Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 22 November 2020

পশ্চিমবঙ্গ বড়াবড়ি নাটক থিয়েটারের জন্য বিখ্যাত।

 পশ্চিমবঙ্গরে রাজনীতি তে দীর্ঘ তিন চার মাস ধরে একটা নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে, কারণ একটাই অন্যান্য বিরোধী দল কি প্রচার করছে বা বলছেন, সে গুলো যাতে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছে না পৌঁছয়, বা দেখাতে না পারে। দারুণ কৌশল প্রতিদিন, নাটক নিয়ে একের অধিক খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। কে কোন দলে যাচ্ছে, কে কে পা বাড়িয়ে আছে, কখনো কখনো বলা হচ্ছে, এই গেল গেল, আবার নাটকে অন্য চরিত্র অন্য রকম করে সেটা বন্ধ করে দিলেন। সেটাও আছে, এটা চলছে, ছোট চোর বড়ো চোরের দলে যাবে, বড়ো চোর এমন ভাবে চুরি করে কেউ বুঝতে পারে না। কিছু লোক ঠিক করে রাখে নাম শিল্পপতি কোটি কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, আর কিছু দিন বা দু এক বছর পর সে ঋণ শোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, আর তাদের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়। শিল্পপতি নামক বড়ো চোর যে সবাই দেশ ছেড়ে চলে গেছে এমন নয়। তার পর আছে দেশের সমস্ত সরকারি সম্পত্তি ঐ শিল্পপতি দেরে বিক্রি করে দেওয়া, ওরা কিনবে কি করে না আবার ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। দারুণ ব্যাপার, ঐ টাকা আসবে কোথা থেকে, আসবে জনগণের থেকে ব্যাঙ্ক বিভিন্ন অজুহাতে কেটে নেবে। জনগণের টাকা চুরি করতে একটা নতুন পদ্ধতি, কোন চিটিংবাজ ফাণ্ড লাগবে না। আমরা জনগণ গত সাড়ে নয় বছর ধরে চলে আসা এই নাটক দেখে অভ্যস্ত, আমরা এমন অশিক্ষিত বাড়িতে ছিঁছকে চোর মুরগি চুরি করলে তাকে ধরে উত্তম মধ্যম দিয়ে পরপারে টিকিট ধরিয়ে দিই, আর এই সব বড় চোরকে ভোট দিয়ে ভোটে নির্বাচিত করে দিই, যাতে সে জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে, মিথ্যা নাটক মঞ্চস্থ করে নানান অজুহাতে জনগণের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। এরা এমন চোর নির্বাচিত হওয়ার আগে, সাইকেল চাপে, টালির চাল দেওয়া ঘরে বাস করে বা কোন কারখানায় ২৮০ টাকা রোজে কাজ করে, আর নির্বাচিত হন দুই থেকে চার বছরের মধ্যে প্রাসাদ বাড়ি দুটি থেকে তিন টি দামী চার চাকা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা একটা স্তোত বাক্য বলে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে থাকি, যে লঙ্কায় যায় সেই রাবন সবাই চোর। একবারের জন্যে খতিয়ে দেখে না, সত্যি সকলে চোর কি না কারণ বড়ো চোর আর চোট চোরের প্রচারের ছটায় অন্ধের মত বিশ্বাস করে নিই। একটু ভাবলে বোঝা যাবে, আগে ডাকাতি করতে যাবার আগে, ডাকাতের দল কালি পুজো করে যেত, আর এই সব চোর ডাকাতরা ভালো কে কি করে খারাপ করা যায় প্রতি নিয়ত তার নামে মিথ্যা বলে এমন প্রচার করে মানুষ বিশ্বাস করে নেয়। সেই কারণেই বলছি এই বড়ো বড়ো ডাকাত গুলো নাটক মঞ্চস্থ করতে আর মিথ্যে কথা বলতে ভীষণ ওস্তাদ। তবুও যাহোক দীর্ঘ দিন নাটকের, মঞ্চ গুলো বন্ধ আছে, তবুও এদের কল্যাণে নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। সাধারণ গরীব মানুষ কে বলিছি এদের নাটকে দর্শক থাকুন কখনো এদের হয়ে হাত তালি দেবেন না। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...