কিছু দিন আগেই আমি লিখেছি রেল, ব্যাঙ্ক, বিমা সব কিছু সরকারের যে টুকু আছে সব উঠে গিয়ে বেসরকারি হবে। বি এস এন এল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ওতো কবেই ধ্বংস করে দিয়েছেন। এসব বেসরকারি করার পর গোটা দেশ বেচে দেবে মানে বিদেশী দের ডেকে নিয়ে আসবে। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এন আর সি ভারতের ছোট ভাষার অল্প জন গোষ্ঠী কে কোন ঠাসা করে তাদেরকে জাতি গত ধর্মের নামে ভাগ করে আরও ছোট করে দেশ থেকে তাড়ানো হবে। দেশ থেকে যাদের তাড়ানো হবে না বলছেন, তাদের জন্যে তৈরি করা হবে ডিটেশন ক্যাম্পে মানে আধুনিক জেল খানা। আপনার আমার বাড়িতে থাকবে হিন্দি ভাষি মানুষ বলেই দিচ্ছে হিন্দি হবে রাষ্ট্র ভাষা। এক দেশ এক ভাষা, কারণ এই হিন্দি ভাষার মানুষ ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে এরা খেতে পাক আর নাই পাক গণ্ডা গণ্ডা ছেলে মেয়ে। রেল ঝুপরি তে থাকে পিল পিল করে বাচ্চা আর তারা কি করছে প্লাটফর্ম ছেড়ে দিয়ে বসে থাকে রেল যাত্রী কাছে ভিক্ষা করায় ঐ বাচ্ছা গুলো কে দিয়ে। কিছু দিন একটা স্টেশনে হলে পরে আরেকটা। যে সব স্টেশনে লোক সংখ্যা বেশি সেখানে এদের দেখা যায়। সব কটা হিন্দি ভাষি। বাংলায় কথা বলে কিন্তু পদবি গুলো জিজ্ঞেস করে দেখবেন। বাংলা কে এরা গিলে খাচ্ছে, আর বেশির ভাগই বিহার উত্তর প্রদেশের দলিত সেখানে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এখানে এসে আছে। এদের জন্য আজও বাংলা পিছনে সারিতে। বাঙালি জাতি সত্যি যদি দেশ টা কে বেচে দিতে না চান তাহলে আবার একটা স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দিন। বিহারী মারোয়ারি দের দোকান ব্যবসা থেকে কিছু কিনবেন না। মুখে কিন্তু বলবেন না, শুরু করুন গোপন বিপ্লব বাংলার মাটিতে তৈরি করা হয়েছে এমন জিনিস কিনুন একদম ওদের থেকে সামান্য কিছু হলেও নেবেন না। আর এই বেচে দেওয়া সরকার আর তাকে সাহায্য কারি বর্তমান শাসক দল কে ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে। কারণ এই শাসক দল দিল্লির কাছে দূর্বল সারদা রোজভ্যালীর আর নারদার জন্য। এরা গোপনে দিল্লির সরকার কে সাহায্য করে যাবে। আর ঐ সাম্রাজ্যবাদি দেশ বিক্রি করে দেওয়া দল এই রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে। ভারত পরাধীন হয়ে ছিল মিরজাফর উমির চাঁদ জগৎ শেঠ আরও কতো গুলো বেইমান বাঙালি ইংরেজ কে সাহায্য করে ছিল বলে। আজ আবার ভারত ক্রমশ পরাধীনতার দিকে যাচ্ছে, ওরা জানে বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করতে পারলে তবেই ভারত কে শাসন করতে বিদেশিদের ডেকে আনা যাবে। এবার আমেরিকা কে ডেকে আনা হবে। স্বাধীনচেতা বাঙালি ওদের অন্তরায়, যেমন করে হোক এদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে হবে। আর এখন খুব সুযোগ রাজ্যে সরকারের অধিকাংশ নেতা মন্ত্রী দূর্নীতি গ্রস্থ, এরা দূর্বল সরকার। দেশ টাই বেসরকারি হয়ে যাবে, দেখে নিন আপনার উপার্জন করার জায়গা থাকবে না। ক্রয় ক্ষমতা এখনই কমে এসেছে, এর পর আরও অনেক কমে যাবে। আমার মনে পড়ে জিনিস পত্রের দাম কম ছিল কিন্তু মানুষ খেতে পেত না। কারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা ছিল না। জামা কাপড় জুতো ওসব বিলাসিতা, খাবার চাল আটা ডাল নুন তেল কিনতে হলে চিন্তা ভাবনা করে কিনত। খেত কি কম দামে চালের ক্ষুদ, ভুট্টা, মাইলো, মুগকড়াই, গম কুঁচো, ভুট্টা গুঁড়ো, যবের আটা সেটাও কেনার ক্ষমতা ছিল না। ১৯৭৭ সালে বাম সরকার এলো তার পর ধীরে ধীরে মানুষের দুঃখের ঐ দিন গুলো কেটে গেল। আজ আবার সেই দিকে যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশ আজ সেই দিকে চলে যাচ্ছে। সরকার দু টাকা কিলো চাল দেবে ঐ দু টাকা কিলো চাল কিনতে অপরের কাছে ভিক্ষা করতে হবে। দু টাকা কিলো চাল হলে হবে না, তাকে ফুটিয়ে ভাত করতে জ্বালানি লাগবে সেটা কিনতে হবে। নুন কেনার পয়সাও থাকবে না। স্বাধীনতা যারা ভোগ করছে সেই মারোয়ারি ব্যবসায়ী দল লঙ্গর খানা খুলে আপনাকে দু বেলা ভিক্ষা দেবে। এখনো সময় আছে আগামী একুশ সাল এই দু টাকা কিলো চালের সরকার কে গদি থেকে টেনে নামাতে হবে। প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আগামী দিন আপনার।একজন মানুষ হিসেবে সঠিক ভাবে মাথা তুলে বাঁচাতে হবে।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment