Anulekhon.blogspot.com

Friday, 30 October 2020

কী আজব (স্বাধীন)দেশ ব্যাঙ্কে জমালে টাকা কাটবে!

সত্যিই আমরা স্বাধীন হয়েছি তো! একটা স্বাধীন দেশের সরকার নাগরিকদের কীভাবে শোষণ করতে পারে এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। নতুন আইন ব্যাঙ্কে মাসে তিন বারের বেশি টাকা জমা দিলে বা মাসে তিন বারের বেশি তুললে টাকা কেটে নেওয়া হবে। কত টাকা জমা জন্যে 40 টাকা আর তোলার জন্য 150 টাকা কাটা হবে ( কারেন্ট এ্যাকাউন্ট থেকে) এর থেকে ইংরেজ শাসক ভালো ছিল মনে হয়! ইংরেজ দের পা চাটারা যত রকম ভাবে পারে মানুষ কে নাজেহাল করে তুলেছে। এক জি এস টি আর নোট বন্দীর জন্য যে কোন জিনিসের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর নাভিশ্বাস উঠেছে। কেবল কি এই একটা দুটো বিষয়ে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে এই সরকার। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই শুরু করে দিয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা। জনগণের ভোটে জয়ী হয়েছে আর জনগণ কেই বলছে প্রমাণ করতে হবে তুমি এ দেশের বৈধ নাগরিক। যেখানে নাগরিকতার প্রমাণ হিসেবে ভোটার কার্ড লাগল সেই ভোটার কার্ড আধার কার্ড নাগরিকের প্রমাণ নয়। আশ্চর্যের বিষয় যে পাসপোর্ট বিদেশে ভারতের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করে সেই পাসপোর্ট দেশে নাগরিক প্রমাণ নয়। বাদ যাক ওসব দেশের প্রতিটি মানুষ কে বোকা বানিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে নিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে EVM কারচুপি করে ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আর দেশের সম্পদ ঐ সব কর্পোরেট সংস্থা কে বিক্রি করে দিচ্ছে। কোন দিন দেখা যাবে ঐ সব সংস্থা ঠিক করে দিচ্ছে কে প্রধানমন্ত্রী হবে। হয়েছিল ও  তাই কর্পোরেট সংস্থার বিজ্ঞাপন এর উপর নির্ভর করে মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতা দখল। আচ্ছা দিন আসবে প্রত্যেক মানুষের ব্যাঙ্কের খাতায় পনেরো লক্ষ টাকা করে কালো টাকা উদ্ধারের পর দেওয়া হবে। জনধন খাতা খুলতে হবে ব্যাঙ্ক গুলোতে প্রথম এই জনধন খাতা খোলা হবে শূন্য ব্যালান্সে কিন্তু ব্যাঙ্ক গুলো কি করল বলল সবচেয়ে কম একশ টাকাও জমা দিতে হবে। কেউ কেউ ঐ খাতায় একশর জায়গায় পাঁচ শ টাকা জমা দিলেন কারণ কালো টাকা উদ্ধারের পর ১৫ লক্ষ টাকা আসবে। কোটি কোটি টাকা জমা পড়ল ব্যাঙ্কে। পনেরো লক্ষ তো দূরের কথা ১৫০০ টাকা ও জমা পড়ে না উল্টো টা হলো নোট বন্দী পাঁচ শ হাজার টাকার নোট বাতালি করে দেওয়া হল। ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন, কয়েক জন অসুস্থ হয়ে ঐ লাইনে মারা গেলেন। প্রথমে বললেন এই ভাবে কাল টাকা উদ্ধার করা হচ্ছে, শেষের দিকে যখন দেখলেন না যত টাকা সরকারের বাজারে ছাড়া ছিল সেই টাকার ৯৯.২৫ ভাগ টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে, তখন বললেন জাল নোট ধরার জন্য এটা করা হয়েছে।কার লাভ হলো বড় বড় কর্পোরেট সংস্থার, এক মন্ত্রীর ছেলের ব্যাঙ্কের খাতা ফুলে ফেঁপে উঠল। আমি কেবল ভাবি এই সব মানুষ নিজেদের কে সন্ন্যাসী ফকির বলে মানুষ সত্যি কি এরা সন্ন্যাসী ফকির আসলে না মানুষ কে বিশেষ করে গরীব মানুষ কে ধ্বংস করে দিতে এরা ক্ষমতা দখল করে এবং সন্ন্যাসী বা ভেক ধারী ভণ্ড তপস্যী হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে বসে। একবার ভাবুন এই করোনা কালে এক সন্ন্যাসী করোনীল নামে এক ওষুধ তৈরি করে বিক্রি করে ২৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। এই করোনিল খেলে করোনা আর হবে না। আমার অবাক লাগে এরা নাকি সাধক গেরুয়া পরে থাকে আসলে কি তাই! দেশের মানুষ কে ঠকানোর জন্য ভেকধারী শয়তান। আমার একটা লেখা এর আগে লিখেছিলাম যে মিথ্যে কথায় যদি নোবেল পুরস্কার থাকত এরা আগে পেত। ধিক ধিক শত ধিক এই সব নির্লজ্জ মানুষ গুলো কে। এরা গরীব মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেন না। গরীব মরুক আমি মুনাফার পাহাড়ে বসে আরাম করে দিন কাটাতে পারলেই হবে। 

 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...