আজ সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রী বলেন সরকারের টাকা নেই। তাছাড়া এই দায় বামেদের, এই কারণেই আমার এই লেখা। আচ্ছা, আমাদের রাজ্যের বর্তমান শাসক দল দ্বিতীয় বার ক্ষমতা এসে যাকে শিক্ষা মন্ত্রী করলেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রী হবার কতটা যোগ্য আমার জানা নেই, ওনার সম্পর্কে এটাও শোনা যায়, উনি পি এইচ ডি করেছেন অন্যের লেখা নকল করে। যা হোক এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কেবল ভুল বকেন তা নয় সবাই মিলে মিথ্যা কথা বলার পাঠশালা খুলেছে এটা এক প্রকার ঠিক, বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী না জেনে বা জেনেও মিথ্যে কথা বলছেন। আজ নজর বন্দী বলে একটা অন লাইন নিউজে বেড়িয়ে ছিল। যে ২০০৯ সালের সমস্যা ২০১৯ সালে এসে দাবি করা হচ্ছে। এই কথাটা কতটা ভুল বা মিথ্যা সেটা নিয়ে এর আগে আমি লিখেছি। আবার আজ এই খবর পড়ে লিখতে বাধ্য হলাম। ২০০৯ সালে যখন পে কমিশন দেওয়া হয়, তখনও RTE বিল লোক সভায় পেশ করা হয়নি। কারণ ২৭/২/২০০৯ পঞ্চম পে কমিশন ঘোষণা করা হয় বা লাগু করা হয়। আর RTE লোক সভায় পেশ হয়ে ছিল April 2009 এ,আর সারা দেশে RTE 9 চালু করা হয় ২০১০ সালে। অতএব তখন পর্যন্ত শিক্ষকদের যোগ্যতা মান ছিল মাধ্যমিক, আগষ্ট ২০১২ সালে সরকারি আদেশ হয়, ৩/৯/২০০১ এর পর থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত সমস্ত শিক্ষক কে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০%নম্বর বা graduation থাকতে হবে ।
এই রাজ্যে যোগ্যতা অর্জন করতে আদেশ হলো ২০১২ সালে তখন এই রাজ্যে ক্ষমতায় কারা। এই সরকারের আমলে যোগ্যতা বাড়াতে হলো আর বেতন বৈষম্য দূর করে যাবে বামফ্রন্ট। ভাগ্যভালো উনি এটা বলেননি, যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন বামফ্রন্ট সরকার কেন দিয়ে যায়নি। আরেক টা কথা মুখস্থ করে রেখেছে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে সব নেতা মন্ত্রী, টাকা নেই, বামেদের করে যাওয়া দেনা শোধ করতে হচ্ছে। এই সরকার এসে কত টাকা ঋণ করেছে, একবারও বলছে না। আর টাকা নেই, নিজেদের বেতন কি করে এক লক্ষ টাকার উপরে বাড়িয়ে নিলেন। অপচয় বা বাজে খরচ করতে টাকা আছে কেবল বেতন কমিশন, ডিএ এবং অন্যান্য কর্মীদের বেতন বাড়ানোর দাবি মেনে নেওয়ার জন্য টাকা নেই। কোটিপতি মেয়ে /ছেলে /কন্যাশ্রী /যুবশ্রী /সবুজ সাথীর সাইকেল পাচ্ছে, ক্লাব কে টাকা, পুজো কমিটি কে টাকা দেওয়ার সময় টাকা আছে, এগুলো অপচয় নয়। আসলে তা নয় এই সরকারের মন ভাব হলো আমি বেতন দেবনা বা যতটা পারব কম বেতনে খাটিয়ে নেব। আর কাজ না করলে আছে বিভিন্ন রকমের শাস্তি বদলি,/সাময়িক বরখাস্ত /চরিত্রের দোষ দিয়ে হেনস্থা /চুরির বদনাম দিয়ে হেনস্থা। এই সব কাজ করতে বেশ কিছু সরকারি কর্মীও আছেন। যারা নিচের দিকের কর্মী দের মানুষ বলে মনে করেন না। এদের কাজে লাগিয়ে, এই সরকার কর্মচারী দের দিনের পর দিন বঞ্চনা করে যাচ্ছে। অর্থাৎ যেমন সরকার তেমন তার মন্ত্রী তেমন তার কিছু কর্মী। মন্ত্রী মশায় আপনার কথার মধ্যে কোনো নতুন কিছু নেই। নিজের চোখ মুখ এমন ফুলিয়ে ছেন, এর পর বললে আর কেউ বিশ্বাস করবে না।
No comments:
Post a Comment