Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 1 October 2019

গান্ধীর একশ একান্ন তম জন্মদিনে জানাই প্রণাম।

আসছে গান্ধীর জণ্ম দিন টিকে আমি একটু অন্য রকম ভাবে পালন করতে চাই।
আমরা বাঙালি জাতি ভীষণ আবেগ প্রবন। আবেগের বশে অনেক সিদ্ধান্ত নিই এবং অনেক সময় সেই কাজ করে ফেলি। তবে বাঙালি জাতি দুটো দলে বিভক্ত ছিল এক ব্রিটিশদের দালাল বা চাটুকার আরেক দল স্বাধীন চেতা বাঙালি এবং ইংজের সরকার কে উৎখাত করতে মরিয়া। প্রবল শক্তি শালি ইংরেজ শাসক তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করে গেছে একদল বাঙালি। হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেছে জীবনের জয় গান। তাদের রক্ত যাদের শরীরের ধমনি ও শিরায় শিরায় বয়ে যাচ্ছে। তারা কোন দিন অন্যায় দেখলে থাকতে পারেন না। এই গান্ধী ছিলেন ইংরেজ শাসকদের চাটুকার কেবল ব্রিটিশ সরকারের গোলামি আর তাঁবেদাড়ি করে নিজের জাতি কি ভাবে ব্যবসা ও চাকরি করবে সেটা দেখতেন। সত্যিই ভারতের ইতিহাস সঠিক ভাবে লেখা হোত তবে সেখানে দেখা যাবে তিনি যা করেছেন সব তার জাতি মারোয়ারি আর ইংরেজ ও হিন্দি ভাষি লোকেদের জন্য। পাঞ্জাবী আর বাঙালি ছিল এনার কাছে অবাঞ্ছিত। লবণ আইন অমান্য কোথায় হয়েছিল? সে খানে কারা লবণ তৈরি করত? বাঙালি জাতি যখন অসহযোগ আন্দোলন এবং স্বদেশী আন্দোলন শুরু করে তখন তিনি দেখেছিলেন ভালো মৌওকা গুজরাতের কাপড় ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। এই আন্দোলন যখন চরম আকার ধারণ করেছে তখন তিনি তা প্রত্যাহার করে নিলেন। শুরু করল বাঙালি তিনি সেটা নিয়ে রাজনীতি করে দিয়ে ভেস্তে দিলেন, চৌরিচোরার থানায় আগুন দেওয়ার জন্য। স্বাধীনতা পাওয়া কে আরো কয়েক বছর পিছিয়ে দিলেন। ইংরেজ মারছে তোমরা মর, তোমরা কিছু বল না। এটাই হচ্ছে গান্ধী বাদ, আর দেখা গেল সুভাষ চন্দ্র বোস আমাদের প্রিয় নেতাজী যখন। ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি দেখলেন বিপদ তিনি তিলকের সেই উক্তি কে কাজে লাগলেন। কি ছিল তিলকের কথা স্বরাজ আমাদের জণ্ম গত অধিকার। এই কথাটা নিয়েই তিনিও বললেন স্বরাজ আমাদের জণ্ম গত অধিকার ডাক দিলেন করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে। তিনি জানতেন মরবে পাঞ্জাবী বাঙালি আর কিছু মারাঠি এই তিন জাতি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরো ভাগে। ১৯৪২ এর ভারত ছাড় আন্দোলন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে তিনি বন্দুকের নলের সামনে ঠেলে দিলেন। মাতঙ্গীনি হাজরা সহ অনেকেই সেই সময়ে মারা গেলেন। সেই সময় বাংলা মায়ের দামাল ছেলে নেতাজী ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিয়াল্লিশের আন্দোলন ব্যর্থ হল। নেতাজী জাপানি সাহায্য নিয়ে ব্রিটিশ ভারতের অনেক গুলো জায়গা দখল করে নিলেন। ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে ৬ই ও ৯ ই আগস্ট ঘটে ছিল সেই নারকীয় ঘটনা আমেরিকার দ্বারা নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমা পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে ছিল জাপানের দুটি শহর, হিরোসিমা আর নাগাসাকি। আমাদের এই বীর নেতা তখন ব্রিটিশ সরকার কে বলে জেলে গিয়ে বসে ছিল। বাঘা যতীন ৬৪ দিন অনশন করে মারা গিয়েছেন লাহর জেলে। একদিনও যাননি, দেখা করতে এই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী। ভগৎ সিং এর ফাঁসি উনি চাইলে বন্ধ করেতে পারতেন কিন্তু উনি আর নেহেরু মিলে সেটা করতে