Anulekhon.blogspot.com
Saturday, 28 November 2020
রাষ্ট্র নাগরিক দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
কেন্দ্র সরকার নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমি বুঝতে পারি না ক্ষমতার অহংকার মানুষ কে এতটা অন্ধ করে দিতে পারে। দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতা দখল করে নিজেদের দেশের সর্ব শক্তিমান ভেবে নেওয়া কি ঠিক। ভারতের গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা আজ একেবারে ভেঙে পড়েছে। প্রথমেই জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে এসেছে CAA, UPA, তারপর এই কৃষি বিল। প্রতিটি পদক্ষেপ মানুষের তথা জনগণের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে খেটে খাওয়া গরীব মানুষ এবং কৃষক বিরোধী যে দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ একবেলা কোন রকম খাবার যোগার করতে পারে না। এই মহামারী সময় তাদের অবস্থা আরও করুন, তারপর আছে এই রকম মানুষ মারা আইন। আর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জমায়েত করা মিটিং মিছিল করা যাবে না। প্রতিবাদ করেছ কি পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হবে, কি কেন্দ্রীয় সরকার আর কি রাজ্য সরকার, এই যে কৃষি আইনের প্রতিবাদে মিছিল বা দিল্লিতে জমায়েত একটু লক্ষ্য করে দেখুন, কোথায় গুলি চালায় পুলিশ কোথায় নাগরিক কের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কে ভাঙতে লাঠি জলকামান আরও কতকি ব্যযবহা করা হয়েছে। বাংলার পুলিশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়, বি জেপি এবং তৃণমূল হলে যত্ন করে বিরিয়ানি খাওয়ায় আর বাম হলে তাদের লাঠি পেটা করে এমনকি জল পর্যন্ত দেয় না। আমি জানি না সরকারের এটাই নির্দেশ কি না? আমি ইতিহাসে পড়েছি ব্রিরিটি পুলিশ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন দমন করতে আন্দোলনকারি দের ওপর এভাবেই অত্যাচার করত। এখন দেখা যাচ্ছে ঠিক সেই অত্যাচার পুলিশ করছে। আমি মনে করি ইংরেজ চলে গেছে কিন্তু সেই সময় যারা ইংরেজ সরকারের পা চেটে চাকরি করত বা গোলাম ছিল এখন সেই সব মানুষ ক্ষমতায় এসেছে, এরা জনগণ কে কুকুর ছাগল ভাবে এক টুকরো বাসি রুটির মত করে এই নে হাজার টাকা দিলাম এই জুতো দিলাম, জামা দিলাম মাসে দু কেজি চাল দিলাম এই নে পুজো করবি টাকা দিলাম এই নে মাস্ক দিলাম। এই ঘোষণা করে দিলাম চাকরি দেওয়া হবে, এমন ভাবে সেটা করা হলো যাতে কেস করার সুযোগ থাকে। আমার ভোট চাই, মদের দাম কমিয়ে দিয়েছি, মদ খাবি আর ভাগারের মাংস খাবি, আরেকটা ব্যাপার আছে বলছি। আমি ভোটে জিতে কোটি কোটি টাকা কাটমানি, তোলা তোলা জন্য বালি কয়লা বড় বড় ব্যবসায়ী আছে, আজ আলুর দাম কেন, আলুর আরত দার দের থেকে কম তোলা নেওয়া হয়েছে। আর গরীব মানুষ কে ভয় দেখিয়ে, মেরে যেমন করে হোক ভয় দেখিয়ে ঘরে বন্দি করে রেখে ভোট করব। আমাকে জিততেই হবে। সেই কারণেই আন্দোলন করা যাবে না, মানুষের দাবি নিয়ে এসব আবার কি? অনেকেই আবার একটা মজার কথা বলছে দাবি গুলো সব ঠিক আছে কিন্তু বনধ করা বা মিছিল মিটিং করা যাবে না, অর্থাৎ গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাহলে দাবি আদায়ের রাস্তা কি? সব জেনেও মিডিয়ায় গরীব মানুষের খবর দেখাবে না, কৃষক মৃত্যু তাদের চোখে চোখে পড়ে না, জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি তাদের নজর এড়িয়ে যায়। নেতার চুরি করে কোটি কোটি টাকা আয় চোখে পড়ে না। সাধারণ মানুষের আন্দোলন ছাড়া উপায় কি? সেই আন্দোলন করলে পুলিশ দিয়ে তাদের উপর হামলা করতে হবে। এটা কি স্বাবাধী দেশের সরকার, যে সরকার জনগণের জীবন জীবিকা নিয়ে যা খুশি তাই করে, আর সরকারের সেই অন্যাযা আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গেলে। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment