Anulekhon.blogspot.com

Friday, 26 July 2019

শিক্ষক দের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ কে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।

বেতন বৃদ্ধি ও আরও কয়েকটি দাবিতে শিক্ষকদের একাংশ আজ চোদ্দ দিন কলকাতার রাজপথে ধর্ণা ও অনশন করছিলেন। বর্তমান সরকার কিছুটা হলেও বেতন বৃদ্ধির জিও করেছেন, চোদ্দ জন শিক্ষক কে তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই ব্লগের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রী কে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। এবার যে সব মিডিয়া শিক্ষক শিক্ষিকা দের এই আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম লেখা লিখে, সাধারণ মানুষ কে শিক্ষক শিক্ষিকা দের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিচ্ছিলেন। তাদের বলছি, দয়া করে না জেনে কিছু লিখবেন না। কারণ আমি দেখেছি বিভিন্ন মিডিয়া, সে সোসাল মিডিয়া বা দূরদর্শনে বা প্রিণ্ট মিডিয়া সকলে মিলে বিভিন্ন রকম বেতন বৃদ্ধি ঘটিয়ে দিচ্ছিলেন। এই ভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সাধারণ মানুষ কে বিভ্রান্ত করে কি লাভ হলো। আপনারা যে চেষ্টা টা করে যাচ্ছেন, তাতে আপনাদের রুচি ও শিক্ষা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণ আমি জানি শিক্ষক শিক্ষিকা হতে গেলে বেসিক বা বর্তমানে DELd ট্রেনিং নিতে হয়। তার জন্যে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে শতকরা ভালো নম্বর পেতে হবে। না হলে সুযোগ পাওয়া মুশকিল। আমি জানি না যারা এই সব সমালোচনা করছেন, তারা কত ভালো নম্বর পেয়েছেন। আর আমার যতদূর জানা আছে, সরকার বেতন বৃদ্ধি বা ডিএ দেন, জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধি হলে। কারণ প্রতিনিয়ত টাকার মূল্য মান কমে, ও জিনিস পত্রের দাম বাড়ে, আর সাধারণ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে সরকারের কর্মীদের বেতন ও ডিএ দিতে হয়। কারণ সাধারণ মানুষ নিজের ইচ্ছে মতো টাকা ছাপতে পারে না। সাধারণ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের আরও নানা ব্যবস্থা আছে। আমি যতদূর যতদূর জানি সরকারি কর্মীরা এই টাকা ঘরে বা ব্যাঙ্কে রেখে দেবেন না। আবার সরকার সরাসরি সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাসের খরচ পৌঁছে দেবে না। আমার যতদূর জানা আছে, টাকার যোগান কম পড়লে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে। রাজ্যের বা দেশের আর্থিক মন্দা দেখা যায়, যা এই রাজ্যে ক্রম বর্দ্ধমান। এসব যারা ভালো অর্থনীতি বিদ তারা আরও ভালো করেই জানেন। আর এসব একটু আধটু জানতে ভালো পড়াশোনা করতে হয়। টুকে নকল করে, নকল শংসাপত্র যোগার করে আমি বিএ /এম এ পাশ বলে চিৎকার লাভ নেই। একটু ভালো করে মন দিয়ে লেখা পড়া করলে সঠিক জায়গায় পৌঁছন যায়। অপরের উন্নতি তে হিংসা না করে। নিজের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে মন দিয়ে কাজ করে গেলে সুফল মিলতে পারে। তা না করে ওর কেন বেতন বৃদ্ধি হলো ও কি করে এতো টাকা করল এসব পর শ্রী কাতরতা ছেড়ে, নিজের উন্নতির দিকে মনোযোগ দিন। সমালোচনা করার আগে ভাবুন আমার বা আপনার যোগ্যতা কী? আমি জানি বাঙালি জাতি কাঁকড়ার জাত কিছুতেই ঝুড়ি টপকাতে দেবে না। প্রতিবেশী বা অপরের উন্নতি কিছুতেই সহ্য করতে পারে না।


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...