পশ্চিমবঙ্গের নয়া প্রকল্প ভোট এলে চালু হয় পিটিয়ে হত্যা। ভোটার কে ভয় দেখাতে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের খুন, অপহরণ ভয় দেখিয়ে ভোট আদায়। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে শুরু করে গত লোকসভা ভোট মানুষ এগুলো দেখে এসেছে। লোকসভা ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে, তবুও থামেনি খুন খুনি মার পিট দাঙ্গা। দল ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী নয়া চাল কাট মানি ফেরত দাও। আর এই কাট মানি নিয়ে দিকে দিকে নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে, আবার বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী হিসেবে উঠে আসা বি জে পি এটা কে নিয়ে নেতা কর্মীদের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। কোথাও শালিসি সভা করে, কোথাও হুমকি দিয়ে কাট মানি ফেরত চাওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু নেতা কাট মানি জনগণ কে ফেরত দিচ্ছে। এ ঘটনাও ঘটেছে,
এরকম কাট মানি ফেরত দেওয়ার ঘটনা অনেক ঘটেছে। এ থেকে বোঝা যায় বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে মানুষের থেকে, সেই টাকার একটা ক্ষুদ্র অংশ আমরা জানতে পারছি। এরকম কত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার হিসেবে নেই। তাইতো আজ বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে নিজের দলের মধ্যে মারামারি দাঙ্গা বিধায়ক খুন, কাউন্সিলর কে পিটুনি, কত না ঘটনা ঘটে চলছে। যার খুব ক্ষুদ্র অংশ খবরে আসে, বাকি টা আমরা জানতেও পারি না। আর যে সব কাট মানির কথা আমরা জানি বা জানতে পারছি সে গুলো সব ছোট নেতা কর্মীদের, কিন্তু বড়ো রাঘব বোয়াল যারা এভাবে কোটি কোটি টাকা হজম করে ফেলেছেন, তাদের ধরবে কে? যাতে রাঘব বোয়াল দের গায়ে হাত না পড়ে সেই জন্যই পুলিশকে তদন্ত করতে বা টাকা আদায়ের কাজে না লাগিয়ে, পাবলিকের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর এ কারণেই ভাটপাড়া, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া আজও গণ্ডগোল থামেনি। রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যে গণ্ডগোল হোক কিছু লোক মারা যাক, এই সরকারের কাছে মানুষের কোনো দাম নেই। যেমন করে হোক ক্ষমতা দখল করতে হবে।রাজ্যে বেকার সমস্যা তিন গুণ তাতে কাগজে বিবৃতি দিয়ে বললেই হবে। রোজ কাগজে একটা কলম থাকছে, "সু খবর রাজ্য সরকার এতো লোক নিয়োগের পথে।" একই কথা বিভিন্ন ভাবে দেওয়া হচ্ছে, আবেদন করা যাবে বলে বলা হচ্ছে, কিন্তু কোথাও আবেদন করা যাবে না। এরকম চলবে আগামী ২০২১ পর্যন্ত। মানুষ কে বিভ্রান্ত করে ভোটে জেতার চেষ্টা, আরও হয়তো দেখা যাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে, সারদা, রোজভ্যালীর টাকা যে সব নেতা মন্ত্রী নিয়েছে তারা টাকা ফেরত দেবে বলছে। এটা হবে ঠিক বিধান সভা ভোটের আগে।রাজ্য সরকার এই দাঙ্গা জিইয়ে রাখবে, কারণ মানুষকে দেখাতে চাইছেন বিরোধী দল এই দাঙ্গা করছে। ভোটে জেতার জন্য ভালো পথ বেছে নিয়েছে শাসক দল। তাই এই রাজ্যে কবে শান্তি আসবে কেউ জানে না। অশান্তির আগুন লেগে ছিল ২০০৬ সাল থেকে লাগিয়ে ছিল বর্তমান শাসক দল। সে আগুন এখনও নেভেনি। কত যে গন পিটুনি হচ্ছে, কত মানুষ খুন হলো তার ঠিক হিসেবে নেই।
No comments:
Post a Comment