একদল লোক যারা ইংরেজদের গোলামী করে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছিলেন সেই সময়ে, এবং এদের জন্য ইংরেজ শাসক প্রায় দুশো বছর শাসন করতে পেরেছিল, তাদের বংশধর রা আজ ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের এবং অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের ক্ষমতায়, সেই সময়ে অর্থাৎ ইংরেজ দের পা চেটে একদল মানুষ ও ব্যবসায়ী নিজেদের টাকার পাহাড় করে ছিল, তাদের কাছে মানুষ অর্থাৎ সাধারণ মানুষ ছিলেন দাবার ঘুটি মরল কি বাঁচল দেখার দরকার নেই। ইংরেজ বা ব্রিটিশ সরকার ঠিক এরকম ছিল, যারা পা চাটতো এবং কান থাকতে কালা, চোখ থাকতে অন্ধ, দেশে নিজের জাতি বা পাশের মানুষ মরলেও ইংরেজর সাথে আনন্দে মেতে উঠতো। বর্তমান দেশের পরিস্থিতি তাই বিভিন্ন দলের নেতা মন্ত্রী কর্মী তাদের মধ্যে যারা পা চাটে, এবং যারা প্রতিনিয়ত মানুষ অধিকার কেড়ে নিচ্ছে জোর করে, অত্যাচার করে যাচ্ছে,নিজেরা মনুফার পাহাড় করছে। সাধারণ মানুষ মরুক, তাতে কি আমি তো ভালো আছি। মিথ্যে কথা বলে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ধর্মের নামে মানুষ করে পিটিয়ে মেরে, ক্ষমতায় থাকতে হবে। ধর্মের নামে রাজনীতি সেই স্বাধীনতার সময় থেকে শুরু, কারণ ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে ক্ষমতা দখল করে ছিল। তখন কার কংগ্রেস দলের নেতারা। সেই কারণেই বলছি, এটাই গনতন্ত্রে আছে, কিছু পা চাটা কে মদ মাংস খাইয়ে, মানুষ কে ভোট দিতে না দিয়ে, মেরে ধরে ভয় দেখিয়ে ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। এটাই এখন ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের গনতন্ত্র। আরেক দিকে কেন্দ্রের যে দল ক্ষমতায় তাদের লক্ষ্য যেমন করে পার সারা দেশে সব কটি রাজ্যে ক্ষমতায় এসো। ছলে বলে কৌশলে মানুষ খুন করে, দেশের সমস্ত সম্পদ কয়েকটি লোকের হাতে বা ব্যবসায়ীকে তুলে দেওয়ার জন্য এবং আমি নেতা মন্ত্রী হয়েছি কোটি কোটি টাকা আয় করার জন্য, সেই জন্য এই সব শিল্পপতিরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে মিথ্যের জাল বুনে ছিল আমায় ক্ষমতায় আনার জন্য। আমি এসে যদি রাষ্ট্রের সম্পদ বা রাষ্টত্ব সম্পদ কে তাদের হাতে তুলে না দিই, তাহলে কথার খেলাপ হয়ে যাবে। আমাদের রাজ্যের আবার অন্য ঘটনা যে বা যারা এই দল কে পুঁজি দিয়ে সাহায্য করে ছিল, ২০১১ সালে, সেই সব চিটফাণ্ডের মালিকরা বেশিরভাগ জেলে। আর সুবিধা ভোগ কারি নেতা মন্ত্রীর দল ক্ষমতায়। আমাদের দেশের গনতন্ত্র কে ধ্বংস করার জন্য গনতন্ত্রের কারবারি আছে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার জন্যে বর্তমান শাসক দল প্রশান্ত কিশোর নামে এক ব্যক্তি কে বরাত দিয়ে ছিল। তিনি চটকদার বিজ্ঞাপন তৈরি করে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে প্রচার করে ছিল। শুনেছি পাঁচশো কোটি টাকার বিনিময়ে, তিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল কে ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়লাভে সাহায্য করতে নিয়োগ পেয়েছেন। এই নিয়োগ গনতন্ত্রে কতটা সঠিক, এবং টাকার বিনিময়ে সমস্ত দূর্নীতি সুনীতিতে পরিবর্তন হয়ে যাবে। আমি যতদূর জানি টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না। এটা বে আইনি, এটাও একপ্রকার বে আইনি নয়। গনতন্ত্র নিয়ে ব্যবসা। আমার মনে এভাবে ভারতের গনতন্ত্র ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। টাকা যার গদি তার কি সুন্দর গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাই না।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment