আপনাদের মনে আছে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ আমাদের প্রিয় দিদি প্রথম ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার একশ অতিক্রান্ত হওয়ার পর বলে ছিলেন। আমি অর্ধেক কাজ করে দিয়েছি। আর এক বছর পর বলে ছিলেন। আমি নিরানব্বই শতাংশ কাজ করে ফেলেছি। আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রিয় দাদা তার দ্বিতীয় ইনিংসের সরকার একশ দিন পূর্ণ করে বলছেন, তিনি ৭০ বছরের কাজ করে ফেলেছেন। আরেকটা জায়গায় পড়লাম তিনি ৬০ বছরের কাজ করে দিয়েছেন।
আমি তো এবার ধন্দে পড়ে গেছি কোন টা ঠিক, একটা খবর দশ বছর কম বলছে কেন? আমি যতদূর জানি এই একশ দিনে
কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ, ১) কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা তুলে দেওয়া। ২)আসামের NRC রিপোর্ট প্রকাশ করে বাঙালি তাড়ানোর ব্যবস্থা করা। ৩)সরকারি গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি বেসরকারি হবে তার ব্যবস্থা, যদিও কর্মীদের আন্দোলনে সেটা এখন স্থগিত রাখা হয়েছে। ৪)নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ, বিশেষ করে মশলা পাতি পোস্ত শব্দ এখন অতীত ইতিহাস হয়ে গেছে। ৫) বেতন বাড়ছে কিন্তু খেটে খাওয়া শ্রমিকের মজুরি তলানিতে। ৬)সার বীজের দাম বেশি অথচ ফসলের দাম না পেয়ে কৃষক আত্মহত্যা করছে। এই রাজ্যে শিলাদিত্য চৌধুরী সারের দাম বেশি কেন প্রশ্ন করে মাওবাদী হয়ে জেল খেটেছে। ৭) রেলের কর্মী ছাঁটাই করা হবে, প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ৮) BSNL ৫০ % থেকে ৭০% কর্মী কে ছাঁটাই করে দেব বলছে। ৯) গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি বেসরকারি করা হবে, যদিও সে প্রচেষ্টা কর্মীদের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। ১০) গাড়ি শিল্প ধুঁকছে, ব্যাঙ্ক গুলো সংযুক্ত করা হবে, নোটিশ হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করা শুরু করে দিয়েছে। ১১) স্বাধীনতার সত্তর বছর পরে এখন দেশে বেকারত্বের সংখ্যা সবথেকে বেশি। অথচ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রেলে লক্ষ লক্ষ চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল ২০১৬ ক্ষমতায় আসার আগে ও লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তে কাগজ ভর্তি করে দিয়ে ছিল। দু সরকার এক জন কর্মী নিয়োগ করেনি। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এখানে চাকরির পরীক্ষায় পাশ করে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয় না, আত্ম হত্যা ও অনশন করতে হচ্ছে। অনশন করেই চাকরি মিলবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ আজ পর্যন্ত যারা অনশন করল তারা কেউ চাকরি পায় নি। অথচ দেখুন গান্ধীজি অনশন করে দেশ স্বাধীন করে ছিল। এই জন্যই বাঙালি তাড়ানোর জোরদার প্রয়াস।
আমি তো এবার ধন্দে পড়ে গেছি কোন টা ঠিক, একটা খবর দশ বছর কম বলছে কেন? আমি যতদূর জানি এই একশ দিনে
কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ, ১) কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা তুলে দেওয়া। ২)আসামের NRC রিপোর্ট প্রকাশ করে বাঙালি তাড়ানোর ব্যবস্থা করা। ৩)সরকারি গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি বেসরকারি হবে তার ব্যবস্থা, যদিও কর্মীদের আন্দোলনে সেটা এখন স্থগিত রাখা হয়েছে। ৪)নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ, বিশেষ করে মশলা পাতি পোস্ত শব্দ এখন অতীত ইতিহাস হয়ে গেছে। ৫) বেতন বাড়ছে কিন্তু খেটে খাওয়া শ্রমিকের মজুরি তলানিতে। ৬)সার বীজের দাম বেশি অথচ ফসলের দাম না পেয়ে কৃষক আত্মহত্যা করছে। এই রাজ্যে শিলাদিত্য চৌধুরী সারের দাম বেশি কেন প্রশ্ন করে মাওবাদী হয়ে জেল খেটেছে। ৭) রেলের কর্মী ছাঁটাই করা হবে, প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ৮) BSNL ৫০ % থেকে ৭০% কর্মী কে ছাঁটাই করে দেব বলছে। ৯) গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি বেসরকারি করা হবে, যদিও সে প্রচেষ্টা কর্মীদের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। ১০) গাড়ি শিল্প ধুঁকছে, ব্যাঙ্ক গুলো সংযুক্ত করা হবে, নোটিশ হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করা শুরু করে দিয়েছে। ১১) স্বাধীনতার সত্তর বছর পরে এখন দেশে বেকারত্বের সংখ্যা সবথেকে বেশি। অথচ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রেলে লক্ষ লক্ষ চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল ২০১৬ ক্ষমতায় আসার আগে ও লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তে কাগজ ভর্তি করে দিয়ে ছিল। দু সরকার এক জন কর্মী নিয়োগ করেনি। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এখানে চাকরির পরীক্ষায় পাশ করে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয় না, আত্ম হত্যা ও অনশন করতে হচ্ছে। অনশন করেই চাকরি মিলবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ আজ পর্যন্ত যারা অনশন করল তারা কেউ চাকরি পায় নি। অথচ দেখুন গান্ধীজি অনশন করে দেশ স্বাধীন করে ছিল। এই জন্যই বাঙালি তাড়ানোর জোরদার প্রয়াস।
No comments:
Post a Comment