Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 14 July 2019

প্রমীলা বাহিনী জেগেছে, চুল্লুর ভাঁটি ভাঙচে তারা। আর বিদ্যালয়ে এটা কি হচ্ছে?

ছবি টি অন লাইন নিউজ 18 এ বেড়িয়ে ছিল। গ্রামের মেয়েরা চুল্লুর ভাঁটি ভাঙচে, প্রায় খবর হচ্ছে, মেয়েরা একত্রিত হয়ে, লাঠি সোটা নিয়ে মদের ঠেক মদ তৈরির সরঞ্জাম ভেঙে দিচ্ছে। এটা খুব দরকার না হলে ঐ চুল্লু খেয়ে তাদের বাড়িতে বাড়িতে অশান্তি করছে, পুরুষরা। আবার কোন কারণে যদি বিষাক্ত হয়ে যায় তাহলে মৃত্যু অনিবার্য, কিন্তু বিদ্যালয়ের পাঠ রত ছাত্রীরা একি করছে,
এই মেয়েরা কোন বাড়ি থেকে এসেছে, তবে দোষ এদের নয় দোষ সমাজ ব্যবস্থার 2011 সালের পর থেকে বেশি করে বদলে গেছে সমাজ ব্যবস্থা, এতো অধপতন ভাবা যায় না। বিদ্যালয়ের ভিতরে মদ্যপান, অনেকে বলবেন শিক্ষকরা কী করছে? এসব মেনে নিল কী করে? শিক্ষকের কিছু করার থাকছে না, তারা অসহায় হয়ে পরেছে। শাস্তি দেওয়ার অধিকার তাদের নেই, তুচ্ছ শাস্তি সেটাও দেওয়া যাবে না। যে কোন রকম শাস্তি দিলে হয় অভিভাবক নয়, প্রশাসন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে আসছে। সমাজ ব্যবস্থা আজ নষ্ট হয়ে গেছে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুন ধরে গেছে, এই পচন কেউ রোধ করতে পারবে না। আর তার উপর আছে, টিভি সিরিয়াল ও স্মার্টফোন এখন সমাজ নিয়ন্ত্রণ করছে। সমাজের সেই মুল্যবোধ হারিয়ে গেছে, কারণ যে দিন থেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটেছ। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার বই বা সিলেবাস পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে পাঠ্য বই বা পাঠ্য সুচীতে কোনো মূল্য বোধের বিষয় নেই। বাংলায় শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার প্রয়াস শুরু হয়েছে অনেক দিন ধরে, যে সিলেবাসে না আছে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য সম্পর্কিত কোনো ইতিহাস না আছে সেই সব কবিতা গল্প প্রবন্ধ কি ভাবে গড়ে উঠবে মূল্যবোধ। প্রাথমিকের পাঠ্যসূচী সে তো অতীব নিম্ন মানের কোনো কিছু শেখার নেই। উচ্চ শ্রেণীর পাঠ্য সুচীতে নিত্য নতুন ভাবে যে সব বিষয়ে পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সে গুলো পড়লে মূল্যবোধ তৈরি হওয়ার বদলে, মুল্যবোধ ধ্বংস হয়ে যাবে। একটা নব্বই শতাংশ তৈরি করা কারখানা কে তাড়িয়ে যে ভাবে আনন্দ করা হয়েছে তার ইতিহাস। সাথে আছে পেট ভরে খেয়ে ছাব্বিশ দিনের মিথ্যে অনশন কর্মসূচি। এসব পড়ে কি মূল্য বোধ তৈরি হবে। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...