের পর প্রধান শিক্ষক হলে মিলতো ২৯০০ +২০০ টাকা গ্রেড পে। বিভিন্ন অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়ছি।শিক্ষক দের গ্রেড পে ২৬০০ টাকা থেকে ৩৬০০ টাকা করা হবে। তাহলে আঠারো বছর বা তারও বেশি দিন চাকরি করে নতুনদের সমান বেতন। এটা কেমন হবে, অবশ্যই ঐ অন লাইন নিউজ পোর্টালে খবর অনুযায়ী যদি হয়। অন লাইন নিউজ পোর্টাল অনুযায়ী pay band 3 কথা বলছেন। তাহলে গ্রেড পে ১০০০ টাকা বাড়িয়ে ৩৯০০ টাকা হলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আমার যতদূর জানা আছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক দের সংখ্যা অন্য অনেক রাজ্যের থেকে বেশি তাই ঐ বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। আপনি এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যদি এই লেখা টি পড়েন, তবে তাড়াতাড়ি জিও করে ঘোষণা করুন, না ঐ শিক্ষকদের যা শারীরিক অবস্থা তাতে যদি কেউ মারা যায় তাহলে রাজ্যের বদনাম হয়ে যাবে। দয়া করে আপনারা তাড়াতাড়ি ঘোষণা করে ওদের বাঁচান। আপনারা জানেন এটা এখন আজব বাংলায় পরিনত হয়েছে, তার উপর যদি ঐ আজব দাবি দার দের কিছু হয়ে যায়। তাহলে রাজ্য টা সত্যিই আজব বাংলা হয়ে যাবে। কারণ হিসেবে বলি কিছু শিক্ষক যারা কোনো দিন ঠিক মতো কাজ করে না, তারা এই অজুহাতে প্রতিনিয়ত স্কুল ছেড়ে টিফিনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রধান শিক্ষক না বলেল, তাকে উল্টে অন্য কথা শুনতে হচ্ছে। এই সব ফাঁকি বাজ দের দিনের পর দিন কীভাবে আটকে রাখতে হয় যে রাখে সে ছাড়া আর কেউ জানে না। এরা কোনো দিন শিক্ষা বা শিক্ষক দের কোন আন্দোলনে যায়নি। ছাত্র ছাত্রীদের কথা মোটেও ভাবে না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন দয়া করে কিছু একটা ঘোষণা করুন। যাতে ঐ আন্দোলনে যাচ্ছি বলে শিক্ষক চলে যাওয়া আটকাতে এটা করুন।
PRT স্কেলে বেতন চাই।PRT স্কেলের দাবিতে এরা যেমন অনড় সে রকম সরকার পক্ষ তেমন অনড়। শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। কখনও বলছেন, ৩২০০ হবে কখনো বলছেন, ৩৬০০ করা বা ২৬০০ টাকা কে এক হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩৬০০ টাকা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এসব বিভিন্ন অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়েছে। আরো বেড়িয়েছে, স্কেল ৭১০০ থেকে ৩৭৬০০ করা হবে। অতএব Pay band- 3 করা হবে। এবার প্রশ্ন হলো পে ব্যাণ্ড ২ যখন ছিল, তখন শিক্ষকের গ্রেড পে যারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয় তাদের ছিল ২৩০০ এবং ট্রেনিং প্রাপ্ত দের ২৬০০ টাকা এবং আঠারো বছর চাকরি করলে তার গ্রেড পে হতো ২৯০০ টাকা, অর্থাৎ ৫, ৬,৭ নম্বর স্কেল, আরেকটা বিষয় ছিল। প্রধান শিক্ষক হলে আরও ২০০ টাকা গ্রেড পে বেশি পেতেন। যিনি আঠারো বছর চাকরির আগে প্রধান শিক্ষক তার গ্রেড পে হতো ২৬০০+২০০ এবং আঠারো বছরের পর প্রধান শিক্ষক হলে মিলতো ২৯০০ +২০০ টাকা গ্রেড পে। বিভিন্ন অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়ছি।শিক্ষক দের গ্রেড পে ২৬০০ টাকা থেকে ৩৬০০ টাকা করা হবে। তাহলে আঠারো বছর বা তারও বেশি দিন চাকরি করে নতুনদের সমান বেতন। এটা কেমন হবে, অবশ্যই ঐ অন লাইন নিউজ পোর্টালে খবর অনুযায়ী যদি হয়। অন লাইন নিউজ পোর্টাল অনুযায়ী pay band 3 কথা বলছেন। তাহলে গ্রেড পে ১০০০ টাকা বাড়িয়ে ৩৯০০ টাকা হলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আমার যতদূর জানা আছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক দের সংখ্যা অন্য অনেক রাজ্যের থেকে বেশি তাই ঐ বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। আপনি এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যদি এই লেখা টি পড়েন, তবে তাড়াতাড়ি জিও করে ঘোষণা করুন, না ঐ শিক্ষকদের যা শারীরিক অবস্থা তাতে যদি কেউ মারা যায় তাহলে রাজ্যের বদনাম হয়ে যাবে। দয়া করে আপনারা তাড়াতাড়ি ঘোষণা করে ওদের বাঁচান। আপনারা জানেন এটা এখন আজব বাংলায় পরিনত হয়েছে, তার উপর যদি ঐ আজব দাবি দার দের কিছু হয়ে যায়। তাহলে রাজ্য টা সত্যিই আজব বাংলা হয়ে যাবে। কারণ হিসেবে বলি কিছু শিক্ষক যারা কোনো দিন ঠিক মতো কাজ করে না, তারা এই অজুহাতে প্রতিনিয়ত স্কুল ছেড়ে টিফিনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রধান শিক্ষক না বলেল, তাকে উল্টে অন্য কথা শুনতে হচ্ছে। এই সব ফাঁকি বাজ দের দিনের পর দিন কীভাবে আটকে রাখতে হয় যে রাখে সে ছাড়া আর কেউ জানে না। এরা কোনো দিন শিক্ষা বা শিক্ষক দের কোন আন্দোলনে যায়নি। ছাত্র ছাত্রীদের কথা মোটেও ভাবে না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন দয়া করে কিছু একটা ঘোষণা করুন। যাতে ঐ আন্দোলনে যাচ্ছি বলে শিক্ষক চলে যাওয়া আটকাতে এটা করুন।
Wednesday, 24 July 2019
স্বাধীন ভারতে আবার পরাধীন ভারতের আইন।
আমাদের স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে নি। গুজরাতের কেউ একজন বলল আমি অনশন করব আমাদের স্বাধীনতা দাও, আমি ডাণ্ডি অভিযান করব আমাদের স্বাধীনতা দাও। কিম্বা আমার ডান গালে চড় মেরেছ, বাঁ গাল পেতে দিচ্ছি, তুমি আমার শাসক আমার প্রভু আমায় যত খুশি মার আমি কিছু বলব না। আর তুচ্ছ কারণে অসহযোগ আন্দোলন তুলে নিয়ে শাসকের সুবিধা করে দিয়েও স্বাধীনতা আসেনি। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, অনেক প্রাণের বিনিময়ে এবং অনেক রক্তের বিনিময়ে। যা ইতিহাসের পাতা থেকে ইচ্ছা করে সরিয়ে রাখা হয়েছে, একজন মানুষ কে বড়ো করে দেখানোর জন্য। লেখা নেই মাষ্টার দা সূর্য সেনের লড়াই, সঠিক ভাবে লেখা নেই ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকির কথা, লেখা নেই বিনয় বাদল দীনেশর রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের কথা যার জন্য ব্রিটিশ তাদের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিল। লেখা নেই রাস বিহারী বসু ক্যাপ্টেন মোহন সিং, ভগৎ সিং, উধম সিং, দের অবদান। সবে থেকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের আজাদ বাহিনীর অবদান। ঠাঁই পেয়েছে ব্রিটিশদের পা চাটার দল যারা ব্রিটিশ সরকার কে সাহায্য করে বলে বলে জেলে গিয়ে ছিল, নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সাজার জন্য, তাদের কথা। সেই সময় ব্রিটিশ সরকার ঐ রক্ত ক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ বা বিপ্লব কে দমন করতে, তৎকালীন দিল্লির আইন সভায় রাওলাট আইন পাশ করাতে গিয়ে ছিল। ঠিক সেই সময়ে ভগৎ সিং, বটুকেশ্বর দত্ত, রাজগুরু, সুখদেও দিল্লির আইন সভায় বোমা বিস্ফোরণ করে ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়েছিল। ধরা পড়ে কারো ফাঁসি কারো দীপান্তর কারো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। কি ছিল এই রাওলাট আইন, বিনা বিচারে বিনা কারণে ভারতীয় দের জেলে ভরার পাকা ব্যবস্থা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে। ঠিক এই রকম একটা আইন বর্তমান শাসক দল লোক সভায় পাশ করে নিয়েছেন, বা পেশ করেছেন। আর সরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, আরবান সন্ত্রাস দমন করা হবে, আরবান সন্ত্রাস হলো সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে বা লিখলে তাকে আরবান সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে জেলে বন্দি করে রাখা হবে। এই আমরা স্বাধীন ভারতে বাস করছি, এর জন্যে আমাদের মহান বিপ্লবী রা তাদের প্রাণ দিয়ে গেলেন। অন্যায় বা খারাপ কিছু দেখলেও বলা বা লেখা যাবে না। সাধারণ
সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে এটি পাশ করতে উদ্যোগী হয়েছে।
সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে এটি পাশ করতে উদ্যোগী হয়েছে।
স্বাধীনতা আজ লুণ্ঠিত, গনতন্ত্রের নামে ধ্বংস তন্ত্র চলছে।
একদল লোক যারা ইংরেজদের গোলামী করে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছিলেন সেই সময়ে, এবং এদের জন্য ইংরেজ শাসক প্রায় দুশো বছর শাসন করতে পেরেছিল, তাদের বংশধর রা আজ ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের এবং অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের ক্ষমতায়, সেই সময়ে অর্থাৎ ইংরেজ দের পা চেটে একদল মানুষ ও ব্যবসায়ী নিজেদের টাকার পাহাড় করে ছিল, তাদের কাছে মানুষ অর্থাৎ সাধারণ মানুষ ছিলেন দাবার ঘুটি মরল কি বাঁচল দেখার দরকার নেই। ইংরেজ বা ব্রিটিশ সরকার ঠিক এরকম ছিল, যারা পা চাটতো এবং কান থাকতে কালা, চোখ থাকতে অন্ধ, দেশে নিজের জাতি বা পাশের মানুষ মরলেও ইংরেজর সাথে আনন্দে মেতে উঠতো। বর্তমান দেশের পরিস্থিতি তাই বিভিন্ন দলের নেতা মন্ত্রী কর্মী তাদের মধ্যে যারা পা চাটে, এবং যারা প্রতিনিয়ত মানুষ অধিকার কেড়ে নিচ্ছে জোর করে, অত্যাচার করে যাচ্ছে,নিজেরা মনুফার পাহাড় করছে। সাধারণ মানুষ মরুক, তাতে কি আমি তো ভালো আছি। মিথ্যে কথা বলে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ধর্মের নামে মানুষ করে পিটিয়ে মেরে, ক্ষমতায় থাকতে হবে। ধর্মের নামে রাজনীতি সেই স্বাধীনতার সময় থেকে শুরু, কারণ ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে ক্ষমতা দখল করে ছিল। তখন কার কংগ্রেস দলের নেতারা। সেই কারণেই বলছি, এটাই গনতন্ত্রে আছে, কিছু পা চাটা কে মদ মাংস খাইয়ে, মানুষ কে ভোট দিতে না দিয়ে, মেরে ধরে ভয় দেখিয়ে ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। এটাই এখন ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের গনতন্ত্র। আরেক দিকে কেন্দ্রের যে দল ক্ষমতায় তাদের লক্ষ্য যেমন করে পার সারা দেশে সব কটি রাজ্যে ক্ষমতায় এসো। ছলে বলে কৌশলে মানুষ খুন করে, দেশের সমস্ত সম্পদ কয়েকটি লোকের হাতে বা ব্যবসায়ীকে তুলে দেওয়ার জন্য এবং আমি নেতা মন্ত্রী হয়েছি কোটি কোটি টাকা আয় করার জন্য, সেই জন্য এই সব শিল্পপতিরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে মিথ্যের জাল বুনে ছিল আমায় ক্ষমতায় আনার জন্য। আমি এসে যদি রাষ্ট্রের সম্পদ বা রাষ্টত্ব সম্পদ কে তাদের হাতে তুলে না দিই, তাহলে কথার খেলাপ হয়ে যাবে। আমাদের রাজ্যের আবার অন্য ঘটনা যে বা যারা এই দল কে পুঁজি দিয়ে সাহায্য করে ছিল, ২০১১ সালে, সেই সব চিটফাণ্ডের মালিকরা বেশিরভাগ জেলে। আর সুবিধা ভোগ কারি নেতা মন্ত্রীর দল ক্ষমতায়। আমাদের দেশের গনতন্ত্র কে ধ্বংস করার জন্য গনতন্ত্রের কারবারি আছে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার জন্যে বর্তমান শাসক দল প্রশান্ত কিশোর নামে এক ব্যক্তি কে বরাত দিয়ে ছিল। তিনি চটকদার বিজ্ঞাপন তৈরি করে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে প্রচার করে ছিল। শুনেছি পাঁচশো কোটি টাকার বিনিময়ে, তিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল কে ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়লাভে সাহায্য করতে নিয়োগ পেয়েছেন। এই নিয়োগ গনতন্ত্রে কতটা সঠিক, এবং টাকার বিনিময়ে সমস্ত দূর্নীতি সুনীতিতে পরিবর্তন হয়ে যাবে। আমি যতদূর জানি টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না। এটা বে আইনি, এটাও একপ্রকার বে আইনি নয়। গনতন্ত্র নিয়ে ব্যবসা। আমার মনে এভাবে ভারতের গনতন্ত্র ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। টাকা যার গদি তার কি সুন্দর গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাই না।
Monday, 22 July 2019
রাজ্যে এখন কাট মানি বনাম ব্ল্যাক মানি লড়াই চলছে। সারদা, রোজভ্যালী, এম পি এস গ্রীনারি ইত্যাদির চিটফাণ্ডের টাকা কোথায়?
ও দাদা কাট মানি মানে কাটা ছেঁড়া টাকা নয়। কাট মানি হচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি কাজের জন্য আসা টাকা থেকে দরপত্র ডাকা নেওয়া ঠিকাদারের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে এমন টাকা।আবার সরকারি টাকা পেয়েছে কোনো ব্যক্তি তার থেকে নেওয়া টাকা। সরকারের এরকম অনেক প্রকল্প আছে, যেমন আবাস যোজনা, একশ দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনা ইত্যাদি, এসব জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছে এমন টাকা। আবার তোলা বাজি, এলাকায় কোন রাজনৈতিক দল কোনো অনুষ্ঠান বা উৎসব হবে সেখান বড়ো শিল্প পতির কাছ থেকে টাকা তুলে নেওয়া। যদি শিল্পপতি না থাকে তাহলে মাফিয়ার কাছ থেকে বা চোরাই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেওয়া। সে মাদক হতে পারে আবার বালি কয়লা হতে পারে। আর ব্ল্যাক মানি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশি ব্যাঙ্কে জমা করা। এই ব্ল্যাক মানি বা কালো টাকা অনেকে সাদা করে ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তহবিলে দান করে এবং সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তার ট্যাক্স কিছু টা ছাড় দেয়। কিন্তু কাল ২১/৭/১৯ দিদি যা বলেছেন সেটা কেবল দ্বন্দ্ব লাগানোর জন্য, যা ইতি মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বর্ধমানের একটি জায়গায় দিদির ভাই ভাইপোরা পোষ্টার দিয়েছেন। জানি না দুটো পার্থক্য বুঝে দিয়েছে না বুঝে দিয়েছে। আমি দিদির কাছে অনুরোধ দিদি কাটমানি ব্ল্যাক মানি সব না হয় ফেরত হলো। এর জন্যে দাঙ্গা হলো কিছু মানুষ মরল, কিন্তু দিদি সারদা রোজভ্যালী, এম পি এস গ্রীনারি, আই কোর, বেসিল, আরো যে সব চিটফাণ্ডের টাকা কবে ফেরত দেবেন। যার জন্য আপনার প্রিয় কত ভাই জেল খেটে এলো কি হবে তাদের, তাদের বলুন নেওয়া টাকা যেন ফেরত দেয়। কি আশ্চর্য দেখুন টালিগঞ্জের প্রায় সব অভিনেতাকে আজ সি বি আই বা ইডি ডেকে পাঠাচ্ছে। কি মজা কেউ সত্যি কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। কারণ আপনার পাশে থাকলে একটা পদ যদি মেলে একবার সাংসদ বা বিধায়ক বা অন্য কিছু। গরীব মানুষ মারা মারি করে মরুক, তাতে আপনার কী আপনার তো সিকিউরিটি গার্ড আছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এতো বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি হচ্ছে তবু বেকারত্ব যাচ্ছে না।
আমরা কেবল মাত্র সরকারের খারাপ টা দেখি, ভাবুন ২০১১ সালের পর থেকে কতো গুলো নির্বাচন হয়েছে, অনেক কষ্টে নির্বাচন কমিশন কেস করে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই সময়ে কত বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি পেয়েছে। সে সিভিক হোক আর যাই হোক, আবার পৌরসভা নির্বাচন, তখন, আবার ২০১৪ সালের আগে অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের আগে, টেট পরীক্ষা কেবল প্রশ্ন বাসের পিছন জানালা দিয়ে বাইরে পরে গিয়েছিল তাই, আঠারো লক্ষ পরীক্ষা দিল ১%পাস করল। দলের নেতা কর্মীরা যদি আবদার করে একটু মিষ্টি খাবার টাকা নেয় তাতে দোষের কি? হয়তো বলবেন দলের নেতা কর্মীদের বাড়ির লোক বেশি চাকরি পেয়েছেন, এমনকি টেট পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি পেয়েছেন। চাকরি তো হয়েছে, ২০১২ থেকে SSC বন্ধ তাতে কি আমরা তো চেষ্টা করে যাচ্ছি, কেবল বিজ্ঞপ্তি তে একটু ভুল বা খুঁত রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যাতে কেস হয়। এই তো ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতি বুথ পিছু প্রায় একশ জনের উপর চাকরি হয়েছে। আবার ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অতো কর্ম সংস্থানের ঘোষণা করে চাকরি দিয়ে ছিলাম বলে উন্নয়ন ঢাল তরোয়াল নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীদের ভোটে দাঁড়াতে দেয়নি। আবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কতো ঘোষনা সব দফতর কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে যা ঘোষণা হলো, দাদা আবার এক কাঠি উপরে যায়, রেলের আবেদন করা শুরু হয়ে গেল, কিন্তু কোথায় কী? আবেদন হলো বেকার ছেলে মেয়ে রা অন লাইন টাকা জমা দিলো, পরীক্ষা আর হল না। দাদা আবার এখন একটা নতুন ব্যবস্থা করে দিতে চাইছেন। যদিও নতুন নয় পুরাতন ব্যবস্থা অল্প পয়সার বা টাকার বিনিময়ে কিছু দিন কাজ করিয়ে নিয়ে পেছনে লাথি মেরে তাড়ানো। এ্যপ্রেন্টিস ব্যবস্থা, কী ভালো না এ্যপ্রেন্টিস করলে চাকরি হবে, তার গ্যারান্টি নেই। একটা ছবি দিচ্ছি আমার কথা সপক্ষে।
যদিও এই ভাবে চাকরির ব্যবস্থা সর্বত্র করা হবে। তবে দিদি দাদা মিলে এতো সুন্দর সব চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। দেশে আর বেকার থাকবে কেউ? প্রতি নির্বাচন এলে চাকরি ঘোষণা আছে চাকরি হচ্ছে কি? নিশ্চয়ই হচ্ছে না হলে এত ঘোষণা করা হবে কেন। আর মানুষ ওদের ভোট দেবে কেন?
যদিও এই ভাবে চাকরির ব্যবস্থা সর্বত্র করা হবে। তবে দিদি দাদা মিলে এতো সুন্দর সব চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। দেশে আর বেকার থাকবে কেউ? প্রতি নির্বাচন এলে চাকরি ঘোষণা আছে চাকরি হচ্ছে কি? নিশ্চয়ই হচ্ছে না হলে এত ঘোষণা করা হবে কেন। আর মানুষ ওদের ভোট দেবে কেন?
Sunday, 21 July 2019
PRT স্কেলে বেতনের দাবি, দিদি কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করতে বলেছেন।
PRT স্কেলে বেতন চাই, দিদি কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করতে বলেছেন। কারণ দিদি বুঝেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্কুলের বেতন স্কেল চাইছ। আমি মাসে এক লক্ষ সতেরো হাজার টাকা নিই, ওটা দেখলে হবে। অনেক কষ্টে আমি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। আমি বুঝতে পারছি দিদির রাগ হয়েছে, তোমরা প্রধানমন্ত্রী করে দিদি কে দিল্লি পাঠালে না। দিদির রাগ নেই, ঠিক বলেছেন, বেশি বেশি টাকা বেতন চাই, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করতে হবে। বলেছেন বাংলায় বেশ কিছু কর্মী কমবে। আমি আবার একটু অন্য ভাবছি, বেতন কমিশন নিয়ে এতো টালবাহানা দশ বছরের বেশি হয়ে গেছে তার দেখা নেই, এখানে ভূমি ব্যাণ্ডের সেই গানের কথা মনে পরছে, "তোমার দেখা নাইরে তোমার দেখা নাই ।" আবার যদি দয়া করে তবে সারা দেশে সব রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় হারে বৃদ্ধি করেছে, আমাদের না কমিয়ে দেয়। যা একজন অর্থ মন্ত্রী আছে না। উনি আর কিছু না পারুক কর্মচারীদের কি ভাবে জব্দ করতে হয় ভালো জানেন। আমাদের দিদি খুব ভালো মানুষ সব কিছু ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেন । SSC চাকরির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে আঠাশ দিন অনশন করল তাদের বুঝিয়ে দিলেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে কীভাবে তিনি বুঝে নেন। উনি জানেন মানুষ ঠিক ভোট দিয়ে দেবে, সঙ্গে এবার আবার পি কে নামক ওঝা এনেছেন। মানুষের ভুত উনি ছাড়াবেন, কোন সন্দেহ নেই, আহা রে পি কে নামক ওঝা কে যদি লোক সভা ভোটের আগে আনতেন তাহলে আমরা বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পেতাম। সারা দেশে কেন্দ্রীয় কর্মীদের হাল আমাদের মতো করে দিতেন আমাদের আর দুঃখ থাকতো না। ঐ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান কী যেন নাম উনি তো শুনেছি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ওনার বেতন কমে পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী হতো, কী মজা হতো, সারা দেশে পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর থাকতো। কারণ আমাদের রাজ্যের কর্মীরা পঞ্চম বেতন কমিশন পায়। সারা দেশে সপ্তম বেতন কমিশন, এই রাজ্যে হবে ষষ্ঠ বেতন কমিশন। আরে প্রথম বেতন কমিশন যুক্ত ফ্রণ্ট গঠন করে ছিল, কিন্তু দিদির বড়ো ভাই মানে কংগ্রেস সরকার দেয়নি। দিদির যেমন করে হোক ক্ষমতা চাই, না হলে কাট মানির কী হবে?
