বিচার ব্যবস্থা আবার প্রমাণ করে দিল। বিচার ব্যবস্থা গরীবের জন্য নয়। আজ পশ্চিমবঙ্গের কয়েক লক্ষ মানুষ বিভিন্ন চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত পায় নি। ২০১৩ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই নিয়ে কেবল রাজনীতি হচ্ছে। সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছে ২০১৪ সাল থেকে সি বি আই তদন্তের ভীষণ ভালো তদন্ত চলছে। এতো ভালো তদন্ত ভাবা যাবে না, সংস্থা টি যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত তাই তার সাথে একটু মানিয়ে নিতে পারলে ভালো তদন্ত চলে। গরীব খেটে খাওয়া মানুষ সর্বশ্রান্ত হয়ে গেছে। কত এজেন্ট আত্ম হত্যা করেছে, টাকা ফেরত দিতে কমিশন হয়েছে, দিদি বেশি করে সিগারেট খেতে বলেছেন। অনেকেই বিড়ি ছেড়ে দামী ব্যণ্ডের সিগারেট খেতে শুরু করেছে। তবে দিদি আমাদের খুব ভালো কারণ যে যেমন নেতা সে তেমন নেয় কেবল ভাগ পাঠালে হবে। দলের লোক তাকে কিছু বলা যাবে না। তিনি প্রকাশ্য সমাবেশে একবার বলেছিলেন যারা কাট মানি নিয়েছ ফেরত দাও। কিন্তু নিজের দলের জন্যে নয়, ও যারা দলত্যাগ করে যাচ্ছে তাদের জন্য। যারা এখনো আছে এবং কাট মানি নিচ্ছে ভাগ পাঠাচ্ছে, তারা বহাল তবিয়তে আছে। তাদের ধরে কে, কোন পুলিশের ঘাড়ে কটা মাথা আছে। এই তো দু তিন দিন আগে বাংলা খবর না কি একটা চ্যানেল দেখা ছিল। সিঙ্গুরের এক প্রাক্তন প্রধান, তিনি বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছেন তারপর যা হবার হয়েছে। গুর একটু বেশি হলে গোরু চেটে খেয়ে ফেলে আরকি। আরেকটা কি সব দেখা ছিল, তিনি নাকি ডাকলে যান না। মাঝে মাঝে উপর থেকে নামেন না, অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না। কারণ তিনি তিন চার বার ঐ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। এরকম একটা মানুষ টাকার গন্ধ পেলে ছাড়ে, তিনি যে স্কুলের সভাপতি সেখানে অনেক টাকা এসেছে গন্ধ ভালো লেগেছে। স্কুলে কাজ হবে কি করে উনি চেকে স্বাক্ষর করবেন না। আবার ঐ টাকা থেকে স্কুলের যাবতীয় কাজ করতে হবে। জুতা সেলাই থেকে চণ্ডিপাট। সে বিদ্যাসাগরের জণ্ম দিন পালন হোক খেলা চক থেকে সব। এবার প্রধান শিক্ষক খরচ করে রসিদ দেখিয়ে স্বাক্ষর করতে বলছেন, উনি করবেন না। কেন জানা নেই। চোখের সামনে ইলেকট্রিক বিল মেটাতে হবে, উনি স্বাক্ষর না করে বিদায় নিলেন। এত মুখ্যমন্ত্রীও উপরে উঠে, এদের তো আর প্রধান শিক্ষক পাল্টাতে পারে না। তার জন্যে দিদির আদেশ চাই, প্রধান শিক্ষক ঠিক করেছে সরকারি টাকা খরচ না করবেন না। নিজের বেতন থেকে দেবেন, ছাত্র ছাত্রীদের দানে চলবে। এর পিছনে নয়া নিযুক্ত দিদির ভাইপো শিক্ষকদের ভূমিকা আছে। কারণ তারা বলেছে প্রধান শিক্ষক অত টাকা বেতন পেয়ে কী করবে। ওরা তো আবার আন্দোলন করতে শুরু করেছে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। ঢুকে এক লক্ষ টাকা বেতন চাই, দিদির ভাইপো তো। ওদের সাত খুন মাফ, স্কুলে বেশি ছাত্র ভর্তি করা যাবে না। কুড়ি পঁচিশ জনের বেশি পড়াব না। আসতে দেরি হলে প্রধান শিক্ষক কিছু বলবেন না। যখন তখন চলে যাব। স্কুলে এলে অফিস ঘরে বসে গল্প করে কাটিয়ে দেব, টিফিনের পর ক্লাস থাকলে হবে না। ক্লাস কোন শিক্ষক নেই, আমার ক্লাস নয়, যাব না, মারা মারি খুন খুনি যা খুশি হোক আমার দায়িত্ব নয়। আর যদি বি এল ও ডিউটি হয় সে তো সরকার বা বিডিও স্কুল কে চিঠিও দেয় না। ফাঁকি বাজির দারুণ উপায়, সারা বছর যখন খুশি যাওয়া আসা যাবে। কোন বাধা নেই, প্রধান শিক্ষক কিছু বলেন তবে হুমকি আছে, জানেন আমি বি এল ও কাজে যাচ্ছি। আমার অন ডিউটি, অর্থাৎ কোন কাজে বাধা দেওয়া বা বলা যাবে না, তখনই তারা ঐ যে ভালো সভাপতি কে ভি ই সি এ্যাকাউন্টে টাকা তুলতে দেবে না। কারণ প্রধান শিক্ষক তার বেতন বেশি সে খরচ করবে। আবার যত টা পারা যায় বেশি খরচ করাতে পারলে কি আনন্দ সকলের। সত্যিই এরা দিদির ভাইপো হবার যোগ্য। এই জন্যই দিদির রাজত্বে সব, মুরগি চোর সন্দেহে মেরে ফাটিয়ে দেয় আর কোটি কোটি টাকা বাটপার খেলে তার ছাড়। আর এরা তো দিদির দলের লোক বা নেতা এদের কিছু বলেন কার ঘাড়ে কটা মাথা। কারা
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment