আজ ফেসবুকে একটা পোস্ট বা বিজ্ঞাপন দেখলাম যে দাদা বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন। প্লাস্টিক ছাড়া বাংলা গড়তে হবে,একদম ঠিক কথা ওদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন। বাঙালি ছাড়া বাংলা গড়ার,বাংলায় NRC করে বাঙালি কে দেশ হীন করে জেলে রাখা হবে। জেল তৈরির জন্য জমি অভাব নেই, দিদি ঠিক দিয়ে দেবেন। কারখানা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ না করা হলে কি হবে বাঙালি জাতি কে জেলে রাখতে তিনি জমি অধিগ্রহণ করে দেবেন। তিনি বিধান সভায় আইন বা প্রস্তাব পাশ করেন বা রাস্তায় নেমে মিছিল করুন রাজ্যে NRC করতে দেওয়া হবে না, আর দিল্লি গিয়ে সেটিং করেন। আসামের NRC নিয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন, খুব ভালো কেন মানুষ হয়ে এতো মানুষের পাশে দাঁড়ান দরকার। আর বাংলায় NRC নিয়ে যিনি দিন রাত হুমকি দিচ্ছেন, তার জন্য একটা কথাও বলবেন না। কেন কিসের জন্য? কীসের এতো ভয় বাংলায় এলে কুস্তি আর দিল্লি গিয়ে দোস্তি। উপরের খবরের শিরোনাম টি পড়ুন আতঙ্কিত মানুষ প্রতিটি ব্লকে ব্লকে রেশন কার্ডের জন্য লাইন দিচ্ছে, একজন মানুষ মারাও গেছে। দ্বিতীয় নোট বন্দী শুরু হয়েছে, আমাদের রাজ্যের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেশন কার্ড নিয়ে নানা রকম রাজনীতি করে যাচ্ছে। আজ পর্যন্ত অর্ধেকেরো বেশি মানুষের রেশন কার্ড নেই। অনলাইনে আবেদন, সে যে কিসের অন লাইন ভগবান জানে, খুলেও কাজ হয়নি, আসলে যে সব অফিসার বা কর্মী ঐ ওয়েব সাইট বা এ্যাপ তৈরি করেছেন তারা অনেকেই এ্যাপ তৈরি করতে জানে না। এ সম্পর্কে যে লোক বা মানুষ ভালো জানে তাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। টাকা বেশি লাগবে তাই, এই রাজ্যের সর্বত্র আজ খাই খাই, এই রেশন কার্ড দেওয়ার জন্য সামান্য হলেও পঞ্চাশ টাকাও চাই, আর এই কাজে দিদির ভাই বোন ভাইপোরা সিদ্ধহস্ত, আর এদের বাঁচাতে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, সেটিং করতে ঐ মিটিং যদি রাজ্যের স্বার্থে হতো তবে ক্যামেরার সামনে হতো এতো খন ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার হয়ে যেত। উনি ঐ কাজ টি ভালো পারেন তিল কে তাল করতে মুখে এক বলেন আর কাজে আরেক করেন। তাই পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা বা NRC বিরোধী মিছিল যতই করুন ওনি রাজ্যে NRC চালু করে তবেই ছাড়বেন। হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ঠাকুরদার জণ্ম সার্টিফিকেট জোগার করার জন্য, আর উনি দিল্লি গিয়ে সেটিং করছেন, যাতে সি বি আই চোর চিটিংবাজ দের না ধরে। আমার ইতিহাসের একটা কথা কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, সারা ফ্রান্স জুড়ে দুর্ভিক্ষ ফ্রান্সের রানি সব শুনে বলে ছিলেন। দেশে রুটি নেই কেক খেতে পারে। আমাদের রাজ্যের অবস্থাও এখন তাই আপনি দেখবেন যাকে আপনি রাজ্যের ভালো করবেন বলে ক্ষমতায় এনেছেন তিনি রাজ্যে আপনার জন্য গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছেন, আর দিল্লি গিয়ে যে লোকটি হুমকি দিচ্ছেন, তাকে একটিও কথা বলছেন না। অথচ আপনি আমি দৌড়ে যাচ্ছি বিভিন্ন সময়ের নথি জোগাড় করতে কেন্দ্রীয় সরকার বাঙালি বিদ্বেষী জাতির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, এরা উপর উপর এমন ভাব দেখাচ্ছে কতটা বাঙালি জাতি কে সণ্মান করে বাস্তবে এর উল্টো শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী জন যুদ্ধ তৈরি করে এপার বাংলার হিন্দুদের জন্য জমি তথা আরও জেলা বা জায়গা আদায় করতে আন্দোলন শুরু করেন। সেই জনযুদ্ধ আজ নাম পাল্টে বিজেপি, ওপার বাংলা থেকে বিতাড়িত বাঙালি দের সেই কারণেই দণ্ডকারণ্যে বা কালা পানি পার করে আন্দামানে ঠাঁই হয়েছিল। আজ NRC নামে সেই সব মানুষদের আবার ভিটে ছাড়া করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরা বিদেশি আরে দেশ টা ভাগ করল কে তোর জাত ভাই, বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করতে, আর দোষ হলো বাঙালির, তাদের তোরা বা তোদের জাত ভাই বিদেশী তৈরি করল তারা অপরাধী নয় বাঙালি জাতি দেশ ভাগ চেয়ে ছিল, আমার মনে হয় না।বাঙালি জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ক্ষমতা থাকা সহজ এই কথাটা দিল্লির বাঙালি বিদ্বেষীরা ভালো জানেন, সেই জন্য স্বাধীনতার এত বছর পর আবার বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সব থেকে বড় কথা এটা সম্ভব হচ্ছে, কিছু বাঙালির জন্য, বাঙালি জাতি আরেক জন বাঙালি কে দেখতে পারে না। দেশ ভাগ করে ক্ষমতা লোভী কিছু মানুষ ক্ষমতা দখল করেছিল, আর ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষ কে বিদেশি বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছিল। এখনও সেই ধারা সমানে চলছে, আমি জানি এখনও বাংলাদেশ থেকে মানুষ এদেশে আসে সে তো বি এস এফ আর বি ডি আর কে টাকা দিয়ে চলে আসে আবার এপার বাংলা থেকে ওপারেও যায় একই ভাবে। কিছু ফিরে যায় না, তাদের ধরতে গোটা বাঙালি জাতি কে আতঙ্কিত করে তোলা হচ্ছে, বিজেপির বড়ো বড়ো নেতার মুখে শোনা যাচ্ছে ১৯৫১ পর বা ১৯৭১ পর যারা এসেছে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন না বাংলাদেশ ফেরত নেয় ততদিন নয়া জেল খানায় থাকতে হবে। কারণ তারা কোন দেশের নাগরিক নন, রোহিঙ্গাদের মতো অবস্থা দেশ হীন জাতি, এর জন্য একটা আইন ইতিমধ্যেই তৈরি আপনি আমি প্রতিবাদ করলেই বিনা বিচারে আটক। এসব নিয়ে অনেক বাঙালির আনন্দ হচ্ছে, ভাবছেন খুব ভালো হবে অনেক ভালো হবে, মনে করুন যিনি এটা ভাবছেন তাকেই ঐ দেশ হীন ঘোষিত করা হলো। আবার বাঙালির মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে বলা হচ্ছে, বাঙালি মুসলমান দের তাড়ানো হবে। ভাই আসামের দিকে দেখ সেখানে যারা দেশ হীন ঘোষিত হল, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু অনেকেই এখনি ঐ আধুনিক জেলে আটক করা হয়েছে। কারোর পরিবারের পাঁচ জন সদস্য হলে দুজন ঐ জেলে আর তিন জন বাড়িতে, দেখা করার অধিকার নেই জেলেই কেটে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই আত্ম হত্যা করেছে। এরকম হওয়ার কথা ছিল না, দেশ ভাগ করে ছিল ধর্মের নামে, ফেসবুকে দেখলাম অনেকেই প্রশ্ন করেছেন তখন বিজেপি ছিল না। তাদের বলতে চাই ইতিহাস ভালো করে পড়ুন না হলে বুঝতে পারবেন না, অন্য নামে ঐ দল টির উপস্থিত ছিল। তার মধ্যে জনযুদ্ধ একটা, আপনার সেই প্রিয় বাঙালি নেতার তৈরি, তিনি মনে হয় বুঝতে পারেননি এক দিন এরা ক্ষমতায় এসে বাঙালি কে বাংলা ছাড়ার ব্যবস্থা করবে, সেই হিন্দু মুসলমান আর নিজের জাতের তৈরি বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হিন্দু দের বিদেশী বলে তাড়ানো হবে। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আসুন লড়াই এর ময়দানে আমরা কিছুতেই NRC করতে দেব না। আর বর্তমান শাসক দল কে তাড়িয়ে বিজেপি নামক বাঙালি বিদ্বেষী দলকে ক্ষমতায় আসতে দেব না। আসুন আমরা সবাই মিলে এর প্রতিবাদ করি। আতঙ্ক নয় আত্ম হত্যা নয়, লড়াই করে নিজের অধিকার কেড়ে নিতে হবে। এই সঙ্কট কালে এটাই হোক আমাদের মূল কথা।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment