Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 1 August 2019

বামপন্থীরা রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে শুন্য আসন হলেও লোক দাঁড়িয়ে তাদের কথা শোনে।

গত লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট সাত শতাংশ ভোট পেয়ে শুন্য আসন পেয়েছে, কিন্তু মানুষ বামেদের বক্তব্য শোনে, কারণ আজ(১/৮/১৯) সিঙ্গুর স্টেশনের পাশে একটি জায়গায় তাদের শ্রমিক সংগঠন সি আই টি ইউ একটি পথ সভা করছিল। সেখানে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব বক্তব্য রাখছিল ।মানুষ দাঁড়িয়ে শুন ছিল। নেতৃত্বের বক্তব্য যেটা বলছিল, যে কেন্দ্রে বেচারাম সরকার  বি এস এন কে তুলে দিতে জিও কে 4G পারমিশন দিল, এখন বি এস এন এল উঠে যাওয়ার মুখে। এরকম ছে চল্লিশ টি লাভ জনক সংস্থা কে কর্পোরেট সংস্থার কে বিক্রি করে দিতে যাচ্ছে, বেঙ্গল কেমিক্যাল, কোলিয়ারি, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, এমন কি রেল পর্যন্ত ধীরে ধীরে বেসরকারি করণ করা হবে, তার প্রস্তুতি চলছে। এসবের একটাই কারণ লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারের বিজ্ঞাপন খরচ বাবদ কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে, এই সব সংস্থা থেকে, তার প্রতিদান সরূপ তাদের দেওয়া হচ্ছে সুযোগ অল্প খরচে লিজ দেওয়া হচ্ছে। রেল যে ধীরে ধীরে বেসরকারি হচ্ছে, তার প্রমাণ হচ্ছে, টিকিট কাউন্টার আছে লোক নেই, আগে সিঙ্গুরে দু পাশে দুটি কাউন্টার খোলা হতো, এখন আপের দিকে কাউন্টার বেলা দু টো পর্যন্ত খোলা থাকে। কর্মী দের তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে, উদ্দেশ্য একটাই ছাঁটাই লোক নিয়োগ বন্ধ। লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বা বিজ্ঞাপন আছে, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বেকার ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে পাঁচ শ টাকা ব্যাঙ্ক মারফৎ নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু নিয়োগের নাম গন্ধ নেই। কারণ আমি ঐ সময়ে একটি অন লাইন নিউজ পোর্টাল দেখছিলাম। সেখানে রেল মন্ত্রক বলছে, লোক ছাঁটাই করা হবে না, দু লক্ষ লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই জারি করা হবে। যেমন লোক সভা নির্বাচনের আগে, দুই সরকার রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার এতো নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করছিল যে রাজ্যের ও কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি সব নিয়োগ হলে, দেশের বেকার সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। আমাদের রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল শিল্প তাড়ুুয়া সরকার। সিঙ্গুরের শিল্প সম্ভবনা কে ধ্বংস করে দিয়ে ক্ষষমতায় এসেছে। সেই  আর কোো শিল্প রাজ্যে আসেনি। মানুষ বামেদের ভুল বুঝে ২০১১ সালে বামেদের সরিয়ে বর্তমান শাসক দল কে ক্ষমতায় এনেেছ। আজ পর্যন্ত সঠিক ভাবে বেকার সমস্যা সমাধান করতে পারে নি। এস এস সি, পি এস সি উঠে  গেছে, প্রাইমারি টেট আর   হয় না। হাজার হাজার বেকার ছেলে মেয়ে চাকরির আশায় ঘুরছে। এই পরিস্থিতি তে রাজ্যের মাানু ভাবছেন এই শাসক দল কে সরিয়ে বিজেপি কে রাজ্যে আনবে। যে বিজেপি কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেও নিয়োগ করে না। গত পাঁচ বছরে দেশের বেকার সংখ্যা দ্বি গুন হয়েছে। যেমন বিজেপি তেমন বর্তমান রাজ্য সরকার, দুটোই সমান। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...