Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 29 September 2019

শাসকের রঙ বদলায়, অবস্থা বদলায় না।

যিনি ফেসবুকে এই পোস্ট টি করেছেন, তিনি নিজে কে অরাজনৈতিক প্রমাণ করতে চাইছেন। তিনি মনে হয় ভোট দিতে যান না। মানুষ তখনই নিজেকে অরাজনৈতিক প্রমাণ করার চেষ্টা করে যখন দেখে সে যে দল কে ভোট দিয়ে ছিল সেই দল খারাপ কাজ করছে। কারণ ভারতের মত মেকি গনন্তান্ত্রিক কাঠামোতে কোন কিছু অরাজনৈতিক নেই, সবটাই রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা ঠিক করে দেয়। রুটি রোজগার তার মজুরি জিনিস পত্রের দাম কল কারখানা হবে কিনা। সমস্ত টা রাজনৈতিক দল বা লোক তথা নেতা মন্ত্রী দ্বারা পরিচালিত হয়। এখন পিঁয়াজ থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম জি এস টির ঠেলায় আকাশ চুম্বী না রাজ্যের সরকার তার জিএসটি ছাড় দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। পেট্রোলের উপর দু সরকার দু রকম কর আদায় করে। এক বিক্রয় কর দুই সেস। কয় কেউ ছাড়ছে না, চালের দাম আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বলবেন কেন সরকার দু টাকা কিলো চাল দেয় তো খোঁজ নিয়ে দেখুন কটা গরীব লোক পায় আর কত কিলো পায়। সব থেকে বড় কথা আপনার সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এই সব সরকার তথা নেতা মন্ত্রীরা। এই রেশন কার্ড করতে হবে, তাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছু ভুল করে দিতে হবে যাতে আবার লাইনে দাঁড়ায়। আর আছে আধার কার্ড ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে যখন ঠিক মুখে কাছে যাচ্ছেন, তখন আপনি শুনবেন আপনার কাগজে ভুল আছে বা আজ পঞ্চাশ টা করার কথা কোটা শেষ। এখন তো আবার ভোটার কার্ডের সাথে আধার লিংক করতে হবে। আবার লাইন দেবেন না হলে ভোটার তালিকা থেকে আপনার নাম বাধ যেতে পারে। অনেকে বি এল ও আছেন তারা বলবেন আমাদের বলেনি নাম বাদ দেওয়া হবে। ভাই তাদের বলছি, আসাম এন আর সি প্রথম ধাপ ওটাই ছিল। যারা ভোটার কার্ড ভেরিকেশন,বা যারা ভোটার কার্ডের সাথে আধার লিংক করে নি প্রথম তাদের ডি ভোটার করে দেওয়া হয়েছিল। তার পর এন আর সি হয়ে উনিশ লক্ষ নাম বাধ দেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে রাজনীতি আপনার জীবন যাপন বেঁচে থাকা খাওয়া পরা সব নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি বলেছিলেন কাজ করে খেতে দেখে নিন এই ছবি টি। এরকম কত আছে একশ দিনের কাজ করেও টাকা পায় নি। আর কাজ ও পায়নি। কোথাও রাজনীতির কারণে।
আপনি বলুন এই রকম খেত মজুর এর জন্যে একশ দিনের কাজ। অথচ খাতা কলমে একশ দিনের কাজে এই রাজ্য সেরা তাহলেই দেখুন কেন কাজ পাচ্ছে না। রাজনৈতিক কারণে, রাজনীতির লোক জন ঠিক করে দিচ্ছে ও একশ দিনের কাজ পাবে কিনা। রাজনীতি আজ মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে, সেই কারণেই আমাদের ওরি মধ্যে ভালো রাজনৈতিক দল কে বেছে নিতে হবে। 

Saturday, 28 September 2019

দেশ টাই বেসরকারি হয়ে যাবে।

কিছু দিন আগেই আমি লিখেছি রেল, ব্যাঙ্ক, বিমা সব কিছু সরকারের যে টুকু আছে সব উঠে গিয়ে বেসরকারি হবে। বি এস এন এল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ওতো কবেই ধ্বংস করে দিয়েছেন। এসব বেসরকারি করার পর গোটা দেশ বেচে দেবে মানে বিদেশী দের ডেকে নিয়ে আসবে। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এন আর সি ভারতের ছোট ভাষার অল্প জন গোষ্ঠী কে কোন ঠাসা করে তাদেরকে জাতি গত ধর্মের নামে ভাগ করে আরও ছোট করে দেশ থেকে তাড়ানো হবে।  দেশ থেকে যাদের তাড়ানো হবে না বলছেন, তাদের জন্যে তৈরি করা হবে ডিটেশন ক্যাম্পে মানে আধুনিক জেল খানা। আপনার আমার বাড়িতে থাকবে হিন্দি ভাষি মানুষ বলেই দিচ্ছে হিন্দি হবে রাষ্ট্র ভাষা। এক দেশ এক ভাষা, কারণ এই হিন্দি ভাষার মানুষ ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে এরা খেতে পাক আর নাই পাক গণ্ডা গণ্ডা ছেলে মেয়ে। রেল ঝুপরি তে থাকে পিল পিল করে বাচ্চা আর তারা কি করছে প্লাটফর্ম ছেড়ে দিয়ে বসে থাকে রেল যাত্রী কাছে ভিক্ষা করায় ঐ বাচ্ছা গুলো কে দিয়ে। কিছু দিন একটা স্টেশনে হলে পরে আরেকটা। যে সব স্টেশনে লোক সংখ্যা বেশি সেখানে এদের দেখা যায়। সব কটা হিন্দি ভাষি। বাংলায় কথা বলে কিন্তু পদবি গুলো জিজ্ঞেস করে দেখবেন। বাংলা কে এরা গিলে খাচ্ছে, আর বেশির ভাগই বিহার উত্তর প্রদেশের দলিত সেখানে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এখানে এসে আছে। এদের জন্য আজও বাংলা পিছনে সারিতে। বাঙালি জাতি সত্যি যদি দেশ টা কে বেচে দিতে না চান তাহলে আবার একটা স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দিন। বিহারী মারোয়ারি দের দোকান ব্যবসা থেকে কিছু কিনবেন না। মুখে কিন্তু বলবেন না, শুরু করুন গোপন বিপ্লব বাংলার মাটিতে তৈরি করা হয়েছে এমন জিনিস কিনুন একদম ওদের থেকে সামান্য কিছু হলেও নেবেন না। আর এই বেচে দেওয়া সরকার আর তাকে সাহায্য কারি বর্তমান শাসক দল কে ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে। কারণ এই শাসক দল দিল্লির কাছে দূর্বল সারদা রোজভ্যালীর আর নারদার জন্য। এরা গোপনে দিল্লির সরকার কে সাহায্য করে যাবে। আর ঐ সাম্রাজ্যবাদি দেশ বিক্রি করে দেওয়া দল এই রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে। ভারত পরাধীন হয়ে ছিল মিরজাফর উমির চাঁদ জগৎ শেঠ আরও কতো গুলো বেইমান বাঙালি ইংরেজ কে সাহায্য করে ছিল বলে। আজ আবার ভারত ক্রমশ পরাধীনতার দিকে যাচ্ছে, ওরা জানে বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করতে পারলে তবেই ভারত কে শাসন করতে বিদেশিদের ডেকে আনা যাবে। এবার আমেরিকা কে ডেকে আনা হবে। স্বাধীনচেতা বাঙালি ওদের অন্তরায়, যেমন করে হোক এদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে হবে। আর এখন খুব সুযোগ রাজ্যে সরকারের অধিকাংশ নেতা মন্ত্রী দূর্নীতি গ্রস্থ, এরা দূর্বল সরকার। দেশ টাই বেসরকারি হয়ে যাবে, দেখে নিন আপনার উপার্জন করার জায়গা থাকবে না। ক্রয় ক্ষমতা এখনই কমে এসেছে, এর পর আরও অনেক কমে যাবে। আমার মনে পড়ে জিনিস পত্রের দাম কম ছিল কিন্তু মানুষ খেতে পেত না। কারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা ছিল না। জামা কাপড় জুতো ওসব বিলাসিতা, খাবার চাল আটা ডাল নুন তেল কিনতে হলে চিন্তা ভাবনা করে কিনত। খেত কি কম দামে চালের ক্ষুদ, ভুট্টা, মাইলো, মুগকড়াই, গম কুঁচো, ভুট্টা গুঁড়ো, যবের আটা সেটাও কেনার ক্ষমতা ছিল না। ১৯৭৭ সালে বাম সরকার এলো তার পর ধীরে ধীরে মানুষের দুঃখের ঐ দিন গুলো কেটে গেল। আজ আবার সেই দিকে যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশ আজ সেই দিকে চলে যাচ্ছে। সরকার দু টাকা কিলো চাল দেবে ঐ দু টাকা কিলো চাল কিনতে অপরের কাছে ভিক্ষা করতে হবে। দু টাকা কিলো চাল হলে হবে না, তাকে ফুটিয়ে ভাত করতে জ্বালানি লাগবে সেটা কিনতে হবে। নুন কেনার পয়সাও থাকবে না। স্বাধীনতা যারা ভোগ করছে সেই মারোয়ারি ব্যবসায়ী দল লঙ্গর খানা খুলে আপনাকে দু বেলা ভিক্ষা দেবে। এখনো সময় আছে আগামী একুশ সাল এই দু টাকা কিলো চালের সরকার কে গদি থেকে টেনে নামাতে হবে। প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আগামী দিন আপনার।একজন মানুষ হিসেবে সঠিক ভাবে মাথা তুলে বাঁচাতে হবে। 

পুলিশ এখন লুকিয়ে বেড়াচ্ছে।

আমরা ছোটবেলা একটা খেলা খেলেছি পুলিশ পুলিশ চোর পাকরাও। চোর কে বলতে পারলে ভালো না পারলে সে ঐ চোরের নম্বর থাকত শূন্য সে পাবে আর পুলিশের একশ নম্বর বা পাঁচ শ নম্বর চোর পাবে। দারুণ অদ্ভুত সুন্দর খেলা। আজ রাজ্যে ঠিক এই খেলা চলছে। কলকাতা বা রাজ্য পুলিশের বড়ো কর্তা একজন আই পি এস অফিসার তিনি নিরপেক্ষ নন জনগণের কোটি কোটি টাকা হজম করেছে যারা তাদের বাঁচাতে রাজ্যে সরকার ২০১৩ সালে সিট গঠন করে ছিল সেই সিটে যারা পুলিশ অফিসার ছিল তারা অসাধারন কাজ করে ছিলেন। আর ক দিন পেলে সব টাকা সব ফেরত পেয়ে যেত।
আমরা সাধারণ মানুষ জানতাম পুলিশ চোর ধরে আর এই জ্যের কতগুলো পুলিশ অফিসার তারা চোর বাটপার দের রক্ষা করতে ব্যস্ত। এর দুটো কারণ এক বাঙালি জাতির গর্বের বিষয় ছিল যে এই রাজ্যের কোনও মন্ত্রী নেতা চোর নয়। সে গর্ব করতে পারত কিন্তু এখন আর, সে গর্ব আর নেই। এখন এই রাজ্যের সরকার ও সি বি আই নামক কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত ভার নিতে নিতে সিট এক দেড় বছর সময় লাগে। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা তো, খুব তাড়াতাড়ি বিচার করতে পারে। লক্ষ লক্ষ মানুষের কোটি কোটি টাকা আজ বাটপারা হজম করে দিয়েছে। তাদের চোখের জল আত্ম হত্যা এসব মামুলি ব্যপার। সাধারণ মানুষ ও তো মানুষ নয়। ভোটের সময় তারা মানুষ। আমি একটি বিষয়ে খুব অবাক হয়ে যাই যখন দেখি এই সব কাজে পারদর্শী অসাধারণ মানুষ ভোটে জিতে আসে। আর এর সুযোগে দিল্লির শাসক দল বাঙালি জাতি কে আরও কোণঠাসা করে ফেলতে চাইছে। সে নাগরিক পঞ্জি করে হোক আর ভাষার ভিত্তিতে হোক। যে কোন ভাবে বাংলা কে ধ্বংস করে দিতে চাইছে।

Thursday, 26 September 2019

দুই সরকার এখন মানুষ কে রাস্তায় তথা লাইনে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন।

আজ দু সরকার সাধারণ মানুষ কে রাস্তায় বা লাইনে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। মানুষ আজ দিশেহারা কোন লাইনে দাঁড়াবেন। রেশন কার্ড ঠিক করার লাইন, ভোটের কার্ড ঠিক করার জন্য লাইনে না আধার কার্ড ঠিক করার জন্য। সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা এক দিকে রাজ্যের সরকার বলছেন NRC এই রাজ্যে হবে না। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের দল জোর কদমে প্রচার করছে এরাজ্যে NRC হচ্ছেই। আর রাজ্য সরকারের কথা মানুষ আর নিচ্ছে না। তার কারণ ও আছে এই সরকারের নেতা মন্ত্রীরা যা বলেন হয় ঠিক তার উল্টো। এ নিয়ে অনেক উদাহরণ আছে, আর নির্বাচনের সময় ভালো বুঝতে পারে মানুষ। কারণ কিছু মিডিয়া ভুল করেও ঐ সব ভোট চুরি বোমা বাজি মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়া দৃশ্য দেখায় ছাপ্পা ভোট সব দেখায়। আর ভোট মিটে গেলে বিবৃতি আসে শান্তি পূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। মানুষের মৃত্যু এদের কাছে আনন্দের, সেই জন্য NRC আতঙ্কে আত্ম হত্যা করেছে কারণ বন্যা আগুন লাগা আরও অনেক কারনে সাধারণ মানুষের কাছে অনেক পুরোনো নথি নেই। এই রাজ্যের মানুষের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষের রেশন কার্ড নেই আবেদন করেও মেলেনি, রেশন কার্ড আরে রেশনে মাল দিতে হবে না, কিন্তু ওটা হলো যে ছেলে টির ভোট ওঠে নি, অর্থাৎ আঠারো বছর বয়স হয়নি, তার পরিচয় পত্র। এই রাজ্যের সরকার যখন ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া শুরু করে কোথায় বসে হবে চণ্ডি মণ্ডপে পাড়ার ঠাকুর দালানে কারো বাড়িতে সকলের জন্য নয়। গরীব মানুষ কে রেশন কার্ড দেওয়া হবে, কেমন গরীব কেন শাসক দলের সমর্থক হলে সে গরীব সে রেলে চাকরি করতে পারে স্কুল শিক্ষক হতে পারে। লাখ টাকার বাইক চেপে দু টাকা কিলো চাল নিয়ে এসে গরীব মানুষ কে চোদ্দ টাকা কিলো দরে বিক্রি করে দেবে। কেউ কেউ আবার কাজের মাসি কে বেতনের বদলে দিয়ে দেবেন। যাহোক এখানে এটা আলোচ্য বিষয় নয়, সাধারণ মানুষ জানে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে তখন NRC হোক বা জনগননা হোক এ রাজ্যে হবে। ঐ সবের কোন একটা কে NRC হিসেবে ধরে নিয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে সেই জন্যই কাজ বন্ধ করে নাওয়া খাওয়া ভুলে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে মশার কামড় উপেক্ষা করে ঐ তিন টি কাজ করতে লাইন দিচ্ছে। আধার করার জন্য কচি কচি বাচ্ছা দেরও লাইন দিতে হচ্ছে। অমানবিক বিষয় তখনই হচ্ছে যখন অনেক কষ্টে বাচ্ছা টি কে নিয়ে শেষ প্রান্তে এসে হাজির যিনি কাজ করে দেবেন তিনি বললেন আপনার এই কাগজ টা নেই অথএব আপনার আজ হবে না। কাগজ আনুন হবে। কাগজ টা নিয়ে হাজির হলেন, তখন আবার খুঁত ধরে আবার ফেরত। অথচ তারা টাকার বিনিময়ে কাজ করে দিচ্ছেন, বলছেন সঠিক নথি না হলে হবে না। একদম ঠিক কথা সঠিক নথি থাকা অবশ্যই দরকার কিন্তু নামের প্রথম অক্ষর কেন ছোট ইংরেজি হরফে লেখা আছে সেই কারণেই ফেরত এটা শুনেছেন। আরেকটা মজার ব্যাপার সব কাজ অনলাইনে হবে। আমি আপনি সেই এ্যাপ বা ওয়েব সাইট খুলে কিছু করতে পারি না। এমন জটিলতার সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে, আর সরকারি সাইট খুলতে খুলতে সময় পার হয়ে যায়। তাহলে যেতে হবে তথ্য মিত্র বা সাইবার কাফে তে ৫০ বা ১০০ টাকা খরচ করে কাজ করতে হবে। আমার সব তথ্য তাকে দিতে হবে। জানি না সরকার সাইট তৈরি করে বিজ্ঞাপন দেয় এদের জন্য, সাধারণ মানুষ যারা জানে তারাও ঐ সাইটে কাজ করতে পারে না। কি ভালো ব্যবস্থা, এমনই মানুষের আয় কম জিনিসের মূল্য বাড়ছে অথচ কাজ কামাই করে ঐ তিন টি কাজের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, তাও হবে কিনা ঠিক নেই। আমি ছ মাসের উপর হলো রেশন কার্ডের জন্য আধার কার্ডের তথ্য সাথে দিয়ে আবেদন করেছি। আমি জিজ্ঞেস করলাম আমার হয়েছে উত্তর এলো না আপনার নাও হতে পারে। ভারি অদ্ভুত সুন্দর একটা ব্যবস্থা। আমার একটা প্রশ্ন আছে সব মানুষের কাছে এই সব সরকারি কাজে মানুষ হয়রানি বন্ধ করতে পরিবর্তন করে দিয়ে নতুন সরকার এনে ছিলেন। আজ আমরা সেই পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছি। সকল কে ধন্যবাদ সুস্থ থাকুন, কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না, এই NRC নিয়ে অনেক দালাল ঘুরে বেড়াচ্ছে আপনি তাদের খপ্পরে পা দেবেন না। আত্মহত্যা করবেন না। আত্মহত্যা পথ নয়। বেঁচে থেকে লড়াই করুন, আসুন সকলে মিলে এই রাজনৈতিক চক্রান্ত কে বানচাল করে দিই। মানুষ কে কাজ দিতে হবে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য যতটা মজুরি দরকার দিতে হবে। এই সব দাবি নিয়ে যাতে আন্দোলন করতে না পারে তার জন্য আপনাকে বা সাধারণ মানুষ কে আজ লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। মানুষ কে ব্যস্ত রাখ তাহলে সে সময় পাবে না আন্দোলন করতে।

যখনই কোন নির্বাচন আসছে তখনই পাকিস্তান।

এখন একটা বিষয় আমরা সবাই দেখছি যখনই কোন নির্বাচন আসছে তখনই পাকিস্তান এসে হাজির হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে পুলওয়ামা তার পরে বালাকোট। বিশাল জয় মানুষ খাচ্ছে ভালো এদিকে দেশের বেকার সমস্যা সরকারের প্রদেয় জনসেবা বা সরকারি অধিগৃহীত সংস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে, বাজারে জিনিসের দাম প্রতি নিয়ে বাড়ছে। অথচ ভোট এলে চালু কথা প্রচার করা হচ্ছে, কাশ্মীরের সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে। এই মনে হয় তিন টি না দুটি রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচন ও কয়েকটি ক্ষেত্রে উপ নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বালাকোটে ২০০ জঙ্গী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আমি জানি না সাধারণ মানুষ এসব বুঝতে পারছেন কিনা। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যা যা দরকার খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্ম সংস্থান ও সব থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে নির্বাচন এলেই পাকিস্তানের জঙ্গীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। অনেকে বলবেন পাকিস্তান জঙ্গী তৈরি করে ভারতে পাঠায় না। আমি একবারও বলছি না, সে টা হয় না, কিন্তু সময় গুলো লক্ষ করার আছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মদত পুষ্ট জঙ্গীরা ভারতে হামলা করে, এটা একদম ঠিক কথা। মুম্বই হামলা সংসদে হামলা পুলওয়ামা হামলা চালানো হয়েছে। সেনা বাহিনীর জওয়ান দের রক্তে লাল হয়ে গেছে কাশ্মীর এটা কখনই কাম্য নয়। আমি চাই আমার দেশ এর যোগ্য জবাব দিক, সেটা নির্বাচনের আগেই হয়, এবং ফলাও করে প্রচার করতে হয়। নির্বাচনের সময় মানুষ জানতে চায় আগের সরকার সেই রাজ্যের কি কি উন্নয়ন করেছে। জঙ্গী দমন করতে কোন মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ক যায় না। যারা এই কাজ করে তারা আমাদের বীর সেনাবাহিনীর সদস্য। সাধারণ মানুষ আর সেনাবাহিনীর সদস্য মারা যান। আর সেই সাফল্য কে ফলাও করে প্রচার করে নেতা মন্ত্রী আর ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল গুলো মানুষের মন জয় করতে সচেষ্ট হয়। নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ টা করল যারা তারাই থাকে পিছনে। সত্যিই কি ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। 

Sunday, 22 September 2019

শাসক আর শোষকের একতার বিরুদ্ধে একত্রিত হোক আমাদের সংহতি।

উপরের শিরোনামে যে লেখাটা দেখছেন ওটি আমার প্রিয় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা বোধন কবিতার একটা লাইন বা পঙতি। আর যে ছবি টি দেখেছেন সেটা আজ ২২/৯/১৯ তারিখের চুঁচুড়ার অমর পুর মাঠের সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে, মাঠে যদি সব মানুষ ঢুকতে পারত তাহলে আজ মাঠে জায়গা দেওয়া যেত না। যারা বা যে সব মিডিয়া বলে ছিল বামেদের দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে, তারা ছিল কিনা জানি না। আর গত লোকসভা নির্বাচনের পর যারা বলেছেন, বামফ্রন্ট বা বামেরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে এই রাজ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, ৭% ভোট পেয়েছে, বামেদের ভোট রামে গেছে, যদিও গিয়ে থাকে সেটা ঐ সব মিডিয়ার অপপ্রচারের জন্য, ভোটের আগে বিগ্রেডে হয়েছে দেখায় নি। কারণ সেই সময় একটা নাটক মঞ্চস্থ হয়ে ছিল, যে নাটকের কুশীলব ছিলেন, রাজ্যের প্রধান আর গোয়েন্দা প্রধান, আবার ছাত্র যুব দের নবান্ন অভিযান, পুলিশের লাঠি জলকামান, সেটাও কম দেখানো কারণ সে দিন বিকেলে আবার নাটক সি বি আই আর রাজীব কুমার কে নিয়ে। দিল্লি গমন এসব দেখাতে ব্যাস্ত ছিল মিডিয়া। হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই দিল্লি গমন, যাকে দিল্লির ডাকা বিভিন্ন বৈঠকে উপস্থিত হতে দেখা যায় না। তিনি নিজের ইচ্ছাতে রাজ্যের স্বার্থে দিল্লি গেলেন। জনগণ বড্ড বোকা তাই না, তিনি রাজ্যে NRC চান দিল্লি গিয়ে ও নিয়ে একটা কথাও বললেন না। রাজ্যে এসে সেই একই কথা আমি NRC করতে দেব না, তাহলে দিল্লিতে বোবা হয়ে গেলেন। অনেকের কাছে রেশন কার্ড একটা পরিচয় তিনি এরাজ্যে ৬০% মানুষ কে রেশন কার্ড দেন নি। তিনি মানে ওনার দলের সাঙ্গ পাঙ্গ ঠাকুর দালানে, নিজের বাড়িতে বসে রেশন কার্ড করে ছিল। কাদের তার দলের মানে শাসক দলের, এমন বি পি এল বানিয়ে দিয়েছে, যে আশি থেকে এক লক্ষ টাকার বাইক চেপে দু টাকা কিলো চাল আনতে যাচ্ছে। রেলের স্থায়ী কর্মী অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি, সে বি পি এল কার্ড পেয়েছে আপনার দৌলতে। রাজ্যের ষাট শতাংশ মানুষের কার্ড নেই, রেশন কার্ড তো একটা পরিচয় পত্র, আবার আপনার কল্যানে অনেকে আবেদন করেছেন, আজ প্রায় বছর ঘুরতে গেল সেই কার্ড আর পেল না। এর থেকে আমরা বুঝতে পারছি আপনি চাইছেন মানুষ প্রমাণ পত্র হিসেবে রেশন কার্ড দেখাতে না পারুক। দিদি আপনি রেগে যাবেন না, আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে সব থেকে মোটা চাল ১৪ টাকা বেড়ে ২৭ বা ২৮ টাকা হয়েছে। কৃষকদের চাষ করতে সার বীজ লাগে এমনই চাষ হয় না। আপনি আসার পর সেই সারের দাম ৪৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯০০ বা ৯৫০ টাকা হয়েছিল। আর বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি দাম সারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের থেকে বেশি প্রায় সাত টাকা ইউনিট। আমার মনে আছে বাম আমলে বিদ্যুতের দাম নিয়ে আপনার দলের আন্দোলন অফিসে ভাঙচুর, আর আজ মানুষ চুপচাপ মেনে নিচ্ছেন। এখন তো আরো বেশি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও শিক্ষকদের হাল সে তো বলার মতো নয়। এমন সব বই করেছেন যাতে পড়ানোর বা শেখার মতো কিছু নেই, প্রাক প্রাথমিক যারা ঐ বয়সে কিশলয় গনিত ইংরেজি পড়ছে ২০১১ সালের আগে আপনি কি বই দিলেন কাটুম কুটুম আর মজারু ঐ বই পড়ার জন্য কেউ ভর্তি হতে চায় না। শিক্ষার হাল খারাপ হয়ে গেছে, আপনার সরকারের কাগজ পত্র পুরন করে দেওয়ার চাপে। শিক্ষা নিয়ে অনেক কথা লিখেছি আপনি বা আপনার নজরে পড়েনি। ওদিকে আমাদের প্রিয় দাদা একই অবস্থা কোনো নিয়োগ নেই, উল্টে সব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আপনি আর দাদা মিলে মানুষ কে শোষণের যাঁতাকলে পিষে মারছেন। দাদা কর্পোরেট সংস্থা গুলো কে ঋণ ছাড় বা কর ছাড় দিচ্ছে, আর কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কর্পোরেট সংস্থা গুলো ফুলে ফেঁপে ঢোল আর কর্মী আর চাষিদের মেরে কি লাভ হচ্ছে, শ্রমিকদের কাজ নেই, কলকারখানা বন্ধ, কর্মীদের ঠিক মতো বেতন নেই, কাজ আছে বেতন চার পাঁচ হাজার টাকা, লোকের কেনার ক্ষমতা কমে গেছে, আপনি কলকাতা ছাড়া একটু দূরে বাজারে আসুন দেখে নিন কি অবস্থা জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া মানুষের কাছে টাকা নেই কিনতে পারছে না।
আন্দোলন করলেই আপনি পুলিশ দিয়ে সে আন্দোলন নষ্ট করে দিচ্ছেন। অর্থাৎ বিরোধীতা আপনার সহ্য হয় না, কিন্তু বি জে পি কে সহ্য হয় কারণ সে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে আর সারদা নারদা রোজভ্যালীর কেসে আপনার দলের নেতা কর্মীদের আর যাতে জেলে যেতে না হয়, তার ব্যবস্থা করে দেবে কে?বি জে পি সরকার, সেই জন্য আপনি আর দালাল মিডিয়া বামেদের প্রচার মুছে দিতে বার বার বলছে বাম নেই, বামের ভোট রামে এই করে অনেক সাধারন মানুষ আপনার দলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সত্যি রামে ভোট দিয়েছেন। আপনি আর দালাল মিডিয়া চায় না, বাম আবার ফিরে না আসে তার ব্যবস্থা পাকা করে দিয়েছেন। আর এই বি জে পি এসে আপনার থেকে ও আরও খারাপ। উপরের শিরোনামের কথা গুলো কবে লিখেছেন, আপনার মতো সুশাসক বাংলায় বিরল।


Friday, 20 September 2019

বাঙালি ছাড়া বাংলা গড়ার ডাক দিল।

আজ ফেসবুকে একটা পোস্ট বা বিজ্ঞাপন দেখলাম যে দাদা বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন। প্লাস্টিক ছাড়া বাংলা গড়তে হবে,একদম ঠিক কথা ওদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন। বাঙালি ছাড়া বাংলা গড়ার,বাংলায় NRC করে বাঙালি কে দেশ হীন করে জেলে রাখা হবে। জেল তৈরির জন্য জমি অভাব নেই, দিদি ঠিক দিয়ে দেবেন। কারখানা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ না করা হলে কি হবে বাঙালি জাতি কে জেলে রাখতে তিনি জমি অধিগ্রহণ করে দেবেন। তিনি বিধান সভায় আইন বা প্রস্তাব পাশ করেন বা রাস্তায় নেমে মিছিল করুন রাজ্যে NRC করতে দেওয়া হবে না, আর দিল্লি গিয়ে সেটিং করেন। আসামের NRC নিয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন, খুব ভালো কেন মানুষ হয়ে এতো মানুষের পাশে দাঁড়ান দরকার। আর বাংলায় NRC নিয়ে যিনি দিন রাত হুমকি দিচ্ছেন, তার জন্য একটা কথাও বলবেন না। কেন কিসের জন্য? কীসের এতো ভয় বাংলায় এলে কুস্তি আর দিল্লি গিয়ে দোস্তি। উপরের খবরের শিরোনাম টি পড়ুন আতঙ্কিত মানুষ প্রতিটি ব্লকে ব্লকে রেশন কার্ডের জন্য লাইন দিচ্ছে, একজন মানুষ মারাও গেছে। দ্বিতীয় নোট বন্দী শুরু হয়েছে, আমাদের রাজ্যের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেশন কার্ড নিয়ে নানা রকম রাজনীতি করে যাচ্ছে। আজ পর্যন্ত অর্ধেকেরো বেশি মানুষের রেশন কার্ড নেই। অনলাইনে আবেদন, সে যে কিসের অন লাইন ভগবান জানে, খুলেও কাজ হয়নি, আসলে যে সব অফিসার বা কর্মী ঐ ওয়েব সাইট বা এ্যাপ তৈরি করেছেন তারা অনেকেই এ্যাপ তৈরি করতে জানে না। এ সম্পর্কে যে লোক বা মানুষ ভালো জানে তাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। টাকা বেশি লাগবে তাই, এই রাজ্যের সর্বত্র আজ খাই খাই, এই রেশন কার্ড দেওয়ার জন্য সামান্য হলেও পঞ্চাশ টাকাও চাই, আর এই কাজে দিদির ভাই বোন ভাইপোরা সিদ্ধহস্ত, আর এদের বাঁচাতে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, সেটিং করতে ঐ মিটিং যদি রাজ্যের স্বার্থে হতো তবে ক্যামেরার সামনে হতো এতো খন ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার হয়ে যেত। উনি ঐ কাজ টি ভালো পারেন তিল কে তাল করতে মুখে এক বলেন আর কাজে আরেক করেন। তাই পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা বা  NRC বিরোধী মিছিল যতই করুন ওনি রাজ্যে NRC চালু করে তবেই ছাড়বেন। হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ঠাকুরদার জণ্ম সার্টিফিকেট জোগার করার জন্য, আর উনি দিল্লি গিয়ে সেটিং করছেন, যাতে সি বি আই চোর চিটিংবাজ দের না ধরে। আমার ইতিহাসের একটা কথা কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, সারা ফ্রান্স জুড়ে দুর্ভিক্ষ ফ্রান্সের রানি সব শুনে বলে ছিলেন। দেশে রুটি নেই কেক খেতে পারে। আমাদের রাজ্যের অবস্থাও এখন তাই আপনি দেখবেন যাকে আপনি রাজ্যের ভালো করবেন বলে ক্ষমতায় এনেছেন তিনি রাজ্যে আপনার জন্য গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছেন, আর দিল্লি গিয়ে যে লোকটি হুমকি দিচ্ছেন, তাকে একটিও কথা বলছেন না। অথচ আপনি আমি দৌড়ে যাচ্ছি বিভিন্ন সময়ের নথি জোগাড় করতে কেন্দ্রীয় সরকার বাঙালি বিদ্বেষী জাতির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, এরা উপর উপর এমন ভাব দেখাচ্ছে কতটা বাঙালি জাতি কে সণ্মান করে বাস্তবে এর উল্টো শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী জন যুদ্ধ তৈরি করে এপার বাংলার হিন্দুদের জন্য জমি তথা আরও জেলা বা জায়গা আদায় করতে আন্দোলন শুরু করেন। সেই জনযুদ্ধ আজ নাম পাল্টে বিজেপি, ওপার বাংলা থেকে বিতাড়িত বাঙালি দের সেই কারণেই দণ্ডকারণ্যে বা কালা পানি পার করে আন্দামানে ঠাঁই হয়েছিল। আজ NRC নামে সেই সব মানুষদের আবার ভিটে ছাড়া করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরা বিদেশি আরে দেশ টা ভাগ করল কে তোর জাত ভাই, বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করতে, আর দোষ হলো বাঙালির, তাদের তোরা বা তোদের জাত ভাই বিদেশী তৈরি করল তারা অপরাধী নয় বাঙালি জাতি দেশ ভাগ চেয়ে ছিল, আমার মনে হয় না।বাঙালি জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ক্ষমতা থাকা সহজ এই কথাটা দিল্লির বাঙালি বিদ্বেষীরা ভালো জানেন, সেই জন্য স্বাধীনতার এত বছর পর আবার বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সব থেকে বড় কথা এটা সম্ভব হচ্ছে, কিছু বাঙালির জন্য, বাঙালি জাতি আরেক জন বাঙালি কে দেখতে পারে না। দেশ ভাগ করে ক্ষমতা লোভী কিছু মানুষ ক্ষমতা দখল করেছিল, আর ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষ কে বিদেশি বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছিল। এখনও সেই ধারা সমানে চলছে, আমি জানি এখনও বাংলাদেশ থেকে মানুষ এদেশে আসে সে তো বি এস এফ আর বি ডি আর কে টাকা দিয়ে চলে আসে আবার এপার বাংলা থেকে ওপারেও যায় একই ভাবে। কিছু ফিরে যায় না, তাদের ধরতে গোটা বাঙালি জাতি কে আতঙ্কিত করে তোলা হচ্ছে, বিজেপির বড়ো বড়ো নেতার মুখে শোনা যাচ্ছে ১৯৫১ পর বা ১৯৭১ পর যারা এসেছে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন না বাংলাদেশ ফেরত নেয় ততদিন নয়া জেল খানায় থাকতে হবে। কারণ তারা কোন দেশের নাগরিক নন, রোহিঙ্গাদের মতো অবস্থা দেশ হীন জাতি, এর জন্য একটা আইন ইতিমধ্যেই তৈরি আপনি আমি প্রতিবাদ করলেই বিনা বিচারে আটক। এসব নিয়ে অনেক বাঙালির আনন্দ হচ্ছে, ভাবছেন খুব ভালো হবে অনেক ভালো হবে, মনে করুন যিনি এটা ভাবছেন তাকেই ঐ দেশ হীন ঘোষিত করা হলো। আবার বাঙালির মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে বলা হচ্ছে, বাঙালি মুসলমান দের তাড়ানো হবে। ভাই আসামের দিকে দেখ সেখানে যারা দেশ হীন ঘোষিত হল, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু অনেকেই এখনি ঐ আধুনিক জেলে আটক করা হয়েছে। কারোর পরিবারের পাঁচ জন সদস্য হলে দুজন ঐ জেলে আর তিন জন বাড়িতে, দেখা করার অধিকার নেই জেলেই কেটে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই আত্ম হত্যা করেছে। এরকম হওয়ার কথা ছিল না, দেশ ভাগ করে ছিল ধর্মের নামে, ফেসবুকে দেখলাম অনেকেই প্রশ্ন করেছেন তখন বিজেপি ছিল না। তাদের বলতে চাই ইতিহাস ভালো করে পড়ুন না হলে বুঝতে পারবেন না, অন্য নামে ঐ দল টির উপস্থিত ছিল। তার মধ্যে জনযুদ্ধ একটা, আপনার সেই প্রিয় বাঙালি নেতার তৈরি,  তিনি মনে হয় বুঝতে পারেননি এক দিন এরা ক্ষমতায় এসে বাঙালি কে বাংলা ছাড়ার ব্যবস্থা করবে, সেই হিন্দু মুসলমান আর নিজের জাতের তৈরি বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হিন্দু দের বিদেশী বলে তাড়ানো হবে। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আসুন লড়াই এর ময়দানে আমরা কিছুতেই NRC করতে দেব না। আর বর্তমান শাসক দল কে তাড়িয়ে বিজেপি নামক বাঙালি বিদ্বেষী দলকে ক্ষমতায় আসতে দেব না। আসুন আমরা সবাই মিলে এর প্রতিবাদ করি। আতঙ্ক নয় আত্ম হত্যা নয়, লড়াই করে নিজের অধিকার কেড়ে নিতে হবে। এই সঙ্কট কালে এটাই হোক আমাদের মূল কথা।

Sunday, 15 September 2019

বাঙালি এখনও ঘুমিয়ে থাকবে!

আমি যত দেখছি তত অবাক হয়ে যাচ্ছি, এই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার লড়াই করে ছিল,ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে, আবার এই বাঙালির ভয়ে ব্রিটিশ সরকার ভারতের রাজধানী ১৯১১ সালে কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে চলে গিয়ে ছিল। সেই বাঙালি আজ জেল হাজতে যেতে রাজি, উপরের যে ছবি টি দেখেছেন ও টি আসামের নতুন তৈরি জেল খানা যে খানে দেশ হীন ঘোষিত বাঙালি কে রাখা হবে বন্দী করে। আসাম এর এই বাঙালি জাতি কে বন্দী করে রাখার জেল খানা কারা তৈরি করছে যাদের ও খানে রাখা হবে তারাই অর্থাৎ নিজের জেল খানা নিজে তৈরি করছে। আসামের ঐ সাফল্য লাভ করেছে NRC তার কারণে সারা দেশে বাঙালি জাতি কে তাড়ানো বা বন্দী করে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। পশ্চিমবঙ্গেও হবে, হুঙ্কার দিচ্ছে, মুখে বলা হয়েছে বাঙালি মুসলমান তাড়ানো হবে কার্যত বাঙালি হিন্দু ও মুসলমান উভয় কে তাড়ানো হবে, বা জেল খানায় বন্দী করে রাখার ব্যবস্থা হবে। যেটা দেশ স্বাধীন করার সময় এক ধূরন্ধর বাঙালি বিদ্বেষী মারোয়ারি এবং এক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোভে করে ছিল। বাংলা ও বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে ছিল। যদিও ওপার বাংলা থেকে পালিয়ে এসে এপার বাংলায় আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল, হিন্দু মুসলমান তো ছিল আরেকটা বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছিল বাঙাল, ঘটি, যাতে বাঙালি জাতি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। না হলে স্বদেশী আন্দোলনের সময় বাঙালির ব্যবসা ছিল, ব্যাঙ্ক ছিল, বিমা ছিল। সে সব এখন ধ্বংস করে দিয়ে মারোয়ারি দের দখলে, রিষড়ায় অবাঙালীরা আওয়াজ তুলেছে বাঙালি তাড়ানোর। জিজ্ঞেস করলে বলে বাঙালি মুসলমান দের তাড়ানো হবে। আসামের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু আজ আসামে কি হয়েছে, ১৯ লাখ এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৪ লাখ হিন্দু ধর্মের লোক। যারা ১৯৫১ বা তার আগে এদেশে এসেছে তাদের নাম বাদ গেছে ঐ তালিকা থেকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে একই কথা বলছে বহু মানুষ লাখ লাখ কোটি মানুষ বাংলাদেশ থেকে এই পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে। আমি কত গুলি পরিসংখ্যান বলি একটু মিলিয়ে নেবেন, ১৯৯১ থেকে ২০০১ জনগণনায় দেখা গেছে, ভারতে বাঙালি জাতির লোক সংখ্যা কমেছে, আবার ২০০১ থেকে ২০১১ সালের জনগণনা আনুযায়ী আরও কমেছে বাঙালির সংখ্যা এই বাংলায় কারা বেড়েছে অবাঙালীরা মারোয়ারি আর খোট্টারা এরা ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে। আমার যদি বাংলাদেশের লোক আসে তাহলে বাঙালি জাতির লোক সংখ্যা কমে কি ভাবে? আসলে তা নয় বাঙালি জাতি কে বন্দী করে রাখার কৌশল যেমন সুভাষ চন্দ্র বসু কে ভারতে ঢুকতে দেয় নি। আপনি আধুনিক জেল খানায় বন্দী থাকবেন আর আপনার বাড়িতে থাকবে মেরে খোট্টারা। গোটা ভারত দখল করতে চায় এই মারোয়ারির দল এদের টাকা আছে মানুষ কে ঠকিয়ে অনেক টাকা করেছে। এই মারোয়ারি খোট্টা দের থেকে কোন জিনিস কিনবেন না। তিল কিনতে হলে বাঙালি জাতির দোকান বা ব্যবসা করে এরকম লোকের কাছে যান। অনেক হয়েছে দাদা আর প্রশ্রয় দেবেন না। আমার আবেদন বাঙালি জাতি তুমি নিজে কে জানতে শেখ বুঝতে শেখ, রেলের চাকরি, আজ হিন্দি ভাষী দের দখলে, আই এ এস ও আই পি এস এরা হিন্দি ভাষার জন্য পায়। সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা গুলোর প্রশ্ন পত্র হিন্দি ভাষায়। আর এখন এই অমিত শাহের মত বাঙালি বিদ্বেষীরা ক্ষমতা আছে, এরা চাইছে ভারতের সব ভাষা ধ্বংস করে ওদের মাতৃভাষা কে দেশের রাষ্ট্র ভাষা করে দিতে। যারা ভাবছেন আগামী দিনে এই রাজ্যের সরকার করবে পদ্ম শিবির, তারা চাইছেন নিজের ভাষা নিজের পরিচয় ভুলে গিয়ে এদের পদলেহন করতে। আর এর জন্য অনেক অংশে দায়ি আমাদের বর্তমান রাজ্য সরকার। এরাও কম অভিনয় জানে না, মুখে এক বলে কাজে আরেক করে, দেখবেন পরে এই না NRC চালু করে দেয়। কী বলবে কেন্দ্রীয় আইন রাজ্য মানতে বাধ্য। চেষ্টা করুন আগামী ২০২১ সালে যারা ছিল তারা যেন ফিরে আসে না হলে সবাই কে জেলে থাকতে হবে। কারণ সংখ্যা টা এক নেতা বলে দিচ্ছেন, সেটা নাকি ২ কোটি মানুষের আধুনিক জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। বাঙালি সাবধান হও ওঠো জাগো আর ঘুমিয়ে থেক না, সামনে তোমার বিপদ। 

প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের কত দাবি, নিয়ে দিদি কে বলছি ।

আমি এই ব্লগের মাধ্যমে দিদি কে বলছি, কারণ ফোন করলে জিজ্ঞেস করে আপনি কোন রাজনৈতিক দলের, তবে কাজ হবে।আমি মনে করি দিদি পশ্চিমবঙ্গের দশ কোটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাদের সুখ দুঃখ দেখা বা তাদের সব সমস্যার কথা শুনবেন এবং তাদের জন্যও তিনি কাজ করেছেন। তিনি যে সব পাকা রাস্তা বা ঢালাই রাস্তা তৈরি করেছেন, সেই রাস্তা দিয়ে কেবল তাঁর দলের লোক যাবে এমন টা নয়। আমার মনে হয় কিছু কিছু রাস্তা তৈরি করতে এতো গুর পড়ছে, পাথর, পিচ, সিমেন্ট সব গরু আর কুকুর চেটে খেয়ে নিয়েছে। যাহোক দিদি স্কুল গুলোর জন্য যে পোশাকের টাকা দিয়েছেন, যে খানে কম ছাত্র তাদের কথা বাদ দিন, যে খানে একশ বা দুশোর উপর ছাত্র আছে তাদের একটু বেশি টাকা, সেখানে সংঘ বা দল চাইছে অর্দ্ধেক টাকায় দুটো পোশাক দিতে, কারণ তারা কিছুতেই সুতির ছিট খুঁজে পাচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে, সভাপতি বলছেন চেকে স্বাক্ষর করব না, মাঝখান থেকে প্রধান শিক্ষক আর ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা বিপদে পড়ছে। এক্ষেত্রে আমার একটা প্রস্তাব আছে ঐ সব বিদ্যালয়ের পোষাকের টাকা ছাত্র ছাত্রীদের নগদ দিয়ে দেওয়া হোক, এই বিষয়ে আপনি একটা আদেশ দেন ভালো হয়। আরেকটা কথা দিদি আপনি আসার পর এই প্রথম বিদ্যালয়ে কম্পজিট গ্র্যাণ্ট দেওয়া হয়েছে। ভীষন ভালো কাজ কারণ ঐ টাকা  বিদ্যালয়ের সমস্ত কাজ করতে পারা যাবে, বর্তমানে ছাত্র অনুযায়ী এই টাকা দেওয়া হয়েছে, পঁচিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে পঁচাত্তর হাজার টাকা বা তার বেশি। এই টাকা কে খরচ করবেন প্রধান শিক্ষক না ভিইসি সভাপতি সেটা বুঝতে পারছি না।কারণ বিদ্যালয়ের  দ্বিতীয় পর্ব মূল্যায়ন করা হয়েছে টাকা খরচ হয়েছে, এবং বিদ্যুতের বিল দেওয়ার জন্য খরচ নিশ্চয়ই করা যাবে। এখানেই গোল বেঁধেছে, সভাপতি বলছেন আমি চেকে স্বাক্ষর করব না। এবার প্রধান শিক্ষক নিজের বেতন থেকে ঐ টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন, আবার সামনে বিদ্যালয়ের খেলা ও তৃতীয় পর্ব মূল্যায়ন আসছে সেই একই ঘটনা ঘটবে, তাহলে আমার আপনার কাছে জিজ্ঞাসা ঐ টাকা দিয়ে কী লাভ হলো? এই তো সামান্য টাকা এখানেও যদি...... পঞ্চায়েতে রাস্তা তৈরির অনেক টাকা সেখানে না হয়, গুর একটু বেশি দিল গোরু ছাগল কুকুর সব চেটে নিল। এখানেও যদি তাই হয় তবে আর টাকা দিয়ে কী লাভ? আমার মনে আপনি যে হারে খবরের কাগজে শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি করেছেন, সেটা তো বিদ্যালয়ের বিদ্যুতের বিল পরীক্ষা বা মূল্যায়ন করতে খরচ করতে হবে, এটা যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে ঠিক আছে, যদি মনে করেন প্রধান শিক্ষকের সংসার আছে তাদের প্রতি পালন করতে টাকা লাগে, তাহলে আমার প্রস্তাব ভি ই সি থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি বাদ দিয়ে শিক্ষা কে রাজনীতি মুক্ত করুন। নতুন করে কমিটি গঠন করার আদেশ দিন সেখানে অভিভাবক প্রতিনিধি থাক, আর বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের রাখুন। জানি না আপনি এই ব্লগটি পড়েন কিনা! আপনি যদি পড়েন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবর্তন করে দিন, এই পদ্ধতি বাম আমলে তৈরি শিক্ষকরা আগেও বলেছেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি, আপনি এসেও বামেদের এই প্রথা বজায় রেখেছেন। পাল্টে দিন দিদি একটা বিদ্যালয় পরিচালনা করতে যে টাকা আপনি দিয়েছেন সেটা খরচ হোক, না হলে প্রধান শিক্ষক তার বেতন থেকে খরচ করে যাবে, তবে এটাও ঠিক অনেক বিদ্যালয়ের সহকর্মীদের ইচ্ছা সব টাকা প্রধান শিক্ষক তার বেতন থেকে খরচ করুক, সেই জন্য সভাপতি কে চেকে স্বাক্ষর করতে বারণ করে দিচ্ছে, আলাদা ভাবে তার সাথে মিটিং করছে, ফোনে কথা হচ্ছে। যাতে প্রধান শিক্ষক বেতনের টাকা বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে খরচ করে দিতে বাধ্য হন। আর বাড়তি কিছু লিখেছি না, আপনি যদি এই লেখা পড়েন আশা করি সমাধান করে দেবেন।