চাননি। কারণ ভগৎ সিং কমিউনিস্ট আদর্শে বিশ্বাস করতেন। তাকে বাঁচাতে এই দুজনের কাছে যিনি গিয়ে ছিলেন সেই চন্দ্র সিং আজাদ কে ইংরেজ দের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী, এবার বলুন এদের জণ্ম দিন কেমন পালন করা উচিত বাঙালির যে ইংরেজের সাথে চুক্তি করে নেতাজী কে দেশে ঢুকতে দেয় নি, বা গুম করে দিয়ে ছিল। যে লোক টার কারণে পাঞ্জাবী আর বাঙালি জাতি আজও উদ্বাস্তু আর তার সেই উত্তরসূরী দুজন এখন ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। আর মুখে বাঙালি জাতির প্রতি কত সণ্মান আর পেছনে বাঁশ দেবার ব্যবস্থা করছে। এই যে ভোটার কার্ড ভেরি ফিকশন হচ্ছে, আসামে এটাই ছিল এন আর সির প্রথম ধাপ। যে ব্যক্তি এই কাজ না করবে তাকে প্রথম ডি ভোটার মানে নাগরিক নয় বলে দেওয়া হবে। যেমন আসামে প্রথম ৪০ লক্ষ মানুষ কে করা হয়েছিল। পরে প্রমাণ পত্র বিচার করে ১৯ লক্ষ মানুষ কে নাগরিকত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার বলুন এই বি জে পি, আর ঐ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর জণ্ম দিন পালন করা উচিত না উচিত নয়। বাঙালির জীবনের অভিশাপ ঐ মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি ইংরেজ দের সাথে চুক্তি করে জেলে যেতেন যাতে কেউ না মেরে দিত পারে। পরে আরেকটা যোগ দিয়ে ছিল। লর্ড মাউন্ট ব্যাটনের সাথে তার খুব খাতির ছিল। কেমন স্বাধীনতা পেয়েছি ধর্মের নামে দেশ ভাগ বাঙালি হিন্দু জাতি কে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত যেটা এখন চলছে। আর আজও আমরা ব্রিটিশ কমনওয়েতের অন্তর্ভুক্ত তাদের কর বা ট্যাক্স দিতে হয়। ভীষণ ভালো স্বাধীনতা তাই না। এরকম  স্বাধীনতা আমাদের দেওয়া হবে, রাজ্যের শাসক দলের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে রাজ্যের কিছু পা চাটা বাঙালি তৈরি হয়েছে। তারা ক্ষমতার লোভে ডেকে আনছে গুজরাতের এই মহান বিল্পবীর বংশধর দের।ইনাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এনে ছিল ব্রিটিশ সরকার কারণ জানত ভারতে কংগ্রেসের এমন একজন নেতা দরকার যিনি তাদের অনুগত হবেন। কারণ কংগ্রেস তৈরি করা হয়েছিল আবেদন নিবেদন করার জন্য। তৈরি করে ছিল একজন ইংরেজ আর প্রথমে  সভাপতি হয়েছিলেন একজন বাঙালি। অনেকেই আছেন বলবেন ওনাকে জাতির জনক আখ্যা দিয়ে ছিলেন নেতাজী আর মহাত্মা বলতেন কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ।এবার এগুলো তখন কার দিনে মানিয়ে চলতে এবং তিনি যাতে বাঙালি বিদ্বেষ ছাড়েন তার জন্য, কিন্তু না তিনি বাঙালি বিদ্বেষ ছাড়েন নি বরং ইংরেজ দের ১৯০৫ সালের ইচ্ছা পূরণ করে দিয়ে ছিলেন। লক্ষ লক্ষ হিন্দু বাঙালি নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু আখ্যা পেয়ে কোথায় স্থান হোল দণ্ডকারণ্য আর আন্দামান নিকোবরের জঙ্গলে। এখন সেখানেও ছারপোকার বংশধর গুলো ওখানে গিয়ে বংশ বিস্তার করেছে এখন তাদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না, তাই ওখানেও শুরু হয়েছে বাঙালি তাড়ানোর অভিযান ।এর পর এই মহান বিল্পবীর জণ্ম দিন পালন করতে বলবেন। যে সব বাঙালি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা বাঙালি জাতি কে অপমান করছেন না। নিজের জাতি কে নিজে অপমান করে একমাত্র বাঙালি। ভারতের অন্য কোন জাতির বা ভাষা ভাষিরা তাদের জাত ভাইয়ের জন্য জীবন লড়িয়ে দেয়। সত্যিই আমরা বাঙালি আত্ম ঘাতি জাতি ।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...