Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 29 November 2020

বাঙালি কে মুক্তি দিতে '৭৭ আবার আসুক ফিরে।


 মাননীয়ার বাঁকুড়া সফরের বক্তব্য শুনলাম, ঐ বক্তব্য নিয়ে অনেক রকম প্রবাদ বাক্য আছে, যেমন চোরের মায়ের বড়ো গলা, ঠাকুর কে আমি তো কলা খাই নি আরও আছে, লিখতে হলে আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। বাঁকুড়া জেলার গিয়ে একটি সভা করেন, কিছু লোক সেখানে জমায়েত হয়েছিল। কারণ আমাদের রাজ্যে চোরের ও সমর্থক আছে, আর মদ মাংস পেলে তো কথাই নেই, অশিক্ষিত অর্ধ   শিক্ষিত জনগণ ছোটে সে দিকে। আর এই কাজ হীন অবস্থা একশ টাকা যথেষ্ট লোক জোগাড় করার জন্য, তার জন্য আছে একশ দিনের কাজ এই প্রকল্পের কাজ হোক আর না হোক লোক জোগাড় করা আর মদ আর ভোট কেনা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাহোক মাননীয়া সেখানে বললেন আমি বলে ছিলাম বদলা নয় বদল চাই এই জন্য সি পি আই এম এর চোর গুলো ছাড়া পেয়ে উঠে পরে লেগেছে, দিদি আপনার দল ক্ষমতায় এসে কয়েক হাজার পাার্টি অফিস দখল করে ছিল। আর কয়েক শ বাম কর্মী সমর্থকদের খুন করা হয়েছিল। ভোটের সময় ঝাণ্ডা লাগাতে দেয় নি বুথ এজেন্ট তো দূরের কথা। মিথ্যে মামলা বা কেস সে তো বলার কথা, আমি আপনার এক নেতার ভাষণ শুনেছি তিনি কর্মীমীদে নির্দেশ দিচ্ছেন বামপন্থী দের     কেসের মালা  পরিয়ে দিতে হবে। আপনার আমলে একটা নির্বাচন শান্তি পুর্ণ হয় নি।গত পঞ্চায়েত ভোটের কথা ভুলে গেলেন, ভোট করতে গিয়ে একজন অফিসার খুন হয়ে গেলেন। আর ভোট লুট ওটা তো আপনার বাহিনীর কাছে জলভাত। আপনি বলতেন না সি পি আই এম ভোটে কারচুপি করে জেতে। আপনার বাহিনীকে দেখলাম গননা কেন্দ্রের মধ্যে ছাপ্পা দিতে। জানি আপনি মিথ্যা কথায় নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কিন্তু বার বার মিথ্যা কথা বলে মানুষ কে বোকা বানান যাবে না। বলছেন না, সি পি আই এম চোর আপনি কত গুলো কমিশন গঠন করেছিলেন ভুলে গেছেন ১৭ না ১৮ তার উপর ছিল সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম জ্ঞানেরশ্বরী.  এক্সপ্রেস সি বি আই তদন্ত সব রিপোর্ট আপনার কাছে জমা আছে কয় একটিও তো কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টে আপনি জ্ঞানেরশ্বরী কাণ্ড নিয়ে কি নাটক মঞ্চস্থ করলেন আর যেই রিপোর্ট জমা পড়েছে আর সব বন্ধ হয়ে গেল। আপনি বলছেন না, সি পি আই এম চোর, আচ্ছা তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র, কুনাল ঘোষ, আর ঐ মোহন বাগানের কে এক কর্মকর্তা জেলে গেল এরা কবে সি পি আই এম করত বলবেন। আরও কিছু ছবি এখানে দিলাম বলুন এরা কবে সি পি আই এম ছিল।
এরা কারা মনে টাকার হিসেব করতে ব্যাস্ত। সত্যিই বলেছেন, এরা সকলেই সি পি আই এম, টাকা নিয়ে আপনার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ঐ যে আপনি বলেছেন লোভী সি পি আই এম এরা সবাই লোভী সি পি আই এম। ভোট এলে, একবার করে ই ডি আর সি বি আই নোটিশ পাঠানো নাটক মঞ্চস্থ করে, যেমন আপনি ভালো মিথ্যা কথায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন, সেই রকম কেন্দ্রীয় প্রধান সেবক তিনিও মিথ্যা কথায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। না হলে এই প্রতি ভোটের সময় ই, ডি আর সি বি আই এর নাটক কবে বন্ধ হয়ে যেত। সে জানে আপনি আর আপনার দল রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলে তাদের লাভ। আপনার দলের অর্ধেক নেতা পা বাড়িয়ে রেখেছে দলে ঢোকার জন্য। আর ঐ সর্বভারতীয় বিশ্বের সেরা মিথ্যাবাদী দলে নিয়ে চোরের জামা কাপড় কেচে নিয়ে দলের পদে বসিয়ে সাধু বানিয়ে ফেলবে। আর আপনি সেই এক বুলি বলে যাবেন, কারণ সি পি আই এমের ভুত আপনার ঘাড় থেকে নামে নি। আপনি বিলক্ষণ জানেন, আপনার দলের চোর চিটিংবাজ গুলো সি বি আই ও ই ডির ভয়ে বি জে পি তে ভীর করছে। আপনি কিছু করতে পারছেন, দেখেও কিছু বলতে পারছেন কারণ একটা ঐ সারদা নারদার টাকা। দারুণ দিদি আপনি সেই পুরনো রেকর্ড বাজিয়ে যান ওসব মানুষ, ওসব মানুষ আর নিচ্ছে না। কারণ তারা দেখছে আপনি যাদের চোর বলছেন, লোভী বলছেন, বি জে পি র সাথে গোপন বোঝা 
পরা করে ভোটে জিতেতে দিচ্ছে না। আপনার এবং আপনার বা আপনাদের পোটোয়া ঘুষখোর মিডিয়ায় বসে বলে ছিলেন ওদের দুর্বীণ দিয়ে দেখতে হবে। জানি না সে দূর্বীন খারাপ হয়ে গেল। যারা গত ভোটে ৭% বেশি ভোট পায় নি। তারা এই মহামারীর সময় ২০০০ এর উপর কম্যুনিটি কিচেন চালাচ্ছে, প্রথম থেকেই মানুষের পাশে তাদের দেখা গেছে। আপনি না বললেও সাধারণ মানুষ কিন্তু বলেছেন আবার '৭৭ সাল হবে। আমি জানি না আপনি জানেন কি না' ৭৭ এ কি হয়েছিল। না জানলে জেনে নিন। আমিও চাই আবার ১৯৭৭ আবার ঘুরে আসুক, মানুষ ভুলে যাক এটা ২০২১ সালের নির্বাচন।


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...