Anulekhon.blogspot.com

Friday, 12 July 2019

বেতন কমিশন নিয়ে কিছু সংবাদদাতা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

এই খবর টি অন লাইন কলকাতা 24x7 এ বেড়িয়ে ছিল। এমন ভাবে খবর টি উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন মনে হচ্ছে, কাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বেতন কমিশন কার্যকর করে দেব। আমি এর আগেও এরকম খবর অন্য অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়ছি।এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কী করতে চাইছে, এই সংবাদ মাধ্যম গুলো, প্রতিনিয়ত সরকারি কর্মচারী থেকে সাধারণ মানুষ কে বিপথে চালিত করার জন্য, আর মানুষ কে বিভ্রান্ত করে, যা কাগজে একটু সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় সেটাই লাভ। আমার মনে হয় এই পেপার গুলো চিটফাণ্ডের টাকায় তৈরি হয়েছিল, বা তার ভাগ পেয়ে ছিল, না এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা খবর প্রচার করবে কেন? আরেকটা কারণ হতে পারে যে কেউ একজন তার মনের মতো কথা লিখছেন, যার কোনো বাস্তবতা নেই, যা দু চার জন মানুষ কে বিভ্রান্ত করা যায়। কারণ বেতন কমিশন যিনি দেবেন তিনি জানেন না যে আদৌ তিনি দেবেন কী না? আর এই রকম যত কাগজ অন লাইন নিউজ পোর্টালে যা খুশি তাই লিখছি, যার কোনো ভিত্তি নেই। আমি বা আমরা দেখলাম বা এই ধরনের কাগজ পত্র গুলো তে, বেতন কমিশনের দিন বাড়ানোর সময়, যেই আন্দোলন শুরু হলো, বেতন কমিশনার বললেন আমি সময় বাড়াতে বলিনি, আমার রিপোর্ট তৈরি কেবল জমা দেওয়ার অপেক্ষা, কিন্তু সরকার জমা নিচ্ছে না। সেই সময় সততার প্রতীক সত্যি বাদী যুধিষ্ঠিরের নাতনি ডেকে পাঠিয়ে, কী মন্ত্র কানে কানে দিলেন সেটা তিনি আর ঐ সবজান্তা জানেন। সেই সময়ে কাগজ পত্রে বা অন লাইন নিউজ পোর্টালে বিভ্রান্তি তৈরি করা হলো ১ লা জুলাই থেকে বেতন কমিশন কার্যকর করা হবে। শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন চলা কালীন একই ভাবে প্রচার করা শুরু করেন, আবার পে ফিক্সেশনের ফর্মুলা পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হয়, যেটা বিভ্রান্তি মূলক। আর এই সরকার ও চাইছে সরকারি কর্মীদের বিভ্রান্তি তে রাখতে, আমি যতদূর বুঝি জানি কোনো দক্ষিণ পন্থী সরকার কখনো নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। কর্মী দের বেতন বৃদ্ধি করতে চায় না। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে একটা কথা চলে আসে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার বাড়াচ্ছে কেন? এর ও উত্তর আছে, কেন্দ্র অর্থ মন্ত্রক জানে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে, তাই সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়, সে ক্ষেত্রে এককালীন টাকার যোগান দেওয়া হয়, আর সরকারী কর্মীদের বেতন দিয়ে সারা বছর টাকার যোগান দেওয়া হয়, যেটা খুব জরুরি না হলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। মানুষ তার জীবন ধারণের জন্য অর্থ যোগান পাবে না। সেই কারণেই এই রাজ্যের সরকার বিভিন্ন রকম শ্রী, ক্লাব কে টাকা দেওয়া, পুজো কমিটি কে, কিছু দিন আগে রথ যাত্রা পরিচালনা করতে টাকা দিয়েছে। আবার মোয়াজ্জেম ভাতা, কলকাতা শ্মশান ব্রাহ্মণ দের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত করে এসব করা হচ্ছে, এই সরকার কর্মচারী মারা সরকার, আর চাষি মারা সরকার, শ্রমিক মারা সরকার। এই সব বামেদের আমলে হলে, এতখন নব্বানের একটা চেয়ার আস্ত থাকত না সরকারের একটা কাজ ও সময়ে হতো না। কেন না তখন সরকারি কর্মীদের অধিকার ছিল, আন্দোলন করার এখন ওসব করলে বদলি নয় সাময়িক বরখাস্ত নয় আরও অন্য কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তবে তামিল নাড়ুর রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার আমলে সেই সরকার কর্মচারী দের আন্দোলন বন্ধ করার জন্য জন্য এসমা প্রয়োগ করে ছিল। সব কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে বরখাস্ত করা সব কর্মী দের আবার কাজে ফিরিয়ে নিয়ে ছিল। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...