আজ একুশে জুলাই এর সভায় যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের কাছে ছোট প্রশ্ন।
(ছবি টি অন লাইন কলকাতা ২৪x৭ থেকে নেওয়া।) আমি একজন সাধারণ মানুষ আজকের দিন টি তৃণমূল কংগ্রেস শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে।যে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা আর গান শুনতে পেলাম কয়েক বছর তাতে মনে হচ্ছে, শহীদদের আত্মার শান্তি বদলে অশান্তিতে আছে। যখন এ ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন, তখন তিনি কংগ্রেসের যুব নেত্রী। উনি সবসময়ই ধ্বংসের রাজনীতি বেশি করেন। সিঙ্গুরের আশি থেকে নব্বই শতাংশ কাজ হয়ে যাওয়া কারখানা কে তাড়াতে বিধানসভা ভাঙচুর করেছিলেন। আর এই যে শহীদ দিবস পালন করছেন, বিচারপতি কে দিয়ে তদন্ত করেছেন, সেই রিপোর্টে কি আছে কাদের নাম আছে, যারা এই সভায় উপস্থিত হয়েছেন, জানেন। আমার মনে হয় কেউ জানেন না, কারণ সে রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। আমি শুনেছি ঐ সময়ের এক পুলিশ অফিসার বর্তমান শাসক দলের বিধায়ক, যারা গেছেন খুব ভালো করেছেন, যাওয়া উচিত, আপনাদের ছেলে মেয়ে কেউ এই দু তিন বছরে কলেজে ভর্তি হতে হয়েছে, কন্যাশ্রী পঁচিশ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি করেছেন, না মনে হয়? আরেকটা প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী বলুন আর বাংলা আবাসন যোজনায় টাকা পেয়েছেন? সব টাকা আপনি পেয়েছেন? নিশ্চয়ই কারো বাড়িতে SSC পাশ করে চাকরির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও অনশন করতে হয়নি? ঐ SSC অনশন করতে গিয়ে, যে গর্ভবতী মা তার সন্তান হারা হলো, নিশ্চয়ই আপনাদের বাড়ির কেউ নয়? আমরা বাঙালি জাতি যে বরাবর স্বার্থপর এসব ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও যারা মনে করেন যে ও তো আমার সাথে করেনি।
এই রাজ্যের যে কোন নির্বাচন এখন প্রহসনে পরিনত হয়েছে, দিনের পর দিন পিটিয়ে হত্যা, বোমাবাজি বন্দুক পিস্তল নিয়ে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কোনো হেল দোল নেই প্রশাসনের। যারা আজ কে গেছেন তারা বলবেন আমার সঙ্গে তো ঘটেনি, আমি এসেছি তো তোর বলে গালাগাল দেবেন। ভেবে দেখুন আজ আপনাদের সাথে ঘটেনি ঠিক কিন্তু ঘটতে কতখন, তবে হ্যাঁ আপনি যদি একশ দিনের কাজের টাকা ভাগ দেন ঠিক মতো তাহলে হয়তো এসব নাও ঘটতে পারে। আমরা বাঙালি জাতি এরকম ওর সাথে ঘটেছে ওতে আমার কি? এই জন্যই ইংরেজ রা বাংলায় বসে ১৭৫৭ থেকে ১৯১১ পর্যন্ত ভারত শাসন করে ছিল। ভিক্ষারি বাঙালি জাতি কে সেদিনও ইংরেজ সরকার কুত্তার মতো দু মুটো ভাত দিয়ে কাজ করিয়ে নিত, আর নিজেরা কোটি কোটি টাকা ইংল্যান্ডে পাঠাত। আজও চিত্র একটুও পাল্টে যায়নি, নেতা মন্ত্রী তথা কথিত এলাকার একটু বড়ো নেতার অবস্থা আগে কি ছিল এখন কি হয়েছে দেখুন। আপনার আমার অবস্থা সেই তিমিরে বলবেন ঢালাই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, ওটা তো প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা নাম পাল্টে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা, যদি ১০০ টাকার হিসেব ধরা হয় তবে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকার কাজ হয়েছে, আর বাকি কোথায় গেছে সবাই জানি। বলবার সাহস নেই, কারণ জনগণের একতা নেই। যারা আজ গেছেন তারা নিশ্চয়ই এগুলো সমর্থন করেন। আরও আছে, সে গুলো নাই বা লিখলাম, যারা গেছেন নিশ্চয়ই তারা চান রাজ্যে অশান্তি বৃদ্ধি হোক, জয় শ্রী রাম বললে পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে আবার না বললেও পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে। রাজ্য সরকার বা পুলিশ কিছু বলবেন না। আসলে আপনি বা আপনারা গেছেন খুব ভালো করেছেন। আমি মনে করি আপনারা কেউ সারদা রোজভ্যালীর বা অন্য চিটফাণ্ডে টাকা রাখেনি, বা রাখলেও ফেরত পেয়েছেন। আমি আপনাদের যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনাদের মত নাগরিক তথা বাঙালি আছে বলে, বাংলায় চুরি করেও ভোটে জেতা সম্ভব। আপনাদের মতো এতো ভালো বাঙালি আছে, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢকে উঠে যায় যাক, সব পয়সা দিয়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হবে। জঘন্য বই বা সিলেবাসের জন্য, এবছর প্রায় তেইশ লক্ষ ছেলে মেয়ে বা ছাত্র ছাত্রী কমেছে সরকারি বিদ্যালয়ে। যদি ২৩ লক্ষ কে ৩০ দিয়ে ভাগ করেন তাহলে দেখবেন কত গুলো বেকার ছেলে মেয়ে সরকারি চাকরি হারালো। আমি আশা করব আপনাদের কারো ঘরে বেকার ছেলে মেয়ে নেই, থাকলেও তারা চপ শিল্পে কর্মরত। আমি আর আজেবাজে কিছু লিখেছি না আপনারা যারা গেছেন ভালো থাকুন। নিজের স্বার্থের কথা ভাববেন অপরের ক্ষতি করে নিজের আখেরে গুছিয়ে নেবেন। আর যখন দেখবেন আপনার দলের লোক আপনার স্বার্থে আঘাত করেছে, তখন আর কাউকে সাথে পাবেন তো!
এই রাজ্যের যে কোন নির্বাচন এখন প্রহসনে পরিনত হয়েছে, দিনের পর দিন পিটিয়ে হত্যা, বোমাবাজি বন্দুক পিস্তল নিয়ে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কোনো হেল দোল নেই প্রশাসনের। যারা আজ কে গেছেন তারা বলবেন আমার সঙ্গে তো ঘটেনি, আমি এসেছি তো তোর বলে গালাগাল দেবেন। ভেবে দেখুন আজ আপনাদের সাথে ঘটেনি ঠিক কিন্তু ঘটতে কতখন, তবে হ্যাঁ আপনি যদি একশ দিনের কাজের টাকা ভাগ দেন ঠিক মতো তাহলে হয়তো এসব নাও ঘটতে পারে। আমরা বাঙালি জাতি এরকম ওর সাথে ঘটেছে ওতে আমার কি? এই জন্যই ইংরেজ রা বাংলায় বসে ১৭৫৭ থেকে ১৯১১ পর্যন্ত ভারত শাসন করে ছিল। ভিক্ষারি বাঙালি জাতি কে সেদিনও ইংরেজ সরকার কুত্তার মতো দু মুটো ভাত দিয়ে কাজ করিয়ে নিত, আর নিজেরা কোটি কোটি টাকা ইংল্যান্ডে পাঠাত। আজও চিত্র একটুও পাল্টে যায়নি, নেতা মন্ত্রী তথা কথিত এলাকার একটু বড়ো নেতার অবস্থা আগে কি ছিল এখন কি হয়েছে দেখুন। আপনার আমার অবস্থা সেই তিমিরে বলবেন ঢালাই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, ওটা তো প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা নাম পাল্টে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা, যদি ১০০ টাকার হিসেব ধরা হয় তবে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকার কাজ হয়েছে, আর বাকি কোথায় গেছে সবাই জানি। বলবার সাহস নেই, কারণ জনগণের একতা নেই। যারা আজ গেছেন তারা নিশ্চয়ই এগুলো সমর্থন করেন। আরও আছে, সে গুলো নাই বা লিখলাম, যারা গেছেন নিশ্চয়ই তারা চান রাজ্যে অশান্তি বৃদ্ধি হোক, জয় শ্রী রাম বললে পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে আবার না বললেও পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে। রাজ্য সরকার বা পুলিশ কিছু বলবেন না। আসলে আপনি বা আপনারা গেছেন খুব ভালো করেছেন। আমি মনে করি আপনারা কেউ সারদা রোজভ্যালীর বা অন্য চিটফাণ্ডে টাকা রাখেনি, বা রাখলেও ফেরত পেয়েছেন। আমি আপনাদের যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনাদের মত নাগরিক তথা বাঙালি আছে বলে, বাংলায় চুরি করেও ভোটে জেতা সম্ভব। আপনাদের মতো এতো ভালো বাঙালি আছে, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢকে উঠে যায় যাক, সব পয়সা দিয়ে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হবে। জঘন্য বই বা সিলেবাসের জন্য, এবছর প্রায় তেইশ লক্ষ ছেলে মেয়ে বা ছাত্র ছাত্রী কমেছে সরকারি বিদ্যালয়ে। যদি ২৩ লক্ষ কে ৩০ দিয়ে ভাগ করেন তাহলে দেখবেন কত গুলো বেকার ছেলে মেয়ে সরকারি চাকরি হারালো। আমি আশা করব আপনাদের কারো ঘরে বেকার ছেলে মেয়ে নেই, থাকলেও তারা চপ শিল্পে কর্মরত। আমি আর আজেবাজে কিছু লিখেছি না আপনারা যারা গেছেন ভালো থাকুন। নিজের স্বার্থের কথা ভাববেন অপরের ক্ষতি করে নিজের আখেরে গুছিয়ে নেবেন। আর যখন দেখবেন আপনার দলের লোক আপনার স্বার্থে আঘাত করেছে, তখন আর কাউকে সাথে পাবেন তো!
Saturday, 20 July 2019
পশ্চিমবঙ্গে ফেরত এসেছে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ এর কালো দিন।
আজ অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ১৯৭৭ এর থেকেও খারাপ। একটু বয়স হয়েছে এমন ব্যক্তি কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতে পারবেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ পশ্চিমবঙ্গে কী চলেছিল। আজ তার থেকে আরো খারাপ অবস্থা, কথায় কথায় মানুষ খুন যেন জল ভাত সে পিটিয়ে হোক বা অন্য ভাবে, দোষ থাক বা না থাক। মানুষের আয় উপায় প্রায় বন্ধ, লোকের কাছে চেয়ে চিন্তে নিতে হচ্ছে। রাজ্যে অলিখিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মানুষের হাতে টাকা নেই, ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে, সেই সময়ে অর্থাৎ ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সরকারি কর্মীদের ডিএ বা পে কমিশন নিয়ে আন্দোলন করলে জুটেছে বদলি, বরখাস্ত, আর অস্থায়ী হলে ছাঁটাই। শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে কথা বললে বা যারা যুক্ত ফ্রন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ছিল, তাদের দূরে দূরে বদলি করা হয়েছে। আমি তো এসব অল্প বিস্তর দেখেছি। আমার থেকে যারা বয়স্ক তাদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, যে বর্তমান পরিস্থিতি যা সেই সময়ের সাথে তুলনীয় কিনা? কেমন চলছে বলছি আমি শাসক দলের নেতা মন্ত্রী কর্মী, আমি যা বলব সেটাই হবে। আমার মুখের কথা আইন, জনগণ দু মুঠো ভাত খেতে দিলে ভুলে যাবে। জনগণ তো ভিক্ষারি, আমাদের তোলা বাজি কাট মানি ঘুষ থাকলেই হবে। আর কাট মানি ৭৫%যদি উপর মহলে পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে তার মতো ভালো নেতা আর হয় না। পরিবর্তনের পর থেকে মানুষ দেখে আসছে, অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়ে গেছে। খুন, ধর্ষণ, গন পিটুনি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া পুলিশ কে পিটুনি, শিক্ষা তথা শিক্ষকের উপর অত্যাচার, সরকারি কর্মীদের ও শিক্ষকদের বেতন না দিয়ে ভয় দেখিয়ে কাজ করতে বাধ্য করা না হলে বদলি সাময়িক বরখাস্ত এসব ঐ সময়ে লেগেছিল। এখনো সেটাই হচ্ছে, কোনো অংশে কম নেই, কারণ এই সরকার ইচ্ছা নেই শান্তি ফিরিয়ে আনার, এরা অশান্তি তে ডক্টরেট করে ক্ষমতায় এসেছে, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন। ভাট পাড়া, কাকিনাড়া, কাঁচড়াপাড়া, নৈহাটি সেই ভোটের আগে থেকেই দাঙ্গা ছিল এখনও থামেনি। সরকারি কর্মীদের অবস্থা তথৈবচ, চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পেতে অনশন করে ছিলেন, তাদের চাকরি এখনও হয় নি। আবার শিক্ষকরা সঠিক বেতনের আশায় অনশনে। সরকারি কর্মীদের ও কয়েক জন শিক্ষক যারা আন্দোলন করে ছিল তাদের দূরে বদলি করা হয়েছে। আবার কিছু দিন আগে ডাক্তার দের আন্দোলন দেখেছে মানুষ। ভাট পাড়ার গণ্ডগোলের ছবি।
মন্ত্রী মশায় একেবারে ঠিক কথা বলেছেন।
জানি না এসব অন লাইন খবর কজন পড়েছেন।তবে খবর টি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো, তাই লিখছি, নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে বলছেন, যে ওনি নাকি নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ডক্টরেট করেছেন। একদম খাঁটি কথা, কীভাবে গত ২০০৬ থেকে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলন হয়েছে, তার সিবিআই রিপোর্ট ওনার সরকারের কাছে আছে। যে রিপোর্টের সম্পূর্ণ ভাবে এখনও প্রকাশ হয় নি। যে টুকু প্রকাশ হয়েছে, তাতে নন্দীগ্রাম যে চোদ্দ জন মানুষ খুন হন, তারা পুলিশের গুলিতে নয়, তৎকালীন মাওবাদী ও পরে তারা তৃণমূলের নেতা কর্মী বলে পরিচিত হয়ে ছিল। ওনার কথা বা ঐ সাংবাদিকের কথা অনুযায়ী সি পি আই এম চল্লিশ জন কে খুন করেছে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে। আমি যতদূর জানি সি বি আই রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। আমি জানি বড়ো বড়ো রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা মিথ্যে কথা বলেন।
যতদূর জানি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প থেকে শুরু করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী তো এ বিষয়ে মানে মিথ্যে কথায় ডক্টরেট করেছেন। আমি ভাবতাম আপনি মিথ্যা বলেন, কিন্তু এতোটা মিথ্যে কথা বলবেন ভাবতে পারিনি। আপনি মিথ্যার মধ্য দিয়ে সত্যি কথা বলে ফেলেছেন। তৃণমূল দল টা ঐ মারা মারি মানুষ খুন, তোলাবাজি, কাট মানি নেওয়াতে ডক্টরেট করেছে, সে তো আমরা ২০১১সালের পর রাজ্যের প্রতিটি নির্বাচনে দেখতে পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ থেকে ভোট কর্মী কেউ বাদ থাকছে না, তালিকা থেকে। একটা নির্বাচনও শান্তি পূর্ণ হয়নি, ২০০৯ ও ২০১১ সালের নির্বাচনের মতো, অথচ আপনার নেত্রীর দাবি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে শান্তি পূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। আজ তিনি ভুলে গেছেন, জনগণ মনে রেখেছে, আমার অনুরোধ আপনারা রাজ্যের অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাহলে নির্বাচনের সময় মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না কেন? কারণ মানুষ উন্নয়ন দেখেছে নেতা মন্ত্রী দের, তিনশ টাকার মজুর আজ তিনশ কোটি টাকার মালিক। আমার একটা অনুরোধ আগামী ২০২১ সালের নির্বাচনে একটা মানুষ খুন হবে না এখন থেকে আপনি বলুন মানুষ কে আশ্বাস দিন। হুমকি নয় সি পি আই এম এর কিছু কিছু নেতা কর্মীরা শেষের দিকে এভাবে মানুষ কে ভয় দেখাতে শুরু করে ছিল, তাদের পরিনতি ভালো হয়নি। আপনি বি জে পি কে বলছেন, এবার ভাবুন মানুষ সি পি আই এম এর হুমকি আর অত্যাচার থেকে বাঁচতে নাকি আপনাদের ভোট দিয়ে ছিল। এবার যখন বুঝতে পারছে আসলে অত্যাচারি আপনারা আপনার দলের নেতা কর্মীরা, নিজের আখের গোছাতে যে কোন কাজ করতে পারে। সে নিজের দলের লোক কেও খুন করতে পারে। আর আপনার দলের এসব অত্যাচার থেকে বাঁচতে মানুষ বি জে পির দিকে ঝুঁকেছে। মানুষ বাঁচাতে চায় দু বেলা খাবার না জোটে ক্ষতি নেই, কিন্তু শান্তিতে বাঁচাতে চায়। একবার আপনি হুমকি দিচ্ছেন, একবার বি জে পি হুমকি দিচ্ছে। মাঝখানে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে টানাটানি। যতটা সম্ভব রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের লেখা "রথ যাত্রা" বলে একটা কবিতায় ছিল, " রথ বলে আমি বড়ো /পথ বলে আমি /রথে বসে হাসেন অন্তর্যামী।" যাহোক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
যতদূর জানি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প থেকে শুরু করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী তো এ বিষয়ে মানে মিথ্যে কথায় ডক্টরেট করেছেন। আমি ভাবতাম আপনি মিথ্যা বলেন, কিন্তু এতোটা মিথ্যে কথা বলবেন ভাবতে পারিনি। আপনি মিথ্যার মধ্য দিয়ে সত্যি কথা বলে ফেলেছেন। তৃণমূল দল টা ঐ মারা মারি মানুষ খুন, তোলাবাজি, কাট মানি নেওয়াতে ডক্টরেট করেছে, সে তো আমরা ২০১১সালের পর রাজ্যের প্রতিটি নির্বাচনে দেখতে পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ থেকে ভোট কর্মী কেউ বাদ থাকছে না, তালিকা থেকে। একটা নির্বাচনও শান্তি পূর্ণ হয়নি, ২০০৯ ও ২০১১ সালের নির্বাচনের মতো, অথচ আপনার নেত্রীর দাবি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে শান্তি পূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। আজ তিনি ভুলে গেছেন, জনগণ মনে রেখেছে, আমার অনুরোধ আপনারা রাজ্যের অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাহলে নির্বাচনের সময় মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না কেন? কারণ মানুষ উন্নয়ন দেখেছে নেতা মন্ত্রী দের, তিনশ টাকার মজুর আজ তিনশ কোটি টাকার মালিক। আমার একটা অনুরোধ আগামী ২০২১ সালের নির্বাচনে একটা মানুষ খুন হবে না এখন থেকে আপনি বলুন মানুষ কে আশ্বাস দিন। হুমকি নয় সি পি আই এম এর কিছু কিছু নেতা কর্মীরা শেষের দিকে এভাবে মানুষ কে ভয় দেখাতে শুরু করে ছিল, তাদের পরিনতি ভালো হয়নি। আপনি বি জে পি কে বলছেন, এবার ভাবুন মানুষ সি পি আই এম এর হুমকি আর অত্যাচার থেকে বাঁচতে নাকি আপনাদের ভোট দিয়ে ছিল। এবার যখন বুঝতে পারছে আসলে অত্যাচারি আপনারা আপনার দলের নেতা কর্মীরা, নিজের আখের গোছাতে যে কোন কাজ করতে পারে। সে নিজের দলের লোক কেও খুন করতে পারে। আর আপনার দলের এসব অত্যাচার থেকে বাঁচতে মানুষ বি জে পির দিকে ঝুঁকেছে। মানুষ বাঁচাতে চায় দু বেলা খাবার না জোটে ক্ষতি নেই, কিন্তু শান্তিতে বাঁচাতে চায়। একবার আপনি হুমকি দিচ্ছেন, একবার বি জে পি হুমকি দিচ্ছে। মাঝখানে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে টানাটানি। যতটা সম্ভব রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের লেখা "রথ যাত্রা" বলে একটা কবিতায় ছিল, " রথ বলে আমি বড়ো /পথ বলে আমি /রথে বসে হাসেন অন্তর্যামী।" যাহোক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
কী জানি কারা আবার সপ্তম বেতন কমিশন চেয়ে বসল!
আমি জানি না কোন প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ২০/৭/১৯ এ কলকাতা মিছিল করে সপ্তম বেতন কমিশন চেয়ে বসল ।বর্তমান মান রাজ্য সরকার ষষ্ঠ বেতন কমিশন দিচ্ছে না।যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের দাবি মানছে না। এর পর এই সংগঠনের দাবি সপ্তম বেতন কমিশন, তোরা থাম ভাই, তোরা ভাই আগামী ২০২৬ সালের পর আন্দোলন শুরু করিস, তখন সপ্তম বেতন কমিশন হবে। এখন ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর করা হোক, এই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান এখন নিরুদ্দেশ, এখনও রিপোর্ট জমা দিতে পারেননি। এর উপর আবার সপ্তম বেতন কমিশন, এসব না জানার ফল, শিক্ষক দের ঐক্য ভাঙ্গার কৌশল, তবে এটাও ঠিক শিক্ষক কুল যাতে ঐক্য বদ্ধ হয়ে লড়াই করতে না পারে তার জন্য কত চেষ্টা, শিক্ষক দের জন্য বিশেষ কিছু করেনি এই সরকার। তবে এটা সপ্তম বেতন কমিশন নয় ষষ্ঠ কারণ ১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার প্রথম বেতন কমিশন তৈরি করে ছিল, কিন্তু ঐ সরকার কে ১৯৬৯ সালে ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। আবার ১৯৭১ সালে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এসে ছিল। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী ঐ কংগ্রেস সরকার প্রথম বেতন কমিশন দেয়নি। আবার ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এসে ১৯৮০ সালে প্রথম বেতন কমিশন কার্যকর করে ছিল।পর পর পাঁচ টি বেতন কমিশন দিয়ে ছিল। আর আজ যারা ক্ষমতায় আছে, সেই শাসক দল কংগ্রেসে ভেঙে জণ্ম এই দলের, আমার সন্দেহ আছে এই শাসক দলও মনে হয়, বেতন কমিশন দেবেন না। কারণ আমরা দশ বছর চার মাস আগে বেতন কমিশন পেয়ে ছিলাম। ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে, দশ বছর পর পর বেতন কমিশন হয়। বামফ্রন্ট কিন্তু চৌঁত্রিশ বছরে পাঁচটি বেতন কমিশন দিয়ে গেছে। আর এই সরকার এখনও বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা নিতে পারে নি। তাই যারা সপ্তম বেতন কমিশন বলছেন ওটা আসলে ষষ্ঠ হবে। এই রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের থেকে একটা কম পান। কার ভুল সাংবাদিকদের না যারা আন্দোলন করতে গিয়ে ছিলেন, তাদের, ভুল ত্রুটি সংশোধন করে দেবেন।
Friday, 19 July 2019
খবরের শিরোনাম দেখুন, দফতর নেই, দরপত্র ডাকা হয়েছে।
দেখুন খবরের শিরোনাম দেখুন, দফতর নেই ডাকা হয়েছে দরপত্র। কলকাতা কর্পোরেশন কাজ।মেয়র কে? তোয়ালের নীচে টাকা নেওয়া একজন বড়ো চোর। যাকে সি বি আই নোটিশ পাঠায়, আমাদের বাংলার লজ্জা, যে পদে একদিন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের মতো মানুষ বসে ছিলেন। সে পদের সর্বোচ্চ কর্তা কে অর্থাৎ মেয়র কে সিবিআই নোটিশ পাঠায়, তিনি নির্লজ্জের মতো ঐ পদে বহাল তবিয়তে বসে আছেন। বাঙালি জাতির এতো অধঃপতন ভাবা যায়। টিভি চ্যানেল দেখাচ্ছে, তোয়ালের নীচে লাখ লাখ টাকা নিচ্ছে, এর পরেও বলছেন, আমি টাকা নিইনি নির্দোষ। শুধু উনি নন ঐ দলের প্রত্যেক নেতা মন্ত্রী কর্মী সব চোর চিটিংবাজ, তোলাবাজ, জানি না বাঙালি জাতি তথা পশ্চিমবঙ্গের এই বদনাম কবে দূর হবে। যদিও সিবিআই কিছু করে না, ও মাঝে মাঝে একটু চাগার দেয় যখন নতুন অফিসার আসে, ঠিক মতো উপঢৌকন দিলেই সব তদন্ত চলছে চলবে। এই রকম একটা মানুষ ঐ সংস্থার মাথায় সেখানে এই শিরোনামে খবর হবে না এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।
শিক্ষক আন্দোলন ও শিক্ষা মন্ত্রী।
আজ সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রী বলেন সরকারের টাকা নেই। তাছাড়া এই দায় বামেদের, এই কারণেই আমার এই লেখা। আচ্ছা, আমাদের রাজ্যের বর্তমান শাসক দল দ্বিতীয় বার ক্ষমতা এসে যাকে শিক্ষা মন্ত্রী করলেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রী হবার কতটা যোগ্য আমার জানা নেই, ওনার সম্পর্কে এটাও শোনা যায়, উনি পি এইচ ডি করেছেন অন্যের লেখা নকল করে। যা হোক এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কেবল ভুল বকেন তা নয় সবাই মিলে মিথ্যা কথা বলার পাঠশালা খুলেছে এটা এক প্রকার ঠিক, বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী না জেনে বা জেনেও মিথ্যে কথা বলছেন। আজ নজর বন্দী বলে একটা অন লাইন নিউজে বেড়িয়ে ছিল। যে ২০০৯ সালের সমস্যা ২০১৯ সালে এসে দাবি করা হচ্ছে। এই কথাটা কতটা ভুল বা মিথ্যা সেটা নিয়ে এর আগে আমি লিখেছি। আবার আজ এই খবর পড়ে লিখতে বাধ্য হলাম। ২০০৯ সালে যখন পে কমিশন দেওয়া হয়, তখনও RTE বিল লোক সভায় পেশ করা হয়নি। কারণ ২৭/২/২০০৯ পঞ্চম পে কমিশন ঘোষণা করা হয় বা লাগু করা হয়। আর RTE লোক সভায় পেশ হয়ে ছিল April 2009 এ,আর সারা দেশে RTE 9 চালু করা হয় ২০১০ সালে। অতএব তখন পর্যন্ত শিক্ষকদের যোগ্যতা মান ছিল মাধ্যমিক, আগষ্ট ২০১২ সালে সরকারি আদেশ হয়, ৩/৯/২০০১ এর পর থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত সমস্ত শিক্ষক কে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০%নম্বর বা graduation থাকতে হবে ।
এই রাজ্যে যোগ্যতা অর্জন করতে আদেশ হলো ২০১২ সালে তখন এই রাজ্যে ক্ষমতায় কারা। এই সরকারের আমলে যোগ্যতা বাড়াতে হলো আর বেতন বৈষম্য দূর করে যাবে বামফ্রন্ট। ভাগ্যভালো উনি এটা বলেননি, যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন বামফ্রন্ট সরকার কেন দিয়ে যায়নি। আরেক টা কথা মুখস্থ করে রেখেছে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে সব নেতা মন্ত্রী, টাকা নেই, বামেদের করে যাওয়া দেনা শোধ করতে হচ্ছে। এই সরকার এসে কত টাকা ঋণ করেছে, একবারও বলছে না। আর টাকা নেই, নিজেদের বেতন কি করে এক লক্ষ টাকার উপরে বাড়িয়ে নিলেন। অপচয় বা বাজে খরচ করতে টাকা আছে কেবল বেতন কমিশন, ডিএ এবং অন্যান্য কর্মীদের বেতন বাড়ানোর দাবি মেনে নেওয়ার জন্য টাকা নেই। কোটিপতি মেয়ে /ছেলে /কন্যাশ্রী /যুবশ্রী /সবুজ সাথীর সাইকেল পাচ্ছে, ক্লাব কে টাকা, পুজো কমিটি কে টাকা দেওয়ার সময় টাকা আছে, এগুলো অপচয় নয়। আসলে তা নয় এই সরকারের মন ভাব হলো আমি বেতন দেবনা বা যতটা পারব কম বেতনে খাটিয়ে নেব। আর কাজ না করলে আছে বিভিন্ন রকমের শাস্তি বদলি,/সাময়িক বরখাস্ত /চরিত্রের দোষ দিয়ে হেনস্থা /চুরির বদনাম দিয়ে হেনস্থা। এই সব কাজ করতে বেশ কিছু সরকারি কর্মীও আছেন। যারা নিচের দিকের কর্মী দের মানুষ বলে মনে করেন না। এদের কাজে লাগিয়ে, এই সরকার কর্মচারী দের দিনের পর দিন বঞ্চনা করে যাচ্ছে। অর্থাৎ যেমন সরকার তেমন তার মন্ত্রী তেমন তার কিছু কর্মী। মন্ত্রী মশায় আপনার কথার মধ্যে কোনো নতুন কিছু নেই। নিজের চোখ মুখ এমন ফুলিয়ে ছেন, এর পর বললে আর কেউ বিশ্বাস করবে না।
কথায় কথায় মানুষ খুন, বাংলায় আজ জ্বলছে আগুন।
পশ্চিমবঙ্গের নয়া প্রকল্প ভোট এলে চালু হয় পিটিয়ে হত্যা। ভোটার কে ভয় দেখাতে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের খুন, অপহরণ ভয় দেখিয়ে ভোট আদায়। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে শুরু করে গত লোকসভা ভোট মানুষ এগুলো দেখে এসেছে। লোকসভা ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে, তবুও থামেনি খুন খুনি মার পিট দাঙ্গা। দল ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী নয়া চাল কাট মানি ফেরত দাও। আর এই কাট মানি নিয়ে দিকে দিকে নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে, আবার বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী হিসেবে উঠে আসা বি জে পি এটা কে নিয়ে নেতা কর্মীদের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। কোথাও শালিসি সভা করে, কোথাও হুমকি দিয়ে কাট মানি ফেরত চাওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু নেতা কাট মানি জনগণ কে ফেরত দিচ্ছে। এ ঘটনাও ঘটেছে,
এরকম কাট মানি ফেরত দেওয়ার ঘটনা অনেক ঘটেছে। এ থেকে বোঝা যায় বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে মানুষের থেকে, সেই টাকার একটা ক্ষুদ্র অংশ আমরা জানতে পারছি। এরকম কত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার হিসেবে নেই। তাইতো আজ বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে নিজের দলের মধ্যে মারামারি দাঙ্গা বিধায়ক খুন, কাউন্সিলর কে পিটুনি, কত না ঘটনা ঘটে চলছে। যার খুব ক্ষুদ্র অংশ খবরে আসে, বাকি টা আমরা জানতেও পারি না। আর যে সব কাট মানির কথা আমরা জানি বা জানতে পারছি সে গুলো সব ছোট নেতা কর্মীদের, কিন্তু বড়ো রাঘব বোয়াল যারা এভাবে কোটি কোটি টাকা হজম করে ফেলেছেন, তাদের ধরবে কে? যাতে রাঘব বোয়াল দের গায়ে হাত না পড়ে সেই জন্যই পুলিশকে তদন্ত করতে বা টাকা আদায়ের কাজে না লাগিয়ে, পাবলিকের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর এ কারণেই ভাটপাড়া, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া আজও গণ্ডগোল থামেনি। রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যে গণ্ডগোল হোক কিছু লোক মারা যাক, এই সরকারের কাছে মানুষের কোনো দাম নেই। যেমন করে হোক ক্ষমতা দখল করতে হবে।রাজ্যে বেকার সমস্যা তিন গুণ তাতে কাগজে বিবৃতি দিয়ে বললেই হবে। রোজ কাগজে একটা কলম থাকছে, "সু খবর রাজ্য সরকার এতো লোক নিয়োগের পথে।" একই কথা বিভিন্ন ভাবে দেওয়া হচ্ছে, আবেদন করা যাবে বলে বলা হচ্ছে, কিন্তু কোথাও আবেদন করা যাবে না। এরকম চলবে আগামী ২০২১ পর্যন্ত। মানুষ কে বিভ্রান্ত করে ভোটে জেতার চেষ্টা, আরও হয়তো দেখা যাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে, সারদা, রোজভ্যালীর টাকা যে সব নেতা মন্ত্রী নিয়েছে তারা টাকা ফেরত দেবে বলছে। এটা হবে ঠিক বিধান সভা ভোটের আগে।রাজ্য সরকার এই দাঙ্গা জিইয়ে রাখবে, কারণ মানুষকে দেখাতে চাইছেন বিরোধী দল এই দাঙ্গা করছে। ভোটে জেতার জন্য ভালো পথ বেছে নিয়েছে শাসক দল। তাই এই রাজ্যে কবে শান্তি আসবে কেউ জানে না। অশান্তির আগুন লেগে ছিল ২০০৬ সাল থেকে লাগিয়ে ছিল বর্তমান শাসক দল। সে আগুন এখনও নেভেনি। কত যে গন পিটুনি হচ্ছে, কত মানুষ খুন হলো তার ঠিক হিসেবে নেই।
Thursday, 18 July 2019
ধর্ণা ঠিক আছে, অনশন শুরু করিস না ভাই।
বর্তমান সরকার অনশন বোঝে না, অনশন যে না খেয়ে করতে হয়, এটা জানে না। কারণ এই সরকারের নেতা মন্ত্রী নেত্রীরা সকলে জানে অনশন খেয়ে করতে হয়। কারণ সিঙ্গুর থেকে টাটা তাড়ানোর সময় অনশন মনে আছে, স্যাণ্ডউয়িচ খেয়ে ২৬ দিন অনশন। তাছাড়া গত মার্চ মাসের শেষ থেকে শুরু করে টানা ২৮দিন অনশন করল SSC পরীক্ষায় পাশ করে তালিকায় নাম থাকা চাকরি প্রার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রীর সেই পনেরো দিনের আশ্বাস, আর মুখ্যমন্ত্রীর কমিটি গঠন করা সব হলো ভোটের জন্য হাত পা সব বাধা, ভোট মিটল কিন্তু কিছু হলো কী? কেবল মাঝখান থেকে একজন সন্তান সম্ভবা মা তার গর্ভের সন্তান হারিয়ে ফেলল। এসব দেখেও এই সরকার কোন কাজ করে না। বর্তমান রাজ্য সরকারের একটাই লক্ষ্য যেমন করে পার কাট মানি নিতে হবে, তোলা তুলতে হবে, চুরি ছ্যাঁড়ামি করে কোটি কোটি টাকা হজম করতে হবে।সেই জন্যই যেমন করে হোক জনগণ কে দমিয়ে রাখতে হবে। জনগণ কে ভিক্ষারি বানিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। দু টাকা কিলো চাল আর নেই রাজ্যে হাজারো রকম শ্রী নামক বস্তু আছে কজন মনে রেখেছেন শ্রী গুলো আবার সাথী আছে তাও অনেকের মনে নেই। মানুষ ভীষণ ভুলে যায় সেই জন্যই ভোটের আগে এরা নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে তার পর নিজ মুর্ত্তি ধারণ করে। বামেদের আমলে পঞ্চায়েত খরচের জন্য এতো টাকা আসতো না। সেই কারণেই তারা এদের থেকে একটু ভালো ছিল। সেই কারণেই বাম সরকার শেষের দিকে অনেক মানে ১৯৯৭ সালের পর থেকে অনেক নিয়োগ করে গিয়েছিল। এই সরকার তো নিয়োগ করে না, করলেও বাপের টাকা থাকতে হবে,কারণ লাখ লাখ টাকা ঘুষ না দিতে পারলে চাকরি পাওয়া যাবে না। এদের নীচু তলা থেকে উপরের নেতা মন্ত্রী সকলে ঘুষ খোর মিথ্যে বাদি ধাপ্পাবাজ, মহা চোর চুরি করে নেতাদের কুঁড়ে ঘর আজ রাজ প্রাসাদ আর জনগণ বোকচন্দর বনে গেছে। সেই কারণেই বলছি বা তোমাদের অনুরোধ করছি ধর্ণা ঠিক আছে অনশন কর্মসূচি তুলে নাও, নিজেদের পরিবার পরিজনদের কথা ভেবে, এই অনশন বন্ধ করে কেবল ধর্ণা কর। অনশন খুব কষ্টের প্রকৃত অনশন কারি মাত্রই জানেন। অনশনে যে কাজ হয় না, তার প্রমাণ আঠাশ দিন অনশন করেও কিছু মেলেনি।এই সরকার কর্মচারী এবং মানুষ খুন করতে এসেছে, এরা জোর করে ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করতে জানে। ভোট না দিলে পিটুনি বা খুন করা এদের কোনো ব্যাপার না। আমার আবারও অনুরোধ ধর্ণা ঠিক আছে অনশন তুলে নাও।
বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল ও শিক্ষকদের আন্দোলন ।
রাজ্যের সবচেয়ে পুরোনো ও শিক্ষক আন্দোলনের ঐতিহ্য বহনকারী শিক্ষক সংগঠনের গত ১৭/৭/১৯ তারিখে উন্নয়ন ভবনের সামনে তথা ওয়াই চ্যানেলে জমায়েতের একটি অংশের ছবি। বর্তমান রাজ্য সরকারের শিক্ষা নীতি ও শিক্ষকদের প্রতি আচরণ নিয়ে বারবার সরব হওয়া একটি সংগঠন এবিপিটিএ এক দেশ এক বেতন, prt স্কেল, দ্রুত বেতন কমিশন কার্যকর করার দাবি এবং মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রধান শিক্ষক হীন বিদ্যালয়ে দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা এরকম বারো দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য এই জমায়েত। আমি ও ছিলাম ঐ জমায়েতে, কিন্তু যা শুনলাম তাতে করে মনে হল এই রাজ্যে সরকার বলে কোন কিছু নেই। ডেপুটেশনে যাওয়া নেতৃত্ব কে বেশ কিছু খন বাইরে বসিয়ে রাখা হয়, তবে এতে আমি আশ্চর্য হইনি, কারণ বর্তমান শাসক দল তৃণমূল শিক্ষকদের কোনো সণ্মান করে না। এই সরকার প্রতি পদক্ষেপে বুঝিয়ে দিচ্ছে, সরকার কোনও দিন শিক্ষকের দাবি মানবে না। প্রতি মুহূর্তে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, নানা টালবাহানা করে, এবং আন্দোলন কে পুলিশ দিয়ে দমন করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের মূল দাবি টি কী? যে তুমি যখন NCERT নিয়ম মেনে যোগ্যতা মান করিয়েছ, বা সেই যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ করেছ।শিক্ষকদের দাবি করেছেন যে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন দিতে হবে। অর্থাৎ সারা দেশে PRT স্কেল চালু হয়েছে, সেই স্কেল দিতে হবে। নিদেনপক্ষে পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পে ব্যাণ্ড থ্রি তে তুলে ৩৬০০ ও ৩৯০০ টাকা গ্রেড পে করতে হবে। আর এই পে ব্যাণ্ড পাল্টাতে হবে, ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু করার আগে। পে ব্যাণ্ড থ্রি দিয়ে তার উপর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ফিডমেন্ট ২.৫৭ দিতে হবে। বর্তমান রাজ্য সরকারের কোন ইচ্ছা নেই, শিক্ষক দের দাবি মেনে নেওয়ার, তারা বিভিন্ন ভাবে এই আন্দোলন কে দমিয়ে রাখতে চাইছে। ক্ষমতায় আসার আগে যেমন মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সে ভাবে একের পর এক মিথ্যে কথা বলে চলেছেন। বেতন কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে চলেছেন, এতে কমিশনার সহ ঐ বিষয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীরা বেতন বা অনারিয়াম পাচ্ছেন। কমিশনার তো কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী তিনি সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। আবার বর্তমানে কমিশনার হিসেবে অনারিয়াম ভালোই আছেন। সারা দেশের মধ্যে কেবল এই রাজ্যে বেতন কমিশন তার সুপারিশ জমা দেয়নি। কেবল শিক্ষকের বেতন কম যে পুলিশ জল কামান চালাচ্ছে, বা যে কর্মী সরাসরি সরকারি অফিসে কাজ করেন। তারাও আজ ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত, কবে বেতন কমিশন চালু হবে কেউ বলতে পারবে না। সত্যিই আমরা এক আজব রাজ্যে বাস করছি, এখানে সব কিছু আছে কিন্তু কর্মীদের বেতন বাড়ানোর টাকা নেই। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই যখন একজন, শিক্ষা দপ্তরের সরকারি কর্মী শিক্ষকের কাজের খুঁত ধরার জন্য বিদ্যালয়ে পৌঁছে তাকে নানা দিক থেকে বিব্রত করে। মাইনরিটি স্কলারশিপ নিয়ে, হোক আর মি ডে মিল নিয়ে, কদিন আগে আধার নিয়ে চলছিল। আবার শিক্ষক আন্দোলনে যোগ দিলে তাকে শো কজ করে এবং নানা ভাবে হেনস্থা করে। আমার মনে হয়, এই সব সরকারি অফিসারা বকেয়া ডিএ ও ষষ্ঠ পে কমিশন মনে হয় পেয়ে গেছেন, বা এতো কাট মানি তোলে যে এদের বেতন না বাড়ালেও হবে। এক একজন অফিসার তো নিজে কে মুখ্যমন্ত্রী ভাবে, তার মুখের কথাই আইন। সেই কারণেই বঞ্চিত কেবল শিক্ষক দের আন্দোলন ভাঙার জন্য উঠে পড়ে লাগে। সেই কারণেই বলছি প্রতিশ্রুতি অনেক হয়েছে, আর প্রতিশ্রুতি চাই না। এবার দাবি আদায় করতে পথে নেমে আরও তীব্র আন্দোলন শুরু করতে হবে।
Wednesday, 17 July 2019
পরকীয়ায় কি না ঘটে!
কাল থেকে খবর টি পড়েছিলাম যে মেদিনীপুরের ঘাটালে এক গৃহ বধূ স্বামীর অবর্তমানে, অর্থাৎ স্বামী কাজের সূত্রে বাইরে থাকে, সেই সুযোগে ছেলে কে স্কুলে পাঠিয়ে। পুরনো প্রেমিকের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। গ্রামের লোকজন তাদের আপত্তি কর অবস্থায় দেখতে পেয়ে ধরে ফেলে, বসে সালিশি সভা, বিচারে ঠিক হয় দুজনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। আমার মতে তারা ঠিক করেছ, না হলে এই লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম অর্থাৎ স্বামীর খেয়ে পরে অপরের কাছে শোওয়া। আবার কাকের বাসায় কোকিলের ডিম পাড়ার মতো, সন্তানের জন্ম দেওয়া। এ গুলো ঠিক নয়। আবার এটা আইনের চোখে ঠিক নয়, একজন কে ডাইভোর্স না করে অন্য জনের সাথে বিয়ে দেওয়া। আইনের চোখে বা শাসনে হয়তো বেআইনি, বাস্তবে সমাজ ব্যবস্থায় সমাজের মোড়লরা যা করেছে, সেটা সঠিক কাজ। কারণ আইন সেতো বিচার করা হয় না, প্রহসন হয় আর কেবল তারিখ আর উকিল মুহুরির পকেট ভড়ানো ছাড়া আর কিছু হয় না। মাসের পর মাস বছরের পর বছর মামলা চলে।যার অগাধ টাকা আছে, সে কোর্টের বিচার পায়, তাও সমাজ কি চায় মানুষ টি কি বলে তাদের কথা শুনবেন সবার শেষে কয়েক বছর পর যখন তারা সব ভুলে গেছে তখন। কি সুন্দর আমাদের বিচার ব্যবস্থা তাই না। সুপ্রীম কোর্ট অবশ্য রায়
আছে, পরকীয়ায় দোষ নেই, আমার মনে যিনি এই রায় দিয়েছেন, তার স্ত্রী মনে হয় পরকীয়ায় জড়িত না হলে এ রায় দেওয়া যায় না। তিন টি জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয় যে পরকীয়ায়। সে মহিলাদের পরকীয়া হোক বা পুরুষের, আমি যে সব ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ পত্রে পরছি তাতে মেয়ের দল বেশি। পরকীয়ায় যদি দেখছে স্বামী বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তবে তাকে খুন করে দিচ্ছে, আমাদের রাজ্যের মনুয়া কাণ্ড, তার পরেও আরও কত গুলো ঘটনা সামনে এসেছে, সত্যি অবাক করার মত, অনেকে আছে, বিয়ের আগে প্রথম যার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে তাকে ভুলতে পারে না। এবার বাবা মা বা পরিবারের কথায় অন্য ছেলে কে বিয়ে করে তার জীবন টা নষ্ট করে দেয়। অনেক পুরুষের এ স্বভাব আছে, এ কাজ করা উচিত কি? সবাই মিলে ভাবুন বাঙালি জাতি তার সমাজ ব্যবস্থা কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? চরম অন্ধকারের দিকে তাই নয় কি?
আছে, পরকীয়ায় দোষ নেই, আমার মনে যিনি এই রায় দিয়েছেন, তার স্ত্রী মনে হয় পরকীয়ায় জড়িত না হলে এ রায় দেওয়া যায় না। তিন টি জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয় যে পরকীয়ায়। সে মহিলাদের পরকীয়া হোক বা পুরুষের, আমি যে সব ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ পত্রে পরছি তাতে মেয়ের দল বেশি। পরকীয়ায় যদি দেখছে স্বামী বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তবে তাকে খুন করে দিচ্ছে, আমাদের রাজ্যের মনুয়া কাণ্ড, তার পরেও আরও কত গুলো ঘটনা সামনে এসেছে, সত্যি অবাক করার মত, অনেকে আছে, বিয়ের আগে প্রথম যার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে তাকে ভুলতে পারে না। এবার বাবা মা বা পরিবারের কথায় অন্য ছেলে কে বিয়ে করে তার জীবন টা নষ্ট করে দেয়। অনেক পুরুষের এ স্বভাব আছে, এ কাজ করা উচিত কি? সবাই মিলে ভাবুন বাঙালি জাতি তার সমাজ ব্যবস্থা কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? চরম অন্ধকারের দিকে তাই নয় কি?
Sunday, 14 July 2019
প্রমীলা বাহিনী জেগেছে, চুল্লুর ভাঁটি ভাঙচে তারা। আর বিদ্যালয়ে এটা কি হচ্ছে?
ছবি টি অন লাইন নিউজ 18 এ বেড়িয়ে ছিল। গ্রামের মেয়েরা চুল্লুর ভাঁটি ভাঙচে, প্রায় খবর হচ্ছে, মেয়েরা একত্রিত হয়ে, লাঠি সোটা নিয়ে মদের ঠেক মদ তৈরির সরঞ্জাম ভেঙে দিচ্ছে। এটা খুব দরকার না হলে ঐ চুল্লু খেয়ে তাদের বাড়িতে বাড়িতে অশান্তি করছে, পুরুষরা। আবার কোন কারণে যদি বিষাক্ত হয়ে যায় তাহলে মৃত্যু অনিবার্য, কিন্তু বিদ্যালয়ের পাঠ রত ছাত্রীরা একি করছে,
এই মেয়েরা কোন বাড়ি থেকে এসেছে, তবে দোষ এদের নয় দোষ সমাজ ব্যবস্থার 2011 সালের পর থেকে বেশি করে বদলে গেছে সমাজ ব্যবস্থা, এতো অধপতন ভাবা যায় না। বিদ্যালয়ের ভিতরে মদ্যপান, অনেকে বলবেন শিক্ষকরা কী করছে? এসব মেনে নিল কী করে? শিক্ষকের কিছু করার থাকছে না, তারা অসহায় হয়ে পরেছে। শাস্তি দেওয়ার অধিকার তাদের নেই, তুচ্ছ শাস্তি সেটাও দেওয়া যাবে না। যে কোন রকম শাস্তি দিলে হয় অভিভাবক নয়, প্রশাসন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে আসছে। সমাজ ব্যবস্থা আজ নষ্ট হয়ে গেছে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুন ধরে গেছে, এই পচন কেউ রোধ করতে পারবে না। আর তার উপর আছে, টিভি সিরিয়াল ও স্মার্টফোন এখন সমাজ নিয়ন্ত্রণ করছে। সমাজের সেই মুল্যবোধ হারিয়ে গেছে, কারণ যে দিন থেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটেছ। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার বই বা সিলেবাস পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে পাঠ্য বই বা পাঠ্য সুচীতে কোনো মূল্য বোধের বিষয় নেই। বাংলায় শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার প্রয়াস শুরু হয়েছে অনেক দিন ধরে, যে সিলেবাসে না আছে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য সম্পর্কিত কোনো ইতিহাস না আছে সেই সব কবিতা গল্প প্রবন্ধ কি ভাবে গড়ে উঠবে মূল্যবোধ। প্রাথমিকের পাঠ্যসূচী সে তো অতীব নিম্ন মানের কোনো কিছু শেখার নেই। উচ্চ শ্রেণীর পাঠ্য সুচীতে নিত্য নতুন ভাবে যে সব বিষয়ে পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সে গুলো পড়লে মূল্যবোধ তৈরি হওয়ার বদলে, মুল্যবোধ ধ্বংস হয়ে যাবে। একটা নব্বই শতাংশ তৈরি করা কারখানা কে তাড়িয়ে যে ভাবে আনন্দ করা হয়েছে তার ইতিহাস। সাথে আছে পেট ভরে খেয়ে ছাব্বিশ দিনের মিথ্যে অনশন কর্মসূচি। এসব পড়ে কি মূল্য বোধ তৈরি হবে।
এক মাত্র বামপন্থীরা পারে সঠিক পথ দেখাতে ।
একমাত্র বামপন্থীরা পারে সঠিক পথ দেখাতে, তাই যে কোন নির্বাচন যদি সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়, সেখানে বামেদের জয় নিশ্চিত। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে একটি নির্বাচন ও সঠিক ভাবে বিনা রক্ত পাতে হয়নি। বামপন্থীরা যেতে কারণ তারা দুর্নীতি গ্রস্থ নয়, এবং সর্বোপরি তারা শ্রমিক কর্মচারী দের নিয়ে নিতী নির্ধারণ করে এসেছে। কিছু দূর্নীতি গ্রস্থ মানুষ বামপন্থী দের সাথে মিশে, বামেদের বদনাম করে, 2011 সালে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। যে সব মানুষ এসব করে ছিল, তারা এখন কাট মানির দলে, কে কত খেতে পার বা লুটে নিতে পার তার প্রতিযোগিতা চলছে। ইচ্ছা হলে সাধারণ মানুষের দিকে একটু রুটি ছুঁড়ে দিচ্ছে, খুব ঘেউ ঘেউ করলে ডিএ জুটছে, যারা সেদিন মহাকরণ ভাঙচুর করে ছিল ডিএর জন্য, তারা এখন চুপ, আর শিক্ষকের কথা সে তো তথৈবচ, সে যে স্তরের শিক্ষক হোন না কেন, কেউ রেহাই পাচ্ছে না। একমাত্র শাসক দলে নাম লেখালে, এবং হীরক দেশের রাজা সিনেমার মতো, শ্রমিকদের বেতন নেই, শিক্ষকের পড়াবার অধিকার নেই, কেবল মি ডে মিল খাওয়া হলো কিনা তার হিসেব করা। আর জামা, জুতো,সাইকেল, কন্যাশ্রী রূপ শ্রী, বই বিলি, বিএলও ডিউটি আরও নানা কিছু। এতো কিছুর পরেও পান থেকে চুন খসলে হলো, এবার সে যদি বাম সমর্থক হয়, তাহলে তার কপালে অশেষ দুঃখ প্রথমে বদলির নির্দেশ, অন্য রাজ্যে তো দিতে পারে না, এই রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এভাবে যদি দমান না যায় তাহলে, সাময়িক বর। খাস্ত। অর্থাৎ শাস্তি তাকে পেতে হবেই। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে, প্রতিটি নির্বাচন যদি শান্তি পূর্ণ হতো তাহলে বামফ্রন্ট অনেক অনেক আসন পেতে পারতো। বর্তমান শাসক দল গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে।
সৎ হওয়ার কী মরিয়া চেষ্টা!
আমাদের রাজ্যের শাসক দলের জবাব নেই, দল নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। কাট মানি ফেরত দিতে হবে, স্থানীয় নেতা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দেখিয়ে দিচ্ছেন।বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাট মানি র টাকা ফেরত দিচ্ছেন। সৎ সাজার কী মরিয়া চেষ্টা, একদিকে পুকুর চুরি হচ্ছে, দিনে ডাকাতির মতো সারদা নারদা রোজভ্যালীর সহ নানা ধরনের চিটফাণ্ডের টাকা আত্মসাৎ করা হয়ে গেছে।সে তো "যা গেছে তা যাক" আমার ভাবতে অবাক লাগে, এ সরকার বা দলের মজার সব কাণ্ড দেখে। সাধারণ মানুষ কিন্তু অনেকেই বলছেন চুরি করুক বছরে পাঁচশ টাকা হলেও দিচ্ছে তো। আমাদের মতো অসংখ্য সাধারণ মানুষ কে বোকা বানিয়ে সরকারি টাকায় মহোৎসব চলছে। কাট মানি কি কেবল একশ দিনের কাজের, বা ঘর করে দেওয়ার জন্য টাকা থেকে, নারে ভাই, কলেজে ভর্তির জন্য টাকা, স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার জন্য টাকা, শুধু স্কুলের চাকরি, একটা পাঁচ হাজার টাকার বেতনের আই সি ডি এসের চাকরি সেখানেও টাকা। কোন কাজে নেতা মন্ত্রী দের সাহায্য নিলেই টাকা দিতে হবে। আর যত রকম শ্রী আছে, সেটা পেতে হলে টাকা দিতে হবে। উঁচু তলায় বসে হিসেবে করে বালি মাফিয়া ও কয়লা মাফিয়া, গোরু পাচার করে টাকা। দল কোনো পোশাক তৈরি করে না, তাকে পোশাকের অর্ডার দিয়ে সেখান থেকে টাকা, মি ডে মিলের চাল, টাকা, রেশন কার্ড শংসাপত্র দেওয়ার জন্য টাকা। বিভিন্ন সরকারি কাজে দরপত্র ডাকা থেকে শতাংশ নেওয়া। আরো কত কি ভাবে টাকা পাওয়া যাবে তার চিন্তায় নেতা মন্ত্রী দের ঘুম নেই। হায়রে বাঙালি জাতি রাজ্য টা কে কোন রসাতলে নিয়ে গেলি।
Saturday, 13 July 2019
ওরে এবার থামের বাবা থাম।
২০১৫ সালের ২৭ শে নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত বকেয়া ডিএ আর বেতন কমিশন নিয়ে এতো খবর লেখা হয়েছে, মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই একটা বিষয়ে এত খবর বেতন কমিশন বা ডিএ নিয়ে লেখা হয়নি। যে সাংবাদিক এই খবর টি লিখেছেন, তাকে এবং যারা সঠিক তথ্য না জেনে কেবল কর্মীদের সঙ্গে মস্করা করার জন্য এসব লিখেছেন, তাদের বলছি অনেক হয়েছে, এবার থাম, যখন ঘোষণা করা হবে, তখন এসব নিয়ে লেখা লিখি হবে। কারণ যে বা যিনি ঘোষণা করবেন বা বেতন কমিশনের যিনি দায়িত্ব পালন করছেন, তিনিও জানেন না আদৌ বেতন কমিশন দেবেন কিনা! কারণ এখন পর্যন্ত বেতন কমিশনের সুপারিশ জমা পড়েনি, তার আগেই এতো মাতা মাতি আদৌ জুটবে তো, কারণ পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ যে কর দেয় সেটা সরকার মনে করে সরকারি টাকা নয়, ঐ সব টাকা কয়েক জনের ব্যক্তি গত আয়। এবার সে তার আয় থেকে কাকে টাকা দেবে আর কাকে টাকা দেবে না, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ও নিয়ে কারোর কিছু বলার নেই, কারণ এবিষয়ে কেউ কোনো কথা বলছেন বা বলছে দেখেছেন। আমি যতদূর জানি সমগ্র ভারতের অন্য সব রাজ্যে ডিএ বা বেতন কমিশন কার্যকর করা হয়ে গেছে কবে, কেবল এই পশ্চিমবঙ্গে বাকি। এটা কি বাম সরকার তাহলে বেতন কমিশন নিয়ে এতো টালবাহানা করলে, কবে নবান্নের সব ঘর ভাঙচুর হয়ে যেত। আমার মনে আছে একবার ডিএ ঘোষণা করতে চার মাস দেরি হয়েছিল। মহাকরণের একটা চেয়ারও আস্ত ছিল না। আর দেখুন শেষ বেতন কমিশন কার্যকর করা হয়েছিল, ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে, আর এই বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে চার বছর তিন মাস আগে, তাতেও তিনি নাকি রিপোর্ট তৈরি করে উঠতে পারেনি। আজ থেকে দশ বছর চার মাস আগে বেতন কমিশন কার্যকর করা হয়েছিল। এই সরকারের যিনি মাথা তিনি না বললে পশ্চিমবঙ্গের গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ে না। তিনি পে কমিশন গঠনের সময় বললেন, আমি জানি দশ বছর পর বেতন কমিশন কার্যকর করতে হয়। গত ২০০৬ সালে বেতন কমিশন হয়েছিল, আমি তার আগেই,(27 th November 2015)বেতন কমিশন গঠন করে দিলাম। আর ক্ষমতা দখলের আগে, যে সব কর্মী মহাকরণে চেয়ার টেবিল ভেঙে ছিল, গেট ধরে নাড়া দিচ্ছিল তাদের জন্য বললেন, আমি ক্ষমতায় এলে, কেন্দ্র যখন ডিএ ঘোষণা করবে আমি তখন ঘোষণা করে দেব। এখন প্রমাণিত উনি মিথ্যে বলে ছিলেন, আর উনি পৃথিবীর সেরা মিথ্যাবাদী সেটা আজ আর কাউকে বলে দিতে হবে না। তাই বলছি ভাই, ডিএ বেতন কমিশন বিষয়ে ওনার মনে কি আছে কেউ জানে না। উনি যদি সত্যি এসব আন্দোলন ও সমস্যা মেটাতে চাইতেন, তাহলে নিজের বেতন না বাড়িয়ে আগে কর্মী দের দিকে নজর দিতেন। কারণ কর্মীরা কাজ করে তাই একটা রাজ্যের সব কাজ সুস্থ ভাবে হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত কর্মীদের বঞ্চনা করে, তাদের ডিএ বেতন কমিশন না দিয়ে, কেবল নিজের দলের লোকের আয় বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে, শাসক দলের কর্মী সমর্থক যাতে কাট মানি বা তোলা তুলতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, বিভিন্ন ধরনের শ্রী আর জামা, জুতো, খাতা রথের টাকা পুজোর টাকা ক্লাব কে টাকা, উপরি আছে একশ দিনের কাজের প্রকল্প, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা। আমাদের মাননীয়া আর তার দলের নেতা কর্মীরা ভালো থাকুন, আপনারা বেকার তাই নিচ্ছেন। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সব ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, সে কি খরচ নয়, ঐ টাকা তো তুলতে হবে তাই না।
