Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 18 July 2019

বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল ও শিক্ষকদের আন্দোলন ।

রাজ্যের সবচেয়ে পুরোনো ও শিক্ষক আন্দোলনের ঐতিহ্য বহনকারী শিক্ষক সংগঠনের গত ১৭/৭/১৯ তারিখে উন্নয়ন ভবনের সামনে তথা ওয়াই চ্যানেলে জমায়েতের একটি অংশের ছবি। বর্তমান রাজ্য সরকারের শিক্ষা নীতি ও শিক্ষকদের প্রতি আচরণ নিয়ে বারবার সরব হওয়া একটি সংগঠন এবিপিটিএ এক দেশ এক বেতন, prt স্কেল, দ্রুত বেতন কমিশন কার্যকর করার দাবি এবং মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রধান শিক্ষক হীন বিদ্যালয়ে দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা এরকম বারো দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য এই জমায়েত। আমি ও ছিলাম ঐ জমায়েতে, কিন্তু যা শুনলাম তাতে করে মনে হল এই রাজ্যে সরকার বলে কোন কিছু নেই। ডেপুটেশনে যাওয়া নেতৃত্ব কে বেশ কিছু খন বাইরে বসিয়ে রাখা হয়, তবে এতে আমি আশ্চর্য হইনি, কারণ বর্তমান শাসক দল তৃণমূল শিক্ষকদের কোনো সণ্মান করে না। এই সরকার প্রতি পদক্ষেপে বুঝিয়ে দিচ্ছে, সরকার কোনও দিন শিক্ষকের দাবি মানবে না। প্রতি মুহূর্তে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, নানা টালবাহানা করে, এবং আন্দোলন কে পুলিশ দিয়ে দমন করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের মূল দাবি টি কী? যে তুমি যখন NCERT নিয়ম মেনে যোগ্যতা মান করিয়েছ, বা সেই যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ করেছ।শিক্ষকদের দাবি করেছেন যে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন দিতে হবে। অর্থাৎ সারা দেশে PRT স্কেল চালু হয়েছে, সেই স্কেল দিতে হবে। নিদেনপক্ষে পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পে ব্যাণ্ড থ্রি তে তুলে ৩৬০০ ও ৩৯০০ টাকা গ্রেড পে করতে হবে। আর এই পে ব্যাণ্ড পাল্টাতে হবে, ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু করার আগে। পে ব্যাণ্ড থ্রি দিয়ে তার উপর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ফিডমেন্ট ২.৫৭ দিতে হবে। বর্তমান রাজ্য সরকারের কোন ইচ্ছা নেই, শিক্ষক দের দাবি মেনে নেওয়ার, তারা বিভিন্ন ভাবে এই আন্দোলন কে দমিয়ে রাখতে চাইছে। ক্ষমতায় আসার আগে যেমন মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সে ভাবে একের পর এক মিথ্যে কথা বলে চলেছেন। বেতন কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে চলেছেন, এতে কমিশনার সহ ঐ বিষয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীরা বেতন বা অনারিয়াম পাচ্ছেন। কমিশনার তো কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী তিনি সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। আবার বর্তমানে কমিশনার হিসেবে অনারিয়াম ভালোই আছেন।  সারা দেশের মধ্যে কেবল এই রাজ্যে বেতন কমিশন তার সুপারিশ জমা দেয়নি। কেবল শিক্ষকের বেতন কম যে পুলিশ জল কামান চালাচ্ছে, বা যে কর্মী সরাসরি সরকারি অফিসে কাজ করেন। তারাও আজ ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত, কবে বেতন কমিশন চালু হবে কেউ বলতে পারবে না। সত্যিই আমরা এক আজব রাজ্যে বাস করছি, এখানে সব কিছু আছে কিন্তু কর্মীদের বেতন বাড়ানোর টাকা নেই। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই যখন একজন, শিক্ষা দপ্তরের সরকারি কর্মী শিক্ষকের কাজের খুঁত ধরার জন্য বিদ্যালয়ে পৌঁছে তাকে নানা দিক থেকে বিব্রত করে। মাইনরিটি স্কলারশিপ নিয়ে, হোক আর মি ডে মিল নিয়ে, কদিন আগে আধার নিয়ে চলছিল। আবার শিক্ষক আন্দোলনে যোগ দিলে তাকে শো কজ করে এবং নানা ভাবে হেনস্থা করে। আমার মনে হয়, এই সব সরকারি অফিসারা বকেয়া ডিএ ও ষষ্ঠ পে কমিশন মনে হয় পেয়ে গেছেন, বা এতো কাট মানি তোলে যে এদের বেতন না বাড়ালেও হবে। এক একজন অফিসার তো নিজে কে মুখ্যমন্ত্রী ভাবে, তার মুখের কথাই আইন। সেই কারণেই বঞ্চিত কেবল শিক্ষক দের আন্দোলন ভাঙার জন্য উঠে পড়ে লাগে। সেই কারণেই বলছি প্রতিশ্রুতি অনেক হয়েছে, আর প্রতিশ্রুতি চাই না। এবার দাবি আদায় করতে পথে নেমে আরও তীব্র আন্দোলন শুরু করতে হবে।






No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...