Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 15 September 2019

বাঙালি এখনও ঘুমিয়ে থাকবে!

আমি যত দেখছি তত অবাক হয়ে যাচ্ছি, এই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার লড়াই করে ছিল,ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে, আবার এই বাঙালির ভয়ে ব্রিটিশ সরকার ভারতের রাজধানী ১৯১১ সালে কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে চলে গিয়ে ছিল। সেই বাঙালি আজ জেল হাজতে যেতে রাজি, উপরের যে ছবি টি দেখেছেন ও টি আসামের নতুন তৈরি জেল খানা যে খানে দেশ হীন ঘোষিত বাঙালি কে রাখা হবে বন্দী করে। আসাম এর এই বাঙালি জাতি কে বন্দী করে রাখার জেল খানা কারা তৈরি করছে যাদের ও খানে রাখা হবে তারাই অর্থাৎ নিজের জেল খানা নিজে তৈরি করছে। আসামের ঐ সাফল্য লাভ করেছে NRC তার কারণে সারা দেশে বাঙালি জাতি কে তাড়ানো বা বন্দী করে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। পশ্চিমবঙ্গেও হবে, হুঙ্কার দিচ্ছে, মুখে বলা হয়েছে বাঙালি মুসলমান তাড়ানো হবে কার্যত বাঙালি হিন্দু ও মুসলমান উভয় কে তাড়ানো হবে, বা জেল খানায় বন্দী করে রাখার ব্যবস্থা হবে। যেটা দেশ স্বাধীন করার সময় এক ধূরন্ধর বাঙালি বিদ্বেষী মারোয়ারি এবং এক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোভে করে ছিল। বাংলা ও বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে ছিল। যদিও ওপার বাংলা থেকে পালিয়ে এসে এপার বাংলায় আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল, হিন্দু মুসলমান তো ছিল আরেকটা বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছিল বাঙাল, ঘটি, যাতে বাঙালি জাতি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। না হলে স্বদেশী আন্দোলনের সময় বাঙালির ব্যবসা ছিল, ব্যাঙ্ক ছিল, বিমা ছিল। সে সব এখন ধ্বংস করে দিয়ে মারোয়ারি দের দখলে, রিষড়ায় অবাঙালীরা আওয়াজ তুলেছে বাঙালি তাড়ানোর। জিজ্ঞেস করলে বলে বাঙালি মুসলমান দের তাড়ানো হবে। আসামের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু আজ আসামে কি হয়েছে, ১৯ লাখ এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৪ লাখ হিন্দু ধর্মের লোক। যারা ১৯৫১ বা তার আগে এদেশে এসেছে তাদের নাম বাদ গেছে ঐ তালিকা থেকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে একই কথা বলছে বহু মানুষ লাখ লাখ কোটি মানুষ বাংলাদেশ থেকে এই পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে। আমি কত গুলি পরিসংখ্যান বলি একটু মিলিয়ে নেবেন, ১৯৯১ থেকে ২০০১ জনগণনায় দেখা গেছে, ভারতে বাঙালি জাতির লোক সংখ্যা কমেছে, আবার ২০০১ থেকে ২০১১ সালের জনগণনা আনুযায়ী আরও কমেছে বাঙালির সংখ্যা এই বাংলায় কারা বেড়েছে অবাঙালীরা মারোয়ারি আর খোট্টারা এরা ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে। আমার যদি বাংলাদেশের লোক আসে তাহলে বাঙালি জাতির লোক সংখ্যা কমে কি ভাবে? আসলে তা নয় বাঙালি জাতি কে বন্দী করে রাখার কৌশল যেমন সুভাষ চন্দ্র বসু কে ভারতে ঢুকতে দেয় নি। আপনি আধুনিক জেল খানায় বন্দী থাকবেন আর আপনার বাড়িতে থাকবে মেরে খোট্টারা। গোটা ভারত দখল করতে চায় এই মারোয়ারির দল এদের টাকা আছে মানুষ কে ঠকিয়ে অনেক টাকা করেছে। এই মারোয়ারি খোট্টা দের থেকে কোন জিনিস কিনবেন না। তিল কিনতে হলে বাঙালি জাতির দোকান বা ব্যবসা করে এরকম লোকের কাছে যান। অনেক হয়েছে দাদা আর প্রশ্রয় দেবেন না। আমার আবেদন বাঙালি জাতি তুমি নিজে কে জানতে শেখ বুঝতে শেখ, রেলের চাকরি, আজ হিন্দি ভাষী দের দখলে, আই এ এস ও আই পি এস এরা হিন্দি ভাষার জন্য পায়। সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা গুলোর প্রশ্ন পত্র হিন্দি ভাষায়। আর এখন এই অমিত শাহের মত বাঙালি বিদ্বেষীরা ক্ষমতা আছে, এরা চাইছে ভারতের সব ভাষা ধ্বংস করে ওদের মাতৃভাষা কে দেশের রাষ্ট্র ভাষা করে দিতে। যারা ভাবছেন আগামী দিনে এই রাজ্যের সরকার করবে পদ্ম শিবির, তারা চাইছেন নিজের ভাষা নিজের পরিচয় ভুলে গিয়ে এদের পদলেহন করতে। আর এর জন্য অনেক অংশে দায়ি আমাদের বর্তমান রাজ্য সরকার। এরাও কম অভিনয় জানে না, মুখে এক বলে কাজে আরেক করে, দেখবেন পরে এই না NRC চালু করে দেয়। কী বলবে কেন্দ্রীয় আইন রাজ্য মানতে বাধ্য। চেষ্টা করুন আগামী ২০২১ সালে যারা ছিল তারা যেন ফিরে আসে না হলে সবাই কে জেলে থাকতে হবে। কারণ সংখ্যা টা এক নেতা বলে দিচ্ছেন, সেটা নাকি ২ কোটি মানুষের আধুনিক জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। বাঙালি সাবধান হও ওঠো জাগো আর ঘুমিয়ে থেক না, সামনে তোমার বিপদ। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...