আজ গোটা দেশে যা হচ্ছে, সে সব কী মানবাধিকারের বাইরে। এই যে NRC র নামে মানুষ কে ভিটে ছাড়ার বা বাস করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। আমি জানতাম আদিবাসী দের দেশ ছাড়া করা যায় না। ভারতের যে কোন স্থানে তারা বসবাস করতে পারে, এখন দেখছি উল্টো। আমি কত গুলো ছবি দিচ্ছি দেখুন আর ভাবুন এগুলো মানবাধিকারের অর্থাৎ গনতান্ত্রিক দেশে এগুলো মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে কী না।
এরা আদিবাসী NRC নামে এদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া।
বাঙালি জাতি কী মানুষ নয়, তাদের যখন তখন দেশ ছাড়া করা যায়।বাঙালির অধিকার নেই, ভারতের অন্য রাজ্যে বাস করার কেবল হিন্দি ভাষী, মারোয়ারি, গুজরাতী, পাঞ্জাবি, এরা ভারতীয়। পাঞ্জাবী দের সঙ্গে বাঙালির মতো একই আচরণ করা হয়েছিল। খালিস্তান আন্দোলনের পর থেকে একটু নরম হয়েছে, ভারত সরকার।
উপরের ঐ লেখা গুলো পড়ে কী মনে হয়? স্বাধীন দেশে মানুষের কাজের অধিকার নেই, এক শ্রেণীর মানুষের মুনাফার জন্য সমগ্র ভারতে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে যাবে। তাদের কাজের অধিকার নেই, তাদের খাদ্যের অধিকার নেই, বাস করার অধিকার নেই, বেঁচে থাকার অধিকারও নেই।
আরেকটা ছবি দিচ্ছি,
এরা আদিবাসী NRC নামে এদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া।
বাঙালি জাতি কী মানুষ নয়, তাদের যখন তখন দেশ ছাড়া করা যায়।বাঙালির অধিকার নেই, ভারতের অন্য রাজ্যে বাস করার কেবল হিন্দি ভাষী, মারোয়ারি, গুজরাতী, পাঞ্জাবি, এরা ভারতীয়। পাঞ্জাবী দের সঙ্গে বাঙালির মতো একই আচরণ করা হয়েছিল। খালিস্তান আন্দোলনের পর থেকে একটু নরম হয়েছে, ভারত সরকার।
উপরের ঐ লেখা গুলো পড়ে কী মনে হয়? স্বাধীন দেশে মানুষের কাজের অধিকার নেই, এক শ্রেণীর মানুষের মুনাফার জন্য সমগ্র ভারতে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে যাবে। তাদের কাজের অধিকার নেই, তাদের খাদ্যের অধিকার নেই, বাস করার অধিকার নেই, বেঁচে থাকার অধিকারও নেই।
আরেকটা ছবি দিচ্ছি,
এসব দেখে কী মনে হয়, মানুষের অধিকারের আছে
এসব দেখে কি মনে হয়, মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে না নেই। একটা স্বাধীন দেশে মানুষ সুস্থ ভাবে কাজ করে খেয়ে পড়ে বাঁচাতে পারবে না। সেটা কেমন দেশ, দেখুন বি এস এন এল অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হয় নি সাত মাস, সবার তো আর সেই আর্থিক অবস্থা নেই, তাদের জন্য কোন চিন্তা আছে এই সরকারের না অর্থাৎ মানুষ না খেয়ে মারা যাক, আমার আর আমার সহযোগীরা মুনাফার পাহাড় করুক, দেশের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে পালিয়ে যাক। দারুন সুন্দর ব্যবস্থাপনা, আবার এসব বলা যাবে না, স্বাধীন দেশে পরাধীন ভারতের আইন আছে, বিনা কারণে বিনা বিচারে আটক, অর্থাৎ বিরোধীতা করা যাবে না।
নির্বাচনের আগে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, রেলে কয়েক লক্ষ লোক নিয়োগের জন্য। আর দেখুন সরকার গঠন করা হয়েছে এক বছর ঘোরে নি শুরু হয়েছে কাজ হারানোর পালা। স্বাধীনতার সত্তর বছরের বেকারত্বের হার সব থেকে বেশি। আস্তে আস্তে সর্বত্র ভিক্ষারী সংখ্যা বাড়ছে।
আর এরকম চলতে থাকলে কিছু দিন মানে ২০২০ সালে ভারতে দূর্ভীক্ষ দেখা দেবে। খাদ্যের জন্য হাহাকার করবে মানুষ।
এসব দেখে মনে হচ্ছে আমাদের দেশে মানবাধিকার বলে কিছু আছে! আরও কত আছে, যে গুলো আর দিচ্ছি না। খুন ধর্ষণ লেগেই আছে, গরীবের ঘরের কেউ ধর্ষণ করলে তার ফাঁসি হয়, আর প্রভাবশালী, শাসক দলের হলে মেয়ে টি সহ তার পরিবারের লোকেরা মরে।
এর নাম মানবাধিকার কি সুন্দর ব্যবস্থাপনা সত্যি আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি, স্বাধীন দেশের সরকার তার নাগরিকদের জন্য তিনটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। খাদ্য, বস্ত্র বাসস্থান, আর এই তিন টি পূরণ করতে চাই সঠিক শিক্ষা। সত্যিই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কি দেখছি, নেতা মন্ত্রী চুরি করে কোটি কোটি টাকার মালিক, জনগণ কে ভিক্ষারী করে ছেড়ে দিচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ কে মুরগি চোর সন্দেহে মেরে ফাটিয়ে দিচ্ছে।এই আমাদের মানবাধিকার, খুব সুন্দর মানবাধিকার।
No comments:
Post a Comment