Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 13 July 2019

বর্তমানে ভারতের গনতন্ত্র ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।

ভারতীয় গনতন্ত্র এখন ব্যবসা, আনন্দ বাজার পত্রিকার এই খবর টি নিশ্চয়ই অনেকে পড়ছেন। ভোটের কারবারীরা, ২০২১ সালের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর কাছে যাচ্ছেন, বলছেন ভোটারদের মন পাওয়ার জন্য প্রথম ১.৫ লক্ষ টাকা ও পরে পাঁচ লক্ষ টাকা দিলে তারা দায়িত্ব নেবেন ভোটে জয়ী করার, এবং জয়ী হবেনই এটা গ্যরেন্টি। এই যে সম্ভাব্য প্রার্থীর কাছে গিয়ে টাকা দিতে বলছেন, এবং ভোটে জেতার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন এরা কারা, শুনেছি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল প্রশান্ত কিশোর না কাকে নিয়োগ করেছে, এরা কি তার লোক, যদি এভাবে ভোটে নির্বাচিত হওয়া যায়, তাহলে এতো ভোটের আয়োজন কেন এতো প্রচার এতো মারধর মানুষ খুন রিগিং কীসের জন্য। প্রার্থীরা ঐ দল কে টাকা দেবে ওরা ওর হয়ে প্রচার করে ভোটে জিতিয়ে দেবে। মানুষ ওদের কথায় বা চটক দারি প্রচারে ভুলে চোর কে খুনি কে ভোট দেবে। দিনের পর দিন মিথ্যে কথা বলে মানুষ ঠকিয়ে তিন শ টাকার মজুর সেও তিন শ কোটি টাকার মালিক হবে। মানুষ সে সব ভুলে যাবে। মা, মাটি, মানুষ, মা বোনের ইজ্জত নেই, ৬০ বছরের বৃদ্ধ ধর্ষিত হয় এই রাজ্যে তার আবার বিচার নেই, আইন বলে কিছু নেই, নেতা মন্ত্রী আর কিছু অসাধারণ কেন্দ্রীয় অফিসারদের মুখের কথা আজ আইন। বাংলায় বাঙালির বেঁচে থাকার অধিকার নেই, মাটি সেতো রামকৃষ্ণ পরমহংস বলে গিয়েছেন মাটি টাকা টাকা মাটি। তাই ছলে বলে কৌশলে চাষিদের জমি দখল  কর বা দালালি করে টাকা ইনকাম কর। জমি দালাল বা জমি হাঙরের দল আজ জমি দখলে মরিয়া। আর মানুষের কথা সে নাই বা বললাম সে তো আজ ভিক্ষারী সরকার ভিক্ষা কখন দেবে চেয়ে বসে আছে। সে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কারণ মানুষের কাজ নেই, না আছে সরকারি চাকরি না আছে কল কারখানা কী করবে মানুষ আজ সত্যিই ভিক্ষারীতে পরিনত হয়েছে। এসব জনগণ ভুলে যাবে গিয়ে ঐ সব লোকের চটক দারি প্রচার আর কথায় দূর্নীতি গ্রস্ত লোক কে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেবে। আবার এটাও ঠিক এই পশ্চিমবঙ্গে ওটা সম্ভব কারণ সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে দেখলাম কলকাতার বেশ কিছু লোকসভা কেন্দ্র এবং এই হুগলি জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ঐ রকম ঘুষ খোর ঠকবাজ চোর প্রার্থী জয় পেয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় শিক্ষিত মানুষ কতটা অশিক্ষিত, তবে কলকাতার দিকে বাঙালি ভোটার কম, সেখানে অবাঙালী বেশি তারা বাঙালি জাতির ইতিহাস জানে না, আর জানতেও চায় না। এই কারণেই সেখানে চোর ঘুষখোর ধাপ্পাবাজরা ভোটে নির্বাচিত হন, ওটা ওদের দেশের অর্থাৎ অবাঙালী দের মধ্যে বেশ ভালো রকম আছে, বিহার উত্তর প্রদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন জেলে থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হন। এরকম অনেক উদাহরণ আছে, কিন্তু এরা যে টা করতে চাইছে বা বলছে, যে প্রার্থী আমাদের টাকা দিলে ভোটে নির্বাচিত করার দায়িত্ব তার, এবং দাবী মতো টাকা দিলে জেতার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এটা আমরা  মতে গনতন্ত্রের পক্ষে মোটেই মঙ্গল জনক নয়। শিক্ষিত ভদ্র সমাজ, এটা মেনে নিতে পারে, আমরা গনতান্ত্রিক দেশে বাস করি, সেখানে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে। এরপরেও বলবেন ঐ প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে কাট মানি নেবে না। নিজের বেতন পাঁচ লাখ টাকা করবে না, তোলা তুলবে না, সরকারি যে কাজে দরপত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে শতাংশ দাবি করবে না।  ভোটে জেতার জন্য ঐ সংস্থা কে টাকা দেবে সে লোক জনসেবা করবে এ আশা দূরাশা। আমার মতে এটা গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার সর্বনাশ করা ছাড়া আর কিছু না। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...