Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 28 July 2019

সহিষ্ণুতা দেখানো কি কেবল হিন্দুদের দায়িত্ব?

ধর্ম নিয়ে গোঁড়ামি আমার নেই, আমি যা সত্য বলে মনে হচ্ছে সেটা নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি। দেশের স্বাধীনতার সময় আমরা দেখেছি ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতার জন্য যারা বেশি লড়াই করল, সেই দুটি জাতির বেশি ক্ষতি করে এই স্বাধীনতা, এক বাঙালি হিন্দু জাতি, দুই পাঞ্জাবি বা শিখ ধর্মের লোক। এখনও পর্যন্ত বাঙালি হিন্দু জাতির লোক মার খেয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশে কারণ সে দেশের এক নাগরিক প্রিয়া সাহা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে বলেছেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যা লঘু নির্যাতনের কথা। তিনি এও বলেছেন কত হিন্দু ধর্মের লোক বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে চলে গেছে। অথচ ভাবুন ঐ দেশটা তো তাদেরও, আসলে তা নয় আমরা বাঙালি হিন্দুরা এমন একটা সহনশীল জাতি, অপর জাতির দোষ দেখতে পাই না। সহনশীলতা দেখাতে দেখাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তবুও প্রতিবাদ করিনা। আমাদের এই দূর্বলতা আমাদের নিশ্চিহ্ন করে দেবে একদিন। আমরা ভীষণ আত্মঘাতী জাতি, নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করি কোনো লোক কারো ক্ষতি করছে দেখে চুপ করে থাকি। আজ বাংলাদেশ থেকে চলে আসা অত্যাচারিত বাঙালি হিন্দু জাতির লোক যারা অসমে বসবাস করছেন তারা NRC নামে আজ অত্যাচারিত হচ্ছে। এবার তারা যাবে কোথায়? বাংলাদেশের শান্তি ধর্মের লোকজনের প্রতি নিয়ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অনেক পরিবার স্বাধীনতার পর এদেশে চলে এসেছে, এবং দীর্ঘ দিন বসবাস করছে তারা আবার ভিটে ছাড়া। আসাম থেকে আবার তাদের বাংলাদশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বা হচ্ছে। ভাবলে অবাক লাগে এই বাঙালি হিন্দুরা স্বাধীনতা আন্দোলনের নিজের প্রাণের মায়া না করে স্বাধীনতা আন্দোলন করেছে।হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে উঠে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। আজ স্বাধীন দেশে তারা কি পেয়েছে, একবার শান্তির ধর্মের লোক জন বাংলাদেশ বা নিজের দেশ থেকে ভিটে মাটি দখল করে তাড়ায় আরেক একবার তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে এলে তারা তাড়ায়। ধর্ম নিরপেক্ষ কেমন, যেখানে অমর নাথ যাত্রায় সেনা পাহারা লাগে। বাঙালি হিন্দু জাতির জন্য দুটি দেশের কোনো দেশে জায়গা নেই। অথচ এই দুই দেশ যখন এক ছিল স্বাধীনতা পায়নি, তখন সমস্যা ছিল কি না জানি না। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পর যেন অত্যধিক হারে বাঙালি হিন্দু নিধন যজ্ঞে মেতে উঠেছে তথা কথিত শান্তির ধর্মের মানুষ। এই শান্তির ধর্মের মানুষ কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ইংরেজ কে সাহায্য করে গেছে। এরা ইংরেজ কে দেশটা বেচে দিয়েছিল। আর ইংরেজরা যখন চলে গেলেন তখন ভারতকে তিন টুকরো করে। বাঙালি হিন্দু জাতির উপর তাদের বহু দিনের রাগ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বাংলা ভাগ করে দেওয়া হলো। এটাতে ইংরেজ দের ইচ্ছা পূরণ করতে সহায়তা করল তথা কথিত শান্তির ধর্ম বলে যারা নিজেদের জাহির করে তারা। এই শান্তি ধর্মের লোকজন তরবারি ও অন্য অস্ত্র নিয়ে হিন্দু নিধন যজ্ঞে মেতে উঠল। লাখো লাখো হিন্দু ধর্মের লোক পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে হিন্দুস্থানে চলে এলো। একটু শান্তি আর আশ্রয়ের আশায়, এ ঘটনার পর আবার ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আবার শুরু হলো হিন্দু নিধন যজ্ঞ, তবে এই সময় অনেক মুসলিম ধর্মের বাঙালিও ভারতে চলে এসেছিল। শান্তির জন্য, আর এই নিয়ে বর্তমান শাসক বি জে পি সরব NRC মাধ্যমে এদের তাড়ানো হবে। কখনও বলছেন হিন্দু ধর্মের লোক এখানে থাকবে শরণার্থী হয়ে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উল্টো ছবি, বাংলাদেশ লাগোয়া আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ আজ বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করেছেন বি জে পি সরকার। তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে, আমার জিজ্ঞাসা যুগের পর যুগ ধরে হিন্দু ধর্মের মানুষের উপর এই অত্যাচার করে যাবে তথা কথিত শান্তির ধর্মের লোকজন আর আমরা যখন দেখব হিন্দু বাঙালি জাতি বা অন্য হিন্দু ধর্মের লোক নিজেদের বাঁচাতে গিয়ে যদি অস্ত্র হাতে তুলে নেয়, তখন তার সহিষ্ণুতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...