Anulekhon.blogspot.com

Friday, 13 November 2020

১৪০০ বছরের ধর্মটি কখনো শান্তির কথা বলে নি।


ইসলাম ধর্ম প্রচার করা শুরু হয়েছিল ১৪০০ বছর আগে। তার আগে পর্যন্ত তাহলে কি কোন ধর্ম বা ঈশ্বর আরাধনা বা উপাসনা ছিল না? আমি তো জানতাম ছিল কারণ, বৈদিক মুনি ঋষিরা ছিলেন, বেদ পড়ানোর জন্য। আর্যরা মানব সমাজ কে কাজের ভিত্তিতে ভাগ করে ছিলেন। ব্রাহ্মণ এদের কাজ ছিল পুজা পাট, আর বেদ পড়ানো, ক্ষত্রিয় রা দেশ শাসন ও দেশ রক্ষা করার জন্য। বৈশ্য দের  কাজ ছিল ব্যবসা বানিজ্য চাষ বাস করা । আর শুদ্রদের কাজ ছিল বাকি তিনটি বর্ণের সেবা করা। পৃথিবীর সব থেকে প্রাচীন ধর্ম বলুন মত বলুন যা বলুন প্রথা বলুন সব কিছু মিলিয়ে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম, যা যুগ যুগ ধরে প্রবাহ মান তাকেই সনাতন বলে এটাই আমার জানা। আর্যরা এই ধর্মের বা এই সনাতন প্রথা গুলো কে একটা সুত্রে বাঁধতে বেদ পাঠ শুরু করে ছিলেন। প্রথম প্রথম বেদ শুনে মনে রাখতে হতো, পরে তা লিখিত রূপ নেয়, আর পৃথিবীর প্রথম লিখিত গ্রন্থ ঋক বেদ, পরে সাম বেদ লেখা হয়, সাম কথার অর্থ গান অর্থাৎ গানের সুরে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে দেবতার আরাধনা। এসব নিয়ে অনেকেই আছেন লিখেছেন আমার এখানে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে শুরু করেছি সেটা লিখি। এই সনাতন ধর্মের বর্ণ ভেদ ক্রমশ কঠোরতা লাভ করে এত কঠিন হয়ে পড়ে যা জাতি ভেদে রূপ নেয়, শুদ্রদের সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত করা শুরু হয়। আর এই কঠোরতার কারণে নতুন নতুন ধর্ম মত তৈরি হতে শুরু করে তার মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন্য ধর্ম, শিখ ধর্ম, সর্বশেষ বৈষ্ণব ধর্ম কারণ বৈষ্ণব ধর্ম যখন শুরু হয় আজ থেকে পাচশ ছশ বছর আগে ইসলাম ধর্মের বাড় বাড়ন্ত এই বাংলায় ব্যাপক আকার নিয়েছে নিম্ন বর্ণের মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে ব্যস্ত ঠিক তখনই সহজ সরল করে ধর্ম পালন করার জন্য সৃষ্টি বা প্রচারিত হতে থাকে বৈষ্ণব ধর্ম, শ্রীহরি বা কৃষ্ণ নামের উপর ভিত্তি করে। সব থেকে লক্ষ্যনীয়, কখনো সনাতন ধর্মের মানুষ এদের ধর্ম প্রচারে বাধা দেয় নি। আর এই কারণেই বৌদ্ধ ধর্ম এক সময় এই উপমহাদেশের সর্বত্র প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু ১৪০০ বছরের একটি ধর্ম নিয়ে দেখলে দেখা যাবে, এই ধর্ম মত প্রচারের প্রথম থেকেই মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনে, ধর্ম যেখানে মানুষ কে এক করার জন্য শান্তিতে বসবাস করতে দেওয়ার জন্য, সেখানে এই ধর্ম মানুষ গ্রহন না করলে তার উপর নেমে এসেছে নির্মম অত্যাচার। আর ধর্মের নামে মানুষ খুন লুট পাট এটাই এই ধর্মের মানুষের কাজ, এই ধর্মের মানুষের সাথে খ্রীষ্টান ধর্মের মানুষের যুদ্ধ করতে দেখা গেছে। ইতিহাসে যা ক্রুশেড নামে পরিচিত। আর ভারতের লুট করতে শুরু করে ছিলেন, মোহাম্মদ ঘোরী, নাদির শা, তৈমুর লঙ, আরও অনেক এদের মধ্যে একটা অংশ পরে ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকে। ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতি এবং প্রাচীন সনাতন প্রথা কে ধ্বংস করে দিতে থাকেন কিছু কিছু শাসক। এর পর ভারতের শাসক হন খ্রীষ্টান ধর্মের অনুসারী ইংরেজ, তারা ধর্ম প্রচার প্রথম প্রথম না করলেও পরে খ্রীষ্টান মিশনারিরাও এদেশের ঐ যে দলিত, অর্থাৎ মুচি, মেথর, চণ্ডাল, আরও কিছু হিন্দু ধর্মের নিম্ন বর্ণের মানুষ কে তাদের ধর্ম গ্রহণ করাতে থাকে। এর একটাই কারণ হিন্দু ধর্মের কঠোরতা, খ্রিস্টান ধর্মের প্রসার ঘটে কিন্তু তারা অনেকেই আবার নিজেদের ভারতীয় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে থাকেন এবং বুঝতে থাকেন। ব্যতিক্রম ইসলাম এরা যুগ যুগ ধরে ভারতে বসবাস করে আসছে কিন্তু নিজেকে কখনো ভারতীয় ভাবে না। একটা আশ্চর্যের বিষয় ভারতের বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মের মানুষ ধর্মান্তরিত অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের লোকজন, তবুও আপনি মুসলিম পাড়ার মধ্যে যান আপনার পরিচয় আপনি বাঙালি আর সে মুসলিম বা সে মুসলিম। অনেকেই আবার বলবেন, হিন্দুরা তো এদের যুগ যুগ ধরে মেলেছ্য বলে দূরে সরিয়ে রেখেছে। এদের ছুঁলে এদের সাথে মিশলে তাকে একঘরে করে রাখত, সেটাও তো একধরনের অত্যাচার। তবে ধর্মের নামে এদের অত্যাচার সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ এবং এতটাই নিষ্ঠুর নির্দোষ এবং নিরীহ মানুষ কে মানুষ কে খুন করা এদের জলভাত। গণ্ডায় গণ্ডায় বিয়ে করে আর ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে আজ পৃথিবীর বাসস্থান আর খাদ্য সংকটের জন্য এরা অনেক অংশে দায়ি। পৃথিবীর যত উগ্রপন্থী দল বা সংগঠনের কথা জানা যায় তার সিংহ ভাগ এই ধর্মের মানুষ দ্বারা পরিচালিত এবং কোনো দেশের এদের সংখ্যা বেশি হলে সেখানে অপরাধ বেশি, কারণ অপরাধের সিংহ ভাগ এদের দ্বারা সংঘটিত। এক শ জন অপরাধীদের মধ্যে আশি থেকে নব্বই জন এই ধর্মের মানুষ। এখানে কিছু ছবি দিলাম যা বাংলাদেশের এবং পৃথিবীর অন্য কিছু দেশে সংঘটিত এদের অপরাধ। 







এরপর ও যারা এই ধর্ম কে শান্তির ধর্ম বলেন তারা একবার ভেবে দেখুন। এদের উদ্দেশ্য একটাই অপরের সম্পদ লুট করা আর পৃথিবীর লোক সংখ্যা বাড়ানোর দিকে, যত লোক বাড়ে তত খাদ্য এবং বাসস্থানের প্রয়োজন হয় তখনই লুট পাট এবং মানুষ খুন এছাড়াও আছে ক্ষমতা দখল। অনেকেই তো রাষ্ট্রের শাসকের সহযোগিতা নিয়ে এই অত্যাচার করে, সেই সব দেশে এই ধর্মের মানুষ উগ্র প্রচার করতে থাকে এবং এবং মানুষ কে আধুনিক এবং বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে থাকে, মানব সভ্যতার অগ্রগতি কে পিছনে ঠেলে দিতে এরা ওস্তাদ। আর এই কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদের দমিয়ে রাখতে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যেমন চীন উইঘুরে এদের কোনঠাসা করে দিয়েছে। চীন বুঝতে পেরেছে এদের দমিয়ে রাখতে না পারলে তাদের অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যাবে। এরা ধর্মের নামে লোক সংখ্যা বাড়িয়ে যাবে, খাদ্য বাসস্থানের সংকট দেখা দেবে, ধর্ম শিক্ষা আধুনিক বিজ্ঞানের বিকাশ কে বন্ধ করে দিতে পারে। সে কারণেই এদের উপর চীনের এই আগ্রাসন, কারণ পৃথিবী পাল্টে গেলেও এরা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে না। আরেকটা দেশে তাদের দেশের ধর্মীয় বিবাদ বন্ধ করতে সেনাবাহিনী দিয়ে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে যদিও সেখানে ইসলাম ধর্মের মানুষ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের কিছু মানুষ আছেন। আর এই দেশটির নাম মায়ানমার, একটা আশ্চর্য ব্যাপার এই রোহিঙ্গা মুসলমান দের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে, আর সেখানে যে কতিপয় হিন্দু ধর্মের মানুষ এসেছে তাদের উপর ধর্মীয় অত্যাচার চালানো হচ্ছে। জোর করে ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হচ্ছে ।কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম, আমি জানি না এখন সুসভ্য শিক্ষিত মানুষ যাদের চেতনা আছে তারা কি করে ইসলাম ধর্ম কে শান্তির ধর্ম বলেন! যদিও ইতিহাসে পড়েছি ইসলাম কথার অর্থ শান্তি। তাহলে কি পৃথিবীর মানব সভ্যতার অগ্রগতি আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতি ধ্বংস করে দিয়ে সেই আদিম যুগের অন্ধকার ময় যুগের সুচনা করতে চাওয়া মানুষ বা ধর্ম হোল শান্তি। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...