Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 31 July 2019

প্রিয় সাহার বাংলাদেশ।

যদিও বাংলা দেশের ঘটনা কিন্তু মেয়েটির সাহস আছে, তবে কেবলমাত্র প্রিয়া সাহা কথা কেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, আরো অনেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আজ যারা বাংলাদেশের নাগরিক অর্থাৎ বিশ্ব বিখ্যাত শান্তি ধর্মের নামে মানুষ খুন করে বেড়ায়, আমি যতদূর জানি বাংলাদেশ বেশিরভাগ শান্তি ধর্মের মানুষ হিন্দু ধর্মের তাদেরকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ স্বেচ্ছায়, পঁচিশ টা বিয়ে করতে পারবে, ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করতে পারবে বলে ঐ ধর্ম গ্রহণ করেছে। অনেকে আবার বর্ণ হিন্দুদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে করে, হিন্দুদের উপর অত্যাচার করছে। অর্থাৎ দেখা যাবে দেশটির অধিকাংশ মুসলিম বা বিশ্ব সেরা শান্তি ধর্মের কোনো না কোনো পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিল। আমি একটা বুঝি না, ঐ দেশের অনেকের নামের শেষে সুমন, রানা, শ্যামল, আরো অনেক হিন্দু নাম থাকে কেন? এই শান্তি ধর্মের মানুষ গুলো ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় প্রতি নিয়ত ইংরেজ দের সাহায্য করে গেছে। মীরজাফরের বেইমানি তে দেশ পরাধীন হয়েছিল, এদের রক্তে বেইমানি আছে, এরা দীর্ঘ দিন ভারতে থেকে ভারতীয় হতে পারেনি। স্বাধীনতার সময় ইংরেজের সাথে ষঢ়যন্ত্র করে ভারত ভাগ করে নিয়েছে, সঙ্গে আমাদের কিছু হিন্দি ভাষী হিন্দু ধর্মের লোক জন ছিল, যারা বাঙালি আর পাঞ্জাবের শিখ দের দেখতে পারত না। এই দুই জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই থেকে বাঙালি হিন্দু জাতির মানুষ অত্যাচারের স্বীকার কেউ স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে অন্য জায়গায় আসে না। দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার পর পালিয়ে যায় দেশ ছেড়ে। কারণ দেশ ভাগের পর থেকে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দেবার জন্য আর কোনো নেতা বা নেত্রী উঠে আসে নি। যার সবল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বলবেন বাংলাদেশ পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তবে স্বাধীন বাংলাদেশ হয়েছে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাহায্য করে ছিলেন। আমার মনে হয়, ইন্দিরা গান্ধী সাহায্য করে ছিলেন, তিনি নিজে মুসলিম ছিলেন, কারণ ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ কে বিয়ে করে ছিলেন। ভারতীয় দের মধ্যে ব্রিটিশ দের সব থেকে বড়ো দালাল, গান্ধী তার পদবী দান করে ছিল ফিরোজ কে। সেই কারণেই ফিরোজ গান্ধী, হয়েছিল। যাহোক ভারত ভাগ হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের হিন্দুরা যে অত্যাচারের স্বীকার, এটা মিথ্যা নয়। আর এখন তো সোসাল মিডিয়ার যুগ, দেশ কেন পৃথিবীর যে প্রান্তে বসে থাকুন আপনি সোসাল মিডিয়ার দৌলতে যেখানে যা ঘটছে মূহুর্তে খবর পাবেন। সেই কারণেই, ফেসবুক ইউ টিউবে প্রতি নিয়ত বাংলা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার গুলো সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফেসবুক তো ভরে আছে ঐ দেশের সংখ্যা লঘু নির্যাতনের ছবি খবরে, ছবিতে, ভিডিওতে তথা কথিত শান্তির ধর্মের লোকজন জানে না অনেকে নিশ্চয়ই জানেন। তবে প্রিয়া সাহা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প কে বলল কথা গুলো সে গুলো সোসাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে, আবার সে ঐ সত্যিই কথা গুলো বলেছে বলে, তার উপর কীভাবে অত্যাচার করা হবে, অর্থাৎ হুমকি দেওয়া হয়েছে, বা হচ্ছে, তার ভিডিও ফুটেজ সব সোসাল মিডিয়াতে ভরে গেল। বিশ্বের সেরা শান্তির ধর্ম তাই নব্বই শতাংশ উগ্রপন্থী বা জঙ্গী শান্তি বজায় রাখতে তৈরি করা হয়েছে। আই এস আই, /মুজাহিদ /লস্কর /তালিবান আরও কত কি নামের শেষ নেই। এসব ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র হাতে তুলে নেয় নি, বরং তাদের সাহায্য করে গেছে। ভারতের দালাল দের মতো, আমরা মাড়য়ার আমরাও ব্যবসা করব। ইংরেজ তাড়িয়ে তাদের ব্যবসা দখল করে সারা দেশে আমরা থাকব ব্যবসার নামে শোষণ করব। এই তো ছিল গান্ধীর আন্দোলনের রূপ রেখা। যাহোক এই নিয়ে আবার লেখা যাবে। সব শেষে বাংলাদেশের ঐ সাহসী মেয়ে টি কে নমস্কার জানাই, আর বলি আপনি সুস্থ থাকুন, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন। শেষে ফেসবুক থেকে সংগৃহীত বাংলা দেশের সংখ্যা লঘু নির্যাতনের ছবি দিই, যদি মিথ্যা হয় ভালো।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...