অন্ধ ধর্মের কারবারি দের কাছে আমার প্রশ্ন ধর্ম আসলে কী? ধর্মের নামে মানুষ খুন? ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ কে ভিটে ছাড়া করা, নানান অজুহাতে মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনা, অন্য ধর্মের মানুষ কে মানুষ বলে মনে না করা? প্রতি নিয়ত উস্ককানি মুলক উগ্র প্রচার করা? যাতে করে মানুষ উত্তেজিত হয়ে অপরের ক্ষতি করে? সম্পদ লুট করে অন্য ধর্মের মানুষের জীবন বিপন্ন করে তোলার নাম ধর্ম? কেবল বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কয়েক কোটি অন্য ধর্মের মানুষ কে ভিটে মাটি ছাড়া করা হয়েছে সেই ১৯৪৭ সালের তৎকালীন কিছু নেতার ক্ষমতা দখল করতে ধর্মের নামে দেশ ভাগের পর থেকেই এই বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করে দিয়েছে? নিজের দেশ থেকেও তারা পরবাসি অন্যাযা একটাই তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নি। আবার এটাও দেখা যাচ্ছে বাঁঁচার জন্যে নিজের জীবন ও জীবিকার জন্য ভিটে মাটি বাঁঁচাতে ধর্ম
পাল্টেও রেহাই নেই ভিটে মাটি ছাড়া করতে উঠে পরে লেগেছে ঐ তথাকথিত শান্তির ধর্মের মানুষ জন। অন লাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খবর আসছে সেতো সামান্য মাত্র অত্যাচার আরও মারাত্মক কথায় কথায় বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অজুহাতে ঘরবাড়ি জ্বালান চলছে মেয়েদের উপর অত্যাচার চালছেই। আসলে ইংরেজ আমলে ইংরেজ সরকার এটাই চেয়ে ছিল ভারতের বাঙালি জাতি যদি এক থাকে তাহলে ভারত শাসন করা যাবে না। সেই কারনেই ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগের পরিকল্পনা করেও প্রবল আন্দোলনের ফলে তা সফল হয় নি, শেষে ১৯১১ সালে তা প্রত্যাহার করে নেন, আন্দোলন এত তীব্র ছিল যে রাজধানী কলকাতা থেকে ইংরেজ শাসক দিল্লি নিয়ে চলে গিয়েছিল। ইংরেজরা কিন্তু লক্ষ্য রাখতেন বাঙালি জাতির প্রতি এবং ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দান করত বেশি এই বাঙালি জাতির মানুষ। সুভাষ চন্দ্র বোস থেকে শুরু করে চরম পণ্থী নরম পণ্থী সর্বত্র বাঙালি। ভারতের জাতিভেদ কে এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি কে আরও উস্কে দিয়ে তারা ভারত ভাগের পরিকল্পনা করে রেখেছিল। আর তাতে মদত দিয়ে ছিলেন আমাদের দেশের কিছু ক্ষমতা লোভী মানুষ যারা এখনও ক্ষমতা ধরে রাখতে ধর্মের জিগির তুলে মানুষের মধ্যে বিভেদ বজায় রাখতে সচেষ্ট। এই সব নেতারা দেখুন ক্ষমতার শীর্ষে থেকে সুখ ভোগ করে যাচ্ছে মরছে কারা নিরীহ মানুষ আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই, এই সব নেতা মন্ত্রী দের বলুন লম্বা চওড়া ভাষণ দিতে বলুন শুনিয়ে দেবে জ্ঞানের বানী পেছনে তাদের মদতে চলবে অত্যাচার। এগুলো আজ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে গোটা উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত গতিতে আর অন্ধ ধর্মের কারবারিরা ধর্মের নামে মানুষ মানুষে লড়াই লাগিয়ে মজা দেখছে। বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে দেশ ভাগ, ইংরেজের ইচ্ছা আজ সফল হয়েছে সফল করতে সাহায্য করছে এই সব ধর্মান্ধ মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখুন সেখানে সারাদিন ধর্মের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক শিক্ষার কোন নাম গন্ধ নেই, এই সব ধর্মান্ধ মানুষ কে শেখানো হচ্ছে ধর্ম সব। ধর্মের থেকে বড় আর কিছু নেই, অথচ ধর্ম নাকি মানুষ মানুষে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। তখন তো আর এখন কার মত এত মিডিয়া ছিল না। মানুষের সাথে মানুষের মিলন ঘটনার জন্য নাকি ধর্ম এসে ছিল। আর সেই ধর্ম কে একদল মানুষ প্রতিনিয়ত মানুষ খুন করে যাচ্ছে, আর সম্পদের পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে। ভারতে এমন অনেক মন্দির আছে যাদের সম্পদ বড় বড় শিল্প পতি দের থেকেও বেশি। এই বিশ্ব মহামারীর সময় দেখেছেন একটা মন্দির তাদের সম্পদ নিয়ে গরীব মানুষ গুলোর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে! না আসেনি আরও কয়েক গুণ সম্পদ বাড়িয়ে চলেছে। ভগবান বলে দিয়েছেন আমার সম্পদ কোন ভাবে খরচ করিব না। অথচ যখন এই সব সাধু সন্ত পুজারিরা জ্ঞান বিতরণ করে তখন একটা কথা বার বার বলেন মানুষের মধ্যে ভগবানের বাস মানুষের সেবা করলে ভগবানের সেবা করা হয়। ঠিক ঐ সব নেতা মন্ত্রী ক্ষমতা লোভীর দল, মুখে এক আর কাজে আরেক, যে কোন দেশের সরকার ইচ্ছা করলে ঐ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারে না করবে না ওগুলো এক ধরনের ব্যবসা যেখানে প্রচুর টাকা আসে, সেখানে ভাগ আছে না। তাই তো এই উপমহাদেশে ধর্মের নামে মানুষ খুন, মানুষের সম্পদ লুট করা হচ্ছে। এই ভাবে আর কতদিন, এবার বাঙালি তোমাকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে ভুললে চলবে না তুমি মাষ্টার দা সূর্য সেন, গনেশ ঘোষ, রাসবিহারী বোস , ক্ষুদিরাম বোস, উল্লাস কর দত্ত, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আরও অনেকের উত্তরসূরী। কারণ উপমহাদেশে ধর্মের রমরমা কারবার, একে বন্ধ করতে হবে, আর এই কারবারে সাথে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী মন্ত্রী সবাই জড়িত, বাংলার বুকে কেঊ শান্তি ফেরানোর ব্যবস্থা করবে না। কারণ তারা ইংরেজ শাসকের কাছ থেকে দীক্ষিত কিছুতেই বাঙালি জাতিকে এক থাকতে দিলে হবে না। তাই ১৯৪৬ সাল থেকে চলে আসা বাংলার ধর্মের নামে মানুষ খুন এবং সম্পদ লুট দেশ থেকে তাড়া করা জণ্মভিটে মাটি ছেড়ে না গেলে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আর প্রশাসন নির্বিকার চোখে দেখছে পুলিশ কিছু করবে না। বিচারের নামে প্রহসন চলবে, এসবই ইংরেজ আমলের শাসন তারা এসব করে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল। এখনকার শাসক ভারত বা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত চলেছে। এই সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার ছবি দিলাম অত্যাচারিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
আমার কথা হলো এই হবে কেন একটা সভ্য দেশের মানুষ যারা সর্বদা নিজেদের নিয়ে গর্ব করে, গলা ফাটিয়ে জাহির করে সেই দেশের মানুষ এত অসভ্য বর্বর কোন ধর্ম এই বর্বরতা শেখায়। ধর্মের কারবারি দের কাছে আমার, যে ধর্ম অসভ্য বর্বরের শিক্ষা দেয় সেটা ধর্ম? যে ধর্ম মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে তাকে খুন করতে শেখায়, সেটা কেমন ধর্ম? যে ধর্ম অপরের ঘরে আগুন দিয়ে আনন্দ পায় সেটা কী রকম ধর্ম? আরেকটা প্রশ্ন বিশ্বের যত উগ্র পণ্থা বা উগ্রপন্থী দল আছে এবং বিশ্বের অপরাধের শীর্ষে এই ধর্মের মানুষ কেন? এই উপমহাদেশে যদি একশ জন অপরাধী থাকে তাহলে ৯৫ জন ঐ তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন কেন? আমার মতে কারণ একটাই ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগে তুলে দিতে হবে? এই উপমহাদেশ থেকে হিংসা দূর করতে হলে চাই সঠিক শিক্ষা, আর এই দায়িত্ব নিতে নিতে হবে উপমহাদেশের সরকার কে? কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্য ধর্মের এই কারবারি দের মদত দেওয়া চলবে না। সে যে সরকার আসুক তাকে আগে দায়িত্ব নিতে হবে পঁচিশ টা বিয়ে একশো টা ছেলে মেয়ের জণ্ম দিয়ে জেহাদ করতে পাঠানো। অন্য ধর্মের মানুষ মানে কাফের তাকে খুন করার অধিকার আল্লাহ দিয়েছে এ কোন ধর্মের নীতি আসলে ক্ষমতা দখল মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনার নামান্তর। স্বর্গ নরক জান্নাত আর জাহান্নাম কে দেখেছে। ফ্রান্স কে সমর্থন করে নাকি মন্তব্য করেছে, এখন এই বাংলাদেশের ধর্মান্ধ মানুষ গুলো ফ্রান্স নিয়ে পরে আছে আর ওদিকে চীন ইসলামের বারোটা বাজিয়ে ছেড়ে দিয়েছে, ইসলামের নাম নিশান মিটিয়ে দিতে উঠে পরে লেগেছে চীন। তাদের নিয়ে একটা কোথাও নেই কারণ চীন দেশের অনেক কিছু তৈরি করে দিচ্ছে না। চীনের একটা নমুনা ছবি দিলাম। ছবিটি ডেইলি হান্ট নিউজ সাইট থেকে নেওয়া।
ছিল মসজিদ হয়েছে শহরের গেট চীনা ভাষা ( মান্দারিন) কি লেখা আছে আমি জানি না। উইঘুর না কি সে তো বলার কিছু নেই, কারণ ওটা কম্যুনিস্ট দেশ ওখানে ওসব ধর্মের কোন কারবার নেই খালি জনসংখ্যা বৃদ্ধি। সেদিন আর বেশি দূরে নেই এদের এই জন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য উপমহাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
No comments:
Post a Comment