আমি জানি এ লেখা কেউ পড়বেন কিনা পড়লে সবটুকু পড়বেন। বিদ্যালয়ের পোষাক দেওয়া নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার কথা লিখব। পোষাক দেওয়ার জন্য ভি ই সি এ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, গত জুন না জুলাই মাসে, দীর্ঘ গরমের ছুটির পর বিদ্যালয় পরিদর্শক জুনের শেষ দিকে সভা ডাকেন প্রধান শিক্ষক ও যে দল বা সংঘ পোষাক দেবে তাদের। গত ২০১৬ সাল থেকে এই পোষাক দেওয়ার জন্য দল গোষ্ঠী বা সংঘ কে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, কোন দল বা সংঘ কোন পঞ্চায়েত পোষাক দেবে সেই সংঘের নাম ও তাদের ফোন নম্বর সহ ডিএমের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, গত ২৫/৭/১৯ বা ২৬/৭/১৯ এস আই অফিসে সভা ডেকে। সেই সভায় এ আই সিঙ্গুর ব্লক বলেন, পোষাক যেন সূতির হয়, কোন মতে টেরিকটন বা গা চুলকায় এরকম পোষাক নেবেন না। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা ও পোশাকের কাপড়ের নমুনা গেঁথে কাগজ পত্র দেবেন,এবং বিদ্যালয়ে এক কপি রেখে দেবেন পোষাক দেওয়ার সময় মিলিয়ে দেখে নেবেন। পরে যতটা সম্ভব ২৯/৭/১৯ তারিখে তিনি হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে লেখেন যে, ৬/৭/১৯ এর মধ্যে, কারণ ১/৮/১৯ সিঙ্গুর ব্লকের পোষাক দিবস পালিত হবে। এবার আমার বিদ্যালয়ের ঘটনা বলি প্রথমত আমার বিদ্যালয়ে পোষাক দেওয়ার জন্য আদেশ পেয়েছে, সিঙ্গুর ১ নং পঞ্চায়েতের নবান্ন সংঘ। তারা কী করল ৬/৭/১৯ এর পর এলেন এবং প্রথম মাপ নেওয়ার দিন যতটা সম্ভব ৯/৭/১৯ তারিখে। নমুনা দেখালেন কী পুরণো গত বছরের দেওয়া জামা প্যান্ট, যে জামাটি মোটেও সূতির নয় একদম খাঁটি টেরিকটন, গায়ে দিয়ে অনেক ছাত্র ছাত্রী অভিযোগ করে স্যার গা চুলকাছে। আমি ঐ কাপড় পছন্দ করি না, ওদের বক্তব্য আমার বিদ্যালয়ের জামার কাপড় নাকি সুতির পাওয়া যাচ্ছে না। বাকি পাঁচটি বিদ্যালয়ের সকলের সুতির কাপড় হচ্ছে। কেবল নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেওয়ার সময় ঐ কাপড়, আমি ডি এমের কথা মতো ওদের ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা ও তালিকা তুলে দিই, কিন্তু কাপড়ের নমুনা না দিয়ে কারণ ঐ কাপড় গত বছর দিয়েছে, আবার এ বছর টাকা বেড়েছে, তাতেও একই কাপড়, আবার ওরা তৈরি জামা প্যান্ট এনে ছিল, সেইটা কেটে নিতে পারিনা। এর পর আবার দ্বিতীয় দিন মাপ নিতে এসে, সেই একই কথা, আপনার বিদ্যালয়ের কাপড় সুতির হচ্ছে না। আমি জানি ওরা বা ঐ নবান্ন সংঘ ছাড়া আর কেউ পোষাক দিতে পারবে না। তাই বলে দিই আপনারা যা পারেন করুন, আমার কাপড় পছন্দ নয়। এই বিষয়ে এবং ভি ই সি এ্যাকাউন্টে অন্য টাকা নিয়ে আমি দুবার সভা ডাকি, দু বারের সভায় এক বারও সভাপতি হাজির ছিলেন না। সভা করা যায়নি, এর পর ২৫/৭/১৯ এর অভিভাবক সভায় উপস্থিত হন, পোষাকের কথা উঠলে দু এক জন অভিভাবক বলেন গত বছরের মতো পোষাক দিলে আমরা নেব না। কারণ গত বছর টেরিকটন পোষাক গায়ে দিতে পারে নি। অনেকের গায়ে হয় নি, এই শুনে সভাপতি বলেন আপনি সনির্ভর দল কে ফোন করুন বলুন, গত বছরের মতো পোষাক হলে আমি চেকে সাক্ষর করব না। এখানে বলে রাখি সভাপতি নব নির্বাচিত, সিঙ্গুর ১নং প্রাক্তন প্রধান। আমি ওনার কথায় ফোন করে জানতে পারি যে, জামার কাপড় একটু পাল্টেছে, ওরা আমাকে দেখাতে ২৬/৭ /১৯ তারিখে আসবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম ঐ কাপড় টি, সুতির কিনা? ওরা উত্তর করল না সবটা নয় পাইল আছে, কিছুটা সুতির, আমি সভাপতির কথা মতো বললাম আপনারা না পারলে ছেড়ে দিন, অন্য দল পোশাক দেবে।পরের দিন ২৬/৭/১৯ যথারীতি SHG এলো ঐ নতুন জামার ছিটের টুকরো নিয়ে। আমি সকল শিক্ষকদের দেখলাম, আমি জানি ওরা সবাই সভাপতির কাছের লোক, সবাই মিলে ওদের কথা শুনে বললাম, আচ্ছা এবারের মত দিন, তবে সভাপতি চেকে সাক্ষর করবে সে ওনাকে, একবার ছিট টি দেখিয়ে নেবেন। ওরা সভাপতির কাছে, না গিয়ে২৯/৭/১৯ তারিখে, এ আই সিঙ্গুর ব্লকের কাছে গেলেন, তিনি আমাকে ফোন করে বেশ খানিকটা কথা শুনিয়ে দিলেন। কারণ বর্তমান রাজত্বে ওটা শিক্ষকের নিয়মিত প্রাপ্য, যাহোক আমি বললাম আমার কোন আপত্তি নেই, সভাপতি না চেক সাক্ষর করলে আমার কিছু করার নেই। তিনি থামলেন, ঐ দিন সন্ধ্যায় সভাপতি আমাকে ফোন করে নানা ধরনের কথা শোনালেন। আমি ওনাকে পরের দিন স্কুলে আসতে বললাম, পরের দিন ৩০/৭/১৯ SHG মেয়েরা এলো আমি ফোনে সভাপতি কে আসতে বললাম, তিনি এলেন। আমার কাছ থেকে এবং আমার সহকর্মীদের থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে উনি কাপড় দেখে কিছুতেই রাজি নন। আমি শেষে বললাম আগামী ১/৮/১৯ পোষাক দিবস পোষাক দিয়ে ছবি পাঠাতে হবে। আমি পোষাক নেব টাকার চেক সাক্ষর করব, সভাপতি বলেন আমি করব না। কারণ সভাপতি ও সম্পাদক তথা প্রধান শিক্ষকের সাক্ষরে টাকা উঠে। কেন এ ঘটনা ঘটেছে, আমার সহকর্মীদের মধ্যে এমন কিছু সহকারী আছেন যারা বর্তমান শাসক দলের বাড়ির এবং ঐ পঞ্চায়েত সদস্যা তাই, এবার ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা বা পোষাক পাবে ২৫২ জন, টাকাটা ২৫২x600। এর আগে উনি প্রধান থাকার সময় সব মানুষ ওনার সাথে সাথে থাকতেন। দিদি কে বলো ও ফোন নম্বর দিচ্ছেন যে অভিযোগ করবে তার নাম নেতাদের কাছে চলে আসবে, তার কপালে দুঃখ আছে, এত সি পি আই এম এর শেষ আমলের মতো হচ্ছে।সবশেষে আমার একটা দাবী আছে, টাকাটা ওদের মানে SHG দলের বা পঞ্চায়েতের এ্যাকাউন্টে দিয়ে দিলে শিক্ষকের উপর থেকে এই ঝামেলা যায়।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment