Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 24 July 2019

স্বাধীন ভারতে আবার পরাধীন ভারতের আইন।

আমাদের স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে নি। গুজরাতের কেউ একজন বলল আমি অনশন করব আমাদের স্বাধীনতা দাও, আমি ডাণ্ডি অভিযান করব আমাদের স্বাধীনতা দাও। কিম্বা আমার ডান গালে চড় মেরেছ, বাঁ গাল পেতে দিচ্ছি, তুমি আমার শাসক আমার প্রভু আমায় যত খুশি মার আমি কিছু বলব না। আর তুচ্ছ কারণে অসহযোগ আন্দোলন তুলে নিয়ে শাসকের সুবিধা করে দিয়েও স্বাধীনতা আসেনি। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, অনেক প্রাণের বিনিময়ে এবং অনেক রক্তের বিনিময়ে। যা ইতিহাসের পাতা থেকে ইচ্ছা করে সরিয়ে রাখা হয়েছে, একজন মানুষ কে বড়ো করে দেখানোর জন্য। লেখা নেই মাষ্টার দা সূর্য সেনের লড়াই, সঠিক ভাবে লেখা নেই ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকির কথা, লেখা নেই বিনয় বাদল দীনেশর রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের কথা যার জন্য ব্রিটিশ তাদের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিল। লেখা নেই রাস বিহারী বসু ক্যাপ্টেন মোহন সিং, ভগৎ সিং, উধম সিং, দের অবদান। সবে থেকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের আজাদ বাহিনীর অবদান। ঠাঁই পেয়েছে ব্রিটিশদের পা চাটার দল যারা ব্রিটিশ সরকার কে সাহায্য করে বলে বলে জেলে গিয়ে ছিল, নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সাজার জন্য, তাদের কথা। সেই সময় ব্রিটিশ সরকার ঐ রক্ত ক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ বা বিপ্লব কে দমন করতে, তৎকালীন দিল্লির আইন সভায় রাওলাট আইন পাশ করাতে গিয়ে ছিল। ঠিক সেই সময়ে ভগৎ সিং, বটুকেশ্বর দত্ত, রাজগুরু, সুখদেও দিল্লির আইন সভায় বোমা বিস্ফোরণ করে ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়েছিল। ধরা পড়ে কারো ফাঁসি কারো দীপান্তর কারো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। কি ছিল এই রাওলাট আইন, বিনা বিচারে বিনা কারণে ভারতীয় দের জেলে ভরার পাকা ব্যবস্থা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে। ঠিক এই রকম একটা আইন বর্তমান শাসক দল লোক সভায় পাশ করে নিয়েছেন, বা পেশ করেছেন। আর সরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, আরবান সন্ত্রাস দমন করা হবে, আরবান সন্ত্রাস হলো সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে বা লিখলে তাকে আরবান সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে জেলে বন্দি করে রাখা হবে। এই আমরা স্বাধীন ভারতে বাস করছি, এর জন্যে আমাদের মহান বিপ্লবী রা তাদের প্রাণ দিয়ে গেলেন। অন্যায় বা খারাপ কিছু দেখলেও বলা বা লেখা যাবে না। সাধারণ
সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে এটি পাশ করতে উদ্যোগী হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...