Anulekhon.blogspot.com

Monday, 30 November 2020

স্বাধীনতার পর ঐতিহাসিক জমায়েত।


 রাষ্ট্র তার নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এই শিরোনামে আমি একটা লেখা লিখে ছিলাম। কদিন আগে, আজ আবার সেই একই শিরোনামে লেখা বা দূর দর্শন চ্যানেল দেখাচ্ছে। সরকার কতটা নির্লজ্জ, আসলে এখন দেশের সর্ব্বোচ পদে যারা বসে আছে তারা দেশের খেটে খাওয়া মানুষ কে ক্রীতদাসে পরিনত করতে চাইছে ।এক প্রকার দ্বিতীয় ইংরেজ আমল, বড়ো বড়ো শিল্পপতি বা কর্পোরেট দের গোলাম হয়ে থাকবে জনগণ, মানে কৃষক শ্রমিক, মেহনতী জনগণ যাদের শ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তৈরি হয়েছে নতুন রাস্তা বাড়ি, কৃষকের ফসল না হলে যাদের দু বেলা খাবার জোটে আজ সেই অন্নদাতারা অত্যাচারিত আজ তাদের সাথে যে ব্যবহার সরকার করছে, ব্রিটিশ সরকার এটা করত পরাধীন ভারতে, আন্দোলন কেন হচ্ছে সেই বিষয়ে না গিয়ে, পরাধীন ভারতের ইংরেজ শাসকের মতো তাদের আন্দোলন কে ভেঙে দিতে উঠে পরে লেগেছে এই সরকার যে সরকার টা একবারেও জন্যেও ভাবছে না, তাদের একটা কালা আইন আজ অন্নদাতা দের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আজ মনে হয় সময় এসেছে ভারতের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ এই কৃষক দের পাশে এসে দাঁড়ানোর, আর কেবল কৃষি বিল নয় এরা ক্ষমতায় এসে, ক্ষমতায় অন্ধ  বা ক্ষমতার দম্ভে যে সব কালা কানুন তৈরি করেছে সব বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হতে হবে। আর তা যদি না হয়, তাদের ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।  দূর্জন যদি ক্ষমতা দখল করে তাহলে সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। শান্তি পূূর্ণ আন্দোলন, কে ভাঙতে একটি স্বাধীন দেশের সরকার সেনাবাহিনী নামিয়ে আন্দদোন দমন করে কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে না। ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে সে মনে মনে বলে যা করছি বেশ করেছি, এটাই বর্তমান সরকারের কথা বিশেষ করে এই সরকারের দুটি অযোগ্য লোক ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন। সমস্ত দেশ বাসির কাছে আমার অনুরোধ আসুন কৃষক তথা অন্নদাতা দের এই আন্দোলন কে সমর্থন করি, এবং দেশের এই অসভ্য অভদ্র দুই এবং ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ লোক দুটি   কে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়ে দিতে এদের সমর্থন করে এগিয়ে আসুুন সকলে এগিয়ে আসি  আন্দোলন কে সমর্থন করি। অসভ্য ইতর অভদ্র অশিক্ষিত মানুষ দুটি কে বুঝিয়ে দিতে হবে জনগণ শেষ কথা বলে। আর সেই জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আমাদের রাজ্যের, এই রকম একটি সরকার আছে এক জনই সব তিনি যা মনে করেন তাই করেন, তিনি এবং তাঁর দল এই অসভ্য গুলো কে ডেকে আনছেন। এই অসভ্য বর্বরের দল ক্ষমতায়. এলে কি হবে তা আমরা আসাম ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন রাজ্যের অবস্থা দেখে শিক্ষা নিই। সকলে মিলে চোর ডাকাত দল কে বাংলা  থেকে হটিয়ে সত্যি কার যারা মানুষের পাশে ছিল এবং থাকে, আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামপন্থী দের সমর্থন করি। 

Sunday, 29 November 2020

বাঙালি কে মুক্তি দিতে '৭৭ আবার আসুক ফিরে।


 মাননীয়ার বাঁকুড়া সফরের বক্তব্য শুনলাম, ঐ বক্তব্য নিয়ে অনেক রকম প্রবাদ বাক্য আছে, যেমন চোরের মায়ের বড়ো গলা, ঠাকুর কে আমি তো কলা খাই নি আরও আছে, লিখতে হলে আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। বাঁকুড়া জেলার গিয়ে একটি সভা করেন, কিছু লোক সেখানে জমায়েত হয়েছিল। কারণ আমাদের রাজ্যে চোরের ও সমর্থক আছে, আর মদ মাংস পেলে তো কথাই নেই, অশিক্ষিত অর্ধ   শিক্ষিত জনগণ ছোটে সে দিকে। আর এই কাজ হীন অবস্থা একশ টাকা যথেষ্ট লোক জোগাড় করার জন্য, তার জন্য আছে একশ দিনের কাজ এই প্রকল্পের কাজ হোক আর না হোক লোক জোগাড় করা আর মদ আর ভোট কেনা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাহোক মাননীয়া সেখানে বললেন আমি বলে ছিলাম বদলা নয় বদল চাই এই জন্য সি পি আই এম এর চোর গুলো ছাড়া পেয়ে উঠে পরে লেগেছে, দিদি আপনার দল ক্ষমতায় এসে কয়েক হাজার পাার্টি অফিস দখল করে ছিল। আর কয়েক শ বাম কর্মী সমর্থকদের খুন করা হয়েছিল। ভোটের সময় ঝাণ্ডা লাগাতে দেয় নি বুথ এজেন্ট তো দূরের কথা। মিথ্যে মামলা বা কেস সে তো বলার কথা, আমি আপনার এক নেতার ভাষণ শুনেছি তিনি কর্মীমীদে নির্দেশ দিচ্ছেন বামপন্থী দের     কেসের মালা  পরিয়ে দিতে হবে। আপনার আমলে একটা নির্বাচন শান্তি পুর্ণ হয় নি।গত পঞ্চায়েত ভোটের কথা ভুলে গেলেন, ভোট করতে গিয়ে একজন অফিসার খুন হয়ে গেলেন। আর ভোট লুট ওটা তো আপনার বাহিনীর কাছে জলভাত। আপনি বলতেন না সি পি আই এম ভোটে কারচুপি করে জেতে। আপনার বাহিনীকে দেখলাম গননা কেন্দ্রের মধ্যে ছাপ্পা দিতে। জানি আপনি মিথ্যা কথায় নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কিন্তু বার বার মিথ্যা কথা বলে মানুষ কে বোকা বানান যাবে না। বলছেন না, সি পি আই এম চোর আপনি কত গুলো কমিশন গঠন করেছিলেন ভুলে গেছেন ১৭ না ১৮ তার উপর ছিল সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম জ্ঞানেরশ্বরী.  এক্সপ্রেস সি বি আই তদন্ত সব রিপোর্ট আপনার কাছে জমা আছে কয় একটিও তো কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টে আপনি জ্ঞানেরশ্বরী কাণ্ড নিয়ে কি নাটক মঞ্চস্থ করলেন আর যেই রিপোর্ট জমা পড়েছে আর সব বন্ধ হয়ে গেল। আপনি বলছেন না, সি পি আই এম চোর, আচ্ছা তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র, কুনাল ঘোষ, আর ঐ মোহন বাগানের কে এক কর্মকর্তা জেলে গেল এরা কবে সি পি আই এম করত বলবেন। আরও কিছু ছবি এখানে দিলাম বলুন এরা কবে সি পি আই এম ছিল।
এরা কারা মনে টাকার হিসেব করতে ব্যাস্ত। সত্যিই বলেছেন, এরা সকলেই সি পি আই এম, টাকা নিয়ে আপনার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ঐ যে আপনি বলেছেন লোভী সি পি আই এম এরা সবাই লোভী সি পি আই এম। ভোট এলে, একবার করে ই ডি আর সি বি আই নোটিশ পাঠানো নাটক মঞ্চস্থ করে, যেমন আপনি ভালো মিথ্যা কথায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন, সেই রকম কেন্দ্রীয় প্রধান সেবক তিনিও মিথ্যা কথায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। না হলে এই প্রতি ভোটের সময় ই, ডি আর সি বি আই এর নাটক কবে বন্ধ হয়ে যেত। সে জানে আপনি আর আপনার দল রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলে তাদের লাভ। আপনার দলের অর্ধেক নেতা পা বাড়িয়ে রেখেছে দলে ঢোকার জন্য। আর ঐ সর্বভারতীয় বিশ্বের সেরা মিথ্যাবাদী দলে নিয়ে চোরের জামা কাপড় কেচে নিয়ে দলের পদে বসিয়ে সাধু বানিয়ে ফেলবে। আর আপনি সেই এক বুলি বলে যাবেন, কারণ সি পি আই এমের ভুত আপনার ঘাড় থেকে নামে নি। আপনি বিলক্ষণ জানেন, আপনার দলের চোর চিটিংবাজ গুলো সি বি আই ও ই ডির ভয়ে বি জে পি তে ভীর করছে। আপনি কিছু করতে পারছেন, দেখেও কিছু বলতে পারছেন কারণ একটা ঐ সারদা নারদার টাকা। দারুণ দিদি আপনি সেই পুরনো রেকর্ড বাজিয়ে যান ওসব মানুষ, ওসব মানুষ আর নিচ্ছে না। কারণ তারা দেখছে আপনি যাদের চোর বলছেন, লোভী বলছেন, বি জে পি র সাথে গোপন বোঝা 
পরা করে ভোটে জিতেতে দিচ্ছে না। আপনার এবং আপনার বা আপনাদের পোটোয়া ঘুষখোর মিডিয়ায় বসে বলে ছিলেন ওদের দুর্বীণ দিয়ে দেখতে হবে। জানি না সে দূর্বীন খারাপ হয়ে গেল। যারা গত ভোটে ৭% বেশি ভোট পায় নি। তারা এই মহামারীর সময় ২০০০ এর উপর কম্যুনিটি কিচেন চালাচ্ছে, প্রথম থেকেই মানুষের পাশে তাদের দেখা গেছে। আপনি না বললেও সাধারণ মানুষ কিন্তু বলেছেন আবার '৭৭ সাল হবে। আমি জানি না আপনি জানেন কি না' ৭৭ এ কি হয়েছিল। না জানলে জেনে নিন। আমিও চাই আবার ১৯৭৭ আবার ঘুরে আসুক, মানুষ ভুলে যাক এটা ২০২১ সালের নির্বাচন।


Saturday, 28 November 2020

রাষ্ট্র নাগরিক দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।


 কেন্দ্র সরকার নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমি বুঝতে পারি না ক্ষমতার অহংকার মানুষ কে এতটা অন্ধ করে দিতে পারে। দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতা দখল করে নিজেদের দেশের সর্ব শক্তিমান ভেবে নেওয়া কি ঠিক। ভারতের গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা আজ একেবারে ভেঙে পড়েছে। প্রথমেই জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে এসেছে CAA, UPA, তারপর এই কৃষি বিল। প্রতিটি পদক্ষেপ মানুষের তথা জনগণের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে খেটে খাওয়া গরীব মানুষ এবং কৃষক বিরোধী যে দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ একবেলা কোন রকম খাবার যোগার করতে পারে না। এই মহামারী সময় তাদের অবস্থা আরও করুন, তারপর আছে এই রকম মানুষ মারা আইন। আর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জমায়েত করা মিটিং মিছিল করা যাবে না। প্রতিবাদ করেছ কি পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হবে, কি কেন্দ্রীয় সরকার আর কি রাজ্য সরকার, এই যে কৃষি আইনের প্রতিবাদে মিছিল বা দিল্লিতে জমায়েত একটু লক্ষ্য করে দেখুন, কোথায় গুলি চালায় পুলিশ কোথায় নাগরিক কের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কে ভাঙতে লাঠি জলকামান আরও কতকি ব্যযবহা করা হয়েছে। বাংলার পুলিশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়, বি জেপি এবং তৃণমূল হলে যত্ন করে বিরিয়ানি খাওয়ায় আর বাম হলে তাদের লাঠি পেটা করে এমনকি জল পর্যন্ত দেয় না। আমি জানি না সরকারের এটাই নির্দেশ কি না? আমি ইতিহাসে পড়েছি ব্রিরিটি পুলিশ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন দমন করতে আন্দোলনকারি দের ওপর এভাবেই অত্যাচার করত। এখন দেখা যাচ্ছে ঠিক সেই অত্যাচার পুলিশ করছে। আমি মনে করি ইংরেজ চলে গেছে কিন্তু সেই সময় যারা ইংরেজ সরকারের পা চেটে চাকরি করত বা গোলাম ছিল এখন সেই সব মানুষ ক্ষমতায় এসেছে, এরা জনগণ কে কুকুর ছাগল ভাবে এক টুকরো বাসি রুটির মত করে এই নে হাজার টাকা দিলাম এই জুতো দিলাম, জামা দিলাম মাসে দু কেজি চাল দিলাম এই নে পুজো করবি টাকা দিলাম এই নে মাস্ক দিলাম। এই ঘোষণা করে দিলাম চাকরি দেওয়া হবে, এমন ভাবে সেটা করা হলো যাতে কেস করার সুযোগ থাকে। আমার ভোট চাই, মদের দাম কমিয়ে দিয়েছি, মদ খাবি আর ভাগারের মাংস খাবি, আরেকটা ব্যাপার আছে বলছি। আমি ভোটে জিতে কোটি কোটি টাকা কাটমানি, তোলা তোলা জন্য বালি কয়লা বড় বড় ব্যবসায়ী আছে, আজ আলুর দাম কেন, আলুর আরত দার দের থেকে কম তোলা নেওয়া হয়েছে। আর গরীব মানুষ কে ভয় দেখিয়ে, মেরে যেমন করে হোক ভয় দেখিয়ে ঘরে বন্দি করে রেখে ভোট করব। আমাকে  জিততেই হবে। সেই কারণেই আন্দোলন করা যাবে না, মানুষের দাবি নিয়ে এসব আবার কি? অনেকেই আবার একটা মজার কথা  বলছে দাবি গুলো সব ঠিক আছে কিন্তু বনধ করা বা মিছিল মিটিং করা যাবে না, অর্থাৎ গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাহলে দাবি আদায়ের রাস্তা কি? সব জেনেও মিডিয়ায় গরীব মানুষের খবর দেখাবে না, কৃষক মৃত্যু তাদের চোখে চোখে পড়ে না, জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি তাদের নজর এড়িয়ে যায়। নেতার চুরি করে কোটি কোটি টাকা আয় চোখে পড়ে না। সাধারণ মানুষের আন্দোলন ছাড়া উপায় কি? সেই আন্দোলন করলে পুলিশ দিয়ে তাদের উপর হামলা করতে হবে। এটা কি স্বাবাধী দেশের সরকার, যে সরকার জনগণের জীবন জীবিকা নিয়ে যা খুশি তাই করে, আর সরকারের সেই অন্যাযা আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গেলে। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে? 

Friday, 27 November 2020

চপ শিল্প ভালোই চলছে।


 চপ শিল্প ভালোই চলছে, ওপরের শিরোনামে তার প্রমাণ মিলেছে। দাম ও বাড়েনি, আদর্শ দিদি ভক্ত দিদির কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের রাজ্যের প্রধান শিল্প কে বাঁঁচাতে আপনার উদ্যোগ কে। আপনার চেষ্টা বিফলে যাবে না, কেবল দেখবেন লোকসান করে যেন তুলে দেবেন না। এত সম্ভবনাময় শিল্প কে। 

বানীর মত বানী রে ভাই।

 দীর্ঘ দিন পর আজ আবার অনেক গুলো বানী শোনা গেল, কী কী একবার বলি পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র আমি অবজার্ভার, কে কি করছে, কার সাথে কে যোগাযোগ রাখছে সব নজরে আছে। তৃণমূল করতে হলে সৎ হতে হবে, আবার ফিরছে কত শুনলাম। যেন সেই ২০১০ /১১ সাল সততার প্রতীক, এখন চোরের প্রতীক, আমি আশ্চর্য হয়ে যাই এই চোর লুটেরার মিথ্যাবাদীর সমর্থক আছে আবার ক্ষমতা চাই, কারণ ভাইপো ভাইঝি দের এখন ও পেট ভরে নি। মানুষ কে ভয় দেখিয়ে মদ মাংস খাইয়ে ভোট নেওয়া একটা দল, এখন ও ক্ষমতায় আসতে চাইছে, আসলে যারা চুরির টাকা ভাগ পায় তারা একে সমর্থন করে, এই ধর্মঘটে সামিল হন নি যারা তারা চান না বেকার ছেলে মেয়েরা চাকরি পাক, চাকরির দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া আবার চাকরির তালিকা ভুক্ত হয়েও চাকরি হয় নি, আঠাশ দিন অনশন করতে হয়েছে তাতেও চাকরি হয় নি। অনশন করতে গিয়ে সন্তান সম্ভবা মা তার সন্তান হারিয়েছে। এই রাজ্যে আর কত কি দেখছি, এর পরেও মানুষ এই সরকার কে সমর্থন করে যাচ্ছে, বুঝতে হবে যারা সমর্থন করে যাচ্ছে, তারা চায় না, কৃষক সুস্থ হয়ে বাঁচুক কেবল মুখে দরদ নয় এবং বছরে একবার দয়া দেখানো নয়। এক হাজার দু হাজার টাকা মাসে দিয়ে নিজের কোটি কোটি টাকার মালিক, নমুনা দেখুন এই এক ভাইপো ১২০০ কোটি টাকার মালিক। আরেক ভাইপোর সম্পদ বেড়েছে ৫৮% 




কার ছেলের সম্পদ বেড়েছে ১৫০০০% এই রকম দেশের মানুষ মরুক আমার ছেলে থাকে যেন দুধে ভাতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র দাম আকাশ ছোঁয়া, যারা এই সরকার ও ধর্মঘট বিরোধী তাদের ঘরে অনেক টাকা মজুত করা আছে না হলে এই ধর্মঘট কে সমর্থন করতেন, না হলে বলতে হবে এই লকডাউন এর সময় লক্ষ লক্ষ খেটে খাওয়া মানুষ রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরেছে না খেয়ে মারা গেছে, বাড়ি ফেরার পথে জুটেছে পুলিশের মার বা গায়ে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে, এসব দেখে খুব আনন্দিত হয়েছে। কারণ ঐ সব মানুষের কাছে এই খেটে খাওয়া মানুষের দাম নেই। অথচ একবার ও ভাবে না ঐ মানুষ গুলো না থাকলে তাদের বেঁচে থাকা কষ্ট কর হয়ে যেত। কুত্তার মতো ছুঁড়ে দেওয়া ১৫০০ টাকা থেকে সব থেকে বেশি ১০০০০ টাকা বেতন নিয়ে তারা খুশি। আর পুলিশ সে ব্রিটিশ সরকারের থেকেও ভয়ঙ্কর কোথাও গুলি চালায় কোথাও লাঠি কারণ লুটের টাকার ভাগ ভালো পায় যে। এই অসভ্য অশিক্ষিত দলের এক সমর্থকের মন্তব্য দেখুন। এ সৎ দলের সৎ বংশের চোরের সমর্থন করে, কেন্দ্রে বড়ো চোর আর রাজ্যের আরেক চোর।



Tuesday, 24 November 2020

দেখুন কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়ন।


 কিছু আর লিখছি না, আত্ম নির্ভভ ভারত, ভারত বাসি আত্ম    নির্ভর হয়েছে। ভারতের সব থেকে গরীব মানুষ, তাই দু বেলা দু মুঠো খেয়ে পরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। আর রাজ্যের আরেক বিধায়ক তৃণমূল নেত্রীর ফর্মে, সিঙ্গুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি অশোক নগরে খনিজ তেল ও গ্যাসের খনির জায়গা নিয়ে, কারণ শিল্পে এগিয়ে বাংলা। ছবি দেখুন তো বিধায়ক কে চিনতে পারেন কি না? বাংলার উন্নয়নে এত বড়ো সাহায্য যিনি করছেন। ওনাকে ফুলের মালা দিয়ে, সংবর্ধনা দিতে হবে।

দেখে নিয়েছেন রাজ্যের উন্নয়ন এর ধারা অব্যাহত রয়েছে। 


ভোটের আগে সরকার কল্পতরু।

 



ভোট এসেছে কী চাই, সব কিছু পেয়ে যাবেন, ঐ যে সরকারি কর্মীরা ২০১১ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার সাথে সাথে ডি এ পেয়ে আসছে। সিঙ্গুরে ৬০০ একরে রেলের কারখানা হয়ে গেছে। এই করোনা আবহে, নতুন তৈরি করা ৩৬ টি সুপার স্পেশাল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে । নন্দীগ্রাম থেকে সিঙ্গুর পর্যন্ত ট্রেন চলছে, বিদ্যুতের ইউনিট দাম কমেছে, ১২ টাকার চাল দাম কমে ৪২ টাকা হয়েছে। ৫৫ টাকার পেট্রোল কমে ৮৩ টাকা হয়েছে। ৯ টাকা কেজি আলু কমে ৪৫ টাকা হয়েছে। বছরে দু কোটি করে বেকারের চাকরি হয়েছে। ৯ বছরে আঠারো কোটি বেকারের চাকরি হয়েছে। যা পশ্চিমবঙ্গের লোক সংখ্যার থেকে বেশি। এত চাকরি হয়েছে বেকার ছেলে মেয়েরা আনন্দে ২৮ দিন অনশন করে ফেলল। আজও গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীরা আনন্দে আন্দোলন করছে, শিক্ষক দের এত বেতন বেড়েছে, ভয় পাচ্ছেন, পার্শ্ব শিক্ষক সর্ব শিক্ষার কর্মী দের এত বেতন বেড়েছে, কল্পনা করা যায় না, ১৫% হাউজ রেন্ট বেড়ে ১২ % হয়ে। ২০১৯ সালে পে কমিশনের সাথে সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডি এ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন চাকরি করার পরও, শিক্ষকরা ৩৯শো টাকা গ্রেড পে পেল না আর জুনিয়র শিক্ষক তাদের ১৮ বছর চাকরি হলেই ৩৯ শো গ্রেড পে। বাংলায় এর আগে দুর্গা পুজো হতো না, এই দু বছর ধরে হচ্ছে প্রতি টি পুজো কমিটি ৫০ হাজার করে টাকা পাচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, সকলের রেশন কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে। উন্নয়নের ঠেলায় পাঁচ বছরের শিশু কিশলয়, নব গনিত, ইংরেজি ভুলে, কাটুম কুটুম আর মজারু পড়ছে। মানুষের আয় বেড়েছে, কেবল জিনিস পত্র বিক্রি হচ্ছে না এই যা। চপ বিক্রি করে রাজ্যের কয়েক লক্ষ বেকার পাঁচ তোলা বাড়ি করে তুলেছে, আর নেতা মন্ত্রীরা সব বড় বড় প্রাসাদ ছেড়ে গাছ তলায় এসে গরীব মানুষের মত হয়ে গেছে। কারণ তারা চপ শিল্প করে নি, বালি শিল্প, কয়লা শিল্প, সারদা সহ সমস্ত চিটিংবাজ ফাণ্ডের টাকা সকলে ফেরৎ পেয়েছে। কল্পতরু সরকার এবার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ভোট চাইতে যাবে, আমাদের আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় নিয়ে এস আমার বাড়ি টা এখনও দুতলা আছে চার তলা হয় নি। ব্যাঙ্কে মাত্র এক কোটি টাকা ওটা হাজার কোটি করতে হবে।

ভাই বন্ধু যারা আমার এই লেখাটা পড়বে তাদের কাছে অনুরোধ তোমরা হয়তো অনেকই ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ দেখিন শুনেছ মানুষ খেতে পেত না, ভুট্টা গুঁড়ো, মাইলো, মুগ কড়াই সেদ্ধ, বড় লোক বা ধনীর বাড়িতে ভাত রান্না হতো একটা জায়গায় দিয়ে আসত ফ্যান টা নিয়ে এসে বাড়িতে বাচ্চা দের খাওয়াত ।এই সরকার বা এর আরেকটা পার্ট বিজেপি কে যদি ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন, তাহলে ঐ দিন গুলো বাঙালির জীবনে আবার ফেরত আসবে, আবার লঙ্গর খানা খুলে কারখানার মালিক রা একমুঠো মুড়ি খেতে দেবে কুত্তার মতো। তাই বলছি আবার ১৯৭৭ ফিরিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ বাম ক্ষমতায় আনতে হবে। শত বাধা বিপত্তি ঠেলে প্রতিরোধ প্রতিবাদ করে, যেমন করে হোক আনতেই হবে বাম সরকার। ১৯৭৭ সালে বামেরা সব বুথে এজেন্ট দিতে পারে নি, এমনকি ভালো করে প্রচার করতে পারে নি তাতেও ভোট গণনার সময় দেখা যায় বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বাম দল গুলো জয় পায়। গঠিত হয় স্বপ্নের সরকার বাম সরকার আগামী ২০২১ সালের মে মাসে আবার ফিরে আসবে ১৯৭৭। ২০২১ সাল বাংলা হবে লালে লাল। 

Sunday, 22 November 2020

স্থানীয় বামপন্থী দের জন্য।

 আমি একটা জিনিস খুব লক্ষ্য করছি, স্থানীয় বামপন্থী ব্লক স্তরে বা পঞ্চায়েত স্তরের, সে যে কোন এড়িয়া কমিটির হোক, সর্বত্র সে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করতে জানে না। এলাকায় একটি মিছিল মিটিং হোক, তার আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা, তাতে দু চার জনও তো বাড়ে না এরা কি করে মিছিল শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা খবর দেন। আসলে এ সমস্যা আজকের না বামেদের সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল তখন থেকেই স্থানীয়রা প্রচার বিমুখ, সবাই কে বললে যদি চলে আসে, আর আসতে আসতে যদি আমার পদ চলে যায় আমার থেকে বড় হয়ে যায়, মানুষ যদি পছন্দ করেন খুব খারাপ হয়ে যাবে তাহলে ওকে বললাম না। খবরটা দিলাম না, অর্থাৎ ইগোর লড়াই আবার কেউ যদি গিয়ে পড়ে তা হলে নানা রকম কথা জিজ্ঞাসা তাকে নিয়ে। আর বর্তমান শাসক এবং ঐ দল ভেঙে তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে তাদের দেখুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই দিচ্ছে কবে মিছিল আছে কোথায় মিটিং আছে এবং সকল কে আহ্বান জানানো হচ্ছে হাজির হবার জন্য। সেখানে নতুন মুখ গেলে কেউ কোন মন্তব্য করে না। এই বামপন্থীরা বেশির ভাগ ইগোয় ভোগে আর পদ নিয়ে পরে থাকে আ মৃত্যু পর্যন্ত তাদের পদ চাই। জানা নেই, কীভাবে এরা ক্ষমতা দখল করবে শাসক তৃণমূল আর বিজেপির প্রতিটি পঞ্চায়েতের খবর দেওয়ার জন্যই তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আর এরা ইগো নিয়ে মরে, বলতে যেন কষ্ট হয়। নাকি মানুষের সাথে মিশতে পারে না, আমি বলছি যদি সত্যি মানুষ কে এই দুর্বিসহ জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চান তবে, প্রতিটি পঞ্চায়েত স্তরে পারলে বুথ স্তরের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ রাখুন এবং মিছিল মিটিং এর অন্তত কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করে এলাকায় এলাকায় খবর পৌঁছে দিন। প্রত্যেকের সাথে এখন স্মার্টফোন যারা আছে তারা দায়িত্ব নিয়ে সেটা শেয়ার করবেন যাতে খবরটা আগের থেকে পৌঁছে যায়, দু একটা জায়গা থেকে এগুলো করা হচ্ছে।গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে প্রতিটি বুথ স্তরের সাথে এভাবে যোগাযোগ করুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা বিরাট প্রচার মাধ্যম। কয়েকটি জায়গার লাইভ ও দেখি, পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং প্রায় ৭৭ হাজারের বেশি বুথ। সর্বত্র ব্যবস্থা করে নেওয়া, প্রতিটি বিষয়ে খবর  পৌঁছে দিন, ইগো ছাড়ুন কেউ আপনার পদ কেড়ে নেবে না মানুষ চাইছে মুক্তি আপনাদের আরও সক্রিয়তা। 

পশ্চিমবঙ্গ বড়াবড়ি নাটক থিয়েটারের জন্য বিখ্যাত।

 পশ্চিমবঙ্গরে রাজনীতি তে দীর্ঘ তিন চার মাস ধরে একটা নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে, কারণ একটাই অন্যান্য বিরোধী দল কি প্রচার করছে বা বলছেন, সে গুলো যাতে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছে না পৌঁছয়, বা দেখাতে না পারে। দারুণ কৌশল প্রতিদিন, নাটক নিয়ে একের অধিক খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। কে কোন দলে যাচ্ছে, কে কে পা বাড়িয়ে আছে, কখনো কখনো বলা হচ্ছে, এই গেল গেল, আবার নাটকে অন্য চরিত্র অন্য রকম করে সেটা বন্ধ করে দিলেন। সেটাও আছে, এটা চলছে, ছোট চোর বড়ো চোরের দলে যাবে, বড়ো চোর এমন ভাবে চুরি করে কেউ বুঝতে পারে না। কিছু লোক ঠিক করে রাখে নাম শিল্পপতি কোটি কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, আর কিছু দিন বা দু এক বছর পর সে ঋণ শোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, আর তাদের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়। শিল্পপতি নামক বড়ো চোর যে সবাই দেশ ছেড়ে চলে গেছে এমন নয়। তার পর আছে দেশের সমস্ত সরকারি সম্পত্তি ঐ শিল্পপতি দেরে বিক্রি করে দেওয়া, ওরা কিনবে কি করে না আবার ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। দারুণ ব্যাপার, ঐ টাকা আসবে কোথা থেকে, আসবে জনগণের থেকে ব্যাঙ্ক বিভিন্ন অজুহাতে কেটে নেবে। জনগণের টাকা চুরি করতে একটা নতুন পদ্ধতি, কোন চিটিংবাজ ফাণ্ড লাগবে না। আমরা জনগণ গত সাড়ে নয় বছর ধরে চলে আসা এই নাটক দেখে অভ্যস্ত, আমরা এমন অশিক্ষিত বাড়িতে ছিঁছকে চোর মুরগি চুরি করলে তাকে ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে পরপারে টিকিট ধরিয়ে দিই, আর এই সব বড় চোরকে ভোট দিয়ে ভোটে নির্বাচিত করে দিই, যাতে সে জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে, মিথ্যা নাটক মঞ্চস্থ করে নানান অজুহাতে জনগণের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। এরা এমন চোর নির্বাচিত হওয়ার আগে, সাইকেল চাপে, টালির চাল দেওয়া ঘরে বাস করে বা কোন কারখানায় ২৮০ টাকা রোজে কাজ করে, আর নির্বাচিত হন দুই থেকে চার বছরের মধ্যে প্রাসাদ বাড়ি দুটি থেকে তিন টি দামী চার চাকা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা একটা স্তোত বাক্য বলে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে থাকি, যে লঙ্কায় যায় সেই রাবন সবাই চোর। একবারের জন্যে খতিয়ে দেখে না, সত্যি সকলে চোর কি না কারণ বড়ো চোর আর চোট চোরের প্রচারের ছটায় অন্ধের মত বিশ্বাস করে নিই। একটু ভাবলে বোঝা যাবে, আগে ডাকাতি করতে যাবার আগে, ডাকাতের দল কালি পুজো করে যেত, আর এই সব চোর ডাকাতরা ভালো কে কি করে খারাপ করা যায় প্রতি নিয়ত তার নামে মিথ্যা বলে এমন প্রচার করে মানুষ বিশ্বাস করে নেয়। সেই কারণেই বলছি এই বড়ো বড়ো ডাকাত গুলো নাটক মঞ্চস্থ করতে আর মিথ্যে কথা বলতে ভীষণ ওস্তাদ। তবুও যাহোক দীর্ঘ দিন নাটকের, মঞ্চ গুলো বন্ধ আছে, তবুও এদের কল্যাণে নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। সাধারণ গরীব মানুষ কে বলিছি এদের নাটকে দর্শক থাকুন কখনো এদের হয়ে হাত তালি দেবেন না। 

Saturday, 21 November 2020

কেন ২৬ শে ধর্মঘটে সামিল হবেন?

 আগামী ২৬/১১/2020 সারা দেশ ব্যাপী বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন এবং অন্যান্য ডান পণ্থী শ্রমিক সংগঠন বিজেপি ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন বাদে সকলে মিলে ভারত বনধ এর ডাক দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন দীর্ঘ লকডাউন বন্ধ ছিল সব আবার বনধ বা ধর্মঘট। যারা বনধ বিরোধী তাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন, এই করোনা মহামারীর নামে যে লকডাউন হলো, সেখান থেকে অর্থাৎ ২৩/১১/2020 থেকে আজ অবধি কত খেটে খাওয়া মানুষের কাজ গেছে জানেন? কত দীন মজুর এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যারা কাজ করেন তারা আজ কাজে ফিরতে পারছে না? একটাই কারণ দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল অনেক দিন শুরু হলেও ভাড়া আকাশ ছোঁয়া। দিনের পর দিন তারা বেকার, একবেলা খাবার যোগার করতে হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে। সরকারি ভাবে সাহায্য সে তো পূজো কমিটি, আর ক্লাব গুলোর জন্য, আর রেশনের ব্যবস্থা সে আর বলতে হবে না? একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখুন রেশনের নামে কি চলছে? যদি বা সামান্য হলেও একটু টাকা উপার্জন করছে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া, কাঁচা আনাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের রান্নার তেল, চাল ডাল, কোনটি কম দামে নেই, এর কারণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন রোধ করে দেওয়া, কৃষি বিলের সাথে সাথে ঐ আইন তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের রাজ্যের সরকার  বড় পুঁজিপতি দের ক্ষুদ্র ব্যবসায় অনুপ্রবেশের অনুমতি দিয়ে ছিল ২০১৪ সালে আর কেন্দ্রীয় সরকার সেটা যাতে আরও ভাল ভাবে করতে পারে জিনিস পত্র মজুত করে তার ব্যবস্থাপনা করে দিলেন। বড়ো বড়ো ব্যবসায়ীর দল জিনিস পত্র মজুত করে রেখে কৃত্রিম অভাব তৈরি করে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ বলার নেই, কারণ একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল, যা খুশি তাই করতে পারে। আর বেশি কিছু বললে আপনি দেশদ্রোহী, ইউ পি এ বলে একটা কালা আইন করে রেখেছে ব্রিটিশ সরকারের মত সেই আইনের বলে যে কোন মানুষ কে অর্থাৎ প্রতিবাদি মানুষ কে দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে বিনা বিচারে আটক করা যায়। আসুন কেন এই ধর্মঘট কে সকলের সমর্থন করা দরকার কতগুলো কারণ এখানে দিলাম।

১) দেশের অন্নদাতা অর্থাৎ কৃষক আজ আক্রান্ত, এমন আইন করা হয়েছে, নীল কর সাহেব দের নীল চাষের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

২) স্বাধীনতার পর গত ৪৫ বৎসরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার সংখ্যা ছিল লকডাউন এর আগে আর এই লকডাউনের সাথে আন লকডাউন সহ আরও কুড়ি কোটি বেকার বেড়েছে।

৩) দেশের সরকারি সম্পত্তি বেচে দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে বড়ো বড়ো শিল্পপতি দের, এমনকি আদিবাসী দের জমি পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না। ব্যাঙ্ক, বীমা, বিমান বন্দর, রেল, টেলিফোন টেলিভিশন চ্যানেল তো অনেক আগেই বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি কারখানা, বেঙ্গল কেমিক্যাল এর মত সংস্থা সব কিছু কে আধুনিকি করণ না করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বা তুলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি দেশের প্রতিরক্ষায় অস্ত্র তৈরির কারখানা, ইছাপুর গান এণ্ড সেল ফ্যাক্টরি বিক্রি করে দেওয়া বা তুলে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি সংস্থার হাতে।

৪) আমি বা আপনি ভোট দিয়েছি সরকার গঠন করতে, নাগরিক প্রমাণ পত্র দেখিয়ে এখন সে সব অবৈধ। আপনার আমার নাগরিকত্ব পরীক্ষা করে দেখা হবে।

৫) জাতীয় শিক্ষা নীতি 2020 এমন একটা ব্যবস্থা যেখানে, গরীব মানুষের বা খেটে খাওয়া মানুষের সন্তান লেখা শেখা সংকটের মুখে, এমন ব্যবস্থা তারা করেছে সবটাই বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

৬) অনেক টাল বাহনার পর ট্রেন চলাচল করলেও এখনও গরীব খেটে খাওয়া মানুষের যাওয়ার অনুমতি নেই, বিশেষ করে হকার দের ক্ষুদ্র আনাজ ব্যবসায়ী দের নানান বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। করোনা করোনা করে এই সব মানুষ গুলো কে ধনে প্রাণে মেরে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনে চেপে যাওয়ার অভ্যাস ভুলে যেতে বসেছে এই সব মানুষ, এতে লাভ, পরে বলা হবে রেল চালিয়ে ক্ষতি হচ্ছে, তাই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সব খুলে দেওয়া হচ্ছে, কেবল এদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় নি। গরীব মানুষ কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে দুই সরকারের নীতি করোনা করোনা করে। আ

  গরীব মানুষ না খেয়ে মারা যাবে কেন, তার থেকে করোনায় মরা ভালো। 

Monday, 16 November 2020

দেব দেবীরাও মর্ত্যলোক ছেড়ে যেতে চান না!


 আগে আমার ছোট বেলা মনে পড়ছে, দুর্গা পুজো হতো চার দিন, কোন কোন বছর পাঁচ দিন। এখন পর্যন্ত দুর্গা পুজোর বিষয় ঠিক থাকলে ও অন্যান্য ঠাকুর পুজো দেখলে মনে হবে, তিনি মর্ত্যে এসে আর যেতে চাইছেন না। এটা সব জায়গায় না             বঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় থেকেই যান তিনি, যেমন ধরুন কোজাগরি লক্ষ্মী পুজো আগে দুদিন, এখন কিছু জায়গায় এসে চার দিন পাঁচ দিন থাকেন। কালী পুজো দীপান্বিতা কালি পুজো এই ক দিন আগে যে পুজো হলো, ইনিও ক্ষেত্র বিশেষে চার পাঁচ দিন থেকে যান। . কার্তিক মাসের        কার্তিক পুজো তিনি ক্ষেত্র বিশেষে থেকে যান চার থেকে পাঁচ দিন। মাঘ মাসের সরস্বতী পুজো, ইনিও আসেন কোথাও কোথাও করে চার দিন থাকেন। ফাল্গুনের শিব দুর্গা পুজো যে টি এক রাতের পুজো তিনিও আসেন তিন দিনের জন্য। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে    দুর্গার সাথে সকলে মিলে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কার কত ভক্ত আছে, আর কে কত দিন থাকতে পারে, সত্যি দেবতার এত মহিমা এবং তাদের মধ্যেও ক্ষমতা   অর্থাৎ মর্ত্যে থাকার ক্ষমতা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েেছে। 

সব কাজ অন লাইন, তবুও পড়ছে লম্বা লাইন।

 রেলের টিকিট অন লাইন, ( বর্তমান মহামারীর সময় বন্ধ আছে) কাটা যাবে, ব্যবস্থা আছে তবুও পড়ছে লম্বা লাইন ।কতগুলো কারণ এক স্টেশনের বা রেলের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে এই টিকিট কাটতে হবে। কেউ প্লাটফর্ম বা রেলের জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের ফোনে, অন লাইনে এই টিকিট কাটতে পারে না। এবার লম্বা লাইন এ দাঁড়িয়ে কাউন্টারে পৌঁছে শুনতে হবে। লোকাল ইলেকট্রিক নেই, যেমন এই সেদিন ৯/ ১১ / 2020 সিঙ্গুর স্টেশনে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত লোকাল ইলেকট্রিক ছিল না। ৯ /১১ /2020 এবং ১০/১১ / 2020 ছিল লকডাউনের সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তার পরেও যাদের মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বাৎসরিক টিকিটের দিন গুলো যাতায়াত করতে পারে নি তাদের দিন সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া। অর্থাৎ যার যতদিন বাকি ছিল ১১/১১ /2020 থেকে ততদিনের দিন সংখ্যা দেওয়া। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য ৯/ ১১ / 2020 সকাল ৯ টা থেকে লোকাল ইলেকট্রিক না থাকার কারণে সে বন্ধ ছিল শুরু হয় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ। আশ্চর্য ব্যাপার রেলওয়ের ইলেকট্রিক তাও লোকাল ইলেকট্রিক এর উপর নির্ভর করতে হয়। অথচ স্পেশাল ট্রেন চলাচল করেছে, স্টেশন মাস্টার এর ঘরে আলো জ্বলছে সব হয়েছে কেবল টিকিট আপডেট বন্ধ। আবার প্রায় দিনই কাছে পৌঁছে শুনতে হয়, সার্ভার ডাউন, লিঙ্ক নেই। অন লাইন হয়েও যদি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাহলে অন লাইন এ কি দরকার! এবার আসুন ব্যাঙ্কের কথায়, সিঙ্গুর ইউ বি আই ( বর্তমানে পাঞ্জাব ন্যাশনাল) মার্চ মাসে পাশ বই অপডেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে, আজ পর্যন্ত মেশিন ঠিক করে নি। একটা মজার ব্যাপার আছে, ব্যাঙ্কের বাইরে সকাল ৯ টা থেকে লম্বা লাইন মানুষ গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে আছে, সংকীর্ণ রাস্তা তাতেই বিশাল লম্বা লাইন। ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে পাঁচ জন, সেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। আর বাইরে শারীরিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই, কেউ দেখার নেই। ঐ সংকীর্ণ রাস্তার পাশের দোকান দার বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বৃদ্ধ মানুষ গুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারে না। কি অদ্ভুত সুন্দর ব্যবস্থা, নীচে একটা এ টি এম আছে সেটা দীর্ঘ দিন বন্ধ এবং খারাপ করে রাখা হয়েছে। মনে হয় কোথাও বাতিল জিনিস সরিয়ে লাগানো হয়েছে। এই ব্যাঙ্কের একটা কাজ টাকা তোলা ও জমা করতে হলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে হবে। মানুষের অন্য সব কাজ ফেলে একটা দিন এই ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে তাও হবে কিনা সন্দেহ, ভেতরে ঢুকে শুনতে হবে লিঙ্ক নেই, কিম্বা আপনার বাবার জণ্ম শংসাপত্র নেই। এদের আবার অনেকে গোপন নিয়ম আছে আপনাকে ফিরিয়ে দেবার কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আপনি ভেতরে ঢুকে গেলেন, আপনার, K. Y. C দেওয়া নেই দিতে হবে অথচ ওরা যা কাগজ পত্র চেয়ে ছিল সব জমা করে ছিলেন, দেখে শুনে এমন একটা কিছু কাগজপত্রের কথা বলা হবে যা সেই মূহুর্তে বলে নি। এবার আপনি আবার পরের দিন সেই কাগজ নিয়ে গেলেন লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভাবছেন আজ টাকা জমা বা তোলা যাবে, কিন্তু না আপনি অনেক কষ্টে ভেতরে গিয়ে আবার একটা কাগজের কথা শুনবেন। আমার তো মনে হচ্ছে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার জন্য এরা যথেষ্ট। এবার আসুন রেশন কার্ড, নিশ্চয়ই অনেকেরই অভিজ্ঞতা হয়েছে। সব অন লাইন করা যায়, কিন্তু অন লাইন সাইট টা খোলা যাবে না, সেখানে সাধারণ মানুষ যাতে ব্যবহার না করতে পারে তার ব্যবস্থাপনা করা আছে, হয়তো বা নকল হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে, সে বাধ দিন, লাইনে দাঁড়িয়ে আপনি ভাবলেন আপনার কাজ হয়ে যাবে কিন্তু না একটা না একটা ঠিক খুঁত খুঁজে বের করা হবে। আর বর্তমানে আধার কার্ডের বাইরে এই রেশন কার্ড কোন কাজ করা যায় না। আরও অনেক কিছুই আছে নামে অন লাইন কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিতে আপনাকে হবেই। 

জণ্মের সময় ও বার অনুযায়ী রাশি ১৩৯৯/ ১৯৯২ ।



 প্রথম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নিলাম পঞ্জিকা প্রকাশকের কাছে কারণ আমি যে কাজ টি অর্থাৎ এখানে যা কিছু লেখা আছে সবটাই পঞ্জিকা থেকে নেওয়া। অনেকেই আছেন নিজের  রাশি কি জানেন না।   ইংরেজি মতে যে গুলো দেওয়া হয় সেটা দেখে নিজের    রাশি নির্ণয় করেন. ইংরেজি যেটা দেওয়া থাকে সেটা অত নির্ভুল নয়। সে কারণেই আমার এই চেষ্টা, যদি কারও ভালো লাগে কমেন্ট করে জানাবেন।  রাশি ঠিক হয় সূর্য উদয় থেকে পরের দিন সূর্য উদয় পর্যন্ত, আর যে দিন বার সেই দিন    বারে অর্থাৎ সূর্য উদয় থেকে সূর্য উদয় পর্যন্ত যদি কোন পরিবর্তন হয় তবে সেটা সময় উল্লেখ করে এখানে লেখা আছে। শুরু করছি আমার এই ক্ষুদ্র চেষ্টা, ১৩৯৯ /১৯৯২ ( বি: দ্র: - সূর্য উদয় ভোরের বা সকালের পড়তেে হবে।) 

১ লা বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি ১৪ /৪/ ১৯৯২ মঙ্গলবার  শুক্লা দ্বাদশী 

সূর্য উদয় হয়ে ছিল :- সকাল ৫ টা ২১ মিনিটে জণ্ম রাশি ছিল সিংহ রাশি এবং রাত্রি ১২ টা ১ মিনিট গতে কন্যারাশি। 

২ রা বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ১৫/৪ /১৯৯২ বুধবার 

সূর্য উদয় :- সকাল ৫ টা ২০ মিনিটে জণ্ম রাশি :- কন্যারাশি 

৩ রা বৈশাখ ১৩৯৯, :- ইংরেজি ১৬ /৪/ ১৯৯২ বৃহস্পতিবার 

সূর্য উদয় :- সকাল ৫ টা ১৯ মিনিটে  জণ্ম রাশি :- কন্যারাশি। রাত্রি ৩ টা ৫৩ মিনিট থেকে তুলারাশি। 

৪ ঠা বৈশাখ ১৩৯৯, :- ইংরেজি :- ১৭/৪/ ১৯৯২ শুক্রবার পূর্ণিমা। 

সূর্য উদয় :- সকাল ৫ টা ১৮ মিনিটে জণ্ম রাশি :- তুলারাশি 

৫ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ১৮/৪ /১৯৯২ শনিবার 

সূর্য উদয় :- ৫ টা ১৭ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- তুলারাশি। 

৬ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ১৯ /৪ / ১৯৯২ রবিবার 

সূর্য উদয় :- সকাল ৫ টা ১৬ মিনিটে। জণ্মের রাশি ছিল তুলারাশি। সকাল ৯ টা ৪২ মিনিট থেকে বৃশ্চিকরাশি। 

৭ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২০ / ৪ / ১৯৯২ সোমবার 

সূর্য উদয় :- ৫ টা ১৫ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- বৃশ্চিকরাশি। 

৮ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২১/৪/ ১৯৯২ মঙ্গলবার 

সূর্য উদয় :- ৫ টা ১৫ মিনিটে। জণ্মের রাশি ছিল :- বৃশ্চিকরাশি সন্ধ্যা ৫ টা ৫৮ মিনিটের পর থেকে ধনুরাশি। 

৯ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি ২২/ ৪ / ১৯৯২ বুধবার। 

সূর্য উদয় :- ৫ টা ১৪ মিনিটে । জণ্মের রাশি :- ধনুরাশি 

১০ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২৩ /৪ / ১৯৯২ বৃহস্পতিবার। 

সূর্য উদয় :- ৫ টা ১৩ মিনিট। জণ্মের রাশি :-  ধনুরাশি, ভোর ৪ টা ৩৩ মিনিটের পর মকররাশি। 

১১ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২৪ /৪/ ১৯৯২ শুক্রবার। 

সূর্য উদয় :- ৫ টা ১২ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- মকররাশি। 

১২ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২৫ /৪/ ১৯৯২, শনিবার। 

সূর্য উদয় :- ৫ টা ১২ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- মকররাশি। 

১৩ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২৬ /৪/ ১৯৯২, রবিবার। 

সূর্য উদয় :- ৫ টা ১১ মিনিটে। জণ্মের রাশি :-  মকররাশি বিকেল ৪ টে ১৭ মিনিটের পর থেকে কুম্ভরাশি। 

১৪ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২৭ /৪/ ১৯৯২, সোমবার। সূর্য উদয় :- ৫ টা ১০ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- কুম্ভরাশি। 

১৫ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২৮ /৪/ ১৯৯২, মঙ্গলবার, সূর্য উদয় :- ৫ টা ১০ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- কুম্ভরাশি। ভোর ৩ টে ৩০ মিনিটের পর থেকে, মীনরাশি। 

১৬ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২৯ / ৪/ ১৯৯২, বুধবার। সূর্য উদয় :- ৫ টা ৯ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- মীনরাশি। 

১৭ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ৩০ /৪ / ১৯৯২, বৃহস্পতিবার। সূর্য উদয় :- ৫ টা ৮ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- মীনরাশি। 

১৮ ই বৈশাখ ১৩৯৯, ইংরেজি :- ১/৫/ ১৯৯২, শুক্রবার। সূর্য উদয় :- ৫ টা ৮ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- মীনরাশি। দুপুর ১২ টা ৪৯ মিনিটের পর থেকে, মেষরাশি। 

১৯ শে বৈশাখ, ১৩৯৯, ইংরেজি :- ২/ ৫/ ১৯৯২, শনিবার। সূর্য উদয় :- ৫ টা ৭ মিনিটে। জণ্মের রাশি :- মেষরাশি। 

২০ শে বৈশাখ ১৩৯৯ ইংরেজি ৩/৫/১৯৯২ রবিবার সূর্য উদয় ৫ টা ৬ মিনিট। জণ্ম রাশি :- মেষরাশি সন্ধ্যা ৭ টা ৩৪ মিনিটের পর বৃষরাশি। 

২১ শে বৈশাখ ১৩৯৯ ইংরেজি ৪/৫/ ১৯৯২ সোমবার সূর্য উদয় ৫ টা ৬ মিনিট। জণ্ম রাশি বৃষরাশি। 

২২ শে বৈশাখ ১৩৯৯ ইংরেজি ৫/৫/১৯৯২ মঙ্গলবার সূর্য উদয় ৫টা ৫ মিনিট জণ্ম রাশি বৃষরাশি রাত্রি ১২ টা ৮ মিনিট থেকে মিথুনরাশি। 




Friday, 13 November 2020

এ কোন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমার দেশ ও আমার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ!


 ভারতীয় রাজনৈতিক দল গঠন করা বলুন আর ভারতের মানুষের দাবি আদায়ের জন্য বলুন, ১৮৮৫ সালে  এক ইংরেজের হাত ধরে ভারতে কংগ্রেস তথা এক সভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় সভাপতি ছিলেন উমেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই বলেন সেই শুরু ভারতের কংগ্রেসের আন্দোলন, তার পর এক এক করে দাবি উত্থাপন করা এবং সে গুলো আদায়ের চেষ্টা, কিন্তু কোন দাবি পূরণ করতে চান না সরকার কেবল নিজে দের অর্থাৎ ইংরেজ সরকারের স্বার্থ জড়িত না হলে এমন একটা দাবিও পুরন করে নি সরকার। আস্তে আস্তে কংগ্রেস প্রায় নিস্কৃয় গোষ্ঠীতে পরিণত হতে থাকে, জণ্ম নেয়    উগ্রপন্থার এই দক্ষিণ আফ্রিকায় এক গুজরাটী ভারতীয় ইংরেজ সরকারের কে নানা ভাবে সাহায্য করতে থাকে। এমন কি প্ররথ বিশ্ব যুদ্ধের সুচনা লগ্নে তিনি    দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেই যুদ্ধে ভারতীয়রা কিভাবে ইংরেজ সরকার কে সাহায্য করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন। এদিকে ভারতে ইংরেজ সরকার বিরোধী আন্দোলন যখন চরম আকার ধারন করেছে তখন তাকে ইংরেজ সরকার তাদের প্রতিনিধি করে নিয়ে আসে কেউ বলেন তাকে নিয়ে আসা হয় ১৯১৬ সালে  আবার কেউ কেউ বলেন তিনি আসেন ১৯২০ সালে, তিনি এসে সশস্ত্র সংগ্রাম কে বাদ দিয়ে   অহিংস পথে কীভাবে আন্দোলন করা যায় সেটা করতে থাকেন। একটা ভাববার বিষয় সশস্ত্র ব্রিটিশ পুলিশ নিরস্ত্র মানুষের আন্দোলন। ওনার কথা মত শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন, কিন্তু ব্রিটিশ
পুলিশের নির্মম অত্যাচার নেমে এল। মানুষ সহ্য করতে না পেরে চৌরিচোরা থানায় আগুন লাগিয়ে দিল। অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। এই গুজরাটি প্রবল বাঙালি বিদ্বেষী ছিলেন, কারণ বাঙালি ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ভড় কেন্দ্র। অনেকে বার তাকে নেতাজীর বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা গেছে এমনকি স্বাধীনতার পর নেতাজী কে ব্রিটিশদের সাথে যঢ়যন্ত্র করে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করা এসব তার কাজ, তিনি উকিল বা পেশায় আইনজীবী কিন্তু কোনো দিন কোন বিপ্লবীর হয়ে কোর্টে সওয়াল করতে দেখা যায় নি। কিছু হিন্দু বাঙালি আর মুসলিম লীগের নেতাদের ইচ্ছা ছিল স্বাধীনতার আগে দেশ ভাগের তাতে তার প্রবল সায় ছিল। এখন দুই গুজরাতি মিলে সেই ব্রিটিশ আমল বা ব্রিটিশ রাজত্ব ফিরিয়ে নিয়ে আসছে, এক দিকে ধর্মের নামে ভাষার নামে জাত পাতের নামে ভাগ করে দাও। আর অন্য দিকে তাকিয়ে দেখুন বিচার ব্যবস্থা আজ প্রহসনে পরিনত হয়েছে, আমরা টিভিতে দেখলাম বাবরি মসজিদের কাঠামো ভাঙার দৃশ্য কোর্ট বলল না ওটা ভাঙা হয় নি। রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে রায়, সম্প্রতি সাংবাদিক নিয়ে যে বিচার করা হল, সারা দেশে অনেক সাংবাদিক ও বিষ্টিট ব্যক্তি বিনা বিচারে জেলে বন্দি তাদের বিচার নেই, যেহেতু ঐ সাংবাদিক শাসকের খোসামদ করে চলে তাই তিনি বিচার পেলেন। আর সংবাদ মাধ্যম তার সিংহ ভাগ শাসক দল নিজের কুক্ষিগত করে রেখেছে। একটু টুঁ শব্দ করার জো নেই। জনগণ সামনে রেখে রেখেছে দেশের মধ্যে বন্দি করে রাখার বিভিন্ন কালা আইন, সি এএ নামে নাগরিক দের হেনস্থা করার কালা কানুন ডিটেশন ক্যাম্প নামের আধুনিক জেল যেখানে অত্যাচার ইংরেজ আমলের থেকেও বেশি। আর এই মহামারীর সময়ে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ এর অপরিসীম দারিদ্র যা বর্ননার অতীত। কত মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মী আজ কাজ হারা, তাই আট বা ১৩২ দিন পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ট্রেনে সে ভিড় নেই। আবার আমাদের এই দেশের বুকে সাম্প্রদায়িক দল বা মুসলিম লীগের মত দল কোমর বেঁধে নেমেছে, একে বিজেপি তে রক্ষা নেই তার উপর এ আই এম আই এম অনেকেই বলছেন মিম। বিজেপি যেমন হিন্দু মহাসভা জনযুদ্ধ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আর এস এস দ্বারা পরিচালিত একটি অসভ্য বর্বরের দল। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই মুসলিম লীগের বিকল্প মিম, বিহার ভোটে পাঁচ জন নির্বাচিত হয়েছেন এবার তিনি পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দিয়েছেন। এই সাম্প্রদায়িক দল আবার না দেশ ভাগের প্রস্তাব নেন। কারণ এস ক্ষমতা দখল করি দেশ ভাগ করি লুটে পুটে খাই। ভারতের আকাশে আবার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, সেই দুই দল হিন্দু মহাসভা আর মুসলিম লীগ। সকলে মিলে প্রতিবাদে সামিল না হলে অচিরেই দেশ ভাগের সম্ভবনা প্রবল। কারণ বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তে ইতিমধ্যে গোর্খাল্যাণ্ড সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন। এরকম অনেক ল্যাণ্ড তৈরি করা হবে। জাতি গত ভাষার ভিত্তিতে। আর দেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাবে দুই শিল্পপতি আদানি আর আম্বানি। 

১৪০০ বছরের ধর্মটি কখনো শান্তির কথা বলে নি।


ইসলাম ধর্ম প্রচার করা শুরু হয়েছিল ১৪০০ বছর আগে। তার আগে পর্যন্ত তাহলে কি কোন ধর্ম বা ঈশ্বর আরাধনা বা উপাসনা ছিল না? আমি তো জানতাম ছিল কারণ, বৈদিক মুনি ঋষিরা ছিলেন, বেদ পড়ানোর জন্য। আর্যরা মানব সমাজ কে কাজের ভিত্তিতে ভাগ করে ছিলেন। ব্রাহ্মণ এদের কাজ ছিল পুজা পাট, আর বেদ পড়ানো, ক্ষত্রিয় রা দেশ শাসন ও দেশ রক্ষা করার জন্য। বৈশ্য দের  কাজ ছিল ব্যবসা বানিজ্য চাষ বাস করা । আর শুদ্রদের কাজ ছিল বাকি তিনটি বর্ণের সেবা করা। পৃথিবীর সব থেকে প্রাচীন ধর্ম বলুন মত বলুন যা বলুন প্রথা বলুন সব কিছু মিলিয়ে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম, যা যুগ যুগ ধরে প্রবাহ মান তাকেই সনাতন বলে এটাই আমার জানা। আর্যরা এই ধর্মের বা এই সনাতন প্রথা গুলো কে একটা সুত্রে বাঁধতে বেদ পাঠ শুরু করে ছিলেন। প্রথম প্রথম বেদ শুনে মনে রাখতে হতো, পরে তা লিখিত রূপ নেয়, আর পৃথিবীর প্রথম লিখিত গ্রন্থ ঋক বেদ, পরে সাম বেদ লেখা হয়, সাম কথার অর্থ গান অর্থাৎ গানের সুরে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে দেবতার আরাধনা। এসব নিয়ে অনেকেই আছেন লিখেছেন আমার এখানে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে শুরু করেছি সেটা লিখি। এই সনাতন ধর্মের বর্ণ ভেদ ক্রমশ কঠোরতা লাভ করে এত কঠিন হয়ে পড়ে যা জাতি ভেদে রূপ নেয়, শুদ্রদের সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত করা শুরু হয়। আর এই কঠোরতার কারণে নতুন নতুন ধর্ম মত তৈরি হতে শুরু করে তার মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন্য ধর্ম, শিখ ধর্ম, সর্বশেষ বৈষ্ণব ধর্ম কারণ বৈষ্ণব ধর্ম যখন শুরু হয় আজ থেকে পাচশ ছশ বছর আগে ইসলাম ধর্মের বাড় বাড়ন্ত এই বাংলায় ব্যাপক আকার নিয়েছে নিম্ন বর্ণের মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে ব্যস্ত ঠিক তখনই সহজ সরল করে ধর্ম পালন করার জন্য সৃষ্টি বা প্রচারিত হতে থাকে বৈষ্ণব ধর্ম, শ্রীহরি বা কৃষ্ণ নামের উপর ভিত্তি করে। সব থেকে লক্ষ্যনীয়, কখনো সনাতন ধর্মের মানুষ এদের ধর্ম প্রচারে বাধা দেয় নি। আর এই কারণেই বৌদ্ধ ধর্ম এক সময় এই উপমহাদেশের সর্বত্র প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু ১৪০০ বছরের একটি ধর্ম নিয়ে দেখলে দেখা যাবে, এই ধর্ম মত প্রচারের প্রথম থেকেই মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনে, ধর্ম যেখানে মানুষ কে এক করার জন্য শান্তিতে বসবাস করতে দেওয়ার জন্য, সেখানে এই ধর্ম মানুষ গ্রহন না করলে তার উপর নেমে এসেছে নির্মম অত্যাচার। আর ধর্মের নামে মানুষ খুন লুট পাট এটাই এই ধর্মের মানুষের কাজ, এই ধর্মের মানুষের সাথে খ্রীষ্টান ধর্মের মানুষের যুদ্ধ করতে দেখা গেছে। ইতিহাসে যা ক্রুশেড নামে পরিচিত। আর ভারতের লুট করতে শুরু করে ছিলেন, মোহাম্মদ ঘোরী, নাদির শা, তৈমুর লঙ, আরও অনেক এদের মধ্যে একটা অংশ পরে ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকে। ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতি এবং প্রাচীন সনাতন প্রথা কে ধ্বংস করে দিতে থাকেন কিছু কিছু শাসক। এর পর ভারতের শাসক হন খ্রীষ্টান ধর্মের অনুসারী ইংরেজ, তারা ধর্ম প্রচার প্রথম প্রথম না করলেও পরে খ্রীষ্টান মিশনারিরাও এদেশের ঐ যে দলিত, অর্থাৎ মুচি, মেথর, চণ্ডাল, আরও কিছু হিন্দু ধর্মের নিম্ন বর্ণের মানুষ কে তাদের ধর্ম গ্রহণ করাতে থাকে। এর একটাই কারণ হিন্দু ধর্মের কঠোরতা, খ্রিস্টান ধর্মের প্রসার ঘটে কিন্তু তারা অনেকেই আবার নিজেদের ভারতীয় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে থাকেন এবং বুঝতে থাকেন। ব্যতিক্রম ইসলাম এরা যুগ যুগ ধরে ভারতে বসবাস করে আসছে কিন্তু নিজেকে কখনো ভারতীয় ভাবে না। একটা আশ্চর্যের বিষয় ভারতের বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মের মানুষ ধর্মান্তরিত অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের লোকজন, তবুও আপনি মুসলিম পাড়ার মধ্যে যান আপনার পরিচয় আপনি বাঙালি আর সে মুসলিম বা সে মুসলিম। অনেকেই আবার বলবেন, হিন্দুরা তো এদের যুগ যুগ ধরে মেলেছ্য বলে দূরে সরিয়ে রেখেছে। এদের ছুঁলে এদের সাথে মিশলে তাকে একঘরে করে রাখত, সেটাও তো একধরনের অত্যাচার। তবে ধর্মের নামে এদের অত্যাচার সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ এবং এতটাই নিষ্ঠুর নির্দোষ এবং নিরীহ মানুষ কে মানুষ কে খুন করা এদের জলভাত। গণ্ডায় গণ্ডায় বিয়ে করে আর ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে আজ পৃথিবীর বাসস্থান আর খাদ্য সংকটের জন্য এরা অনেক অংশে দায়ি। পৃথিবীর যত উগ্রপন্থী দল বা সংগঠনের কথা জানা যায় তার সিংহ ভাগ এই ধর্মের মানুষ দ্বারা পরিচালিত এবং কোনো দেশের এদের সংখ্যা বেশি হলে সেখানে অপরাধ বেশি, কারণ অপরাধের সিংহ ভাগ এদের দ্বারা সংঘটিত। এক শ জন অপরাধীদের মধ্যে আশি থেকে নব্বই জন এই ধর্মের মানুষ। এখানে কিছু ছবি দিলাম যা বাংলাদেশের এবং পৃথিবীর অন্য কিছু দেশে সংঘটিত এদের অপরাধ। 







এরপর ও যারা এই ধর্ম কে শান্তির ধর্ম বলেন তারা একবার ভেবে দেখুন। এদের উদ্দেশ্য একটাই অপরের সম্পদ লুট করা আর পৃথিবীর লোক সংখ্যা বাড়ানোর দিকে, যত লোক বাড়ে তত খাদ্য এবং বাসস্থানের প্রয়োজন হয় তখনই লুট পাট এবং মানুষ খুন এছাড়াও আছে ক্ষমতা দখল। অনেকেই তো রাষ্ট্রের শাসকের সহযোগিতা নিয়ে এই অত্যাচার করে, সেই সব দেশে এই ধর্মের মানুষ উগ্র প্রচার করতে থাকে এবং এবং মানুষ কে আধুনিক এবং বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে থাকে, মানব সভ্যতার অগ্রগতি কে পিছনে ঠেলে দিতে এরা ওস্তাদ। আর এই কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদের দমিয়ে রাখতে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যেমন চীন উইঘুরে এদের কোনঠাসা করে দিয়েছে। চীন বুঝতে পেরেছে এদের দমিয়ে রাখতে না পারলে তাদের অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যাবে। এরা ধর্মের নামে লোক সংখ্যা বাড়িয়ে যাবে, খাদ্য বাসস্থানের সংকট দেখা দেবে, ধর্ম শিক্ষা আধুনিক বিজ্ঞানের বিকাশ কে বন্ধ করে দিতে পারে। সে কারণেই এদের উপর চীনের এই আগ্রাসন, কারণ পৃথিবী পাল্টে গেলেও এরা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে না। আরেকটা দেশে তাদের দেশের ধর্মীয় বিবাদ বন্ধ করতে সেনাবাহিনী দিয়ে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে যদিও সেখানে ইসলাম ধর্মের মানুষ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের কিছু মানুষ আছেন। আর এই দেশটির নাম মায়ানমার, একটা আশ্চর্য ব্যাপার এই রোহিঙ্গা মুসলমান দের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে, আর সেখানে যে কতিপয় হিন্দু ধর্মের মানুষ এসেছে তাদের উপর ধর্মীয় অত্যাচার চালানো হচ্ছে। জোর করে ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হচ্ছে ।কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম, আমি জানি না এখন সুসভ্য শিক্ষিত মানুষ যাদের চেতনা আছে তারা কি করে ইসলাম ধর্ম কে শান্তির ধর্ম বলেন! যদিও ইতিহাসে পড়েছি ইসলাম কথার অর্থ শান্তি। তাহলে কি পৃথিবীর মানব সভ্যতার অগ্রগতি আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতি ধ্বংস করে দিয়ে সেই আদিম যুগের অন্ধকার ময় যুগের সুচনা করতে চাওয়া মানুষ বা ধর্ম হোল শান্তি। 

Tuesday, 10 November 2020

ভারতীয় গনতন্ত্রের ভিলেন নয়তো EVM


 বিশ্বের সব থেকে বড়ো গনতান্ত্রিক দেশ ভারত ভারতের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন জনগণের প্ররতিনিধি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা যে দল সংখ্যা গরিষ্ঠ তারা ক্ষষমতা দখল করে রাজ্য বা দেশ শাসন করে। মানুষের মতদান বা ভোট দান কে উন্নত মানের করতে চেষ্টাট ত্রুটি নেই নির্বাচন কমিশনের। প্ররশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে এই চেষ্টা কতটা ত্রুটি মুক্ত। প্রথম আসা যাক EVM এর ভোট দানের মেশিন একে এক ধরনের কম্পিউটার বলা যায়। এর মেমরি সেল থেকে যাবতীয় সব কিছু আছে। প্রশ্ন যেখানে সরকারের দফতরের বিভিন্ন উন্নত মানের কম্পিউটার হ্যাক করে হ্যাকাররা সব পাল্টে দিচ্ছে। সেখানে এটি কতটা নিরাপদ, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর এর মেমরি পরিবর্তন করা যাবে বা হয়ে যাবে এই ভাবে সেট করা যায় কিনা? এসব লেখার কারণ আছে, দেখা যাবে ই ভি এম ভোটের ফল আর ব্যালট এর মাধ্যমে ভোটের ফল অন্য পাওয়া যাবে। কয়েকটি   রাজ্যের দিকে তাকিয়ে দেখুন রাজ্য সরকার জনগণের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। না আছে বেকারের কর্ম সংস্থান, না আছে কোন শিল্প, কেবল নেতা আর কিছু মানুষ আছেন যারা টাকার পাহাড় করেছে তবুও নাকি মানুষ তাদের ভোট দিচ্ছে, উদাহরণ স্বরূপ গুজরাত, কি ভালো কাজ করেছেন। আর বর্তমানে করোনা মহামারীর আবহে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ এর শোচনীয় অবস্থা করে তুলেছে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কত মানুষ না খেয়ে মারা গেছে, কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরেছে। রাস্তায়       সন্তান জন্ম দিতে  হয়েছে কোলের   সন্তান না খেয়ে রাস্তার মধ্যে মারা গেছে, সেই মৃত সন্তানের দেহ নিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছে। তার পরেও বিহারের জনগণের পছন্দ বিজেপি নেতৃত্ব কে? এসব দেখে কি বলা যাবে, পশ্চিমবঙ্গের  আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ফল এখন থেকেই বলা যাবে, বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে। ভিলেন ই ভি এম, এছাড়া আরো কত গুলো কারণ আছে একটা বাহুবল, দুই টাকা, ভয় দেখিয়ে টাকার জোরে ই ভি এম মেমরি প্রস্তুত সংস্থাকে নিজের মত পরিচালনা করা যায় অনায়াসে কারণ যে শিল্পপতি কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ করে না। তাদের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়, তারা যে শাসক এটি করে সেই দল যদি বারবার ক্ষমতায় আসে সেই চেষ্টা করে। 

Sunday, 8 November 2020

ভারত সরকার CAA এর আইনের জন্য প্রতিবেশী দেশে সংখ্যা লঘু নির্যাতন বেড়েছে!


  সনাতন দর্শন ব্লগ থেকে জানা গিয়েছে ঘটনা টি গত ৪ - ৮ - ২০২০ ঘটেছে ।কেবল এটা এরকম হাজারো সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার বিবরণ ঐ ব্লগে আছে। নিশ্চয়ই সব সত্য কারণ সাম্প্রতিক ফ্রান্স নিয়ে যে ঘটনা বাংলাদেশ ঘটেছে তা কারো কাছে অজানা নয়। আরও অনেক কিছু আছে ছোট খাটো ঘটনা প্রায় ঘটে সে গুলো সব সময় খবর হয় না। মুর্তি ভাঙা ওটা তো মামুলি ব্যপার। আসলে এগুলো হচ্ছে সম্পদ লুট করার জন্য অত্যাচার। বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস অনেক লিখেছি, বাংলাদেশ, ভারত ভাগ হয়ে ছিল ধর্মের নামে। যারা ভারত ভাগ করে ছিলেন, তখন কার যে দলের লোকজন বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ছিল তারা আজ ভারত বর্ষের ক্ষমতা দখল করেছে। তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বও ক্ষমতা দখল করার জন্য এটা  মেনে নিয়ে ছিলেন। যেহেতু ক্ষমতা দখল করে ছিল কংগ্রেস তার নেতৃত্বে সরকার তারা কিন্তু বুঝতে পেরেছিল ভারত বর্ষে বহুত্ব, নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষ এই ভারতে বাস করে সেই কারণেই ভারতের সংবিধানে ভারত কেএকটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোন মানুষের তার নিজের নিজের ধর্ম পালনের বাধা নেই। ধর্ম কে মন্দিরে মসজিদে গুরুদোয়ায়, গীর্জায় আবদ্ধ করে দেওয়া হয় সরকারের তরফে। সেই সময় গান্ধীজিও চেষ্টা করে ছিলেন যাতে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুদের উপর অত্যাচার না হয়। তারা যেন ভিটে মাটি ছেড়ে না চলে আসে, তিনি নোয়াখালী গিয়ে ছিলেন বোঝাতে সেখানে কী ঘটেছিল সে অনেকেই জানেন। তিনি পারেন নি কারণ যে মানুষ ধর্মের নামে মানুষ খুন করতে অভ্যস্ত তারা শোনেনি নীতি কথা যেন কাটাঘায়ে নুনের ছিটে পড়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ট্রেন বোঝাই করে লাশ পাঠানো হয়েছিল। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যাওয়া একটা দেশ যে ধর্মের মানুষ মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। লুট পাট করে সম্পদ লুট মানুষ খুন এটাই যাদের ধর্ম তারা কখনো শান্তির কথা শোনে কখনো শোনে না। তাই ১৯৪৬ সাল থেকে চলে আসা বাংলার ধর্মের নামে মানুষ খুন এবং লুট পাট চলেছে, আমার মনে হয়েছে সেই কাজ আরো উস্কে দিয়েছে বর্তমান ভারত সরকার CAA করে, এবং তারা বা তাদের নেতৃত্ব ফলাও করে প্রচার করছে পাকিস্তান বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মানুষ কে এদেশের নাগরিকের অধিকার দেওয়া হবে। আমার মনে হয় এই কারণে ওপার বাংলা এবং পাকিস্তানে হিন্দু ধর্মের লোকজন কে সুপরিকল্পিত অত্যাচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ঐ তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন অত্যাচার করছে আর বলছে মালাউনরা দেশ ছেড়ে চলে যা। তোদের এদেশে স্থান নেই, বিষয়টি নিয়ে যারা বিজেপি বা CAA করে ভালো করেছেন বলছেন তারা একবার ভাবুন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু হিন্দুরা এদেশে এল আপনার সরকার তাদের জন্য কোথায় থাকতে দেবে। আসামের মত নতুন জেলখানা ডিটেশন ক্যাম্প, যেখানে জেলের থেকেও অত্যাচার বেশি না খাইয়ে মেরে ফেলা হয় সেখানে এই আপনাদের ব্যবস্থা। দারুণ ভালো ব্যাপার, আর এপারের সংখ্যালঘু দের বলছেন ভয় নেই, কাউকে এদেশ ছেড়ে যেতে হবে না। এখনই এদেশের লোক সংখ্যা ১৩০ কোটি পার হয়ে গেছে, বিশ্ব ক্ষুধা তালিকায় স্থান হয়েছে সবার নীচে, আর বাংলাদেশ থেকে যত সংখ্যা লঘু আছে এনে নাগরিক করে দেবেন বলছেন। ক্ষমতা থাকলে দেখান বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলুন, বলুন এপারে যত সংখ্যালঘু আছে সব ওপার বাংলায় পাঠিয়ে দেব। বাংলাদেশের পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারে কিছু বলে না শাস্তি নেই, বিচার ব্যবস্থা সে বলার মত নয়, উল্টো টা করে সংখ্যালঘুরা নির্দোষ হলেও তাদের শাস্তি বিধান করে জানেন কত সংখ্যালঘু বিনা অপরাধে ঐ দেশের জেলে বন্দি আছে। এই কিছু দিন আগে এক আঠারো বছরের গায়ক খুন হয়েছে। উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে ঐ দেশের পুলিশ ভীষণ ভালো পারে। হিন্দু দের অত্যাচার ওদের আনন্দ দেয়। আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করুন,  যাতে বাংলাদেশ সরকার বাধ্য হয়ে এই অত্যাচার বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। কারণ ৭৫ বছরের একটা জাতিকে শেষ করে দিল এই ইসলাম নামক দস্যুর দল, কত রকম ফিকির একটুতেই সুযোগ খোঁজে আর এই কারণেই বলছি, CAA হওয়ার পর বিভিন্ন অজুহাতে অত্যাচার আরও বেড়েছে।৭৫ বছর ধরে চলে আসা এই ধর্মের নামে সম্পদ লুট মানুষ খুন বন্ধ হোক। কারণ এ জাতি দাঙ্গা আপনাদের মত ক্ষমতা লোভী নেতা দের তৈরি। না হলে যেমন আছে তেমনি থাকতে দিন, মানুষের খাদ্য বাসস্থান দিতে পারবেন না, আবার লোক সংখ্যা বাড়াবেন বলছেন। আর যারা এদের কথায় ভুলে গেছেন তাদের বলছি এরা কিছু করবে না কেবল মানুষের মধ্যে ধর্মের নামে লড়াই লাগিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। আসামের অবস্থা দেখে চিন্তা করে এদের ভোট দেবেন, এই দল এবং রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা পৃথিবীর এক নম্বর মিথ্যাবাদী। মিথ্যা কথা বলার জন্য নোবেল পুরস্কার থাকলে এরা আগে পেতে পারত। 

Thursday, 5 November 2020

বাংলায় বাম - কংগ্রেস জোট কি ভীতির কারণ!


 হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার খবর, এর আগেও অন লাইন একটি সংবাদ ছিল বাম কংগ্রেস জোট হচ্ছে না। কারণ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন কংগ্রেস বাম নাম করতে। কংগ্রেস কথটা আগে থাকবে। আরও কিছু অনলাইন সংবাদ পত্র আছে যারা বিভিন্ন ভাবে এই হচ্ছে না বা হবে না এসব প্ররচা করছে। এসব দেখে এবং পড়ে আমার মনে হচ্ছে এই জোট কে ভয় করতে শুরু করেছে অনেকেই, কারণ সংবাদ সংস্থা গুলো যে ভাবে এই জোট যাতে যে ভাবে হোক ভেস্ততে দিতে চায়। তারা বুঝতে পারছে, ২০১৬ সালের পরিস্থিতির থেকে এখন রাজ্যযে পরিবর্তন এর হাওয়া বইছে। কিছু সংবাদ সংস্থা বলতে গেলে প্রারা সব মিডিয়ায় একটাই প্রচার বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে। কারণ দিদি বিজ্ঞাপন দিয়ে ক টাকা দেয় দাদার দল এলে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞাপন আবার রাজ্যের বিজ্ঞাপন      সোনায়
সোহাগা। আর অন্য ভাবে তো আছেই, কি সুন্দর ব্যবস্থা তাইনা। আর যদি খবর সত্য হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, বেকার যুবক যুবতী, সকলের স্বপ্ন আবার পাঁচ বছরের জন্য আরও খারাপ হয়ে যাবে। কারণ দাদার দল মুখে বলে এক কাজে করে আরেক, তাছাড়া বর্তমানে ঐ দলের অর্ধেকের বেশি নেতা তৃণমূল থেকে গেছে। প্রয়োজনে বা মুখ্যমন্ত্রী ও তার পদ ধরে রাখতে ভোটের ফলাফল দেখে চলে যেতে পারেন। ওনার কাছে পদ বড়ো কথা আর যে কোন ভাবে টাকা, টাকাটা অবশ্যই দুই দলের নেতাদের দরকার। টাকা মানে তোলাবাজির টাকা, কাটমানির টাকা। জানা নেই যারা চাকরির জন্য অনশন করলেন, এবং এখন কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আজও অনশনে বসে আছেন। সরকারি কর্মীদের   মহার্ঘভাতা বন্ধ, আন্দোলন করলে হয় সাময়িক বরখাস্ত নয়তো দূরে বদলি করে দেওয়া হবে। দান খয়রাতি করতেই টাকা শেষ, দাদা দিদি সব সমান সবথেকে বড়ো গ্রামে গ্রামে ডিটেশন ক্যাম্প হবে নয়া জেলখানা, যে টুঁ শব্দ করবে নয়া আইন আছে বিনা বিচারে আটক একবারে ব্রিটিশ সরকারের আইন। আর তা না হলে CAA আছেই তুমি নাগরিক নও বলে ডিটেশন ক্যাম্পে আটক করা হবে। সব থেকে বেশি বিপদে পড়বে এদের মতো মানুষ।
আবার কাগজ থাকলেও কি ওসব চলবে না, যে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং সব থেকে বড় কথা যে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেলে ভারতের নাগরিক হিসেবে সেই দেশের সরকার মেনে নিচ্ছেন আর নিজের দেশের সরকার বলছে ওটা নাগরিকদের প্রমাণ নয়। খেটে খাওয়া গরীব মানুষের স্বার্থে এবং রাজ্যের অগনিত অস্থায়ী কর্মীদের স্বার্থে এবং বেকার যুুব যুবতী দের স্বার্থে, সরকারি চাকরির নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত মতভেদ ভুলে, পশ্চিমবঙ্গের  তৃনমূল ও বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের এক জোট হয়ে ভোটের ময়দানে আসুন। কারণ বিজেেপি গরীব মানুষ কে মানুষ বলে মনে করে না। দেখলেন না লকডাউনে করল, ধনী দের জন্য বন্দে ভারত বিদেশ থেকে প্লেনে চেপে সব দেশের ফিরে এলো। আর তারাই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিল বিভিন্ন জায়গায়। আর লাখ লাখ গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, নিজের দেশের এক রাজ্যের থেকে নিজের রাজ্যে ফিরল পায়ে হেঁটে সাইকেল চালিয়ে রাস্তার মধ্যে না খেয়ে মারা গেল কত মানুষ। সেই ছবি যদি কেউ ভুলে যান সেটা বড় দুঃখের কোন সরকার কোন ব্যবস্থা করেনি। খেটে খাওয়া মানুষ না খেয়ে দিন কাটানোর কথা বা ছবি গুলো এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেছে। দেখছেন না বিহার ভোটের আগে বিরোধীদের জমায়েত। মানুষ কে মনে করিয়ে দিন সেই দিন গুলোর কথা। আমি বুঝতে পারছি না গরীব মানুষ গুলো এত তাড়াতাড়ি ভুলে যায় কি করে? আসুন সকলে মিলে এই অপশাসন কে দূূর করি। 

Wednesday, 4 November 2020

যে দেশের জাতীয় কবি নজরুল, সেই দেশে ধর্মের নামে মানুষ খুন।


 আমি বাংলাদেশের দেশের কথা বলছি, বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস আমরা সবাই জানি। শত শত বাঙালি হিন্দু রক্ত পাতের মধ্যে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জণ্ম, ভারতের স্বাধীনতার সময় দেশের দুই ধর্মের মানুষ কে দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়ে ছিল কিছু ধর্মান্ধ মানুষ কেবল ক্ষমতা দখল করতে। আর ইংরেজ দের রাগ ছিল বাঙালি হিন্দু দের উপর। কারণ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে হাজার হাজার বাঙালি হিন্দু ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে ছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন রাসবিহারি বসু ও সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ এসব ইংরেজ শাসক কুল ভুলতে পারে নি। তাই তারা বার বার চেষ্টা করে গেছে এই বাংলার বুকে দাঙ্গা লাগানোর সফল হতে পারে নি, কিছু   বিচক্ষণ বাঙালির তৎপরতার জন্যে কিন্তু ১৯৪৬ সালে বাঙালি হিন্দু দের মধ্যেও কিছু মানুষ ক্ষমতা দখল করার জন্য, মুসলিম লীগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে। কারণ তারা দেখে ছিল কলকাতা তথা বাংলার শাসক একজন মুসলিম এবং মানুষ কে বোঝাতে শুরু করেন দু বাংলা এক থাকলে কখনো হিন্দুরা বাংলার শাসক হতে পারবে না, অতএব বাংলা ভাগ করতে হবে। নানান উস্ককানি মুলক কাজ বা কথা বলে ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়া হল। বাঙালির রক্ত ক্ষয় শুরু হল, আর ১৯৪৭ ভারত ভাগের ইতিহাস সকলেই জানেন। বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছিল ভারতের দুটি প্রদেশ পাঞ্জাব ও বাংংলা কারণ বাঙালি আর পঞ্জিবিরা বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ছিল ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে। হোক লেখার বিষয়বস্তু আজ অন্য তবুও একটু ইতিহাস জেনে নেওয়া, আমরা এও জানি পূর্ব  পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হয়েছে। এর পিছনেও তৎকালীন ভারত সরকারের সহযোগিতা ছিল। ভারত সরকার সাহায্য করে ছিল অন্য কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে উদ্বাস্তু হয়ে কেউ ভারতে আসবে না। ধর্মের নামে অশান্তি মিটে যাবে, কিন্তু না ধর্ম নিয়ে  বড়াই করা সভ্যতা নিয়ে  বড়াই করা সুসভ্য ইসলাম ধর্মের মানুষ বাংলা তথা বাংলাদেশ থেকে হিন্দু ধর্মের মানুষ কে উৎখাত করে ছাড়বে। সেই কারণেই গত ৭৫ বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছে। নানান অজুহাতে নানান অছিলায়, জোর করে ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হচ্ছে আবার ধর্ম পরিবর্তন করেও অত্যাচার বন্ধ হয়ে যাবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ধর্ম পরিবর্তন ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেশ ত্যাগ করে এদেশে চলে এসেছে অসংখ্য মানুষ। যার ফলে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মের লোকজন ৭৫ বছর আগে যা ছিল এখন কমে চার ভাগের এক ভাগ হয়ে গেছে। অধিকাংশ বাড়ি ঘর জমি জমা ওরা অর্থাৎ তথাকথিত সুসভ্য ধর্মের বা   শান্তির ধর্মের লোকজন এভাবেই দখল করে নিয়েছে। যা তারা ছ'শো ভারত শাসনের সময় করত লুটপাট সেটাই করে যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত। এই ধর্মান্ধ   সম্পদ লোভী মানুষ কোন দিন নিজেকে ভারতীয় ভাবতে পারে নি। আজও পারে না, কারণ ভারতে অনেক ধর্মের মানুষ ভারত শাসন করেছে কিন্তু এই ভাবে নিজেকে ভারতের অন্য জাতির থেকে সরিয়ে নেয় নি বা জোর করে কিছু করে নি। ইতিহাসে পড়েছি নবাব সিরাজ দোল্লা ইংরেজ দের সাথে যুদ্ধ করে ছিলেন। সেই যুদ্ধে হেরে যান মিজাফরের বেইমানি তে মিরজাফরের সাথে ছিলেন জগৎ শেঠ সহ আরো অনেক কারণ সিরাজ ছিলেন অত্যাচারি, আর সেই কারণেই ক্ষমতা লোভী মিরজাফর যঢ়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করে ছিলেন। কেবল ক্ষষমতা দখল সিরাজ কে হত্যা করে ছিলেন তার ছেলে মীরন। ক্ষমতা আর সম্পদের জন্যে এরা সব পারে। বাংলাদেশের সরকার তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা ভারতের সাহায্য নিয়ে ছিলেন, কেবল ক্ষমতা দখল করতে, কুর্সীর জন্য তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরির পর খুব ভালো একটা ভাষণ দিয়ে ছিলেন শুনে   প্রাণ জুড়িয়ে যায়, কিন্তু অন্তরে অর্থাৎ মনে ছিল অন্য কথা, না ১৯৭১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত এত হিন্দু নিধন যজ্ঞ হতো না। মন্দির ভাঙা হত না, মুর্তি ভাঙা অভিযান হতো না, হিন্দু দের.  সম্পত্তি লুট করে তাদের ঘর বাড়ি জ্বালান হত না। আর হিন্দু ধর্মের লোকজন কমত না, ধর্ম থাকত ধর্মের জায়গায়, ধর্মীয় শিক্ষা   শিক্ষার নামে কঠোর ভাবে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি   বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ হয়ে যেত। সত্যি কার আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হতো, অন্য ধর্মের মেয়েরা গনমিতের মাল তাকে ভোগ করবে সবাই মিলে এসব ফরমান আসত না। আমি যদিও জানি না গনমিতের কথাটার অর্থ কী? আসলে ধর্ম শিক্ষার নামে কু শিক্ষা মানুষ মারার শিক্ষা দেওয়া হয়। উগ্ররপন্থী তৈরি করা এদের কাজ, গলার জোরে সরকারের সহযোগিতায় এরাই এক একজন বাংলার নবাব। ধর্মের সভা করে না কী যেন করে  আর একটি তাল.     ঠোকে ঠিক কিনা। আসলে সরকারের ইচ্ছা নেই এসব বন্ধ করার, আবার ঘটা করে স্বাধীনতার পর কাজী নজরুল ইসলাম কে নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে বাসিন্দা করে নিয়ে ছিল, এবং ঐ মহান কবি কে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে ছিলেন। হায় রে বাংলাদেশ কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদীর কবিতা গুলো একবার পরে নিতে পারে। ঐ জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত জালিয়াতি খেলছ জুয়া ।ছুঁলে পরে জাত যাবে জাত কি ছেলের হাতের মোয়া। আমার কৈফিয়ৎ কবিতায় ধর্মে নিয়ে লিখেছেন তিনি একমাত্র কবি অনেক শ্যামা সংগীত লিখেছেন। ওনার ভক্তি গীতি এখনও পুজোর প্যাণ্ডেলে বাজে, এ হেন মানুষ কে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে খুব ভালো কিন্তু তার আদর্শ কে বিসর্জন দিয়ে, এই কারনেই বলছি বাংলাদেশে যা হচ্ছে ইংরেজ সরকারের ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে আজ সত্তর বছর ধরে, একটা জাতি অর্থাৎ বাঙালি হিন্দু জাতি কে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই অশিক্ষিত অর্ধ   শিক্ষিত ধর্মান্ধ কিছু মানুষ। এদের মাতৃভাষা বাংলা বাংলায় বাস করে সব বাংলায় জণ্ম কর্ম সব কিন্ত আপনি কোনো দরকারে ওদের পাড়ার মধ্যে যান একটাই কথা বলে " বাঙালি ' এসেছে অর্থাৎ নিজের মাতৃভাষা বাংলা হলেও ও বাঙালি নয়। হিন্দুরা বাঙালি ও মুসলিম এই দের শিক্ষা এরা  এখনও এই দেশে থেকে নিজেকে বাঙালি ভাবে না। এই সবের জন্য দায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা ধর্মীয় শিক্ষা যতদিন পারিবারিক হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো তথা মাদ্রাসা নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারণ ঐ সব জায়গায় শেখায় তুমি মুসলিম ওরা বাঙালি আর অন্য ধর্মের প্রতি   বিদ্বেষ। ভারত সরকার বলুন আর বাংলাদেশের সরকার কেউ এসব বন্ধ করে না। সব কিছু কেই মদত দিয়ে আসছে স্বাধীনতার পর থেকেই, কারণ ভোটের জন্য ভোট চাই ভারতের ম্যারেজ ল আছে পরিবার পরিকল্পনা আইন আছে কেবল হিন্দু ধর্মের মানুষের জন্যে আর ইসলাম তথা মুসলিম দের তোয়াজ করার জন্য পাশাপাশি তাদের নিজস্ব আইন আছে মুসলিম ল বোর্ড  আছে। একের অধিক বিয়ে করতে পারে কয়েক শ সন্তানের জন্ম দিতে পারে। আধুনিক চিকিৎসা বা বিজ্ঞান মানে না, পোলিও খাওয়া নিয়ে কম সমস্যা এই ধর্মের মানুষ দের নিয়ে। কটা খবর বাইরে আসে বা কাগজে থাকে। আর উগ্ররপন্থী তৈরি করে মানুষ খুন করতে পারে। ভারতের কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হয়েছে, ৩৭০ কি আমি জানি না কি হত ওটা দিয়ে জানি না কিন্তু সারা ভারতের জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি দামে ওরা সব কিছু কম দামে পেত। আলাদা পতাকা ছিল, কি অদ্ভুত সুন্দর একটা ব্যবস্থা তাই আপনি আমি কর বা ট্যাক্স দিয়ে যাব আর  ওরা মানে কাশ্মীরের বাসিন্দা হলে    সে কম দামে অর্থাৎ ভর্তুকিতে সব পাবে দেশের অন্য স্থানে গিয়ে ওরা ব্যবসা করতে পারবে   থাকতে    পারবে কিন্তু আমি আপনি কাশ্মীর গিয়ে ঐ সুযোগ পাব না। অর্থাৎ আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় ওরা মজা করে থাকবে আর ভারতের অন্য রাজ্যের কেউ গেলে শুনতে হবে এটা কাশ্মীর আপনার ভারত নয়। আর পাথর  ছুঁঁড়বে সেনাবাহীনির উপর হামলা করবে। সত্যিই আজব জাতি যাদের খাবে পরবে তাদের কেই মারবে। বাঙালি জাতির আজ এই দশা  হয়েছে বাংলাদেশের সরকার তথা কথিত লোক দেখানো বা    শোনানোর জন্য ভালো ভাষণ দেবে কিন্তু এই সব ধর্মান্ধ মানুষ কে কোন দিন কিছু বলবে না। কারণ সরকারি মদতেে এসব  ঘটনা ঘটেছে সরকার যদি তৎপর হয়ে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত, এবং কেবল ভাষণ বাজি না করে ধর্মের নামে কুু শিক্ষা কে বন্ধ করে দিতে পারত, সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম মত ধর্ম নিরপেক্ষ কবি যে  দেশের সেখাানে ধর্মের নামে মানুষ খুন বন্ধ হয়ে যেত। এরা যে কতটা সভ্য এবং এদের  ধর্ম যে কতটা মহান তা  এদের আচার আচরণে কাজে কর্মে আজ ৬ থেকে  ৭ শ বছর ধরে বাংলার মানুষ দেখে আসছে। শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এবং রাষ্ট্র নায়ক দের উচিত এই দেশ কে বয়কট করা ।যারা ধর্মের নামে একটু অজুহাতে আজ ৭৫ বছর ধরে একটি জাতি কে শেষ করে দিল। সেই বাংলাদেশের তথাকথিত মুসলিম দের বয়কট করা উচিত। তবে আমি আশাাবাদী কারণ চীন সাহায্যের   ডালিনিয়ে হাজির হয়েছে, যারা ঘোর ইসলাম বিরোধী ওদিকেে পাকিস্তান কে তো গিলেে ফেলেছে আর এদিকে বাংলাদেশে অর্থাৎ ভারত  কে জব্দ করতে ভারতের পুরোনো ভুখণ্ড দখলের মতলব। আমি জানি চীন সূঁচ হয়ে ঢোকে আর ফাল হয়ে বেড়িয়ে আসে তাইওয়ান হংকং তিব্বত  হাড়েহাড়ে টের  পাচ্ছে নেপালও আছে যারা নিজেদের দেশ থেকে ইসলাম ধর্ম নির্মূল করতে  নেমেছে। সেই কারণেই আমি আশাবাদী কিছু বৎসর পরেই বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পারব  চীন কি জিনিস। আমি জানি যে যার মত তার তার ধর্ম পালন করবে, কারণ ধর্ম মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য  তৈরি
কখন মানুষ খুন করার বা অপরের উপর অত্যাচার করার জন্য নয়। 

Tuesday, 3 November 2020

৭৫ বছরের কলঙ্ক গেল না।




 বিশ্বের প্রতিটি শুভ বুদ্ধি  সম্পন্ন মানুষ এবং রাষ্ট্র নায়ক দের উচিত এই রকম শান্তির ধর্মের  লোকজন কে বয়কট করা। যারা ধর্মের নামে একটু অজুহাতে মাানুষে উপর অত্যাচার নামিয়ে আনে তারা আর যাই হোক মানুষ নয়, মানবতার শত্রু  এইসব দেশের শাসকের মদতে এসব ঘটনা ঘটেছে কারণ কোন বিচার নেই শাস্তি নেই, ধর্মের নামে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নেই মুখে বলে যাচ্ছে  কিন্তু বাস্তবে অন্য আজ বলে নয়। দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে একটা জাাতি  কে শেষ করে দিল এই দেশ টি তো হিন্দু বলুন সনাতন বলুন তাদের ও তাদের জণ্মভূমি কিন্তু  না তাদের থাকার অধিকার নেই। সামান্য অজুহাত সেটা মিথ্যযা  কি সত্যি দেখার দরকার নেই অত্যাচার আরম্ভ করে দিল অত্যাচার। এই দেশের এই ধর্মের মানুষ নিজেদের সভ্য বলে দাবি করে মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে এদের সভত্যা। রাষ্ট্র  নেতাদের কেবল বড় বড় ভাষণ  কাজের কাজ কিছুই হবে না। যত দিন না উগ্র ধর্মীয় শিক্ষা  বন্ধ না হচ্ছে। ১৯৪৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই দেশে এত ধর্মীয় অত্যাচার হয়েছে  তা বলা যাবে না। কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকা কেড়ে নিয়েছে এই তথাকথিত সুসভ্য ধর্মের মানুষ। মন্দির ভাঙা বাাড়িতে আগুন দেওয়া, লুটপাট লেগেই আছে কারণ একটাই বিচার নেই শাস্তি নেই। আর ধর্মীয় সভা গুুলো থেকে উগ্র ভাষণ দেওয়া হচ্ছে। সে সব বন্ধ নেই, মসজিদের মাইক থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার একটাই প্রশ্ন বিশ্বে তথা পৃৃথিবীতে  কি শুভ বুদ্ধি  সম্পন্ন মানুষ বা নেতা নেই যারা ৭০ থেকে ৭৫ বছর ধরে চলে আসা একটা জাতির উপর অত্যাচার বন্ধ করতে পারে। সবাই ক্ষমতা লোভী, শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন রাষ্ট্র  নেতা দের কাছে আবেদন পাশে দাঁড়ান না হলে এই দেশ থেকে একটি জাতি মুছে যাবে। এই সুসভ্য দেশের মানুষ দের দেখে আমার মনে হচ্ছে  চীন সঠিক কাজ করছে। এই সুসভ্য শান্তির ধর্ম কে মুছে দিতে বদ্ধ পরিকর হয়েছে। এদের মানুষ বললে মানুষ শব্দের অপমান করা হয়। কারণ যার মানের হুঁশ আছে সে মানুষ বলা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলত্যে  এই দেশের সুসভ্য মানুষের কীর্তি   দেখছেে সমগ্র বিশ্বের মানুষ তাও এদের লজ্জা নেই। ঐ যে ঠিক কি না বলার লোক গুলো আছে যারা ধর্ম ছাড়া আর কিছু জানেন না, আধুনিক প্রযুক্তির  ব্যবহার করে প্রচার করছে আর যারা এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে তাদের গালি দিচ্ছে  ঠিক কিনা বলে তাল ঠুকছে গলার জোরে। যাদের আবিষ্কার করা নিয়ন বাতি  বা বৈদ্যুতিক আলোয়   রাতের অন্ধকার দূর করছে। সেই আবিষ্কারক কে কাফের বলে গাালি দিচ্ছে। এরা নিজেদের সুসভ্য জাতি বলে এই এদের সভ্যতা, ছিঃ ছিঃ ছিঃ। 

উপমহাদেশে ধর্ম ব্যবসার রমরমা।


 অন্ধ ধর্মের কারবারি দের কাছে আমার প্রশ্ন ধর্ম আসলে কী? ধর্মের নামে মানুষ খুন? ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ কে ভিটে ছাড়া করা, নানান অজুহাতে মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনা, অন্য ধর্মের মানুষ কে মানুষ বলে মনে না করা? প্রতি নিয়ত উস্ককানি মুলক উগ্র প্রচার করা? যাতে করে মানুষ উত্তেজিত হয়ে অপরের ক্ষতি করে? সম্পদ লুট করে অন্য ধর্মের মানুষের জীবন বিপন্ন করে তোলার নাম ধর্ম? কেবল বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কয়েক কোটি অন্য ধর্মের মানুষ কে ভিটে মাটি ছাড়া করা হয়েছে সেই ১৯৪৭ সালের তৎকালীন কিছু নেতার ক্ষমতা দখল করতে   ধর্মের নামে দেশ ভাগের পর থেকেই এই বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করে দিয়েছে? নিজের দেশ থেকেও তারা পরবাসি অন্যাযা একটাই তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নি। আবার এটাও দেখা যাচ্ছে বাঁঁচার জন্যে নিজের জীবন ও জীবিকার জন্য ভিটে মাটি বাঁঁচাতে ধর্ম

পাল্টেও রেহাই নেই ভিটে মাটি ছাড়া করতে উঠে পরে লেগেছে ঐ তথাকথিত শান্তির ধর্মের মানুষ জন। অন লাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খবর আসছে সেতো সামান্য মাত্র অত্যাচার আরও মারাত্মক কথায় কথায় বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অজুহাতে ঘরবাড়ি জ্বালান চলছে মেয়েদের উপর অত্যাচার চালছেই। আসলে ইংরেজ আমলে ইংরেজ সরকার এটাই চেয়ে ছিল ভারতের বাঙালি জাতি যদি এক থাকে তাহলে ভারত শাসন করা যাবে না। সেই কারনেই ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগের পরিকল্পনা করেও প্রবল আন্দোলনের ফলে তা সফল হয় নি, শেষে ১৯১১ সালে তা প্রত্যাহার করে নেন, আন্দোলন এত তীব্র ছিল যে রাজধানী কলকাতা থেকে ইংরেজ শাসক দিল্লি নিয়ে চলে গিয়েছিল। ইংরেজরা কিন্তু লক্ষ্য রাখতেন বাঙালি জাতির প্রতি এবং ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দান করত বেশি এই বাঙালি জাতির মানুষ। সুভাষ চন্দ্র বোস থেকে শুরু করে চরম পণ্থী নরম পণ্থী সর্বত্র বাঙালি। ভারতের জাতিভেদ কে এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি কে আরও উস্কে দিয়ে তারা ভারত ভাগের পরিকল্পনা করে রেখেছিল। আর তাতে মদত দিয়ে ছিলেন আমাদের দেশের কিছু ক্ষমতা লোভী মানুষ যারা এখনও ক্ষমতা ধরে রাখতে ধর্মের জিগির তুলে মানুষের মধ্যে বিভেদ বজায় রাখতে সচেষ্ট। এই সব নেতারা দেখুন ক্ষমতার শীর্ষে থেকে সুখ ভোগ করে যাচ্ছে মরছে কারা নিরীহ মানুষ আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই, এই সব নেতা মন্ত্রী দের বলুন লম্বা চওড়া ভাষণ দিতে বলুন শুনিয়ে দেবে জ্ঞানের বানী পেছনে তাদের মদতে চলবে অত্যাচার। এগুলো আজ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে গোটা উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত গতিতে আর অন্ধ ধর্মের কারবারিরা ধর্মের নামে মানুষ মানুষে লড়াই লাগিয়ে মজা দেখছে। বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে দেশ ভাগ, ইংরেজের ইচ্ছা আজ সফল হয়েছে সফল করতে সাহায্য করছে এই সব ধর্মান্ধ মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখুন সেখানে সারাদিন ধর্মের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক শিক্ষার কোন নাম গন্ধ নেই, এই সব ধর্মান্ধ মানুষ কে শেখানো হচ্ছে ধর্ম সব। ধর্মের থেকে বড় আর কিছু নেই, অথচ ধর্ম নাকি মানুষ মানুষে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। তখন তো আর এখন কার মত এত মিডিয়া ছিল না। মানুষের সাথে মানুষের মিলন ঘটনার জন্য নাকি ধর্ম এসে ছিল। আর সেই ধর্ম কে একদল মানুষ প্রতিনিয়ত মানুষ খুন করে যাচ্ছে, আর সম্পদের পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে। ভারতে এমন অনেক মন্দির আছে যাদের সম্পদ বড় বড় শিল্প পতি দের থেকেও বেশি। এই বিশ্ব মহামারীর সময় দেখেছেন একটা মন্দির তাদের সম্পদ নিয়ে গরীব মানুষ গুলোর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে! না আসেনি আরও কয়েক গুণ সম্পদ বাড়িয়ে চলেছে। ভগবান বলে দিয়েছেন আমার সম্পদ কোন ভাবে খরচ করিব না। অথচ যখন এই সব সাধু সন্ত পুজারিরা জ্ঞান বিতরণ করে তখন একটা কথা বার বার বলেন মানুষের মধ্যে ভগবানের বাস মানুষের সেবা করলে ভগবানের সেবা করা হয়। ঠিক ঐ সব নেতা মন্ত্রী ক্ষমতা লোভীর দল, মুখে এক আর কাজে আরেক, যে কোন দেশের সরকার ইচ্ছা করলে ঐ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারে না করবে না ওগুলো এক ধরনের ব্যবসা যেখানে প্রচুর টাকা আসে, সেখানে ভাগ আছে না। তাই তো এই উপমহাদেশে ধর্মের নামে মানুষ খুন, মানুষের সম্পদ লুট করা হচ্ছে। এই ভাবে আর কতদিন, এবার বাঙালি তোমাকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে ভুললে চলবে না তুমি মাষ্টার দা সূর্য সেন, গনেশ ঘোষ, রাসবিহারী বোস , ক্ষুদিরাম বোস, উল্লাস কর দত্ত, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আরও অনেকের উত্তরসূরী। কারণ উপমহাদেশে ধর্মের রমরমা কারবার, একে বন্ধ করতে হবে, আর এই কারবারে সাথে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী মন্ত্রী সবাই জড়িত, বাংলার বুকে কেঊ শান্তি ফেরানোর ব্যবস্থা করবে না। কারণ তারা ইংরেজ শাসকের কাছ থেকে দীক্ষিত কিছুতেই বাঙালি জাতিকে এক থাকতে দিলে হবে না। তাই ১৯৪৬ সাল থেকে চলে আসা বাংলার ধর্মের নামে মানুষ খুন এবং সম্পদ লুট দেশ থেকে তাড়া করা জণ্মভিটে মাটি ছেড়ে না গেলে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আর প্রশাসন নির্বিকার চোখে দেখছে পুলিশ কিছু করবে না। বিচারের নামে প্রহসন চলবে, এসবই ইংরেজ আমলের শাসন তারা এসব করে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল। এখনকার শাসক ভারত বা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত চলেছে। এই সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার ছবি দিলাম অত্যাচারিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।


আমার কথা হলো এই হবে কেন একটা সভ্য দেশের মানুষ যারা সর্বদা নিজেদের নিয়ে গর্ব করে, গলা ফাটিয়ে জাহির করে সেই দেশের মানুষ এত অসভ্য বর্বর কোন ধর্ম এই বর্বরতা শেখায়। ধর্মের কারবারি দের কাছে আমার, যে ধর্ম অসভ্য বর্বরের শিক্ষা দেয় সেটা ধর্ম? যে ধর্ম মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে তাকে খুন করতে শেখায়, সেটা কেমন ধর্ম? যে ধর্ম অপরের ঘরে আগুন দিয়ে আনন্দ পায় সেটা কী রকম ধর্ম? আরেকটা প্রশ্ন বিশ্বের যত উগ্র পণ্থা বা উগ্রপন্থী দল আছে এবং বিশ্বের অপরাধের শীর্ষে এই ধর্মের মানুষ কেন? এই উপমহাদেশে যদি একশ জন অপরাধী থাকে তাহলে ৯৫ জন ঐ তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন কেন? আমার মতে কারণ একটাই ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগে তুলে দিতে হবে? এই উপমহাদেশ থেকে হিংসা দূর করতে হলে চাই সঠিক শিক্ষা, আর এই দায়িত্ব নিতে নিতে হবে উপমহাদেশের সরকার কে? কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্য ধর্মের এই কারবারি দের মদত দেওয়া চলবে না। সে যে সরকার আসুক তাকে আগে দায়িত্ব নিতে হবে পঁচিশ টা বিয়ে একশো টা ছেলে মেয়ের জণ্ম দিয়ে জেহাদ করতে পাঠানো। অন্য ধর্মের মানুষ মানে কাফের তাকে খুন করার অধিকার আল্লাহ দিয়েছে এ কোন ধর্মের নীতি আসলে ক্ষমতা দখল মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনার নামান্তর। স্বর্গ নরক জান্নাত আর জাহান্নাম কে দেখেছে। ফ্রান্স কে সমর্থন করে নাকি মন্তব্য করেছে, এখন এই বাংলাদেশের ধর্মান্ধ মানুষ গুলো ফ্রান্স নিয়ে পরে আছে আর ওদিকে চীন ইসলামের বারোটা বাজিয়ে ছেড়ে দিয়েছে, ইসলামের নাম নিশান মিটিয়ে দিতে উঠে পরে লেগেছে চীন। তাদের নিয়ে একটা কোথাও নেই কারণ চীন দেশের অনেক কিছু তৈরি করে দিচ্ছে না। চীনের একটা নমুনা ছবি দিলাম। ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ সাইট থেকে নেওয়া। 


ছিল মসজিদ হয়েছে শহরের গেট চীনা ভাষা ( মান্দারিন) কি লেখা আছে আমি জানি না। উইঘুর না কি সে তো বলার কিছু নেই, কারণ ওটা কম্যুনিস্ট দেশ ওখানে ওসব ধর্মের কোন কারবার নেই খালি জনসংখ্যা বৃদ্ধি। সেদিন আর বেশি দূরে নেই এদের এই জন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য উপমহাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। 


বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...