Anulekhon.blogspot.com

Monday, 22 July 2019

এতো বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি হচ্ছে তবু বেকারত্ব যাচ্ছে না।

আমরা কেবল মাত্র সরকারের খারাপ টা দেখি, ভাবুন ২০১১ সালের পর থেকে কতো গুলো নির্বাচন হয়েছে, অনেক কষ্টে নির্বাচন কমিশন কেস করে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই সময়ে কত বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি পেয়েছে। সে সিভিক হোক আর যাই হোক, আবার পৌরসভা নির্বাচন, তখন, আবার ২০১৪  সালের আগে অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের আগে, টেট পরীক্ষা কেবল প্রশ্ন বাসের পিছন জানালা দিয়ে বাইরে পরে গিয়েছিল তাই, আঠারো লক্ষ পরীক্ষা দিল ১%পাস করল। দলের নেতা কর্মীরা যদি আবদার করে একটু মিষ্টি খাবার টাকা নেয় তাতে দোষের কি? হয়তো বলবেন দলের নেতা কর্মীদের বাড়ির লোক বেশি চাকরি পেয়েছেন, এমনকি টেট পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি পেয়েছেন। চাকরি তো হয়েছে, ২০১২ থেকে SSC বন্ধ তাতে কি আমরা তো চেষ্টা করে যাচ্ছি, কেবল বিজ্ঞপ্তি তে একটু ভুল বা খুঁত রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যাতে কেস হয়। এই তো ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতি বুথ পিছু প্রায় একশ জনের উপর চাকরি হয়েছে। আবার ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অতো কর্ম সংস্থানের ঘোষণা করে চাকরি দিয়ে ছিলাম বলে উন্নয়ন ঢাল তরোয়াল নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীদের ভোটে দাঁড়াতে দেয়নি। আবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কতো ঘোষনা সব দফতর কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে যা ঘোষণা হলো, দাদা আবার এক কাঠি উপরে যায়, রেলের আবেদন করা শুরু হয়ে গেল, কিন্তু কোথায় কী? আবেদন হলো বেকার ছেলে মেয়ে রা অন লাইন টাকা জমা দিলো, পরীক্ষা আর হল না। দাদা আবার এখন একটা নতুন ব্যবস্থা করে দিতে চাইছেন। যদিও নতুন নয় পুরাতন ব্যবস্থা অল্প পয়সার বা টাকার বিনিময়ে কিছু দিন কাজ করিয়ে নিয়ে পেছনে লাথি মেরে তাড়ানো। এ্যপ্রেন্টিস ব্যবস্থা, কী ভালো না এ্যপ্রেন্টিস করলে চাকরি হবে, তার গ্যারান্টি নেই। একটা ছবি দিচ্ছি আমার কথা সপক্ষে।
যদিও এই ভাবে চাকরির ব্যবস্থা সর্বত্র করা হবে। তবে দিদি দাদা মিলে এতো সুন্দর সব চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। দেশে আর বেকার থাকবে কেউ? প্রতি নির্বাচন এলে চাকরি ঘোষণা আছে চাকরি হচ্ছে কি? নিশ্চয়ই হচ্ছে না হলে এত ঘোষণা করা হবে কেন। আর মানুষ ওদের ভোট দেবে কেন?

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...