আমি প্রথম ধন্যবাদ জানাই যারা এই আন্দোলন করে ছিলেন, নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও উস্থি শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষক দের। কারণ তাদের দাবি ভুল ছিল না, কিন্তু এই সরকার "নাকের বদলে নরুন" দিয়েছে, দীর্ঘ চোদ্দ দিন অনশন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক দের যে বেতন বৃদ্ধি করেছে, তাতে মুড়ি মুড়কি সব এক হয়ে গেছে। এখন সেই সব সংবাদদাতারা কোথায় গেলেন? যারা শিক্ষকদের বেতন ৮০০০/৯০০০ টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। এই সব খবর দেখে ফেসবুক ইউ টিউবে ভরে গেল ভিডিও, সঠিক তথ্য না জেনে এই সব সংবাদ দাতা সংবাদ লেখে, আর মানুষ কে বিভ্রান্ত করে। ফেসবুকে এমন সব পোষ্ট দেখ ছিলাম মনে হলো কেবল প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, এই বঙ্গে আর কারো বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে না। যে সব সংবাদ পত্র ও বিভিন্ন গণ মাধ্যম ও সোসাল মিডিয়া ফাটিয়ে ফেলে ছিলেন। কিছু তো আবার বলেই দিলেন আপনারা ঐ টাকায় চাকরি না করলে ছেড়ে দিন অনেকে অপেক্ষা করছে, ও থেকে কম বেতনে চাকরি করবে বলে। আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম যখন এম পি /এম এল এ দের বেতন দ্বি গুনের বেশি হলো তখন কেউ বললেন না। আপনাদের দেশ সেবা করতে হবে না। কিম্বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হলে, কোনো কাগজে বড়ো বড়ো করে শিরোনাম হয় না। আবার যখন অন্য কোন কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, যেমন সিভিক, থেকে অস্থায়ী কর্মীদের তখনও কোন কথা নেই, অথচ প্রাথমিক শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি হলে, যেন হুলড় পরে যায়। কেউ কেউ ফোটসফ করে শিক্ষকের ঘুমের ছবি পোষ্ট করেছেন। এই সব আঁতেল বাঙালি কে বলছি, শিক্ষক দের বেতন ৮০০০/৯০০০ টাকা বাড়ছে না। নতুন শিক্ষকের সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি ৩০০০/৪০০০ টাকা আর পুরনো শিক্ষকের বৃদ্ধি ৮০০/১০০০টাকা। আরেক টা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যাবে, ২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত যে সব শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে, তাদের সবার বেতন সমান হয়ে যাবে। যদি এই সরকার বেতন কমিশন কার্যকর করে তবে ২০১৬ সাল থেকে দিলে, পে ব্যাণ্ড টু তে দেবে, তার ফলে অনেক নতুন শিক্ষকের বেতন পুরনো শিক্ষকের থেকে বেশি হয়ে যাবে। কি দারুন ব্যবস্থা, শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধির নাম করে, পর্বতের মুষিক প্রসব। আমি যেটা দেখতে পাচ্ছি, এই সরকার বেতন কমিশন দেবেন না। আজ দশ বছরের উপর হয়ে গেল, সরকারি কর্মীদের পে কমিশন দিয়ে ছিল বামফ্রন্ট সরকার। দেশের সব রাজ্যের সরকার সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করে দিয়েছেন ।আর আমাদের রাজ্যের সবথেকে ভাল সরকার যে ক্ষমতা দখল করা ছাড়া আর কিছু বোঝে না, সেই সরকার ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর করতে পারেনি। সত্যিই কত ভালো রাজ্যে আছি বাঙালি জাতির গর্বের বিষয়, ক্লাবে টাকা, যার সাইকেল দরকার নেই, তাকেও সাইকেল, যার কন্যাশ্রী বছরে পাঁচশ বা সাত শ টাকা দরকার নেই, কোটি পতি বাবা তাকেও পঁচিশ হাজার কন্যাশ্রী, রূপ শ্রী যুবশ্রী আরও কত পথ মানুষ কে ভিক্ষা দেওয়ার। কেবল সরকারি কর্মীদের ডিএ ও পে কমিশন দেওয়ার জন্য টাকা নেই। এতো করেও মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারে না, মানুষ কে ভোট দিতে দেয় না, গননা কেন্দ্রের মধ্যে ছাপ্প দিয়ে ভোটে নির্বাচিত হন।
কোন পরিবর্তন ছাড়া আবার সেই একই আদেশ সেপ্টেম্বর থেকে বর্ধিত বেতন সাথে আছে, ব্যাখা ব্যস। এই আদেশে কোনো পরিবর্তন হয়নি, নূন্যতম বেতন ঠিক করার যে ফিডমেন্ট থাকে সেটা না হলে জুনিয়র শিক্ষকের বেতন সিনিয়র শিক্ষকদের থেকে বেশি হয়ে যাবে। এই সমস্যা সমাধানের কোনো আদেশ নেই।
কোন পরিবর্তন ছাড়া আবার সেই একই আদেশ সেপ্টেম্বর থেকে বর্ধিত বেতন সাথে আছে, ব্যাখা ব্যস। এই আদেশে কোনো পরিবর্তন হয়নি, নূন্যতম বেতন ঠিক করার যে ফিডমেন্ট থাকে সেটা না হলে জুনিয়র শিক্ষকের বেতন সিনিয়র শিক্ষকদের থেকে বেশি হয়ে যাবে। এই সমস্যা সমাধানের কোনো আদেশ নেই।
No comments:
Post a Comment