Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 13 July 2019

ওরে এবার থামের বাবা থাম।

২০১৫ সালের ২৭ শে নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত বকেয়া ডিএ আর বেতন কমিশন নিয়ে এতো খবর লেখা হয়েছে, মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই একটা বিষয়ে এত খবর বেতন কমিশন বা ডিএ নিয়ে লেখা হয়নি। যে সাংবাদিক এই খবর টি লিখেছেন, তাকে এবং যারা সঠিক তথ্য না জেনে কেবল কর্মীদের সঙ্গে মস্করা করার জন্য এসব লিখেছেন, তাদের বলছি অনেক হয়েছে, এবার থাম, যখন ঘোষণা করা হবে, তখন এসব নিয়ে লেখা লিখি হবে। কারণ যে বা যিনি ঘোষণা করবেন বা বেতন কমিশনের যিনি দায়িত্ব পালন করছেন, তিনিও জানেন না আদৌ বেতন কমিশন দেবেন কিনা! কারণ এখন পর্যন্ত বেতন কমিশনের সুপারিশ জমা পড়েনি, তার আগেই এতো মাতা মাতি আদৌ জুটবে তো, কারণ পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ যে কর দেয় সেটা সরকার মনে করে সরকারি টাকা নয়, ঐ সব টাকা কয়েক জনের ব্যক্তি গত আয়। এবার সে তার আয় থেকে কাকে টাকা দেবে আর কাকে টাকা দেবে না, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ও নিয়ে কারোর কিছু বলার নেই, কারণ এবিষয়ে কেউ কোনো কথা বলছেন বা বলছে দেখেছেন। আমি যতদূর জানি সমগ্র ভারতের অন্য সব রাজ্যে ডিএ বা বেতন কমিশন কার্যকর করা হয়ে গেছে কবে, কেবল এই পশ্চিমবঙ্গে বাকি। এটা কি বাম সরকার তাহলে বেতন কমিশন নিয়ে এতো টালবাহানা করলে, কবে নবান্নের সব ঘর ভাঙচুর হয়ে যেত। আমার মনে আছে একবার ডিএ ঘোষণা করতে চার মাস দেরি হয়েছিল। মহাকরণের একটা চেয়ারও আস্ত ছিল না। আর দেখুন শেষ বেতন কমিশন কার্যকর করা হয়েছিল, ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে, আর এই বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে চার বছর তিন মাস আগে, তাতেও তিনি নাকি রিপোর্ট তৈরি করে উঠতে পারেনি। আজ থেকে দশ বছর চার মাস আগে বেতন কমিশন কার্যকর করা হয়েছিল। এই সরকারের যিনি মাথা তিনি না বললে পশ্চিমবঙ্গের গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ে না। তিনি পে কমিশন গঠনের সময় বললেন, আমি জানি দশ বছর পর বেতন কমিশন কার্যকর করতে হয়। গত ২০০৬ সালে বেতন কমিশন হয়েছিল, আমি তার আগেই,(27 th November 2015)বেতন কমিশন গঠন করে দিলাম। আর ক্ষমতা দখলের আগে, যে সব কর্মী মহাকরণে চেয়ার টেবিল ভেঙে ছিল, গেট ধরে নাড়া দিচ্ছিল তাদের জন্য বললেন, আমি ক্ষমতায় এলে, কেন্দ্র যখন ডিএ ঘোষণা করবে আমি তখন ঘোষণা করে দেব। এখন প্রমাণিত উনি মিথ্যে বলে ছিলেন, আর উনি পৃথিবীর সেরা মিথ্যাবাদী সেটা আজ আর কাউকে বলে দিতে হবে না। তাই বলছি ভাই, ডিএ বেতন কমিশন বিষয়ে ওনার মনে কি আছে কেউ জানে না। উনি যদি সত্যি এসব আন্দোলন ও সমস্যা মেটাতে চাইতেন, তাহলে নিজের বেতন না বাড়িয়ে আগে কর্মী দের দিকে নজর দিতেন। কারণ কর্মীরা কাজ করে তাই একটা রাজ্যের সব কাজ সুস্থ ভাবে হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত কর্মীদের বঞ্চনা করে, তাদের ডিএ বেতন কমিশন না দিয়ে, কেবল নিজের দলের লোকের আয় বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে, শাসক দলের কর্মী সমর্থক যাতে কাট মানি বা তোলা তুলতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, বিভিন্ন ধরনের শ্রী আর জামা, জুতো, খাতা রথের টাকা পুজোর টাকা ক্লাব কে টাকা, উপরি আছে একশ দিনের কাজের প্রকল্প, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা। আমাদের মাননীয়া আর তার দলের নেতা কর্মীরা ভালো থাকুন, আপনারা বেকার তাই নিচ্ছেন। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সব ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, সে কি খরচ নয়, ঐ টাকা তো তুলতে হবে তাই না। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...