ভারতীয় রাজনৈতিক দল গঠন করা বলুন আর ভারতের মানুষের দাবি আদায়ের জন্য বলুন, ১৮৮৫ সালে এক ইংরেজের হাত ধরে ভারতে কংগ্রেস তথা এক সভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় সভাপতি ছিলেন উমেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই বলেন সেই শুরু ভারতের কংগ্রেসের আন্দোলন, তার পর এক এক করে দাবি উত্থাপন করা এবং সে গুলো আদায়ের চেষ্টা, কিন্তু কোন দাবি পূরণ করতে চান না সরকার কেবল নিজে দের অর্থাৎ ইংরেজ সরকারের স্বার্থ জড়িত না হলে এমন একটা দাবিও পুরন করে নি সরকার। আস্তে আস্তে কংগ্রেস প্রায় নিস্কৃয় গোষ্ঠীতে পরিণত হতে থাকে, জণ্ম নেয় উগ্রপন্থার এই দক্ষিণ আফ্রিকায় এক গুজরাটী ভারতীয় ইংরেজ সরকারের কে নানা ভাবে সাহায্য করতে থাকে। এমন কি প্ররথ বিশ্ব যুদ্ধের সুচনা লগ্নে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেই যুদ্ধে ভারতীয়রা কিভাবে ইংরেজ সরকার কে সাহায্য করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন। এদিকে ভারতে ইংরেজ সরকার বিরোধী আন্দোলন যখন চরম আকার ধারন করেছে তখন তাকে ইংরেজ সরকার তাদের প্রতিনিধি করে নিয়ে আসে কেউ বলেন তাকে নিয়ে আসা হয় ১৯১৬ সালে আবার কেউ কেউ বলেন তিনি আসেন ১৯২০ সালে, তিনি এসে সশস্ত্র সংগ্রাম কে বাদ দিয়ে অহিংস পথে কীভাবে আন্দোলন করা যায় সেটা করতে থাকেন। একটা ভাববার বিষয় সশস্ত্র ব্রিটিশ পুলিশ নিরস্ত্র মানুষের আন্দোলন। ওনার কথা মত শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন, কিন্তু ব্রিটিশ
পুলিশের নির্মম অত্যাচার নেমে এল। মানুষ সহ্য করতে না পেরে চৌরিচোরা থানায় আগুন লাগিয়ে দিল। অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। এই গুজরাটি প্রবল বাঙালি বিদ্বেষী ছিলেন, কারণ বাঙালি ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ভড় কেন্দ্র। অনেকে বার তাকে নেতাজীর বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা গেছে এমনকি স্বাধীনতার পর নেতাজী কে ব্রিটিশদের সাথে যঢ়যন্ত্র করে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষণা করা এসব তার কাজ, তিনি উকিল বা পেশায় আইনজীবী কিন্তু কোনো দিন কোন বিপ্লবীর হয়ে কোর্টে সওয়াল করতে দেখা যায় নি। কিছু হিন্দু বাঙালি আর মুসলিম লীগের নেতাদের ইচ্ছা ছিল স্বাধীনতার আগে দেশ ভাগের তাতে তার প্রবল সায় ছিল। এখন দুই গুজরাতি মিলে সেই ব্রিটিশ আমল বা ব্রিটিশ রাজত্ব ফিরিয়ে নিয়ে আসছে, এক দিকে ধর্মের নামে ভাষার নামে জাত পাতের নামে ভাগ করে দাও। আর অন্য দিকে তাকিয়ে দেখুন বিচার ব্যবস্থা আজ প্রহসনে পরিনত হয়েছে, আমরা টিভিতে দেখলাম বাবরি মসজিদের কাঠামো ভাঙার দৃশ্য কোর্ট বলল না ওটা ভাঙা হয় নি। রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে রায়, সম্প্রতি সাংবাদিক নিয়ে যে বিচার করা হল, সারা দেশে অনেক সাংবাদিক ও বিষ্টিট ব্যক্তি বিনা বিচারে জেলে বন্দি তাদের বিচার নেই, যেহেতু ঐ সাংবাদিক শাসকের খোসামদ করে চলে তাই তিনি বিচার পেলেন। আর সংবাদ মাধ্যম তার সিংহ ভাগ শাসক দল নিজের কুক্ষিগত করে রেখেছে। একটু টুঁ শব্দ করার জো নেই। জনগণ সামনে রেখে রেখেছে দেশের মধ্যে বন্দি করে রাখার বিভিন্ন কালা আইন, সি এএ নামে নাগরিক দের হেনস্থা করার কালা কানুন ডিটেশন ক্যাম্প নামের আধুনিক জেল যেখানে অত্যাচার ইংরেজ আমলের থেকেও বেশি। আর এই মহামারীর সময়ে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ এর অপরিসীম দারিদ্র যা বর্ননার অতীত। কত মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মী আজ কাজ হারা, তাই আট বা ১৩২ দিন পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ট্রেনে সে ভিড় নেই। আবার আমাদের এই দেশের বুকে সাম্প্রদায়িক দল বা মুসলিম লীগের মত দল কোমর বেঁধে নেমেছে, একে বিজেপি তে রক্ষা নেই তার উপর এ আই এম আই এম অনেকেই বলছেন মিম। বিজেপি যেমন হিন্দু মহাসভা জনযুদ্ধ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আর এস এস দ্বারা পরিচালিত একটি অসভ্য বর্বরের দল। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই মুসলিম লীগের বিকল্প মিম, বিহার ভোটে পাঁচ জন নির্বাচিত হয়েছেন এবার তিনি পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দিয়েছেন। এই সাম্প্রদায়িক দল আবার না দেশ ভাগের প্রস্তাব নেন। কারণ এস ক্ষমতা দখল করি দেশ ভাগ করি লুটে পুটে খাই। ভারতের আকাশে আবার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, সেই দুই দল হিন্দু মহাসভা আর মুসলিম লীগ। সকলে মিলে প্রতিবাদে সামিল না হলে অচিরেই দেশ ভাগের সম্ভবনা প্রবল। কারণ বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তে ইতিমধ্যে গোর্খাল্যাণ্ড সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন। এরকম অনেক ল্যাণ্ড তৈরি করা হবে। জাতি গত ভাষার ভিত্তিতে। আর দেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাবে দুই শিল্পপতি আদানি আর আম্বানি।
No comments:
Post a Comment