কিছু সংবাদদাতা সংবাদ পত্র অন লাইন হোক, আর প্রিন্ট হোক বা দূরদর্শনে হোক বামপণ্থীরা কোন কারণে ঠাকুর বা দেবতার কথা বললে রে রে করে ওঠে। আমার জানা নেই কবে বামপণ্থীরা মানুষ কে ঠাকুর পূজো করতে বারণ করেছিলেন, কিম্বা বলে ছিলেন, যে একজন বামেদের সমর্থক ও ঠাকুর পূজা করতে পারবে না। আমি এটুকু জানি বাম পন্থী দল গুলো ঠাকুর পূজা নিয়ে মাতামাতি করে না। কারণ দেবতা বা ঠাকুর আছে কিনা কেউ জানে না, স্বয়ং রামকৃষ্ণের কথা ছিল, শিব জ্ঞানে জীব সেবা করার। আর এই কথাটা ওনার প্রধান শিষ্য বিবেকানন্দ অন্য ভাবে বলে ছিলেন, ' বহু রূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর।জীবে প্রেম করে যে জন সে জন সেবিছে ঈশ্বর।' আর বামফ্রন্ট সরকার যদি সঠিক ভাবে শিক্ষা দিতে পারত তাহলে আজ পশ্চিমবঙ্গের বুকে বাবার মাথায় জল ঢালার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হতো না। সমাজ ব্যবস্থা থেকে তথা গরীব মানুষের মন থেকে ঈশ্বর কে কেউ মুছে ফেলতে পারে নি। কারণ কিছু মানুষ আছে যারা, নিজেদের স্বার্থে ধর্ম কে নিয়ে রাজনীতি করে। গরীব মানুষের দুঃখের কারণ ঠাকুর তুমি গরীব মানুষ ঠাকুর পুজো কর দেখ সব সমস্যার সমাধান হবে। এরকম একটা কথা বহু যুগ ধরে প্রচারিত, আর এটা ঠিক বাম পণ্থীরা প্রথম দিকে ধর্মের কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেনি, এখনও অনেকেই থাকেন না, আর সেই কারণেই গরীবের পার্টি আজ মধ্যবিত্ত ও উচ্চ বিত্তের পার্টি হয়ে গেছে। আমি আগেই বলেছি গ্রামের গরিব মানুষ এখনো ঠাকুর দেবতায় গভীর ভাবে বিশ্বাস করে। শাসক বা সরকার যখন গরীব মানুষের কাজের সঠিক ব্যবস্থা করতে পারে না, খাদ্য বাসস্থান, শিক্ষা, মানে সঠিক শিক্ষা তখনই গ্রামের গরিব মানুষ দেবতার দিকে ঝুঁকে পড়ে। পৃথিবীতে মানব সভ্যতার আদি থেকে ধীরে ধীরে ধর্মের জণ্ম, এক সময় এসে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ ধর্ম দিয়ে মানুষ কে এক জোট করে নিজের কর্তৃত্ব করেছে, রাজা হয়েছে, রাজ্য বা দেশ শাসন করেছে। একটু খেয়াল করে দেখুন হিন্দু ধর্মের গোঁড়ামি ভাঙতে এসেছে বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, শিখ ধর্ম আরো নানা ধর্ম পৃথিবীতে এসেছে, ধর্মের নামে মানুষ কে এক করতে পেরেছে, এবং কিছু কাল ধরেও রেখেছিল। মার্কসবাদী ধারণা যখন এসেছে, তার সাথে ধর্মের সংঘাত লেগেছে, একটাই কারণে গরীব খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখের কারণ তথাকথিত অভিজাত শ্রেণী তারাই এই গরীব মানুষের শ্রম শোষণ করে নিচ্ছে, বিনিময়ে তাদের প্রাপ্য সঠিক অর্থাৎ জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার নূন্যতম প্রয়োজন টুকু তারা পাচ্ছে না। এই অভিজাত শ্রেণী দেবতা ঠাকুর দিয়ে তাদের ভুলিয়ে রেখেছে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়েছে মার্কসবাদ। গরীব মানুষ তুমি লড়াই করে তোমার ন্যায্য অধিকার আদায় করে নাও, বেঁচে থাকার অধিকার আদায় করে নাও। বাম পন্থা বা মার্কস বাদ কখনো কারো ধর্ম পালনে বারণ করেনি, কেবল একটি কথা ঠাকুর দেবতা ডাকতে যে সময় ব্যয় করছ সেই সময় কাজের মধ্যে থাক, আর নিজের অধিকার আদায় করে নাও, কেউ তোমায় যেচে তোমার অধিকার দেবে না। যে সব অভিজাত শ্রেণী তোমার বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করে রেখে, বলছে ঠাকুর দেবতা ডাক সব ঠিক হয়ে যাবে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন করতে হবে, আমার মনে হয় এটাই বামেদের বক্তব্য। আমি মনে করি আমার কোন শ্রদ্ধেয় নেতা কে ঈশ্বর আল্লাহ বললেন এটা আমার বিচারের বিষয় নয়, আমার বিচার্য্য তিনি আমার দাবী টি সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছে কিনা? এখানে যে নেতৃত্ব সম্পর্কে বা তার পারিবারিক বিষয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন তাকে বলছি, তুমি ভাই এটা খবর করছ না, বি এস এন এল উঠে যাবে। রেল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, ডাক বিভাগ তো উঠেই গেছে, গাড়ি শিল্পে মন্দা আগামী দিনে হাজার হাজার মানুষ কর্ম হীন হয়ে যাবে। তুমি ভাই এটা দেখছ না, ধর্মের জিগির তুলে বাঙালি তাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। তুমি কেবল দেখলে মহঃ সেলিমের ছেলের বিয়ের কার্ডে ইনসা আল্লাহ লেখা আছে সেটা।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment