Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 15 September 2019

প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের কত দাবি, নিয়ে দিদি কে বলছি ।

আমি এই ব্লগের মাধ্যমে দিদি কে বলছি, কারণ ফোন করলে জিজ্ঞেস করে আপনি কোন রাজনৈতিক দলের, তবে কাজ হবে।আমি মনে করি দিদি পশ্চিমবঙ্গের দশ কোটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাদের সুখ দুঃখ দেখা বা তাদের সব সমস্যার কথা শুনবেন এবং তাদের জন্যও তিনি কাজ করেছেন। তিনি যে সব পাকা রাস্তা বা ঢালাই রাস্তা তৈরি করেছেন, সেই রাস্তা দিয়ে কেবল তাঁর দলের লোক যাবে এমন টা নয়। আমার মনে হয় কিছু কিছু রাস্তা তৈরি করতে এতো গুর পড়ছে, পাথর, পিচ, সিমেন্ট সব গরু আর কুকুর চেটে খেয়ে নিয়েছে। যাহোক দিদি স্কুল গুলোর জন্য যে পোশাকের টাকা দিয়েছেন, যে খানে কম ছাত্র তাদের কথা বাদ দিন, যে খানে একশ বা দুশোর উপর ছাত্র আছে তাদের একটু বেশি টাকা, সেখানে সংঘ বা দল চাইছে অর্দ্ধেক টাকায় দুটো পোশাক দিতে, কারণ তারা কিছুতেই সুতির ছিট খুঁজে পাচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে, সভাপতি বলছেন চেকে স্বাক্ষর করব না, মাঝখান থেকে প্রধান শিক্ষক আর ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা বিপদে পড়ছে। এক্ষেত্রে আমার একটা প্রস্তাব আছে ঐ সব বিদ্যালয়ের পোষাকের টাকা ছাত্র ছাত্রীদের নগদ দিয়ে দেওয়া হোক, এই বিষয়ে আপনি একটা আদেশ দেন ভালো হয়। আরেকটা কথা দিদি আপনি আসার পর এই প্রথম বিদ্যালয়ে কম্পজিট গ্র্যাণ্ট দেওয়া হয়েছে। ভীষন ভালো কাজ কারণ ঐ টাকা  বিদ্যালয়ের সমস্ত কাজ করতে পারা যাবে, বর্তমানে ছাত্র অনুযায়ী এই টাকা দেওয়া হয়েছে, পঁচিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে পঁচাত্তর হাজার টাকা বা তার বেশি। এই টাকা কে খরচ করবেন প্রধান শিক্ষক না ভিইসি সভাপতি সেটা বুঝতে পারছি না।কারণ বিদ্যালয়ের  দ্বিতীয় পর্ব মূল্যায়ন করা হয়েছে টাকা খরচ হয়েছে, এবং বিদ্যুতের বিল দেওয়ার জন্য খরচ নিশ্চয়ই করা যাবে। এখানেই গোল বেঁধেছে, সভাপতি বলছেন আমি চেকে স্বাক্ষর করব না। এবার প্রধান শিক্ষক নিজের বেতন থেকে ঐ টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন, আবার সামনে বিদ্যালয়ের খেলা ও তৃতীয় পর্ব মূল্যায়ন আসছে সেই একই ঘটনা ঘটবে, তাহলে আমার আপনার কাছে জিজ্ঞাসা ঐ টাকা দিয়ে কী লাভ হলো? এই তো সামান্য টাকা এখানেও যদি...... পঞ্চায়েতে রাস্তা তৈরির অনেক টাকা সেখানে না হয়, গুর একটু বেশি দিল গোরু ছাগল কুকুর সব চেটে নিল। এখানেও যদি তাই হয় তবে আর টাকা দিয়ে কী লাভ? আমার মনে আপনি যে হারে খবরের কাগজে শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি করেছেন, সেটা তো বিদ্যালয়ের বিদ্যুতের বিল পরীক্ষা বা মূল্যায়ন করতে খরচ করতে হবে, এটা যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে ঠিক আছে, যদি মনে করেন প্রধান শিক্ষকের সংসার আছে তাদের প্রতি পালন করতে টাকা লাগে, তাহলে আমার প্রস্তাব ভি ই সি থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি বাদ দিয়ে শিক্ষা কে রাজনীতি মুক্ত করুন। নতুন করে কমিটি গঠন করার আদেশ দিন সেখানে অভিভাবক প্রতিনিধি থাক, আর বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের রাখুন। জানি না আপনি এই ব্লগটি পড়েন কিনা! আপনি যদি পড়েন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবর্তন করে দিন, এই পদ্ধতি বাম আমলে তৈরি শিক্ষকরা আগেও বলেছেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি, আপনি এসেও বামেদের এই প্রথা বজায় রেখেছেন। পাল্টে দিন দিদি একটা বিদ্যালয় পরিচালনা করতে যে টাকা আপনি দিয়েছেন সেটা খরচ হোক, না হলে প্রধান শিক্ষক তার বেতন থেকে খরচ করে যাবে, তবে এটাও ঠিক অনেক বিদ্যালয়ের সহকর্মীদের ইচ্ছা সব টাকা প্রধান শিক্ষক তার বেতন থেকে খরচ করুক, সেই জন্য সভাপতি কে চেকে স্বাক্ষর করতে বারণ করে দিচ্ছে, আলাদা ভাবে তার সাথে মিটিং করছে, ফোনে কথা হচ্ছে। যাতে প্রধান শিক্ষক বেতনের টাকা বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে খরচ করে দিতে বাধ্য হন। আর বাড়তি কিছু লিখেছি না, আপনি যদি এই লেখা পড়েন আশা করি সমাধান করে দেবেন।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...