বর্তমানে ভারতের গনতন্ত্র ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।
ভারতীয় গনতন্ত্র এখন ব্যবসা, আনন্দ বাজার পত্রিকার এই খবর টি নিশ্চয়ই অনেকে পড়ছেন। ভোটের কারবারীরা, ২০২১ সালের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর কাছে যাচ্ছেন, বলছেন ভোটারদের মন পাওয়ার জন্য প্রথম ১.৫ লক্ষ টাকা ও পরে পাঁচ লক্ষ টাকা দিলে তারা দায়িত্ব নেবেন ভোটে জয়ী করার, এবং জয়ী হবেনই এটা গ্যরেন্টি। এই যে সম্ভাব্য প্রার্থীর কাছে গিয়ে টাকা দিতে বলছেন, এবং ভোটে জেতার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন এরা কারা, শুনেছি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল প্রশান্ত কিশোর না কাকে নিয়োগ করেছে, এরা কি তার লোক, যদি এভাবে ভোটে নির্বাচিত হওয়া যায়, তাহলে এতো ভোটের আয়োজন কেন এতো প্রচার এতো মারধর মানুষ খুন রিগিং কীসের জন্য। প্রার্থীরা ঐ দল কে টাকা দেবে ওরা ওর হয়ে প্রচার করে ভোটে জিতিয়ে দেবে। মানুষ ওদের কথায় বা চটক দারি প্রচারে ভুলে চোর কে খুনি কে ভোট দেবে। দিনের পর দিন মিথ্যে কথা বলে মানুষ ঠকিয়ে তিন শ টাকার মজুর সেও তিন শ কোটি টাকার মালিক হবে। মানুষ সে সব ভুলে যাবে। মা, মাটি, মানুষ, মা বোনের ইজ্জত নেই, ৬০ বছরের বৃদ্ধ ধর্ষিত হয় এই রাজ্যে তার আবার বিচার নেই, আইন বলে কিছু নেই, নেতা মন্ত্রী আর কিছু অসাধারণ কেন্দ্রীয় অফিসারদের মুখের কথা আজ আইন। বাংলায় বাঙালির বেঁচে থাকার অধিকার নেই, মাটি সেতো রামকৃষ্ণ পরমহংস বলে গিয়েছেন মাটি টাকা টাকা মাটি। তাই ছলে বলে কৌশলে চাষিদের জমি দখল কর বা দালালি করে টাকা ইনকাম কর। জমি দালাল বা জমি হাঙরের দল আজ জমি দখলে মরিয়া। আর মানুষের কথা সে নাই বা বললাম সে তো আজ ভিক্ষারী সরকার ভিক্ষা কখন দেবে চেয়ে বসে আছে। সে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কারণ মানুষের কাজ নেই, না আছে সরকারি চাকরি না আছে কল কারখানা কী করবে মানুষ আজ সত্যিই ভিক্ষারীতে পরিনত হয়েছে। এসব জনগণ ভুলে যাবে গিয়ে ঐ সব লোকের চটক দারি প্রচার আর কথায় দূর্নীতি গ্রস্ত লোক কে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেবে। আবার এটাও ঠিক এই পশ্চিমবঙ্গে ওটা সম্ভব কারণ সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে দেখলাম কলকাতার বেশ কিছু লোকসভা কেন্দ্র এবং এই হুগলি জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ঐ রকম ঘুষ খোর ঠকবাজ চোর প্রার্থী জয় পেয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় শিক্ষিত মানুষ কতটা অশিক্ষিত, তবে কলকাতার দিকে বাঙালি ভোটার কম, সেখানে অবাঙালী বেশি তারা বাঙালি জাতির ইতিহাস জানে না, আর জানতেও চায় না। এই কারণেই সেখানে চোর ঘুষখোর ধাপ্পাবাজরা ভোটে নির্বাচিত হন, ওটা ওদের দেশের অর্থাৎ অবাঙালী দের মধ্যে বেশ ভালো রকম আছে, বিহার উত্তর প্রদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন জেলে থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হন। এরকম অনেক উদাহরণ আছে, কিন্তু এরা যে টা করতে চাইছে বা বলছে, যে প্রার্থী আমাদের টাকা দিলে ভোটে নির্বাচিত করার দায়িত্ব তার, এবং দাবী মতো টাকা দিলে জেতার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এটা আমরা মতে গনতন্ত্রের পক্ষে মোটেই মঙ্গল জনক নয়। শিক্ষিত ভদ্র সমাজ, এটা মেনে নিতে পারে, আমরা গনতান্ত্রিক দেশে বাস করি, সেখানে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে। এরপরেও বলবেন ঐ প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে কাট মানি নেবে না। নিজের বেতন পাঁচ লাখ টাকা করবে না, তোলা তুলবে না, সরকারি যে কাজে দরপত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে শতাংশ দাবি করবে না। ভোটে জেতার জন্য ঐ সংস্থা কে টাকা দেবে সে লোক জনসেবা করবে এ আশা দূরাশা। আমার মতে এটা গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার সর্বনাশ করা ছাড়া আর কিছু না।
মাইনরিটি স্কলারশিপ আবেদন করতেই হবে, না করলে দায় শিক্ষকের ।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্কলারশিপ বা ঐক্যশ্রী এটা বাধ্যতামূলক! হয়তো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, সেই দায় কী শিক্ষকের, না যারা করছে না তাদের, বিজ্ঞপ্তি তে আবেদনের শেষ তারিখ আছে, ১৫/৯/১৯ না ওটা সিঙ্গুর ব্লকের জন্য আলাদা কোন জিও হয়েছে কিনা, যার জন্য মাননীয় বিদ্যালয় পরিদর্শকের কথায়, কাজ টা বা অন লাইন আবেদন এখুনি করতে হবে, এবং শিক্ষকরা দায়িত্ব নিয়ে করিয়ে দেবেন। ছাত্র ছাত্রীরা গত তিন বছর ধরে আবেদন করে যাচ্ছে, অনেকেই এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা পায় নি। ওটাও শিক্ষকের দোষ মনে হচ্ছে, শিক্ষকের বাপের শ্রাদ্ধ হবে, তাই ছাত্র ছাত্রীরা কিছু না পেলে কিছু না করলে শিক্ষকের দোষ, সেই জন্য জুতো দিতে গিয়ে জুতো পেটা খেতে হচ্ছে, আবার পোশাক গতবার যে দল পোশাক দিয়ে ছিল তারা অর্ডার পেয়েছে তাদের গতবার বেশি করে পোশাক কেনা পরে আছে, সেই জন্য এবার টাকা বেশি ছ শ টাকা মাথা পিছু সেই জন্যই সুতির পোশাক দিতে বলা হয়েছে, কিন্তু কিছুতেই তারা রাজি নয়, কারণ গত বছর না বুঝে বেশি করে কিনে ছিল। সেই পোশাক গুলো নিতে হবে, এখানে শিক্ষকের ভুমিকা কী ছাত্র ছাত্রীদের মাপ টা ঠিক করে দেওয়া, আর টাকা টা ওদের দিয়ে দেওয়া। এর মধ্যে এরা মানে গোষ্ঠী এস আই এসে গিয়েছিল, ঠিক মতো অর্ডার দেওয়া হয়নি। এই অর্ডার বা আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা শিক্ষকের আছে? আমার মনে হয় নেই, কারণ আদেশ নামাতো পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, উপর মহল থেকে, শিক্ষক কেবল মাত্র ছাত ছাত্রী সংখ্যা জানিয়ে দেবে।
Friday, 12 July 2019
বেতন কমিশন নিয়ে কিছু সংবাদদাতা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
এই খবর টি অন লাইন কলকাতা 24x7 এ বেড়িয়ে ছিল। এমন ভাবে খবর টি উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন মনে হচ্ছে, কাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বেতন কমিশন কার্যকর করে দেব। আমি এর আগেও এরকম খবর অন্য অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়ছি।এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কী করতে চাইছে, এই সংবাদ মাধ্যম গুলো, প্রতিনিয়ত সরকারি কর্মচারী থেকে সাধারণ মানুষ কে বিপথে চালিত করার জন্য, আর মানুষ কে বিভ্রান্ত করে, যা কাগজে একটু সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় সেটাই লাভ। আমার মনে হয় এই পেপার গুলো চিটফাণ্ডের টাকায় তৈরি হয়েছিল, বা তার ভাগ পেয়ে ছিল, না এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা খবর প্রচার করবে কেন? আরেকটা কারণ হতে পারে যে কেউ একজন তার মনের মতো কথা লিখছেন, যার কোনো বাস্তবতা নেই, যা দু চার জন মানুষ কে বিভ্রান্ত করা যায়। কারণ বেতন কমিশন যিনি দেবেন তিনি জানেন না যে আদৌ তিনি দেবেন কী না? আর এই রকম যত কাগজ অন লাইন নিউজ পোর্টালে যা খুশি তাই লিখছি, যার কোনো ভিত্তি নেই। আমি বা আমরা দেখলাম বা এই ধরনের কাগজ পত্র গুলো তে, বেতন কমিশনের দিন বাড়ানোর সময়, যেই আন্দোলন শুরু হলো, বেতন কমিশনার বললেন আমি সময় বাড়াতে বলিনি, আমার রিপোর্ট তৈরি কেবল জমা দেওয়ার অপেক্ষা, কিন্তু সরকার জমা নিচ্ছে না। সেই সময় সততার প্রতীক সত্যি বাদী যুধিষ্ঠিরের নাতনি ডেকে পাঠিয়ে, কী মন্ত্র কানে কানে দিলেন সেটা তিনি আর ঐ সবজান্তা জানেন। সেই সময়ে কাগজ পত্রে বা অন লাইন নিউজ পোর্টালে বিভ্রান্তি তৈরি করা হলো ১ লা জুলাই থেকে বেতন কমিশন কার্যকর করা হবে। শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন চলা কালীন একই ভাবে প্রচার করা শুরু করেন, আবার পে ফিক্সেশনের ফর্মুলা পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হয়, যেটা বিভ্রান্তি মূলক। আর এই সরকার ও চাইছে সরকারি কর্মীদের বিভ্রান্তি তে রাখতে, আমি যতদূর বুঝি জানি কোনো দক্ষিণ পন্থী সরকার কখনো নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। কর্মী দের বেতন বৃদ্ধি করতে চায় না। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে একটা কথা চলে আসে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার বাড়াচ্ছে কেন? এর ও উত্তর আছে, কেন্দ্র অর্থ মন্ত্রক জানে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে, তাই সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়, সে ক্ষেত্রে এককালীন টাকার যোগান দেওয়া হয়, আর সরকারী কর্মীদের বেতন দিয়ে সারা বছর টাকার যোগান দেওয়া হয়, যেটা খুব জরুরি না হলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। মানুষ তার জীবন ধারণের জন্য অর্থ যোগান পাবে না। সেই কারণেই এই রাজ্যের সরকার বিভিন্ন রকম শ্রী, ক্লাব কে টাকা দেওয়া, পুজো কমিটি কে, কিছু দিন আগে রথ যাত্রা পরিচালনা করতে টাকা দিয়েছে। আবার মোয়াজ্জেম ভাতা, কলকাতা শ্মশান ব্রাহ্মণ দের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত করে এসব করা হচ্ছে, এই সরকার কর্মচারী মারা সরকার, আর চাষি মারা সরকার, শ্রমিক মারা সরকার। এই সব বামেদের আমলে হলে, এতখন নব্বানের একটা চেয়ার আস্ত থাকত না সরকারের একটা কাজ ও সময়ে হতো না। কেন না তখন সরকারি কর্মীদের অধিকার ছিল, আন্দোলন করার এখন ওসব করলে বদলি নয় সাময়িক বরখাস্ত নয় আরও অন্য কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তবে তামিল নাড়ুর রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার আমলে সেই সরকার কর্মচারী দের আন্দোলন বন্ধ করার জন্য জন্য এসমা প্রয়োগ করে ছিল। সব কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে বরখাস্ত করা সব কর্মী দের আবার কাজে ফিরিয়ে নিয়ে ছিল।
Subscribe to:
Posts (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...