Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 10 September 2019

NRC তে বাদ পড়া মানুষ বলছেন, গন আত্ম হত্যার কথা, আত্ম হত্যা কোন পথ নয়।

আত্ম হত্যা করা কোনো মহৎ কাজ নয় আত্ম হত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়।
বাঁচাতে হবে লড়াই করে বাঁচতে হবে, বাঙালি জাতি কে কোণঠাসা করতে ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গ ভঙ্গ করতে চেষ্টা করে পারে নি, কিন্তু তীব্র আন্দোলন আর প্রতিরোধের জন্য ব্রিটিশ সরকার পিছিয়ে আসে। তখন কত গুলি ভালো কাজ হয়েছিল। বাঙালি জাতি তাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক বিমা নানা রকম শিল্প গড়ে তুলে ছিল। দিয়াশালাই শিল্প থেকে আরো নানা রকম শিল্প গড়ে উঠেছিল। রজনীকান্ত সেনের, "মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেনা ভাই।দীন দুঃখিনী মা যে তোদের তার বেশি আর সাধ্য নাই।" তার পরেই শুরু হয়েছিল স্বদেশী আন্দোলন, ঠিক সেই ভাবে বর্তমানে মেরে খোট্টা দের বয়কট করুন। দেখুন বাঙালি জাতির অর্থাৎ খাঁটি বাংলার মানুষের দোকান বা ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করা হবে। আর NRC নামে বাঙালি তাড়ানো এই বি জে পি কে বয়কট করুন। অনেকে বলবেন আপনি এতো NRC বিরোধী কেন? আমি NRC বিরোধী নয়, আমি চাই NRC ভাবে NRC হোক হিন্দু  আর মুসলমান ভাগ করে নয়, কিম্বা বাড়ির সকলের নাম আছে একজনের নাম বাদ, আবার সঠিক কাগজ পত্র দেওয়া সত্ত্বেও অনেক পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ১৯ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১১ লক্ষ হিন্দু বাকি মুসলমান। ১৯৪৮ সালে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে ছিল কংগ্রেসের সেই সময় কার দুই বড়ো নেতা, একজনের নামের লোভ, আর তার জাত ভাই যাতে ব্যবসা করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। এই লোক টি ছিল গুজরাতের এখন টাকায় ছবি হয়েছে, সুভাষ চন্দ্র বসু ছিল দু চোখের বিষ, বাঙালি জাতি বিদ্বেষী তাদের জাত ভাই দুজন বর্তমান দিল্লির ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। একজন খুব বাঙালি প্রীতি দেখাচ্ছে, সুভাষ চন্দ্র বসু কে অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করবেন। আবার মাঝে মাঝে বিবেকানন্দের বানী বলেন। পারলে শ্যমা প্রসাদ মুখার্জি বেঁচে থাকলে তার পা ধুয়ে জল খেত। মিছরির ছুরি মুখে ভালো বাসা আর পেছনে ছুরি মারা, আরেক জন হুমকি দিচ্ছেন, বাংলায়. NRC করবই, NRC করে তাতে যারা বাদ পড়বেন তাদের ডি ভোটার ঘোষণা করে দিয়ে গোরুর মতো খোঁয়ার তৈরি করে রাখা হবে। মানুষ কে ভিটে ছাড়া করা হবে, করে তার জায়গায় মেরে খোট্টারা এসে বাস করবে। আপনি মনে করুন ১৯৭০ সালের আগের ডকুমেন্ট দিলেন। তাদের পছন্দ হলো না, তাদের নিজেদের ভিটে মাটি ছেড়ে যত দিন না বাংলাদেশ ফেরত নেয় তত দিন ঐ ক্যাম্পে অর্থাৎ খোঁয়ারে থাকবে তাদের বাড়িতে থাকবে মেরে খোট্টারা। যারা ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে আর ফুচকা, আলু কাবলি, চুরমুর, আখেরে রস বিক্রি করে বেড়বে। এদের বয়কট করুন। আত্মহত্যা কোনো পথ নয়। আজ দেখলাম বাড়ির সকলের নাম আছে মেয়েটির নাম নেই বলে সে আত্মহত্যা করেছে কী মর্মান্তিক পরিবর্তন রাষ্ট্রহীন হওয়ার থেকে মরে রাষ্ট্র কে মুক্তি দেওয়া ভালো।
আমি চাই না NRC নামে মানুষ কে ভিটে ছাড়ার করে খোঁয়ারে করে রাখা, কিম্বা বাড়ির কোন সকল সদস্যের একজন সদস্যের নাম নেই, সে আত্মহত্যা করেছেন। আমি চাই না বাঙালি আবার তাদের ভিটে মাটি ছাড়া হোক। আর কোনো প্রিয় জনের মৃত্যু হোক।


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...