Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 29 September 2019

শাসকের রঙ বদলায়, অবস্থা বদলায় না।

যিনি ফেসবুকে এই পোস্ট টি করেছেন, তিনি নিজে কে অরাজনৈতিক প্রমাণ করতে চাইছেন। তিনি মনে হয় ভোট দিতে যান না। মানুষ তখনই নিজেকে অরাজনৈতিক প্রমাণ করার চেষ্টা করে যখন দেখে সে যে দল কে ভোট দিয়ে ছিল সেই দল খারাপ কাজ করছে। কারণ ভারতের মত মেকি গনন্তান্ত্রিক কাঠামোতে কোন কিছু অরাজনৈতিক নেই, সবটাই রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা ঠিক করে দেয়। রুটি রোজগার তার মজুরি জিনিস পত্রের দাম কল কারখানা হবে কিনা। সমস্ত টা রাজনৈতিক দল বা লোক তথা নেতা মন্ত্রী দ্বারা পরিচালিত হয়। এখন পিঁয়াজ থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম জি এস টির ঠেলায় আকাশ চুম্বী না রাজ্যের সরকার তার জিএসটি ছাড় দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। পেট্রোলের উপর দু সরকার দু রকম কর আদায় করে। এক বিক্রয় কর দুই সেস। কয় কেউ ছাড়ছে না, চালের দাম আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বলবেন কেন সরকার দু টাকা কিলো চাল দেয় তো খোঁজ নিয়ে দেখুন কটা গরীব লোক পায় আর কত কিলো পায়। সব থেকে বড় কথা আপনার সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এই সব সরকার তথা নেতা মন্ত্রীরা। এই রেশন কার্ড করতে হবে, তাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছু ভুল করে দিতে হবে যাতে আবার লাইনে দাঁড়ায়। আর আছে আধার কার্ড ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে যখন ঠিক মুখে কাছে যাচ্ছেন, তখন আপনি শুনবেন আপনার কাগজে ভুল আছে বা আজ পঞ্চাশ টা করার কথা কোটা শেষ। এখন তো আবার ভোটার কার্ডের সাথে আধার লিংক করতে হবে। আবার লাইন দেবেন না হলে ভোটার তালিকা থেকে আপনার নাম বাধ যেতে পারে। অনেকে বি এল ও আছেন তারা বলবেন আমাদের বলেনি নাম বাদ দেওয়া হবে। ভাই তাদের বলছি, আসাম এন আর সি প্রথম ধাপ ওটাই ছিল। যারা ভোটার কার্ড ভেরিকেশন,বা যারা ভোটার কার্ডের সাথে আধার লিংক করে নি প্রথম তাদের ডি ভোটার করে দেওয়া হয়েছিল। তার পর এন আর সি হয়ে উনিশ লক্ষ নাম বাধ দেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে রাজনীতি আপনার জীবন যাপন বেঁচে থাকা খাওয়া পরা সব নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি বলেছিলেন কাজ করে খেতে দেখে নিন এই ছবি টি। এরকম কত আছে একশ দিনের কাজ করেও টাকা পায় নি। আর কাজ ও পায়নি। কোথাও রাজনীতির কারণে।
আপনি বলুন এই রকম খেত মজুর এর জন্যে একশ দিনের কাজ। অথচ খাতা কলমে একশ দিনের কাজে এই রাজ্য সেরা তাহলেই দেখুন কেন কাজ পাচ্ছে না। রাজনৈতিক কারণে, রাজনীতির লোক জন ঠিক করে দিচ্ছে ও একশ দিনের কাজ পাবে কিনা। রাজনীতি আজ মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে, সেই কারণেই আমাদের ওরি মধ্যে ভালো রাজনৈতিক দল কে বেছে নিতে হবে। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...