Anulekhon.blogspot.com

Monday, 2 September 2019

জাগ বাঙালি জাগ শিয়রে আবার ভিটে ছাড়ার সময় হলো । মিথ্যাবাদী শাসকের মুখোশ খোল।

দুই সরকার চরম মিথ্যাবাদী, এরা কেউটে সাপের থেকেও বিষাক্ত। মুখে বলে এক আর কাজে করে আরেক, নিজেদের আখের গোছানো ছাড়া এরা কিছু জানে না। জনগণ মরলে এদের আনন্দ হয়, এসব দেখেও ঘুমিয়ে থাকবে আসাম জেগেছে, 2020 সালের এপ্রিল থেকে শুরু হবে CAB বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ দিদি ও দাদা বলছেন জনগননা ডাহা মিথ্যে কথা জনগননা আগে এলাকার ম্যাপ তৈরি ও সামান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওহে বাঙালি ওঠো জাগো আর কত মার খাবে। তোমার বাবা কাকা ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়ে এসেছে এই স্বাধীনতা। তোমার জাতি গোটা দেশ কে শিখিয়েছে স্বাধীনতার লড়াইএ সামিল হবার মন্ত্র। আজ তোমার কোন দেশ নেই, অথচ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তোমার পূর্ব পুরুষদের রক্তে রাঙা বাংলার মাটি, তুমি ভুলেছ আঠারোর তর তাজা প্রাণ হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে গেছে ।বুলেটের সামনে নিজের বুক পেতে দিয়েছে, দেশের স্বাধীনতার জন্যে। তুমি কী পেয়েছ, দেশ ভাগের যন্ত্রণা একবার ভিটে মাটি ছেড়ে এপার বাংলায় চলে এসেছ শান্তির আশায়, কিন্তু শান্তি আসে নি। তোমাকে এপার বাংলায় যাতে সুস্থ বসবাস না করতে পার সে জন্য সুকৌশলে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, ওপার বাংলা থেকে যারা এসেছে তারা বাঙালি নয় বাঙাল জাত, ওদের কে মানুষ বলে ভাব বার কোন দরকার নেই। কেন চলে এসেছে সে সব ইতিহাস জানানোর দরকার নেই। তোমাকে যাতে ঘৃণার চোখে দেখে সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এর উপর আছে হিন্দু মুসলমান ধর্মের ভাগ, কারণ, ১৯০৫ থেকে ১৯১১ বঙ্গ ভঙ্গ আইন বাতিল করা হয়েছিল, যাদের জন্য সেই মহান ব্যক্তিরা স্বাধীনতার সময় অনেকেই বেঁচে ছিলেন না। ১৯৪৭ সালে ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে ক্ষমতা লোভী দুই ইংরেজের পা চাটা দালাল দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিল। কেন বলছি, যে দুজন এই কাজ করে ছিল, একজন ছিলেন তার জাত ভাই ব্যবসায়ী দের স্বার্থে ইংরেজ দের সাথে রফা করতে ব্যস্ত। আরেকটা ছিল ইংল্যান্ডের বাসিন্দা, ভারতে এসে ইংরেজ দের সাথে গট আপ করে জেলে গিয়ে নকল স্বাধীনতা সংগ্রামী সেজে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ছিল। এরা কেউ বাঙালি জাতি কে দেখতে পারত না।একজন তো সুভাষ চন্দ্র বোস কে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া থেকে আটকাতে না পেরে তাকে অন্যায় ভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে ছিল। আর দুজনে মিলে নেতাজী কে দেশে ঢুকতে দেয় নি। ইংরেজ দের সাথে ষঢ়যন্ত্র করে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করে দিয়ে ছিলেন। যাতে নেতাজী আর কোন দিন দেশে ফিরে আসতে না পারে। আজ বাঙালির নেতাজির মতো নেতার দরকার, কেন ঐ ব্রিটিশদের দালাল দের বংশধরা এখন ক্ষমতায়, যে কোন প্রকারে বাঙালি জাতি কে আবার ভিটে ছাড়া আর দেশ ছাড়া করার মতলব, মুখে খুব ভালো ভালো কথা, কাজ টা ঠিক তার উল্টো। আবার শোনা যাচ্ছে,  হিন্দু বাঙালিরা স্বাগত তারা শরণার্থী হিসেবে থাকবে। এখানেও আবার সেই ব্রিটিশ চাল জাতি ভেদ ধর্মের নামে ভাগ ভাগি। এই ধর্মের নামে ভাগ করে ব্রিটিশ প্রায় দুশো বছর রাজত্ব করে গেছে। অনেকেই বলবেন তোর কী, ও তো কাগজ পত্র দেখালেই হবে, আমার বাপ ঠাকুরদার ভিটে জমির দলিল সব কিছু আছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা, ও যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে তারা বুঝবে, ১৯৭০ সালের আগের কাগজ পত্র মানে দলিল থাকতে হবে। আর তা ছাড়া ও আসামের ব্যপার, আর বাংলায় যখন হবে তখন দেখা যাবে। আসামের NRC তে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও আছে, তারা আপতত ফিরে এসেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিবাহ সুত্রে অসমের বাসিন্দা, আবার অনেকেই বাংলাদেশ থেকে আসেনি। আমি জানি এপার বাংলার মানুষ বাঙাল তাড়ানোর জন্যে উঠে পড়ে লাগে।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভাববে আমার কী আসলে তা নয়, এই সরকার বাঙালি জাতির বিরোধী, আস্তে আস্তে গোটা দেশে বাঙালি তাড়ানো অভিযান হবে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের আর কে বাংলাদেশ থেকে এসেছে সেটা দেখা হবে না। বাঙালি বিদ্বেষী বাঙালি তাড়ানোর এই অভিযান বন্ধ করতে হলে এখনই পথে নাম বন্ধু, আর দেরি নয়। যদি সত্যি বাঙালি হও পূর্ব পুরুষদের রক্ত যদি শরীরে থাকে।তাহলে পথে নেমে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসো। কাশ্মীরে যেমন ৩৭০ ধারা তুলে সেখানের জমি জাত ভাই কে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে রকম বাঙালি জাতি কে তাড়িয়ে তাদের আবার উদ্বাস্তু তে পরিনত করে জমি দখল করে জাত ভাই দের দেওয়া হবে। কারণ এ সরকার আদিবাসী দের উচ্ছেদ করতে বনভূমি তে আগুন দেয়। এদের জাত ভাই দের টাকা আছে, ব্যাঙ্ক এদের ঋণ দেয় এবং শোধ না করলেও দেয় দেশের মানুষ ভিক্ষারী তে পরিনত হোক এদের সম্পদের পাহাড় চাই। কাজ নেই, ছাঁটাই আছে, বেকার সমস্যা সমাধান নেই, বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বেসরকারি সর্বত্র ছাঁটাই করা শুরু হয়েছে। দেশের অর্থনীতি ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে করুন অবস্থা ওসব যাক মানুষ মরুক আমার জাত ভাই দের ব্যবসা বাড়লেই হবে। লোকের ক্রয় ক্ষমতা নেই, তো কী ভিক্ষা করে কিনবে। আমি বা আমার জাত ভাই বেঁচে থাকলেই হবে। ঐ যে গুজরাতের বড়ো নেতা ব্রিটিশদের পা চাটা দালাল এর বংশধর এরা বাঙালি বিদ্বেষী হবে না তো কারা হবে। সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই বিখ্যাত 'বোধন' কবিতার লাইন। "ভারতবর্ষ মাটি দেয়নিকো, দেয় নি জল /দেয় নি তোমার মুখেতে অন্ন বাহুতে বল / পূর্ব পুরুষ অনুপস্থিত রক্তে, তাই/ ভারতবর্ষে আজকে তোমার নেইকো ঠাঁই।।"



No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...