Friday, 13 September 2019

ক্ষমতা আসার আগে যা যা অভিযোগ করতেন এখন দেখি তাই হচ্ছে।

ক্ষমতায় আসার আগে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলেছেন। এই রাজ্যে গনতন্ত্র নেই গনতান্ত্রিক আন্দোলন করতে দেয় না। পুলিশ এখন সি পি এম হয়ে গেছে সি পি এম এর লোক পুলিশ সেজে মারছে। রাজ্যের বেকার বেশি, আমি ক্ষমতায় এলে সব পার্শ্ব শিক্ষকের চাকরি পাকা করে দিয়ে বেতন বাড়িয়ে দেব। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার সাথে সাথে আমরা ডিএ দেব, রেশন কার্ড পার্টি অফিসে বসে বসে করে দেওয়া হয়। আমরা এলে এসব বন্ধ করে দিয়ে সুস্থ ব্যবস্থা করা হবে।পুলিশ সম্পর্কে আরেকটা কথা প্রচলিত ছিল, থানায় অভিযোগ নিতে চায় না। আরেকটা ঘটনা দেখে ছি চপলা সর্দার কেস, আরও অনেক কিছু অভিযোগ ছিল, দিদির। মানুষ ভোট দিতে পারেন না, সিঙ্গুরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাই রাজ্যে গনতন্ত্র নেই এই কারণেই বিধানসভায় ভাঙচুর করে ছিলেন তিনি এবং তার ভাইয়ের দল, আর এই ছাত্র ছাত্রী বা বেকার যুবক যুবতী দের দল কিন্তু নবান্ন দখল করতে যায় নি বা ভাঙতে যায়নি। কেবল ছাত্র যুব দের আন্দোলন যে কোন বিরোধী আন্দোলন আপনি এবং আপনার দল সহ্য করতে পারছে না। আপনি প্রশাসন কে কাজে লাগিয়ে আন্দোলন করতে দিচ্ছে না, মানুষ তো এসব বিশ্বাস করে যে এসব আর হবে না। পরিবর্তন হলে মানুষ শান্তি পাবে, ভোট দিতে পারবেন, সব বেকার কাজ পাবে। সিঙ্গুরে চারশ একর ফেরত দিয়ে ছয়শ একরে শিল্প হবে। মানুষ খুন বন্ধ হবে। একটা সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে মানুষ পরিবর্তন করে দিয়েছেন। কি দেখছি রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা শাসক দলের বিধায়ক কাউন্সিলর খুন হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের পুলিশ যে কোন আন্দোলনে লাঠি হাতে মারছে, জল কামান চালাচ্ছে, কেন মানুষ এসবের হাত থেকে মুক্তি পেতে এবং রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং কোন মানুষের রক্ত না ঝড়ে সব মানুষ শান্তি চায় সেই কারণেই এই পরিবর্তন। আপনার কথা মতো বাম আমলে যা ঘটে ছিল এখনও যদি তাই ঘটে তবে আর পরিবর্তন করে কি লাভ হলো। আর যে ছেলে মেয়ে গুলো কে মেরেছে, তারা কোনো বাবা মায়ের সন্তান। দিদি সন্তানের ব্যথা বাবা মা বোঝে অন্য কেউ না। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কে বলছি একটু ভেবে দেখবেন দিদি যে সব অভিযোগ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের বিরুদ্ধে করতেন এখন সেটা হচ্ছে কি না? আর বাম সরকার খুব দূর্বল ছিল সেই কারণেই বিধান সভা ভাঙচুর করেও জেল খাটতে হয় নি। ঐ কাজ টা খুব ভুল করেছে, একবার জেলের ভাত পেটে পড়া উচিত ছিল। ২২ দিনের জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে থাকা তাতেও তারা হস্ত ক্ষেপ করেনি। সবাই ভাবুন আপনারা এই সব দেখেতে পরিবর্তন করে ছিলেন। আপনি যে সব অভিযোগ বামেদের বিরুদ্ধে করতেন, সে গুলো এখনও ঘটছে তাহলে এই পরিবর্তন করে কি লাভ হলো। একটা লাভ হয়েছে, পুলিশের মার তো আছে, আবার থানায় ঢুকে পুলিশ কে মারা সেটাও আছে। আরেকটা কাজ হয়েছে, ঐ ধর্মের নামে জাতের নামে আবার রাজ্য ভাগ হবে। সত্যিই দারুণ পরিবর্তন চার পাশে নেই নেই তবুও কিছু বলা যাবে না আন্দোলন করা যাবে না। এই পরিবর্তন আপনি চেয়ে ছিলেন, খুব ভালো পরিবর্তন হয়েছে। আবার সামনে আরেকটা বিপদে রাজ্য বাসি পা বাড়িয়ে দিয়েছে।

Thursday, 12 September 2019

তোমাদের দীপ্ত চলার ঘায়, শাসক ভয় পায়।

আজকের মিছিল হোক আগামীর সূর্য উদয়। বাংলায় ফিরে আসুক আবার লাল নিশান। বাংলা আজ নাগিনীর বিষাক্ত নিঃশ্বাসে ভরে উঠেছে। গত ২০০৬ সালে সিঙ্গুরের বুকে বেকার ছেলে মেয়েদের কাজ পাওয়া আশা কে, তাড়িয়ে গুজরাতের সানন্দে পাঠানো,এবং শেষ পর্যন্ত পর্যন্ত ডেনামাইট দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে শেষ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় তৈরি একটা কারখানা কে, কেবল সিঙ্গুর নন্দী গ্রামের পাশে নয়াচর, যেখানে কেমিক্যাল হাব, আর শালবনি, রঘুনাথপুর ও রাজার হাটে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প সব আজ শ্মশান।  ডানলপ খোলার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, জেসপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কল কারখানা অধিগ্রহণের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষষমতায় এসে আজ সব ফাঁকা, উল্টে হিন্দ মোটর বন্ধ হয়ে গেছে, জুট মিল প্রায় সব বন্ধ। সরকারি চাকরি সে তো কাগজের বিজ্ঞপ্তি, এবং কাগজে কলমে এতো বেকার চাকরি পেয়েছে, রাজ্যে আর বেকার নেই। চাকরির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা ও অনশন করতে হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সেত তথৈবচ, দান খয়রাতি চলছেই, নতুন করে আবার পুরোহিত ভাতা শুরু হচ্ছে, দুর্গা পূজ, ক্লাব বছরে পাঁচ শ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য এবং বিভিন্ন মিথ্যের ফাঁদে মানুষ আজ দিশেহারা। আর এক দিকে ধর্মের জিগির তোলা হচ্ছে, পিটিয়ে মেরে দেওয়া, আবার হুমকি আসছে, দু কোটি মানুষ কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাড়ানো হবে। সেখানে ও ধর্মের জিগির, দেশের মানুষ আজ দেখছে এক আর হচ্ছে আর এক। বিভিন্ন রকম চমক দিয়ে মানুষ কে ভুলিয়ে রেখে দেশটা কে বেচে দেবার মতলব করছে, দিল্লি সরকার। এর বিরুদ্ধে ও সমগ্র সমাজ পরিবর্তনের ডাক, সব হাতে কাজ সব পেটে ভাত, সত্যিই ধর্ম পালন মানুষ তখন করবে যখন তাদের পেটে ভাত থাকবে। তোমরা তোমাদের দাবি আদায়ের জন্য আরও এগিয়ে যাও। আমিও তোমাদের পেছনে আছি, যতই আসুক ঝড় তুফান, থামবে না এ চলা। এগিয়ে

Tuesday, 10 September 2019

NRC তে বাদ পড়া মানুষ বলছেন, গন আত্ম হত্যার কথা, আত্ম হত্যা কোন পথ নয়।

আত্ম হত্যা করা কোনো মহৎ কাজ নয় আত্ম হত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়।
বাঁচাতে হবে লড়াই করে বাঁচতে হবে, বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করতে ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গ ভঙ্গ করতে চেষ্টা করে পারে নি, কিন্তু তীব্র আন্দোলন আর প্রতিরোধের জন্য ব্রিটিশ সরকার পিছিয়ে আসে। তখন কত গুলি ভালো কাজ হয়েছিল। বাঙালি জাতি তাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক বিমা নানা রকম শিল্প গড়ে তুলে ছিল। দিয়াশালাই শিল্প থেকে আরো নানা রকম শিল্প গড়ে উঠেছিল। রজনীকান্ত সেনের, "মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেনা ভাই।দীন দুঃখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই।" তার পরেই শুরু হয়েছিল স্বদেশী আন্দোলন, ঠিক সেই ভাবে বর্তমানে মেরে খোট্টা দের বয়কট করুন। দেখুন বাঙালি জাতির অর্থাৎ খাঁটি বাংলার মানুষের দোকান বা ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করা হবে। আর NRC নামে বাঙালি তাড়ানো এই বি জে পি কে বয়কট করুন। অনেকে বলবেন আপনি এতো NRC বিরোধী কেন? আমি NRC বিরোধী নয়, আমি চাই NRC ভাবে NRC হোক হিন্দু  আর মুসলমান ভাগ করে নয়, কিম্বা বাড়ির সকলের নাম আছে একজনের নাম বাদ, আবার সঠিক কাগজ পত্র দেওয়া সত্ত্বেও অনেক পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ১৯ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১১ লক্ষ হিন্দু বাকি মুসলমান। ১৯৪৮ সালে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে ছিল কংগ্রেসের সেই সময় কার দুই বড়ো নেতা, একজনের নামের লোভ, আর তার জাত ভাই যাতে ব্যবসা করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। এই লোক টি ছিল গুজরাতের এখন টাকায় ছবি হয়েছে, সুভাষ চন্দ্র বসু ছিল দু চোখের বিষ, বাঙালি জাতি বিদ্বেষী তাদের জাত ভাই দুজন বর্তমান দিল্লির ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। একজন খুব বাঙালি প্রীতি দেখাচ্ছে, সুভাষ চন্দ্র বসু কে অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করবেন। আবার মাঝে মাঝে বিবেকানন্দের বানী বলেন। পারলে শ্যমা প্রসাদ মুখার্জি বেঁচে থাকলে তার পা ধুয়ে জল খেত। মিছরির ছুরি মুখে ভালো বাসা আর পেছনে ছুরি মারা, আরেক জন হুমকি দিচ্ছেন, বাংলায়. NRC করবই, NRC করে তাতে যারা বাদ পড়বেন তাদের ডি ভোটার ঘোষণা করে দিয়ে গোরুর মতো খোঁয়ার তৈরি করে রাখা হবে। মানুষ কে ভিটে ছাড়া করা হবে, করে তার জায়গায় মেরে খোট্টারা এসে বাস করবে। আপনি মনে করুন ১৯৭০ সালের আগের ডকুমেন্ট দিলেন। তাদের পছন্দ হলো না, তাদের নিজেদের ভিটে মাটি ছেড়ে যত দিন না বাংলাদেশ ফেরত নেয় তত দিন ঐ ক্যাম্পে অর্থাৎ খোঁয়ারে থাকবে তাদের বাড়িতে থাকবে মেরে খোট্টারা। যারা ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে আর ফুচকা, আলু কাবলি, চুরমুর, আখেরে রস বিক্রি করে বেড়বে। এদের বয়কট করুন। আত্মহত্যা কোনো পথ নয়। আজ দেখলাম বাড়ির সকলের নাম আছে মেয়েটির নাম নেই বলে সে আত্মহত্যা করেছে কী মর্মান্তিক পরিবর্তন রাষ্ট্রহীন হওয়ার থেকে মরে রাষ্ট্র কে মুক্তি দেওয়া ভালো।
আমি চাই না NRC নামে মানুষ কে ভিটে ছাড়ার করে খোঁয়ারে করে রাখা, কিম্বা বাড়ির কোন সকল সদস্যের একজন সদস্যের নাম নেই, সে আত্মহত্যা করেছেন। আমি চাই না বাঙালি আবার তাদের ভিটে মাটি ছাড়া হোক। আর কোনো প্রিয় জনের মৃত্যু হোক।


পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছর বামপন্থীরা শাসন করেছে, কোথাও শুনিনি ধর্ম পালনে বাধা দিয়েছেন।

কিছু সংবাদদাতা সংবাদ পত্র অন লাইন হোক, আর প্রিন্ট হোক বা দূরদর্শনে হোক বামপণ্থীরা কোন কারণে ঠাকুর বা দেবতার কথা বললে রে রে করে ওঠে। আমার জানা নেই কবে বামপণ্থীরা মানুষ কে ঠাকুর পূজো করতে বারণ করেছিলেন, কিম্বা বলে ছিলেন, যে একজন বামেদের সমর্থক ও ঠাকুর পূজা করতে পারবে না। আমি এটুকু জানি বাম পন্থী দল গুলো ঠাকুর পূজা নিয়ে মাতামাতি করে না। কারণ দেবতা বা ঠাকুর আছে কিনা কেউ জানে না, স্বয়ং রামকৃষ্ণের কথা ছিল, শিব জ্ঞানে জীব সেবা করার। আর এই কথাটা ওনার প্রধান শিষ্য বিবেকানন্দ অন্য ভাবে বলে ছিলেন, ' বহু রূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর।জীবে প্রেম করে যে জন সে জন সেবিছে ঈশ্বর।' আর বামফ্রন্ট সরকার যদি সঠিক ভাবে শিক্ষা দিতে পারত তাহলে আজ পশ্চিমবঙ্গের বুকে বাবার মাথায় জল ঢালার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হতো না। সমাজ ব্যবস্থা থেকে তথা গরীব মানুষের মন থেকে ঈশ্বর কে কেউ মুছে ফেলতে পারে নি। কারণ কিছু মানুষ আছে যারা, নিজেদের স্বার্থে ধর্ম কে নিয়ে রাজনীতি করে। গরীব মানুষের দুঃখের কারণ ঠাকুর তুমি গরীব মানুষ ঠাকুর পুজো কর দেখ সব সমস্যার সমাধান হবে। এরকম একটা কথা বহু যুগ ধরে প্রচারিত, আর এটা ঠিক বাম পণ্থীরা প্রথম দিকে ধর্মের কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেনি, এখনও অনেকেই থাকেন না, আর সেই কারণেই গরীবের পার্টি আজ মধ্যবিত্ত ও উচ্চ বিত্তের পার্টি হয়ে গেছে। আমি আগেই বলেছি গ্রামের গরিব মানুষ এখনো ঠাকুর দেবতায় গভীর ভাবে বিশ্বাস করে। শাসক বা সরকার যখন  গরীব মানুষের কাজের সঠিক ব্যবস্থা করতে পারে না, খাদ্য বাসস্থান,  শিক্ষা, মানে সঠিক শিক্ষা তখনই গ্রামের গরিব মানুষ দেবতার দিকে ঝুঁকে পড়ে। পৃথিবীতে মানব সভ্যতার আদি থেকে ধীরে ধীরে ধর্মের জণ্ম, এক সময় এসে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ ধর্ম দিয়ে মানুষ কে এক জোট করে নিজের কর্তৃত্ব করেছে, রাজা হয়েছে, রাজ্য বা দেশ শাসন করেছে। একটু খেয়াল করে দেখুন হিন্দু ধর্মের গোঁড়ামি ভাঙতে এসেছে বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, শিখ ধর্ম আরো নানা ধর্ম পৃথিবীতে এসেছে, ধর্মের নামে মানুষ কে এক করতে পেরেছে, এবং কিছু কাল ধরেও রেখেছিল। মার্কসবাদী ধারণা যখন এসেছে, তার সাথে ধর্মের সংঘাত লেগেছে, একটাই কারণে গরীব খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখের কারণ তথাকথিত অভিজাত শ্রেণী তারাই এই গরীব মানুষের শ্রম শোষণ করে নিচ্ছে, বিনিময়ে তাদের প্রাপ্য সঠিক অর্থাৎ জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার নূন্যতম প্রয়োজন টুকু তারা পাচ্ছে না। এই অভিজাত শ্রেণী দেবতা ঠাকুর দিয়ে তাদের ভুলিয়ে রেখেছে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়েছে মার্কসবাদ। গরীব মানুষ তুমি লড়াই করে তোমার ন্যায্য অধিকার আদায় করে নাও, বেঁচে থাকার অধিকার আদায় করে নাও। বাম পন্থা বা মার্কস বাদ কখনো কারো ধর্ম পালনে বারণ করেনি, কেবল একটি কথা ঠাকুর দেবতা ডাকতে যে সময় ব্যয় করছ সেই সময় কাজের মধ্যে থাক, আর নিজের অধিকার আদায় করে নাও, কেউ তোমায় যেচে তোমার অধিকার দেবে না। যে সব অভিজাত শ্রেণী তোমার বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করে রেখে, বলছে ঠাকুর দেবতা ডাক সব ঠিক হয়ে যাবে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন করতে হবে, আমার মনে হয় এটাই বামেদের বক্তব্য। আমি মনে করি আমার কোন শ্রদ্ধেয় নেতা কে ঈশ্বর আল্লাহ বললেন এটা আমার বিচারের বিষয় নয়, আমার বিচার্য্য তিনি আমার দাবী টি সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছে কিনা? এখানে যে নেতৃত্ব সম্পর্কে বা তার পারিবারিক বিষয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন তাকে বলছি, তুমি ভাই এটা খবর করছ না, বি এস এন এল উঠে যাবে। রেল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, ডাক বিভাগ তো উঠেই গেছে, গাড়ি শিল্পে মন্দা আগামী দিনে হাজার হাজার মানুষ কর্ম হীন হয়ে যাবে। তুমি ভাই এটা দেখছ না, ধর্মের জিগির তুলে বাঙালি তাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। তুমি কেবল দেখলে মহঃ সেলিমের ছেলের বিয়ের কার্ডে ইনসা আল্লাহ লেখা আছে সেটা। 

Sunday, 8 September 2019

দিদির সাথে দাদার কী মিল।

আপনাদের মনে আছে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ আমাদের প্রিয় দিদি প্রথম ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার একশ অতিক্রান্ত হওয়ার পর বলে ছিলেন। আমি অর্ধেক কাজ করে দিয়েছি। আর এক বছর পর বলে ছিলেন। আমি নিরানব্বই শতাংশ কাজ করে ফেলেছি। আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রিয় দাদা তার দ্বিতীয় ইনিংসের সরকার একশ দিন পূর্ণ করে বলছেন, তিনি ৭০ বছরের কাজ করে ফেলেছেন। আরেকটা জায়গায় পড়লাম তিনি ৬০ বছরের কাজ করে দিয়েছেন।
আমি তো এবার ধন্দে পড়ে গেছি কোন টা ঠিক, একটা খবর দশ বছর কম বলছে কেন? আমি যতদূর জানি এই একশ দিনে
কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ, ১) কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা তুলে দেওয়া। ২)আসামের NRC রিপোর্ট প্রকাশ করে বাঙালি তাড়ানোর ব্যবস্থা করা। ৩)সরকারি গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি বেসরকারি হবে তার ব্যবস্থা, যদিও কর্মীদের আন্দোলনে সেটা এখন স্থগিত রাখা হয়েছে। ৪)নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ, বিশেষ করে মশলা পাতি পোস্ত শব্দ এখন অতীত ইতিহাস হয়ে গেছে। ৫) বেতন বাড়ছে কিন্তু খেটে খাওয়া শ্রমিকের মজুরি তলানিতে। ৬)সার বীজের দাম বেশি অথচ ফসলের দাম না পেয়ে কৃষক আত্মহত্যা করছে। এই রাজ্যে শিলাদিত্য চৌধুরী সারের দাম বেশি কেন প্রশ্ন করে মাওবাদী হয়ে জেল খেটেছে। ৭) রেলের কর্মী ছাঁটাই করা হবে, প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ৮) BSNL ৫০ % থেকে ৭০% কর্মী কে ছাঁটাই করে দেব বলছে। ৯) গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি বেসরকারি করা হবে, যদিও সে প্রচেষ্টা কর্মীদের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। ১০) গাড়ি শিল্প ধুঁকছে, ব্যাঙ্ক গুলো সংযুক্ত করা হবে, নোটিশ হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করা শুরু করে দিয়েছে। ১১) স্বাধীনতার সত্তর বছর পরে এখন দেশে বেকারত্বের সংখ্যা সবথেকে বেশি। অথচ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রেলে লক্ষ লক্ষ চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল ২০১৬ ক্ষমতায় আসার আগে ও লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তে কাগজ ভর্তি করে দিয়ে ছিল। দু সরকার এক জন কর্মী নিয়োগ করেনি। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এখানে চাকরির পরীক্ষায় পাশ করে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয় না, আত্ম হত্যা ও অনশন করতে হচ্ছে। অনশন করেই চাকরি মিলবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ আজ পর্যন্ত যারা অনশন করল তারা কেউ চাকরি পায় নি। অথচ দেখুন গান্ধীজি অনশন করে দেশ স্বাধীন করে ছিল। এই জন্যই বাঙালি তাড়ানোর জোরদার প্রয়াস। 

দেশের বেকার সংখ্যা আরো বাড়বে, শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই।


দেশের অর্থনীতি আজ ভেঙে পড়েছে, কয়েক বছর আগের USA তে ঠিক এই অবস্থা হয়েছিল। কেউ কেউ বলেছেন, নোট বন্দীর ফল, হলেও হতে পারে আমি ঠিক জানি না এবিষয়ে বুঝি না। এটা বুঝতে পারছি, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে, পুজোর আগে যে ভাবে মানুষ কেনা কাটা করত এই ক বছর আর করে না। মানুষের স্থায়ী আয় কমেছে, জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে, সেই তুলনায় সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। এই কারণেই গাড়ি শিল্প, ব্যাঙ্ক, বি এস এন এল যদিও এই বই এস এন এল কে ইচ্ছাকৃত তুলে দেওয়া হলো। বেসরকারি সংস্থা গুলো কে সুযোগ করে দিতে, যেমন কেবেল টিভি চ্যানেল আগে একশ টাকা দিলেই দেখতে পেত আর এখন ডিজিটাল এর নামে প্রায় তিনশো টাকা মাসে দিতে হচ্ছে। বিদ্যুতের বিল অভিনব কায়দায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ বেতনের বা আয়ের অবস্থা সেই তিমিরে। আরো কিছু ছবি দিলাম দেখুন কেমন আচ্ছা দিন এনেছেন।
এর পর আছে জালিয়াত, যারা দেশের টাকা লুঠ করে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত, আর কিছু দিন এই ভাবে চললে স্টেশনে শুয়ে থাকা আর ভিক্ষারীর সংখ্যা বাড়বে। এখনি সাধারণ মানুষের ভিক্ষারীর দশা এর পর যে কী হবে ভাবতে পারবেন না, দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা না দিলে হয়। এখনই ৬০ থেকে ৭০ % মানুষ একবেলা কোন রকম কিছু একটা খেতে পায়। ব্যাঙ্ক লুট নিয়ে এস বি আই কী বলছে।
আর তার উপর আছে, নেতা মন্ত্রী দের জালিয়াতি, জানে একবার চুরি করলে কোনো সাজা নেই, ভোটে দাঁড়িয়ে কেবল মিথ্যে কথা বলে যেতে পারলেই হবে তবেই কোটি কোটি টাকা হজম করা যাবে। জনগণ ও তো কুত্তার জাত এক টুকরো রুটি ছুঁড়ে দিলে ল্যাজ নেড়ে পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়াবে। যা হোক সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আগামীদিনে   চিন্তা করে সঠিক পথ বেছে নিন।

আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় মন্ত্রী খুব ভালো একটা কথা বলেছেন।


আমি একজন সাধারণ মানুষ মন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বিবেকানন্দ কবে বলেছেন 'যা গেছে তা যাক।' বিবেকানন্দ কবে রাজনৈতিক দল গঠন করে ছিলেন। বলে ছিলেন, একশ টা কথায় দুশো টা মিথ্যে কথা বলতে। বিবেকানন্দ কবে বলে ছিলেন, রাজ্যে কোনো শিল্প করতে দেব না। টাটা বাই বাই, কবে বলে গিয়েছেন জানি না, বিরোধী দল অর্থাৎ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে নির্বাচিত হতে আর তোলা তুলে কাট মানি খেয়ে কোটি কোটি টাকা হজম করতে। বিদ্যাসাগর কবে বলে ছিলেন, আমার জানা নেই, যে কন্যাশ্রী দিতে আর সেই টাকা কলেজে ভর্তির জন্য ভাইপো দের ঘুষ দিতে হবে। বিদ্যাসাগর বলে ছিলেন, শরীরের জ্বর জ্বালা যেমন তেমন....। বিবেকানন্দ বা বিদ্যাসাগর কবে বলে ছিলেন, যে খানে কাট মানি নেওয়া যাবে না, সেখানে সব কিছুতেই বাধা দিতে হবে। সামান্য বাচ্ছা দের পোশাক ও বিদ্যালয়ের উন্নয়নের সামান্য টাকা ভাগ চাই কথা সরাসরি বলছেন না, কী বলেছেন চেকে পেমেন্ট চেকে স্বাক্ষর করব না। বিবেকানন্দ বা বিদ্যাসাগর কবে বলে গেছেন আমার ঠিক মনে নেই, তোলা আর কাট মানি ভাগ দিলেই সাত খুন মাফ। আমি আমার আশে পাশে অনেক বিবেকানন্দ ভক্ত দেখি তারা মুখে বিবেকানন্দের নীতি আদর্শ সবার সামনে বলেন। আর পিছনে মানুষের ক্ষতি করতে দু বার ভাবে না। বিবেকানন্দ একটা কথা বা বানী সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায় কোনো কিছুর জন্য সত্য কে ত্যাগ করা উচিত নয়। আর একটা কথা মনে কোন মহাপুরুষের বানী, উপকার না করতে পারলে অপকার করো না। অপরের ক্ষতি করে নিজের ভালো হয় না। আজ আমরা কী দেখছি, সরকারি কাজের সাথে কথার মধ্যে কোনো মিল নেই। কেউ যদি বিরোধীতা করেছে, তার অবস্থা খারাপ, মিথ্যে কেসে তাকে জেলে যেতে হবে। আরেকটা কথা খুব প্রচলিত আছে আগেও এই সব হয়েছে, আগে হয়েেছ বলে না  পরিবর্তন করে দিয়েছেন। পরিবর্তন করে দেখছে  সেই সব নেতা তথা পাড়ার দাদা দের দাদাগিরি।কাট মানি আর তোলা তুলে টাকার কুমির, আর বিরোধী দলের সমর্থক হলে সে সব কিিছু থেকে বঞ্চিত। বিদ্যাসাগর বিবেেকানন্দ এসব কবে বলে গেছেন আমার ঠিক জানা নেই। 
  

Friday, 6 September 2019

দারুণ বাঙালি জাতির প্রতি ভালোবাসা।

উদ্দেশ্য টা কি বাঙালি জাতি কে প্রভাবিত করার, না একজন সত্যিকারের দেশ নায়ক কে সণ্মান জানান। যদি দ্বিতীয় কারণে উনি করে থাকেন, তাহলেও বলতে হয় উনি মন থেকে এসব করছেন না। একদিকে বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করে NRC নামে বাঙালি তাড়ানো শুরু করে কি করছেন। বাঙালি জাতি কে সণ্মান জানাচ্ছেন, যদি সত্যি সণ্মান জানাতে হয়, নেতাজির সমস্ত গোপন ফাইল জনগণের সামনে আনুন, আর নেতাজির আদর্শ ছিল, সমাজের শ্রেণী ভেদ তুলে তাকে আদর্শ সমাজে উন্নিত করা। সমাজ তথা দেশের সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে, একবেলা কোনো রকম খাবার জোটাতে হাড় হিম করা পরিশ্রম করতে হবে না। রাষ্ট্র বা দেশের সর্ব স্তরের মানুষের সমান অধিকার দেবে, কাজের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, খাদ্যের অধিকার, বাস স্থানের অধিকার, কখনো দেশ ভাগ করা নয়। নিজের জাতি বা সমাজের স্বার্থে অপরের ক্ষতি করা নয়। নেতাজী ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ মেনে চলতেন। বিবেকানন্দ উচ্চ নীচ অর্থাৎ জাতি ভেদ মানতে না। মেথর মুচি চণ্ডাল অর্থাৎ আপনার ভাষায় দলিত সম্প্রদায় সকলে তার কাছে সমান ছিল। আপনা কে বাঙালি প্রীতি দেখাতে ঐ ভরং দেখিয়ে একজন দেশটা ভাগ করে সর্বনাশ করে গেছে। আর আপনি বাঙালি তাড়ানোর জন্যে NRC এনেছেন। বাঙালি তাড়িয়ে জমিয়ে ঐ উদ্বৃত্ত জমি কাদের দেবেন নিজের পেটওয়া মারোয়ারি ব্যবসা দার কে? দেশের সব সম্পদ তো দখল করতে তৈরি হচ্ছেন। শেষে দেশ টা কে বিদেশের কাছে বিক্রি করে দিতে চাইছেন। আপনি যে সব কথা বলে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন। আর আজ তার ঠিক উল্টো দিকে হাঁটছেন। এই তালিকা দেখুন
BSNL তুলে দিয়ে JIO, সরকার চালিত অস্ত্র কারখানা বন্ধ করে দিয়ে বেসরকারি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। রেলে নিয়োগের জন্যে ভোটের আগে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। আজ আমাদের কী দেখছি রেল থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে, Bank তুলে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। আর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সে তো আকাশ ছোঁয়া। যাহোক আপনি ভালো থাকবেন, আর মিথ্যে কথা বলে মানুষ কে বোকা বানাবেন না।


Wednesday, 4 September 2019

শিক্ষক দের তো দেওয়া হয়েছে শিক্ষা রত্ন!

 ৫ ই সেপ্টেম্বর ভারত বর্ষ জুড়ে পালিত
হবে, 'শিক্ষক দিবস' ডঃ সর্ব পল্লী রাধাকৃষ্ণাণের জণ্ম দিন। ব্যক্তিগত জীবনে উনি শিক্ষক ছিলেন, স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়ে ছিলেন দুবার।
এই বিখ্যাত ব্যক্তির জণ্ম দিন শিক্ষক দিবস হিসাবে পালিত হয় ভারতে। আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস ৫ই অক্টোবর। যাহোক ভারতের সব রাজ্যের সঙ্গে এই রাজ্যের সরকার শিক্ষক দের সণ্মান জানাতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও  ৫ই সেপ্টেম্বর কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি সভা আহ্বান করেছেন। সেই সভায় শিক্ষক দের মধ্যে থেকে শিক্ষক রত্ন খুঁজে সরকার শিক্ষা রত্ন দেবেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু করেছে, খুব ভালো জিনিস। আমি মনে করি এই পুরস্কার আগেই দেওয়া হয়ে গেছে, কেবল প্রাথমিক শিক্ষক নয়, কম্পিউটার শিক্ষক, বৃত্তি শিক্ষার শিক্ষক, পার্শ্ব শিক্ষক, এস এস সি পাশ করা হবু শিক্ষক, SSK, MSK শিক্ষক, উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষা বন্ধু ভাই বোন দের, ঐ রত্ন পুরস্কার অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। মনে নেই, কয়েক দিন আগে কল্যাণী তে পার্শ্ব শিক্ষক দের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, এর ফলে পার্শ্ব শিক্ষক দের আগষ্ট মাসের বেতন এখন হয় নি।  তার আগে প্রাথমিক শিক্ষক দের,অন্যান্য সব ধরনের শিক্ষার সাথে যুক্ত আন্দোলনের ব্যক্তি দের এই রত্ন দেওয়া হয়েছে। জল কামান, পুলিশের লাঠি, গ্রেফতার করে জেলে, আন্দোলন করলেই দূরে বদলি, সেই রত্ন পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে। ডিএ চাইলে ঘেউ ঘেউ, আন্দোলনে দাও দাও করা বলা যাবে না। সব থেকে বড়ো রত্ন খবরের কাগজের সাংবাদিকরা দিয়েছে, আট হাজার দশ হাজার টাকা করে আগামী ১লা আগষ্ট থেকে বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে বলে প্রচার করে। আমার মতে ঐ সব সংবাদদাতার কাছ থেকেই ঐ বেতনের টাকা আগষ্ট থেকে নেওয়া উচিত। সব থেকে বড় রত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, সর্ব শিক্ষার দেওয়া পোষাকের টাকা ও কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা মিলে প্রায় দু লক্ষ টাকার উপর বিদ্যালয়ের টাকা, সেই সব বিদ্যালয়ের সভাপতি অর্থাৎ শাসক দলের তিনি কথায় কথায় চেকে স্বাক্ষর না করার হুমকি দিয়ে রাখছেন। প্রধান শিক্ষক কে এমন শিক্ষা রত্ন পুরস্কার দিচ্ছেন বলবার নয়। টাকা তিনি খরচ করেও আর টাকা পাচ্ছেন না। এ রকম শিক্ষা রত্ন পুরস্কার কিন্তু শাসক দলের সিঙ্গুর এলাকাতেও আছে। সরকারি টাকা না খরচ করতে দিলে দরকার নেই, কিন্তু যে টা খরচ করে ফেলেছে, বলা হয়েছে ঐ টাকা থেকে সব খরচ করতে পারে। তাহলেই হয়েছে, শিক্ষকের বেতনের টাকা আর বাড়ি নিয়ে আসতে হবে না। পাওনা দার রা গলায় গামছা দিয়ে আদায় করবে। জানি না যে সব সভাপতি এরকম করছেন, তাদের মনের কথা কী? আহারে শিক্ষক দের আর কত রকমের শিক্ষা রত্ন দিদি উপহার দেবেন। 

Monday, 2 September 2019

আমি এখনও পর্যন্ত জানলাম না মানবাধিকার কী?

আজ গোটা দেশে যা হচ্ছে, সে সব কী মানবাধিকারের বাইরে। এই যে NRC র নামে মানুষ কে ভিটে ছাড়ার বা বাস করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। আমি জানতাম আদিবাসী দের দেশ ছাড়া করা যায় না।  ভারতের যে কোন স্থানে তারা বসবাস করতে পারে, এখন দেখছি উল্টো। আমি কত গুলো ছবি দিচ্ছি দেখুন আর ভাবুন এগুলো মানবাধিকারের অর্থাৎ গনতান্ত্রিক দেশে এগুলো মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে কী না।
এরা আদিবাসী NRC নামে এদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া।
বাঙালি জাতি কী মানুষ নয়, তাদের যখন তখন দেশ ছাড়া করা যায়।বাঙালির অধিকার নেই, ভারতের অন্য রাজ্যে বাস করার কেবল হিন্দি ভাষী, মারোয়ারি, গুজরাতী, পাঞ্জাবি, এরা ভারতীয়। পাঞ্জাবী দের সঙ্গে বাঙালির মতো একই আচরণ করা হয়েছিল। খালিস্তান আন্দোলনের পর থেকে একটু নরম হয়েছে, ভারত সরকার।
উপরের ঐ লেখা গুলো পড়ে কী মনে হয়? স্বাধীন দেশে মানুষের কাজের অধিকার নেই, এক শ্রেণীর মানুষের মুনাফার জন্য সমগ্র ভারতে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে যাবে। তাদের কাজের অধিকার নেই, তাদের খাদ্যের অধিকার নেই, বাস করার অধিকার নেই, বেঁচে থাকার অধিকারও নেই।
আরেকটা ছবি দিচ্ছি,
এসব দেখে কী মনে হয়, মানুষের অধিকারের আছে 
এসব দেখে কি মনে হয়, মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে না নেই। একটা স্বাধীন দেশে মানুষ সুস্থ ভাবে কাজ করে খেয়ে পড়ে বাঁচাতে পারবে না। সেটা কেমন দেশ, দেখুন বি এস এন এল অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হয় নি সাত মাস, সবার তো আর সেই আর্থিক অবস্থা নেই, তাদের জন্য কোন চিন্তা আছে এই সরকারের না অর্থাৎ মানুষ না খেয়ে মারা যাক, আমার আর আমার সহযোগীরা মুনাফার পাহাড় করুক, দেশের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে পালিয়ে যাক। দারুন সুন্দর ব্যবস্থাপনা, আবার এসব বলা যাবে না, স্বাধীন দেশে পরাধীন ভারতের আইন আছে, বিনা কারণে বিনা বিচারে আটক, অর্থাৎ বিরোধীতা করা যাবে না।
নির্বাচনের আগে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, রেলে কয়েক লক্ষ লোক নিয়োগের জন্য। আর দেখুন সরকার গঠন করা হয়েছে এক বছর ঘোরে নি শুরু হয়েছে কাজ হারানোর পালা। স্বাধীনতার সত্তর বছরের বেকারত্বের হার সব থেকে বেশি। আস্তে আস্তে সর্বত্র ভিক্ষারী সংখ্যা বাড়ছে। 
আর এরকম চলতে থাকলে কিছু দিন মানে ২০২০ সালে ভারতে দূর্ভীক্ষ দেখা দেবে। খাদ্যের জন্য হাহাকার করবে মানুষ।
এসব দেখে মনে হচ্ছে আমাদের দেশে মানবাধিকার বলে কিছু আছে! আরও কত আছে, যে গুলো আর দিচ্ছি না। খুন ধর্ষণ লেগেই আছে, গরীবের ঘরের কেউ ধর্ষণ করলে তার ফাঁসি হয়, আর প্রভাবশালী, শাসক দলের হলে মেয়ে টি সহ তার পরিবারের লোকেরা মরে।
এর নাম মানবাধিকার কি সুন্দর ব্যবস্থাপনা সত্যি আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি, স্বাধীন দেশের সরকার তার নাগরিকদের জন্য তিনটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। খাদ্য, বস্ত্র বাসস্থান, আর এই তিন টি পূরণ করতে চাই সঠিক শিক্ষা। সত্যিই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কি দেখছি, নেতা মন্ত্রী চুরি করে কোটি কোটি টাকার মালিক, জনগণ কে ভিক্ষারী করে ছেড়ে দিচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ কে মুরগি চোর সন্দেহে মেরে ফাটিয়ে দিচ্ছে।এই আমাদের মানবাধিকার, খুব সুন্দর মানবাধিকার। 

জাগ বাঙালি জাগ শিয়রে আবার ভিটে ছাড়ার সময় হলো । মিথ্যাবাদী শাসকের মুখোশ খোল।

দুই সরকার চরম মিথ্যাবাদী, এরা কেউটে সাপের থেকেও বিষাক্ত। মুখে বলে এক আর কাজে করে আরেক, নিজেদের আখের গোছানো ছাড়া এরা কিছু জানে না। জনগণ মরলে এদের আনন্দ হয়, এসব দেখেও ঘুমিয়ে থাকবে আসাম জেগেছে, 2020 সালের এপ্রিল থেকে শুরু হবে CAB বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ দিদি ও দাদা বলছেন জনগননা ডাহা মিথ্যে কথা জনগননা আগে এলাকার ম্যাপ তৈরি ও সামান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওহে বাঙালি ওঠো জাগো আর কত মার খাবে। তোমার বাবা কাকা ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়ে এসেছে এই স্বাধীনতা। তোমার জাতি গোটা দেশ কে শিখিয়েছে স্বাধীনতার লড়াইএ সামিল হবার মন্ত্র। আজ তোমার কোন দেশ নেই, অথচ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তোমার পূর্ব পুরুষদের রক্তে রাঙা বাংলার মাটি, তুমি ভুলেছ আঠারোর তর তাজা প্রাণ হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে গেছে ।বুলেটের সামনে নিজের বুক পেতে দিয়েছে, দেশের স্বাধীনতার জন্যে। তুমি কী পেয়েছ, দেশ ভাগের যন্ত্রণা একবার ভিটে মাটি ছেড়ে এপার বাংলায় চলে এসেছ শান্তির আশায়, কিন্তু শান্তি আসে নি। তোমাকে এপার বাংলায় যাতে সুস্থ বসবাস না করতে পার সে জন্য সুকৌশলে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, ওপার বাংলা থেকে যারা এসেছে তারা বাঙালি নয় বাঙাল জাত, ওদের কে মানুষ বলে ভাব বার কোন দরকার নেই। কেন চলে এসেছে সে সব ইতিহাস জানানোর দরকার নেই। তোমাকে যাতে ঘৃণার চোখে দেখে সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এর উপর আছে হিন্দু মুসলমান ধর্মের ভাগ, কারণ, ১৯০৫ থেকে ১৯১১ বঙ্গ ভঙ্গ আইন বাতিল করা হয়েছিল, যাদের জন্য সেই মহান ব্যক্তিরা স্বাধীনতার সময় অনেকেই বেঁচে ছিলেন না। ১৯৪৭ সালে ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে ক্ষমতা লোভী দুই ইংরেজের পা চাটা দালাল দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিল। কেন বলছি, যে দুজন এই কাজ করে ছিল, একজন ছিলেন তার জাত ভাই ব্যবসায়ী দের স্বার্থে ইংরেজ দের সাথে রফা করতে ব্যস্ত। আরেকটা ছিল ইংল্যান্ডের বাসিন্দা, ভারতে এসে ইংরেজ দের সাথে গট আপ করে জেলে গিয়ে নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ছিল। এরা কেউ বাঙালি জাতি কে দেখতে পারত না।একজন তো সুভাষ চন্দ্র বোস কে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া থেকে আটকাতে না পেরে তাকে অন্যায় ভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে ছিল। আর দুজনে মিলে নেতাজী কে দেশে ঢুকতে দেয় নি। ইংরেজ দের সাথে ষঢ়যন্ত্র করে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দিয়ে ছিলেন। যাতে নেতাজী আর কোন দিন দেশে ফিরে আসতে না পারে। আজ বাঙালির নেতাজির মতো নেতার দরকার, কেন ঐ ব্রিটিশদের দালাল দের বংশধরা এখন ক্ষমতায়, যে কোন প্রকারে বাঙালি জাতি কে আবার ভিটে ছাড়া আর দেশ ছাড়া করার মতলব, মুখে খুব ভালো ভালো কথা, কাজ টা ঠিক তার উল্টো। আবার শোনা যাচ্ছে,  হিন্দু বাঙালিরা স্বাগত তারা শরণার্থী হিসেবে থাকবে। এখানেও আবার সেই ব্রিটিশ চাল জাতি ভেদ ধর্মের নামে ভাগ ভাগি। এই ধর্মের নামে ভাগ করে ব্রিটিশ প্রায় দুশো বছর রাজত্ব করে গেছে। অনেকেই বলবেন তোর কী, ও তো কাগজ পত্র দেখালেই হবে, আমার বাপ ঠাকুরদার ভিটে জমির দলিল সব কিছু আছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা, ও যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে তারা বুঝবে, ১৯৭০ সালের আগের কাগজ পত্র মানে দলিল থাকতে হবে। আর তা ছাড়া ও আসামের ব্যপার, আর বাংলায় যখন হবে তখন দেখা যাবে। আসামের NRC তে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও আছে, তারা আপতত ফিরে এসেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিবাহ সুত্রে অসমের বাসিন্দা, আবার অনেকেই বাংলাদেশ থেকে আসেনি। আমি জানি এপার বাংলার মানুষ বাঙাল তাড়ানোর জন্যে উঠে পড়ে লাগে।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভাববে আমার কী আসলে তা নয়, এই সরকার বাঙালি জাতির বিরোধী, আস্তে আস্তে গোটা দেশে বাঙালি তাড়ানো অভিযান হবে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের আর কে বাংলাদেশ থেকে এসেছে সেটা দেখা হবে না। বাঙালি বিদ্বেষী বাঙালি তাড়ানোর এই অভিযান বন্ধ করতে হলে এখনই পথে নাম বন্ধু, আর দেরি নয়। যদি সত্যি বাঙালি হও পূর্ব পুরুষদের রক্ত যদি শরীরে থাকে।তাহলে পথে নেমে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসো। কাশ্মীরে যেমন ৩৭০ ধারা তুলে সেখানের জমি জাত ভাই কে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে রকম বাঙালি জাতি কে তাড়িয়ে তাদের আবার উদ্বাস্তু তে পরিনত করে জমি দখল করে জাত ভাই দের দেওয়া হবে। কারণ এ সরকার আদিবাসী দের উচ্ছেদ করতে বনভূমি তে আগুন দেয়। এদের জাত ভাই দের টাকা আছে, ব্যাঙ্ক এদের ঋণ দেয় এবং শোধ না করলেও দেয় দেশের মানুষ ভিক্ষারী তে পরিনত হোক এদের সম্পদের পাহাড় চাই। কাজ নেই, ছাঁটাই আছে, বেকার সমস্যা সমাধান নেই, বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বেসরকারি সর্বত্র ছাঁটাই করা শুরু হয়েছে। দেশের অর্থনীতি ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে করুন অবস্থা ওসব যাক মানুষ মরুক আমার জাত ভাই দের ব্যবসা বাড়লেই হবে। লোকের ক্রয় ক্ষমতা নেই, তো কী ভিক্ষা করে কিনবে। আমি বা আমার জাত ভাই বেঁচে থাকলেই হবে। ঐ যে গুজরাতের বড়ো নেতা ব্রিটিশদের পা চাটা দালাল এর বংশধর এরা বাঙালি বিদ্বেষী হবে না তো কারা হবে। সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই বিখ্যাত 'বোধন' কবিতার লাইন। "ভারতবর্ষ মাটি দেয়নিকো, দেয় নি জল /দেয় নি তোমার মুখেতে অন্ন বাহুতে বল / পূর্ব পুরুষ অনুপস্থিত রক্তে, তাই/ ভারতবর্ষে আজকে তোমার নেইকো ঠাঁই।।"



Sunday, 1 September 2019

আবার সরকারি কর্মীদের সামনে 'খুড়োর কল' বেতন কমিশন বা ডিএ।

আবার সেই একই খবর সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশন নিয়ে গুজব। সাধারণ মানুষ কে ক্ষেপিয়ে তোলা এতো টাকা বাড়বে শুরু হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের অন লাইন নিউজ পোর্টালে।আমাদের দিদি বলছেন, টাকা নেই খালি দাও দাও বলেল হবে, কোথা থেকে দেব, আবার একটা দিন ঘোষণা করা হয়েছে, ঐ দিন যাতে সরকারি কর্মীদের জমায়েত ভালো হয় সেই কারণেই রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ঐ দিন বেতন কমিশন বা ডিএ ঘোষণা করা হবে। সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় কোন আলোচনা করতে দেন নি। বেতন কমিশনের সময় বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। বেতন কমিশনার বলছেন তার রিপোর্ট তৈরি তিনি জমা দিতে গেছেন, সরকার জমা নেয়নি। এর পরও কিছু ধান্দা বাজ নেতার কথায় সরকারি কর্মীদের গলে জল হয়ে যাবে জানি না, এদের মেরুদন্ড আছে কিনা? তবে যেটা বলেছেন, সরকারি কর্মীরা চালিকা শক্তি একদম ঠিক কথা বলেছেন। অনেক ক্ষেত্রে শাসক দলের নেতা নেত্রীরা ওটা মানেন না। তারা নিজেদের বড়ো বলে মনে করেন, তারা চাইলে সরকারি কাজ হবে না হলে হবে না। সরকারি কর্মীরা কোথায় চালিকা শক্তি তো স্থানীয় ছোট বড়ো নেতা মন্ত্রী কর্মীরা। বাম আমলে শেষে এসে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তারা ত্রি স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তৈরি করে ছিল, যাতে প্রথম দিকে যেমন টাকা এসেছে অনেক কাজ হয়েছে। শেষের কয়েক বছর কিছু ক্ষেত্রে ছোট বড়ো নেতা কর্মীরা সরকারের কাজে এমন ভাবে খবরদারি করতে লাগল, যে অসহ্য হয়ে উঠতে বেশি দিন সময় লাগে নি। কিছু কাট মানি তোলা নেওয়া শুরু করে দিয়েছিল। আজ তাদের একটা অংশ শাসক দলের নেতা কর্মী। সব নেতা মন্ত্রী আর কর্মী যেমন এক হয় না। অনেকেই ভাল আছেন, সেই রকম সরকারি কর্মীদের বা শিক্ষক দের মধ্যেও অনেক ভালো আছেন, যারা অন্যায় কাজ করেন না। চুরি তো দূর ঘুষ নেওয়ার কথা মনে আনেন না, যদি তা না হতো তাহলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যেত, তবে এদের ভাগ কম এদের পদে পদে বাধা বিপত্তি পোহাতে হয়, ঐ খারাপ লোক গুলোর জন্য। সরকারি কর্মীরা অনুষ্ঠানে যাবেন, কিন্তু বিশ্বাস করুন আর কোন ঘোষণা করা হবে না। তেমন হলে হয়তো আগামী জানুয়ারি ২০২০ থেকে ৫% থেকে ১০% ডিএ ঘোষণা করা হতে পারে।। আমিও আন্দাজে লিখছি, কারণ আমি এই সরকার কে ৮ বছর হলো দেখছি। ডিএ দেওয়ার ছ মাসে আগে ঘোষণা করে দেয়।   'খুড়োর কল' মন পসন্দ খাবারের গন্ধে গাধা ছোটে মাইলের পর মাইল। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...