Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 5 November 2020

বাংলায় বাম - কংগ্রেস জোট কি ভীতির কারণ!


 হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার খবর, এর আগেও অন লাইন একটি সংবাদ ছিল বাম কংগ্রেস জোট হচ্ছে না। কারণ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন কংগ্রেস বাম নাম করতে। কংগ্রেস কথটা আগে থাকবে। আরও কিছু অনলাইন সংবাদ পত্র আছে যারা বিভিন্ন ভাবে এই হচ্ছে না বা হবে না এসব প্ররচা করছে। এসব দেখে এবং পড়ে আমার মনে হচ্ছে এই জোট কে ভয় করতে শুরু করেছে অনেকেই, কারণ সংবাদ সংস্থা গুলো যে ভাবে এই জোট যাতে যে ভাবে হোক ভেস্ততে দিতে চায়। তারা বুঝতে পারছে, ২০১৬ সালের পরিস্থিতির থেকে এখন রাজ্যযে পরিবর্তন এর হাওয়া বইছে। কিছু সংবাদ সংস্থা বলতে গেলে প্রারা সব মিডিয়ায় একটাই প্রচার বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে। কারণ দিদি বিজ্ঞাপন দিয়ে ক টাকা দেয় দাদার দল এলে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞাপন আবার রাজ্যের বিজ্ঞাপন      সোনায়
সোহাগা। আর অন্য ভাবে তো আছেই, কি সুন্দর ব্যবস্থা তাইনা। আর যদি খবর সত্য হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, বেকার যুবক যুবতী, সকলের স্বপ্ন আবার পাঁচ বছরের জন্য আরও খারাপ হয়ে যাবে। কারণ দাদার দল মুখে বলে এক কাজে করে আরেক, তাছাড়া বর্তমানে ঐ দলের অর্ধেকের বেশি নেতা তৃণমূল থেকে গেছে। প্রয়োজনে বা মুখ্যমন্ত্রী ও তার পদ ধরে রাখতে ভোটের ফলাফল দেখে চলে যেতে পারেন। ওনার কাছে পদ বড়ো কথা আর যে কোন ভাবে টাকা, টাকাটা অবশ্যই দুই দলের নেতাদের দরকার। টাকা মানে তোলাবাজির টাকা, কাটমানির টাকা। জানা নেই যারা চাকরির জন্য অনশন করলেন, এবং এখন কলেজের অস্থায়ী কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আজও অনশনে বসে আছেন। সরকারি কর্মীদের   মহার্ঘভাতা বন্ধ, আন্দোলন করলে হয় সাময়িক বরখাস্ত নয়তো দূরে বদলি করে দেওয়া হবে। দান খয়রাতি করতেই টাকা শেষ, দাদা দিদি সব সমান সবথেকে বড়ো গ্রামে গ্রামে ডিটেশন ক্যাম্প হবে নয়া জেলখানা, যে টুঁ শব্দ করবে নয়া আইন আছে বিনা বিচারে আটক একবারে ব্রিটিশ সরকারের আইন। আর তা না হলে CAA আছেই তুমি নাগরিক নও বলে ডিটেশন ক্যাম্পে আটক করা হবে। সব থেকে বেশি বিপদে পড়বে এদের মতো মানুষ।
আবার কাগজ থাকলেও কি ওসব চলবে না, যে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং সব থেকে বড় কথা যে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেলে ভারতের নাগরিক হিসেবে সেই দেশের সরকার মেনে নিচ্ছেন আর নিজের দেশের সরকার বলছে ওটা নাগরিকদের প্রমাণ নয়। খেটে খাওয়া গরীব মানুষের স্বার্থে এবং রাজ্যের অগনিত অস্থায়ী কর্মীদের স্বার্থে এবং বেকার যুুব যুবতী দের স্বার্থে, সরকারি চাকরির নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত মতভেদ ভুলে, পশ্চিমবঙ্গের  তৃনমূল ও বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের এক জোট হয়ে ভোটের ময়দানে আসুন। কারণ বিজেেপি গরীব মানুষ কে মানুষ বলে মনে করে না। দেখলেন না লকডাউনে করল, ধনী দের জন্য বন্দে ভারত বিদেশ থেকে প্লেনে চেপে সব দেশের ফিরে এলো। আর তারাই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিল বিভিন্ন জায়গায়। আর লাখ লাখ গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, নিজের দেশের এক রাজ্যের থেকে নিজের রাজ্যে ফিরল পায়ে হেঁটে সাইকেল চালিয়ে রাস্তার মধ্যে না খেয়ে মারা গেল কত মানুষ। সেই ছবি যদি কেউ ভুলে যান সেটা বড় দুঃখের কোন সরকার কোন ব্যবস্থা করেনি। খেটে খাওয়া মানুষ না খেয়ে দিন কাটানোর কথা বা ছবি গুলো এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেছে। দেখছেন না বিহার ভোটের আগে বিরোধীদের জমায়েত। মানুষ কে মনে করিয়ে দিন সেই দিন গুলোর কথা। আমি বুঝতে পারছি না গরীব মানুষ গুলো এত তাড়াতাড়ি ভুলে যায় কি করে? আসুন সকলে মিলে এই অপশাসন কে দূূর করি। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...