Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 26 September 2019

দুই সরকার এখন মানুষ কে রাস্তায় তথা লাইনে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন।

আজ দু সরকার সাধারণ মানুষ কে রাস্তায় বা লাইনে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। মানুষ আজ দিশেহারা কোন লাইনে দাঁড়াবেন। রেশন কার্ড ঠিক করার লাইন, ভোটের কার্ড ঠিক করার জন্য লাইনে না আধার কার্ড ঠিক করার জন্য। সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা এক দিকে রাজ্যের সরকার বলছেন NRC এই রাজ্যে হবে না। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের দল জোর কদমে প্রচার করছে এরাজ্যে NRC হচ্ছেই। আর রাজ্য সরকারের কথা মানুষ আর নিচ্ছে না। তার কারণ ও আছে এই সরকারের নেতা মন্ত্রীরা যা বলেন হয় ঠিক তার উল্টো। এ নিয়ে অনেক উদাহরণ আছে, আর নির্বাচনের সময় ভালো বুঝতে পারে মানুষ। কারণ কিছু মিডিয়া ভুল করেও ঐ সব ভোট চুরি বোমা বাজি মানুষ কে ভোট দিতে না দেওয়া দৃশ্য দেখায় ছাপ্পা ভোট সব দেখায়। আর ভোট মিটে গেলে বিবৃতি আসে শান্তি পূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। মানুষের মৃত্যু এদের কাছে আনন্দের, সেই জন্য NRC আতঙ্কে আত্ম হত্যা করেছে কারণ বন্যা আগুন লাগা আরও অনেক কারনে সাধারণ মানুষের কাছে অনেক পুরোনো নথি নেই। এই রাজ্যের মানুষের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষের রেশন কার্ড নেই আবেদন করেও মেলেনি, রেশন কার্ড আরে রেশনে মাল দিতে হবে না, কিন্তু ওটা হলো যে ছেলে টির ভোট ওঠে নি, অর্থাৎ আঠারো বছর বয়স হয়নি, তার পরিচয় পত্র। এই রাজ্যের সরকার যখন ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া শুরু করে কোথায় বসে হবে চণ্ডি মণ্ডপে পাড়ার ঠাকুর দালানে কারো বাড়িতে সকলের জন্য নয়। গরীব মানুষ কে রেশন কার্ড দেওয়া হবে, কেমন গরীব কেন শাসক দলের সমর্থক হলে সে গরীব সে রেলে চাকরি করতে পারে স্কুল শিক্ষক হতে পারে। লাখ টাকার বাইক চেপে দু টাকা কিলো চাল নিয়ে এসে গরীব মানুষ কে চোদ্দ টাকা কিলো দরে বিক্রি করে দেবে। কেউ কেউ আবার কাজের মাসি কে বেতনের বদলে দিয়ে দেবেন। যাহোক এখানে এটা আলোচ্য বিষয় নয়, সাধারণ মানুষ জানে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে তখন NRC হোক বা জনগননা হোক এ রাজ্যে হবে। ঐ সবের কোন একটা কে NRC হিসেবে ধরে নিয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে সেই জন্যই কাজ বন্ধ করে নাওয়া খাওয়া ভুলে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে মশার কামড় উপেক্ষা করে ঐ তিন টি কাজ করতে লাইন দিচ্ছে। আধার করার জন্য কচি কচি বাচ্ছা দেরও লাইন দিতে হচ্ছে। অমানবিক বিষয় তখনই হচ্ছে যখন অনেক কষ্টে বাচ্ছা টি কে নিয়ে শেষ প্রান্তে এসে হাজির যিনি কাজ করে দেবেন তিনি বললেন আপনার এই কাগজ টা নেই অথএব আপনার আজ হবে না। কাগজ আনুন হবে। কাগজ টা নিয়ে হাজির হলেন, তখন আবার খুঁত ধরে আবার ফেরত। অথচ তারা টাকার বিনিময়ে কাজ করে দিচ্ছেন, বলছেন সঠিক নথি না হলে হবে না। একদম ঠিক কথা সঠিক নথি থাকা অবশ্যই দরকার কিন্তু নামের প্রথম অক্ষর কেন ছোট ইংরেজি হরফে লেখা আছে সেই কারণেই ফেরত এটা শুনেছেন। আরেকটা মজার ব্যাপার সব কাজ অনলাইনে হবে। আমি আপনি সেই এ্যাপ বা ওয়েব সাইট খুলে কিছু করতে পারি না। এমন জটিলতার সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে, আর সরকারি সাইট খুলতে খুলতে সময় পার হয়ে যায়। তাহলে যেতে হবে তথ্য মিত্র বা সাইবার কাফে তে ৫০ বা ১০০ টাকা খরচ করে কাজ করতে হবে। আমার সব তথ্য তাকে দিতে হবে। জানি না সরকার সাইট তৈরি করে বিজ্ঞাপন দেয় এদের জন্য, সাধারণ মানুষ যারা জানে তারাও ঐ সাইটে কাজ করতে পারে না। কি ভালো ব্যবস্থা, এমনই মানুষের আয় কম জিনিসের মূল্য বাড়ছে অথচ কাজ কামাই করে ঐ তিন টি কাজের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, তাও হবে কিনা ঠিক নেই। আমি ছ মাসের উপর হলো রেশন কার্ডের জন্য আধার কার্ডের তথ্য সাথে দিয়ে আবেদন করেছি। আমি জিজ্ঞেস করলাম আমার হয়েছে উত্তর এলো না আপনার নাও হতে পারে। ভারি অদ্ভুত সুন্দর একটা ব্যবস্থা। আমার একটা প্রশ্ন আছে সব মানুষের কাছে এই সব সরকারি কাজে মানুষ হয়রানি বন্ধ করতে পরিবর্তন করে দিয়ে নতুন সরকার এনে ছিলেন। আজ আমরা সেই পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছি। সকল কে ধন্যবাদ সুস্থ থাকুন, কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না, এই NRC নিয়ে অনেক দালাল ঘুরে বেড়াচ্ছে আপনি তাদের খপ্পরে পা দেবেন না। আত্মহত্যা করবেন না। আত্মহত্যা পথ নয়। বেঁচে থেকে লড়াই করুন, আসুন সকলে মিলে এই রাজনৈতিক চক্রান্ত কে বানচাল করে দিই। মানুষ কে কাজ দিতে হবে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য যতটা মজুরি দরকার দিতে হবে। এই সব দাবি নিয়ে যাতে আন্দোলন করতে না পারে তার জন্য আপনাকে বা সাধারণ মানুষ কে আজ লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। মানুষ কে ব্যস্ত রাখ তাহলে সে সময় পাবে না আন্দোলন করতে।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...