Anulekhon.blogspot.com
Saturday, 31 October 2020
করোনার নামে গরীব ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়া বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
আজ প্রায় নয় মাস পশ্চিমবঙ্গের স্কল কলেজ বন্ধ আদৌ কবে খুলবে বা খুলবে কিনা কেউ জানে না। সরকারের পক্ষ নবম শ্রেণিথেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অন লাইন পাঠ দান করতে বলেছেন। কিন্তু অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেটা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। অভিভাবক পরে ফোন নম্বর হোয়াাট এ্যাপ গ্রুপে যোগ করতে বললেও বিদ্যালয়ে কোন কাজ করেনি অর্থাৎ করে নি। অপরাধ একটাই ফোন টা অনেক দিন পরে কিনেছেন বলে। আর প্রারাথমিক শিক্ষা সেতো তুলে দিতে পারলে বাঁচে এই সরকার হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপ এদেরও আছে কিন্তু সরকারের কোন আদেশ নেই সেই গ্রুপে পড়ানোর তাই শিক্ষক কুল ও কোন কিছু করতে রাজি না। তাছাড়া সামনে বিধানসভা নির্বাচন তাই বর্তমান সরকার এদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিচ্ছে। কোন কাজ কর্ম নেই কেবল কয়েক কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে প্রতি মাসে বেতন দিতে। প্রাথমিক শিক্ষকরা এবং বেশ কিছু মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক খুব আনন্দিত না পড়িয়ে বেতন এটাই তো চাই। আর সরকার চায় সরকারের শিক্ষা ব্যযবস্থা ধ্বংস হয়ে যাক যাতে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ বা. বাড়ির ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া না শেখে। অনেকে শিক্ষক পড়ানোর জন্য হোয়াটস এ্যাপ ব্যবহার করে পড়াচ্ছেন, বেশিরভাগ একটাই উত্তর সবার কি স্মার্টফোন আছে, সত্যিই গরীব খেটে খাওয়া মানুষ স্মার্ট ফোন কিনতে পারেন নি যদিও অনেক কষ্টে ফোন কিনতে পারেন তবে নেট নেওয়ার টাকা নেই। কত যে বিপদ, যে শিক্ষক পড়াচ্ছেন তাদের বলছেন এটা কি পড়ানো হচ্ছে। সব ছাত্র ছাত্রী নেই, সরকারি আদেশ নেই, সত্যি একদম ঠিক কথা বলেছেন, স্মার্টফোন নেই শত করা ২০ থেকে ২৫ জনের। এই শতকরা ২০ থেকে ২৫ জনকে সরকার ইচ্ছে করলেই একটি স্মার্টফোন দিতে পারে। কারণ পুজোর জন্যে টাকা, আরও নানা ধরনের বাজে খরচ করতে পারে আর এটা করতে পারে না। আরেকটা আদেশ দিতে পারে না যে যে ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ গ্রুপে আছে তাদের পড়ানোর জন্য সে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত না সেটা করা যাবে না কারণ বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেব আর ভোট এলে আমার ভোট বাড়বে। শিশু শিক্ষা উচ্ছন্নে যাক, আর নয় মাস হয়ে গেছে সব খুলে দেওয়া হচ্ছে কেবল বিদ্যালয় আর লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। বিদ্যালয় গুলো খুলতে পারে দুবেলা দুটি শ্রেণির পঠনপাঠন হবে প্রাথমিকের পাঁঁচটি শ্রেণির পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যায় কারণ অনেক প্রাথমিকেই ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা একশর নীচে ।অনায়াসে দুবেলা বিদ্যালয়েে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যায়। গ্রামের গরিব খেটে খাওয়া মানুষের বাচ্চা গুলো অর্থাৎ যাদের ফোন নেই তারা, বিদ্যালয়ে এসে পড়াাশোনা করতে পারে। আর ঐ পড়াই হোয়াটস এ্যাপের মাধ্যমে বাকি ছাত্র ছাত্রী দের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। যা তারা পড়ে বা কাজ টি করে শিক্ষকের কাছে পাঠাবে শিক্ষক দেখে ঠিক কি ভুল বলে দেবেন। আর ভুল হলে কিভাবে সঠিক হবে সেটাও বলে দেবেন। অর্থাৎ শিক্ষক দের একটু বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে। আসলে সরকারের ইচ্ছা নেই তাই এখন কোন পরিকল্পনা নেই বিদ্যালয় গুলো খোলার একটা পরিকল্পনা হীন সরকার চলছে। না জেনে বুঝে গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যাতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বারে তার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। কারণ বেসরকারি সংস্থার বিদ্যালয় গুলো নার্সারি থেকে মাধ্যমিক সমস্ত স্তরে হোয়াটস এ্যাপ বা ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে পড়াচ্ছেন। কেবল সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছাড়া কারণ সরকারি কোনও আদেশ নেই এই কারণে। জানি না আমার এই লেখা কোন সরকারী দলের লোকজন বা সরকারি আধিকারিক পড়ে কিনা! যদি পড়েন ভেবে দেখুন,, জানি সমালোচনা করে ফেললাম কিনা কারণ এ সরকারের সমালোচনা সহ্য হয় না। একটু বেশি সদয় কিনা, কখন আবার কেস করে না বসে দেখব রাতে পুলিশ এসে কড়া নাড়ছে এটা এই সরকার ভালো পারে আর টাকা দান করতে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে।
ব্রিটিশ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রথম পাশ্চাত্য শিক্ষার হাত ধরে আধুনিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা গড়ে উঠেছিল। এক সময় বাঙা...
-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...

No comments:
Post a Comment